Banner Advertiser

Tuesday, June 25, 2013

[mukto-mona] Fw: [Pro-Muslim] আওয়ামী লীগ ও তার ৬৪ বছরের সংগ্রাম সরদার সিরাজুল ইসলাম !!!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To:
Sent: Tuesday, June 25, 2013 4:23 PM
Subject: [Pro-Muslim] আওয়ামী লীগ ও তার ৬৪ বছরের সংগ্রাম সরদার সিরাজুল ইসলাম !!!!

 
আওয়ামী লীগ ও তার ৬৪ বছরের সংগ্রাম
সরদার সিরাজুল ইসলাম
৬৪ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন কেন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল সে প্রসঙ্গে আলোচনার পূর্বে কিছুটা পেছন দিকে যেতেই হবে। কারণ পাকিস্তান ভাঙ্গার দায়ে আওয়ামী লীগেকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান জন্মের আগেই ভাঙ্গার বীজ বপন করা ছিল, সে ইতিহাস ক'জন জানে। বাংলার নওয়াব সিরাজ-উ-দ্দৌলাকে পরাজিত ও হত্যা করে ১৭৫৭ আলের ২৩ জুন এদেশে ব্রিটিশরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরেক বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের সহায়তায়। মহাদাপটে ব্রিটিশরাজ প্রায় দু'শ' বছর রাজত্ব করে; ১৯৪৭ সালে বিদায় নেয় ভারতকে বিভক্ত করে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটো রাষ্ট্র গঠন করে। এটা ছিল গোলটেবিল বৈঠকের কৌশল। এজন্য তেমন কোন সংগ্রাম করতে হয়নি। যাওয়ার আগে ব্রিটিশরা এমন বিভেদ সৃষ্টি করে যায় যে, উপমহাদেশে শান্তি আর ফিরে আসেনি।
ব্রিটিশদের আগেও এদেশে বিক্ষিপ্তভাবে মুসলমানরা বসতি স্থাপন করেছে, যার প্রধান কারণ ছিল বঙ্গদেশে ছিল খাদ্য ও সম্পদের প্রাচুর্য। তবে তারা কখানও কেন্দ্রীয়ভাবে শাসন করতে পারেনি। লক্ষ্যণীয় যে, কলকাতা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী, ১৯১১ সাল পর্যন্ত। বাংলায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু হলে কলকাতাকে নিরাপদ মনে না হওয়ায় তারা দিল্লীতে রাজধানী স্থানান্তর করতে বাধ্য হয়। তবে আজকের বা ১৯৪৭-পূর্ব ভারতকে একটি ফেডারেশনে রূপান্তরের কৃতিত্ব ব্রিটিশরা দাবি করতে পারে। এর পূর্বে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কারও কাছেই ছিল না।
উপমাহাদেশে কংগ্রেসের জন্ম হয়েছিল ১৮৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন একাধিক ইংরেজ- এ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, হেনরি কটন, আলফ্রেডওয়ের, উইলিয়াম ওয়েভার বার্ন, জর্জ ইউল প্রমুখ। উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর চেতনার জাগৃতি যেন বিস্ফোরক পর্যায়ে না যায়। বিলাতে শিক্ষাপ্রাপ্ত মডারেট হিন্দুরা কংগ্রেসের নেতৃত্ব লাভ করায় রাজদরবারে একটি বিশেষ মর্যাদার প্রত্যাশায় ঢাকার নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯০৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম লীগের। কিন্তু জিন্নাহ (১৮৭৬-১৯৪৮)-এর বিরোধিতা করেন এবং ১৯০৭ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। আবার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ না করেই ১৯১৩ সালের ১০ অক্টোবর মুসলিম লীগের সদস্য হন। উভয় দলে ছিলেন ১৯২০ সাল পর্যন্ত এবং সে বছরই মুসলিম লীগের সভাপতি হন। ১৯১৩ সালে মুসলিম লীগে যোগদানের পূর্বে তিনি আগাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করবেন। কিন্তু তা করেননি; বরং পাকিস্তানের জনক হওয়ার জন্য হিন্দু-মুসলিম, বাঙালী-অবাঙালীর কি পরিমাণ ক্ষতি, বিশেষ করে পৈত্রিক ভিটাচ্যুতকরণ (যা মানব সভ্যতার সবচাইতে জঘন্য অপরাধ) করেন, তার সাক্ষী মহাকাল।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২) মুসলমানদের জন্য একাধিক 'স্টেটস' দাবি উত্থাপন করেন এবং তা গৃহীত হয়। কিন্তু জিন্নাহ তাঁকে ১৯৪১ সালে প্রথমে পদত্যাগের নির্দেশ দেন, কিন্তু শেরে বাংলা তা অগ্রাহ্য করলে বহিষ্কৃত হন ৮ সেপ্টম্বর। জিন্নাহ মুসলিম মেজরিটি একাধিক এলাকা নিয়ে একটি 'পাকিস্তান'-এর জনক হওয়ার লক্ষ্যে ১৯৪৬ সালের ৯-১০ এপ্রিল দিল্লীতে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সভায় শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে (১৮৯২-১৯৬৩) দিয়ে সংশোধনী করে নেন 'স্টেট' দ্বারা।
শেরে বাংলা ১৯১৮ সালে একসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (নেহরু ছিলেন যুগ্ম-সম্পাদক) ও মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২২ সালে খুলনার উপনির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, ১৯২৪ সালে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী, ১৯২৯ সালে কেএসপি গঠন, ১৯৩৪ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র। ভারত শাসন আইন প্রবর্তনের পরে ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এই মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ। খাজা নাজিমুদ্দিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৪৩-১৯৪৫। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে গবর্নর সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং নাজিমুদ্দিন সরকারের পতন হয়।
১৯৪৬ সালের নির্বাচন ছিল পাকিস্তান ইস্যুতে গণভোট। শেরে বাংলার কেএসপি পাকিস্তানের বিরোধিতা করে নিজের দুটি আসন ছাড়া আর মাত্র ৫টি- মোট ৭টি আসন লাভ করে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই নির্বাচনে ১১৪টি আসন লাভ করেন। ১৯৪৬ সালের ২ এপ্রিল খাজা নাজিমউদ্দিনকে পরাজিত করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী নেতা নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল মন্ত্রিসভা গঠন করেন। উল্লেখ্য, তিনি ১৯২১ সালে বেঙ্গল আইন পরিষদের সদস্য হন। ১৯২৪ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র এবং ১৯৩৭-৪৭ সময়ে প্রাদেশিক মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
ভারত বিভাগের সময় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জিন্নাহ কৌশলে সোহরাওয়ার্দীকে নেতৃত্বে থেকে হঠানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে সিলেটের পাকিস্তান ভুক্তির প্রশ্নে যে গণভোট হয় তাতে ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হন এবং এদের কয়েকজনকে মন্ত্রিসভার সদস্য করতে সোহরাওয়ার্দী রাজি না হওয়ায় খাজা নাজিম উদ্দিন সে প্রস্তাব গ্রহণ করে লিয়াকত আলী খানের নির্দেশে পুনরায় নেতা নির্বাচন হন (৫ আগস্ট ১৯৪৭) এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী পরাজিত হন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৩ আগস্ট পূর্ববঙ্গের ক্ষমতা খাজা নাজিমউদ্দিন এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা ডা. প্রফুল্ল­চন্দ্র ঘোষের কাছে হস্তান্তর করেন। পাকিস্তান ও ভারত রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকতা যথাক্রমে '১৪ ও ১৫ আগস্ট ১৯৪৭। এভাবে সোহরাওয়ার্দীকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়। এটা ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের আগেই ধ্বংসের প্রাথমিক কারণ। আর শেরে বাংলার অবস্থা ছিল আরও অসহায়। তিনি পূর্ববঙ্গের এ্যাডভোকেট জেনারেল-এর চাকরি নেন খাজা নাজিম উদ্দিনের অধীনে।
উল্লেখ্য, ভারত বিভক্তির প্রয়োজনে বাংলাকে ভাগ করার দায়িত্ব ছিল স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফের (চেয়ারম্যান) এবং অন্য সদস্য ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষে বিচারপতি বিকে মুখার্জী, বিচারপতি সিসি বিশ্বাস এবং মুসলিম লীগের পক্ষের দুই অবাঙালী বিচারপতি মোহাম্মদ এবং বিচারপতি রহমান। এতে কোন বাঙালী মুসলমানের স্থান হয়নি। যার ফলে কি দাঁড়িয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় মানচিত্রের দিকে তাকালে। এতে কারও বাড়ি আংশিক ভারতে এবং আংশিক পাকিস্তানে পড়ে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু এই সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন এবং সফল হওয়ার প্রমাণ তিন বিঘা করিডর। ভারত বিভাগের পর সোহরাওয়ার্দী কলকাতায় থেকে যান এবং গান্ধীর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে তৎপর থাকেন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ ও পাকিস্তানের ন্যায্য পাওনা ৫৫ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য ভারত সরকারকে চাপ সৃষ্টি করে অনশন শুরু করলে উগ্র হিন্দুরা তাকে হত্যা করে (৩০.০১.১৯৪৮)। পরবর্র্তীতে একাধিকবার ঢাকায় আসার চেষ্টা করলে পাক সরকার সোহরাওর্দীকে পূর্ববঙ্গে বসবাসের উপর একটি অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে জিন্নাহ মারা যাওয়ার (১১.০৯.১৯৪৮) ৬ মাস পরে সোহরাওয়ার্দী ৫.০৩.১৯৪৯ করাচীতে চলে যান। তবে ইতোপূর্বে তাঁর গণপরিষদ সদস্যপদ বাতিল করা হয়। করাচীতে বসবাসের পরে তিনি শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত হন "ভারতের লেলিয়ে দেয়া কুকুর" বলে গালি দেন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। পূর্ববঙ্গে আগমনের উপর ছিল বাধা নিষেধ। তবে পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক জিন্নাহ আওয়ামী লীগ গঠন করে তেমন এগুতে পারেননি।
মওলানা ভাসানী ভারত বিভাগের সময় ১০ বছর ধরে ছিলেন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি, কিন্তু ভারত বিভাগের সময় জেলে ছিলেন। পূর্ববঙ্গে এসে টাঙ্গাইল নির্বাচন কেন্দ্র থেকে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেও পরাজিত প্রার্থী খুররম খান পন্নীর আবেদনক্রমে গবর্নর ত্রুটির অজুহাতে নির্বাচন বাতিল এবং ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ভাসানীকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেন। একই আসনে ১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল পুনর্নির্বাচনে মওলানা ভাসানীর মনোনীত প্রার্থী শামসুল হক (প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক, আওয়ামী মুসলিম লীগ) নির্বাচিত হলেও তাঁকে শপথ নিতে দেয়া হয়নি। মওলানা ভাসানী ঢাকায় প্রথমে মুসলিম লীগে প্রবেশের চেষ্টা করেন এবং প্রাদেশিক সভাপতি আকরম খাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন আতাউর রহমান খান ও সালাম খানকে নিয়ে। কিন্তু মাওলানা আকরম খাঁ তাঁদের জানান, ২৮টি বই ছেপে ১৪০০ সদস্য সংগ্রহের জন্য বিতরণ করা হয়েছে আর কোন সদস্য করা হবে না। এই সাক্ষাতে "ভেড়া বকরী" মুসলিম লীগে নেয়া অর্থহীন বলে আকরম খাঁর উক্তির প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী নারায়ণগঞ্জে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। এই ঘটনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কাছে দেনদরবার করলে তিনি আকরম খানের সিন্ধান্তের বাইরে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশরা ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন ক্ষমতা হস্তান্তর করার কর্মসূচী গ্রহণ করলেও এক বছর ১৯৪৭ সালের ১৪/১৫ আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ইতিহাসবিদরা দেখেছেন যে, এটির কারণ- জিন্নাহ ছিলেন অসুস্থ; তাই তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে রাষ্ট্রস্রষ্টা বানানো। পাকিস্তান কি ধর্মভিত্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার কথা ছিল সে প্রেক্ষাপট দীর্ঘ; তবে জিন্নাহ সাহেবের কিছু উক্তি প্রণিধানযোগ্য। পাকিস্তানের গবর্নর জেনারেলের দায়িত্ব নেয়ার জন্য করাচী যাত্রার প্রাক্কালে তিনি বলেছিলেন, "এ্যাজ এ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া আই এ্যাম গোয়িং টু টেক ওভার দি চার্জ অব পাকিস্তান।" ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট (জন্মের ২দিন পূর্বে) পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদে তিনি মূল রাষ্ট্রীয় নীতিমালার ব্যাখ্যা করে যে ভাষণ দেন তার মধ্যে যে অংশটি সবিশেষ উল্লেখ্য তা হচ্ছে :
"Now I think we should keep in front of us as our ideal and will find that in course of time Hindu would cease to be Hindu and Muslim would cease to be Muslim, not in religious sense because that is the personal faith of each individual, but in the political sense. Mohammad Ali Jinnah also said : I warn the landlords and capitalists who have flourished at our expenses which is vicious and wicked. Believe me, I have seen them; there are million of our people getting hardly one meal a day. Is this Civilization? Is this the aim of Pakistan? If that is going to be the result of Pakistan? I will not have it. If these landlords and capitalists are wise. they will adjust themselves to this new and modern civilization. if they do not, God will help them, we will not help them. In Pakistan we want to visualize the government as peoples governments"
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উল্লেখিত ভাষণে ধর্মনিরেপক্ষ অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু জিন্নাহ তাঁর কথা রাখেননি। পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বেই জুন মাসে মুসলিম লীগের সভায় চৌধুরী খালেকুজ্জামান যে দাবি জানিয়েছিলেন তার প্রতি জিন্নাহ অধিকাংশের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে একমাত্র উর্দুকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ। Only urdu shall be the state language বলে তিনি যে উক্তি করেন তার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ছাত্র-যুব সমাজ জানিয়েছিল। ফলে জিন্নাহর ইমেজ পূর্ববঙ্গে নষ্ট হলো। তা আর উদ্ধার হয়নি। সে যাই হোক, জিন্নাহর মৃত্যু ছিল একেবারে অবহেলায় অনাদরে একরকম বিনা চিকিৎসায়। জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম ইউনিটির অগ্রদূত হিসেবে রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন; সেই জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম ইউনিটি দূরে থাক, বাঙালী আর অবাঙালী মুসলমানদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে ৭২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর জীবদ্দশায়ই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অর্থনৈতিক বঞ্চনা শুরু হয়েছিল যার ফলে তাঁর স্বপ্নের পাকিস্তান ২৩ বছরের বেশি টিকতে পারেনি। মৃত্যুর পূর্বে জিন্নাহ স্বীকার করেন যে, তাঁর জীবনে দুটি ভুল যার একটি পূর্ববঙ্গকে নিয়ে এক পাকিস্তান গঠন; অপরটি বাংলা ভাষার ব্যাপার।
১৯৪৮-৪৯ সালে পাকিস্তানের মোট রফতানি আয় ছিল ১৬৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে পূর্ববঙ্গ আয় করে ১১৯ কোটি টাকা আর পশ্চিম পাকিস্তান মাত্র ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু একই বছর পূর্ববঙ্গের জন্য বাজেট ব্যয় ছিল ১৬ কোটি টাকা। অপরদিকে পাঞ্জাব ১৯ কোটি, সিন্ধু ৮ কোটি, সীমান্ত ৩ কোটি ৪১ লাখ মোট ৩০ কোটি এবং কেন্দ্রের উন্নয়নের নামে ৬৪ কোটি টাকা, পশ্চিম পাকিস্তানে ব্যয় হয় মোট ৯৪ কোটি। এছাড়া ১৯৪৭-৪৮ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত ৯৫১ কোটি বিদেশী সাহায্য আসে তার মধ্যে পূর্ববঙ্গের ভাগ্যে জোটে মাত্র ২২২.৮৯ কোটি টাকা। ৪৭-৬১ সময়ে পূর্ববঙ্গের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৪৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে অথচ পশ্চিম পাকিস্তানে দেয়া হয় ৭৫৫ কোটি আর কেন্দ্রের নামে পশ্চিম পাকিস্তানে যা ব্যয় হতো তা ছিল আলাদা। (চলবে)

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপি




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___