গো. আযমের রায় নিয়ে জামায়াতের সহিংসতার মহাপরিকল্পনা
দেশব্যাপী কাজ করছে কয়েক হাজার ক্যাডার, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার নির্দেশ
ফিরোজ মান্না ॥ গোলাম আযমের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত সারাদেশে সহিংসতা সৃষ্টির মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি ও জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম ইউসুফকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দুই দিন ঢিলেঢালা হরতাল কর্মসূচী পালন করেছে জামায়াত। কারণ এই সময়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফরে ছিলেন। দলের হাইকমান্ড থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জামায়াত শিবিরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল হরতালে কোন প্রকার সহিংসতা চালানো যাবে না। জাতিসংঘের সহকারী সচিব চলে যাওয়ার পর কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। আর সেটা হবে রাজাকার শিরোমণি যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের রায়কে কেন্দ্র করে। জামায়াত নেতাদের ফোনালাপ থেকে গোয়েন্দা সংস্থা এমন তথ্য দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারাদেশে জামায়াত শিবির যে তা-ব চালিয়েছিল এবার একই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে নাটকীয় তা-ব চালিয়েছে। এবার তাদের কৌলশ কিছুটা পরিবর্তন করেছে। হরতালের ডাক দিয়েই চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করবে জামায়াত-শিবির। যানবাহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন ধরিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। দেশে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করেছে। সারাদেশে শিবির ক্যাডারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে। পুলিশী বাধা এলে তাদের ওপর বোমা ও শক্তিশালী ককটেল নিক্ষেপ করতে হবে। পুলিশ যেন কোন অবস্থাতেই জামায়াত শিবিরের আক্রমণ প্রতিহত করতে না পারে। ঢাকার বাইরে বড় বড় ঘটনা ঘটিয়ে লাশ হলে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি পাবে এমন কৌশল রয়েছে তাদের। নিজেদের লোকও বলির পাঁঠা বানাতে পারে জামায়াত শিবির। ঢাকার বাইরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার ক্যাডার গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। এবার তারা মসজিদের মাইক ব্যবহার করবে না। কারণ বিষয়টি দেশবাসী বুঝে ফেলার পর মসজিদের মাইক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে। জামায়াত শিবিরের নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাটি ইতোমধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কারণ এ মাসের যে কোন দিন গোলাম আযমের বিচারের রায় হবে। রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবির যে সব ঘটনা ঘটাতে পারে তা সরকারের ওপর মহলে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে শেষ মুহূর্তে মারণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে আইনগত উদ্যোগের পাশাপাশি সারাদেশে বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুত হয়ে আছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে প্রয়োজন পরিবেশ পরিস্থিতি। আর এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই কারণে-অকারণে ঘন ঘন রাজনৈতিক কর্মসূচী ঘোষণা করছে জামায়াত।
দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ৯ দফা কর্মসূচী পালন করছে। জামায়াত শিবির টানা হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারে। যদিও জামায়াতÑশিবিরের পরিকল্পিত তা-ব ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সরকারের ভেতরে আলোচনা চলছে।
এদিকে গত রবিবার ও মঙ্গলবারের হরতালে দেশের মানুষ সাড়া দেয়নি। মানুষের জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। জামায়াত-শিবিরও হরতাল নিয়ে তেমন কোন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়নি। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাসহ কারাগারে আটক সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দলটি।
সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল নয়। এই দলটি সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছে জন্মলগ্ন থেকেই। সম্প্রতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ নূরুল্লাহ এবং সংগঠনটির চার অর্থদাতাসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নগদ ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা এই টাকা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হতো বলে মনে করা হচ্ছে। সাভারের ঘটনাকে পুঁজি করে চট্টগ্রামে পরিকল্পিতভাবে গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য গার্মেন্টস নেতাদের টাকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আটক হওয়া চার অর্থদাতা হলেন শাহজাহান মহিউদ্দিন, সেলিম চৌধুরী, আবু সাইদ এবং শাহাদাৎ হোসেন। এদের মধ্যে শাহজাহান মহিউদ্দিন এ্যাকর্ড হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান, সেলিম চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাকি দু'জন পরিচালক।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারাদেশে জামায়াত শিবির যে তা-ব চালিয়েছিল এবার একই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে নাটকীয় তা-ব চালিয়েছে। এবার তাদের কৌলশ কিছুটা পরিবর্তন করেছে। হরতালের ডাক দিয়েই চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করবে জামায়াত-শিবির। যানবাহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন ধরিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। দেশে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করেছে। সারাদেশে শিবির ক্যাডারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে। পুলিশী বাধা এলে তাদের ওপর বোমা ও শক্তিশালী ককটেল নিক্ষেপ করতে হবে। পুলিশ যেন কোন অবস্থাতেই জামায়াত শিবিরের আক্রমণ প্রতিহত করতে না পারে। ঢাকার বাইরে বড় বড় ঘটনা ঘটিয়ে লাশ হলে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি পাবে এমন কৌশল রয়েছে তাদের। নিজেদের লোকও বলির পাঁঠা বানাতে পারে জামায়াত শিবির। ঢাকার বাইরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার ক্যাডার গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। এবার তারা মসজিদের মাইক ব্যবহার করবে না। কারণ বিষয়টি দেশবাসী বুঝে ফেলার পর মসজিদের মাইক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে। জামায়াত শিবিরের নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাটি ইতোমধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। কারণ এ মাসের যে কোন দিন গোলাম আযমের বিচারের রায় হবে। রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত শিবির যে সব ঘটনা ঘটাতে পারে তা সরকারের ওপর মহলে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে শেষ মুহূর্তে মারণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে আইনগত উদ্যোগের পাশাপাশি সারাদেশে বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুত হয়ে আছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে প্রয়োজন পরিবেশ পরিস্থিতি। আর এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই কারণে-অকারণে ঘন ঘন রাজনৈতিক কর্মসূচী ঘোষণা করছে জামায়াত।
দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা ৯ দফা কর্মসূচী পালন করছে। জামায়াত শিবির টানা হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারে। যদিও জামায়াতÑশিবিরের পরিকল্পিত তা-ব ঠেকাতে দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সরকারের ভেতরে আলোচনা চলছে।
এদিকে গত রবিবার ও মঙ্গলবারের হরতালে দেশের মানুষ সাড়া দেয়নি। মানুষের জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। জামায়াত-শিবিরও হরতাল নিয়ে তেমন কোন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়নি। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাসহ কারাগারে আটক সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দলটি।
সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল নয়। এই দলটি সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছে জন্মলগ্ন থেকেই। সম্প্রতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ নূরুল্লাহ এবং সংগঠনটির চার অর্থদাতাসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নগদ ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা এই টাকা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা হতো বলে মনে করা হচ্ছে। সাভারের ঘটনাকে পুঁজি করে চট্টগ্রামে পরিকল্পিতভাবে গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য গার্মেন্টস নেতাদের টাকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আটক হওয়া চার অর্থদাতা হলেন শাহজাহান মহিউদ্দিন, সেলিম চৌধুরী, আবু সাইদ এবং শাহাদাৎ হোসেন। এদের মধ্যে শাহজাহান মহিউদ্দিন এ্যাকর্ড হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান, সেলিম চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাকি দু'জন পরিচালক।
__._,_.___