Banner Advertiser

Saturday, July 13, 2013

[mukto-mona] Fw: আওয়ামী লীগের জয়পরাজয়




----- Forwarded Message -----
From: Jamal Hasan <poplu@hotmail.com>
To:
Sent: Saturday, July 13, 2013 9:08 PM
Subject: আওয়ামী লীগের জয়পরাজয়



http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-07-14&ni=142255

আওয়ামী লীগের জয়পরাজয়
মুনতাসীর মামুন
তিনজনের মন্তব্য দিয়ে আলোচনাটি শুরু করা যেতে পারে। আবদুল মান্নান এই জনকণ্ঠে এক নিবন্ধে জানিয়েছিলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর এক রিকশাচালক বলছিলেন, হিরণ যত কাজ করেছেন এর আগে কেউ কখনও করেননি। বরিশালের চেহারাই তিনি পাল্টে দিয়েছেন। তাহলে কেন তিনি হিরণকে ভোট দেননি? কারণ, হিরণ আওয়ামী লীগ করেন।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে লিটন হারার পর এক তরুণ বলেছিলেন, শহরবাসী কতটা উন্নয়ন চায়? একজনের সীমিত সাধ্যে একটি শহরের যতটা উন্নয়ন সম্ভব ততটা করা হয়েছে। তাহলে উন্নয়নের মাত্রাটা কতটুকু হওয়া উচিত ভোটের জন্য? তা ভোটের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে উন্নয়নের?
গাজীপুর সিটি নয়, তারপরও জোর করে সিটি। সেখানে আজমত উল্লাহ হারার পর ঐ রকমই একজন তরুণ মন্তব্য করেছিলেন, নির্বাচনে যদি আজমত উল্লাহর মতো নিপাট শিক্ষিত ভদ্রলোক না জেতেন তা হলে এই রাজনীতি করে কী হবে?
এই মন্তব্যগুলো বর্তমান সমাজ, রাষ্ট্র, মানুষ নিয়ে কতগুলো প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। একটি হলো দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অবস্থান বা বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে কী চোখে দেখে, উন্নয়নের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক আছে কিনা আর নির্বাচনে সততা কোন বিষয় কিনা?
প্রায় দু'দশক আগে আমি এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু এক অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবদুল মান্নান সেটি নিয়ে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। শাহরিয়ার কবিরও টেলিভিশনে মন্তব্যটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকও আমাকে বলেছিলেন, এতদিন পর মনে হচ্ছে, এ মন্তব্য নিয়ে ভাবা যেতে পারে যদিও মন্তব্যটি খুব কঠিন। অধিকাংশের ধারণা, মন্তব্যটির ভিত্তি ক্রোধ, ক্ষোভ বা অভিমান। না এর কোনটিও নয়। গত ৪২ বছরের ইতিহাস ভেবে দেখুন মুক্তিযুদ্ধের দলটি মাত্র এক যুগ ক্ষমতায় থেকেছে, প্রায় তিন দশক ক্ষমতায় থেকেছে পাকিস্তানীমনারা। এমনকি যুদ্ধাপরাধীর বিচারেও বাধা দিচ্ছে দেশের বিরাটসংখ্যক মানুষ। পৃথিবীর কোন দেশে এমনটি ঘটেনি। একটি রাজনৈতিক দলের অনেক ভুলত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু সামগ্রিক বিচারে মুক্তিযুদ্ধের দলটি যখন ক্ষমতায় থেকেছে তখন দেশের দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। ভোটের রাজনীতি যদি শুধু তাৎক্ষণিক সময়ের বিচারে হয় এবং অতীত ও আদর্শ মানুষ গণনায় না আনে তাহলে সে দেশের মানুষের মানসিকতা বিচারের দাবি রাখে বৈকি।
ভৌগোলিক এবং নানাবিধ কারণে বাঙালীর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে সে সুজন বটে কিন্তু তার পরাণের গহীন গভীরে এক ধরনের রক্ষণশীলতা, নিয়মিত ধর্মাচরণের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও ধর্ম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি বাঙালী মুসলমানের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমি প্রচুর পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালীকে জানি, যাদের সন্তানদের ইংরেজী স্কুলে বা সেক্যুলার স্কুলে পড়িয়েছেন, পাশ্চাত্যে থাকে সন্তানরা। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর বা প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে প্রথমেই ঘোষণা করেন গ্রামে একটি মাদ্রাসা মসজিদ করবেন। গোলাম আযম, নিজামী থেকে শুরু করে মাদ্রাসার সমর্থক বিএনপি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কোন নেতার ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়াত দূরের কথা বিদেশেই আশ্রয় নিয়েছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে কী বলবেন আপনি? ভ-ামি? ধর্মপ্রাণ? আসলে, অধিকাংশের মনে হেফাজত ঘাপটি মেরে বসে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যকোন আওয়ামী লীগ নেতা (মন্ত্রী) কাউকে শুনেছেন সোচ্চারে হেফাজতী কর্মকা- বা কোরান পোড়ানোর বিরুদ্ধে কথা বলতে? এমনকি ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেফাজত জামায়াত বিএনপি [বা হেজাবি] এর যৌথ অপপ্রচারের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ জবাব দিতে পারেনি।
বাঙালী বৈশিষ্ট্যের ভাল খারাপ দুই দিকই আছে। কিন্তু খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলো ভাল বৈশিষ্ট্যগুলোকে ছাপিয়ে গেছে। চিন্তায় নৈরাজ্য, পরস্পরবিরোধিতা, পরশ্রীকাতরতা, ধার্মিক না হয়েও ধর্ম নিয়ে অত্যধিক বাড়াবাড়ি যা লোক দেখানোর পর্যায়ে পড়ে, এস্টাবলিশমেন্ট বা দক্ষিণপন্থার প্রতি অশেষ প্রীতিÑ এ ধরনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য। ভাল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দ্রোহ একটি, কিন্তু সেটিরও সীমাবদ্ধতা আছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই দ্রোহের সৃষ্টি। 
দক্ষিণপন্থার প্রতি বাঙালীর ঝোঁক চিরদিন। প্রধানত কৃষি অর্থনীতির কারণেই এ ঝোঁকের সৃষ্টি কিনা জানি না। এই দক্ষিণপন্থা পরিপুষ্ট হয়েছিল ১৯৪৭ সালের আগে মুসলিম লীগের রাজনীতির কারণে। ১৯৪৭ সালের আগে ভারতে মুসলমান নেতৃবৃন্দ সামাজিক সংগঠিত সমাবেশ ঘটানোর জন্য ইতিহাসের সূত্রগুলো তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁরা মুসলমান নৃপতিদের কথা তুলে ধরেছেন যাঁরা শৌর্যে-বীর্যে ছিলেন অতুলনীয় এবং মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন ভারতীয় মুসলমানরা তাদেরই বংশধর। ইসলামী শাসনের যুগ স্বর্ণ যুগ। ব্রিটিশ ও হিন্দুদের [কংগ্রেস] চক্রান্তে আজ তারা হীনাবস্থায়। এই হীনাবস্থা থাকবে না যদি মুসলমানদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা হয়। অবশ্য, অর্থনীতির বঞ্চনাটাই ছিল মূল প্রতিপাদ্য। ইতিহাসের এই ব্যবহার মুসলমান তারুণদের সংগঠনে ভূমিকা রেখেছে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, পাকিস্তান : ইসলাম। ভারত : হিন্দু। ১৯৭১ সালে এই তরুণরা ছিলেন মধ্যবয়সী। বঙ্গবন্ধুকে তারা ছয় দফা বাস্তবায়নে ভোট দিলেও, স্বাধীনতার প্রশ্নে অনমনীয় ছিলেন না। বাধ্য হয়েছিলেন মুক্তির ডাকে সাড়া দিতে। খন্দকার মোশতাকের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থক অনেকে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে। কিন্তু, তরুণদের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই তারাই এগিয়ে এসেছিল তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য। 
পাকিস্তান হওয়ার পর শাসকরা এই তত্ত্বই বার বার প্রচার করেছে, আন্দোলনকারীরা সবসময় ছিল ইসলামের শত্রু। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে এর জন্য অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন, সর্বোপরি নিদারুণ অর্থনৈতিক বঞ্চনা বাঙালীর পাকিস্তানী মানসিকতায় চিড় ধরিয়েছিল, বিকশিত করেছিল জাতীয়তাবাদ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর যা আরও জোরদার হয়েছে। আওয়ামী লীগকে সেই জাতীয়তাবাদ সংহত করতে হয়েছে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে আসলে যা ছিল একটি মিথ। কিন্তু, মনে রাখা দরকার ১৯৬৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত দক্ষিণপন্থাকেই শক্তিশালী করা হয়েছে। 
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ম্যান্ডেট চেয়েছিল ৬ দফার। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০টি পেলেও ভোটের হার ছিল ৭৪.৯ ভাগ। তার মানে, বাংলাদেশের ২৫ ভাগ মানুষ স্বাধীন দেশ চায়নি। স্বায়ত্তশাসনও চায়নি। ভোটারদের এক-চতুর্থাংশ। সেই ২৫ ভাগ ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যদি গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত লুট ধর্ষণ গণহত্যা না চালাত তা'হলে স্বাধীনতা না চাওয়া মানুষের সংখ্যা হয়ত আরও বেশি হতো। কারণ, এর আগেও বাংলাদেশে অনেক যুদ্ধ হয়েছে যেখানে বাঙালী আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে তৃণমূলের বাঙালী কোন আগ্রহ দেখায়নি। 
যুদ্ধে জয়লাভের পরও দেখি হত্যাকারীরা আশ্রয় পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারাই আশ্রয় দিয়েছে বা জনবিচারে হস্তক্ষেপ করেছে। কারণ, বাঙালীর মধ্যে সম্প্রদায় বোধ প্রবল। ইংরেজীতে একেই বোধহয় কিনশিপ বলে। সব বিষয় ছাপিয়ে যায় এই কিনশিপ বা জ্ঞাতিবোধ। তখন শ্রেণী, আদর্শ কাজ করে না। যেমন, সম্প্রতি সাকা চৌধুরীর পক্ষে তার দুই জ্ঞাতি ভাই সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন যদিও তারা আওয়ামী লীগ করেন, এভাবে আদর্শের বিষয়টিও অনেকক্ষেত্রে জগাখিচুড়ি হয়ে যায়। 
আজকের বাংলাদেশের ভিত্তি গড়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধ তিনি দেখেননি। অবরুদ্ধ দেশের মানুষ কী অবস্থায় ছিল তার কিছু বর্ণনা হয়ত শুনেছেন। নয় মাসের যুদ্ধ যে একটি জাতির মানসিক গঠন সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছিল তা কতটা তিনি অনুভব করেছিলেন আজ তা আর জানা যাবে না। কিন্তু, পুরনো আমলের পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবে শাসন নতুন যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। আজ ৪০ বছর দেখি বাংলাদেশ যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার পুরোটাই বঙ্গবন্ধু সরকারের করা। কিন্তু, সে সময়, তাঁর নিজের হাতে গড়া ছাত্রলীগ ভেঙ্গে গিয়েছিল, নৈরাজ্য দেখা দিয়েছিল, খাবারের অভাব ছিল, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে দুঃসহ ছিল। স্বাধীনতার সময় মানুষ যে স্বপ্ন রাজ্যে ছিল স্বাধীনতার পর সেই স্বপ্নরাজ্যে আঘাত ঐ সময়কার জেনারেশনে স্থায়ী অভিঘাত রেখে গেছে ঐ বিশেষ সময়। আজ আমরা যতভাবেই বিচার-বিশ্লেষণ করি না কেন, এ রকম নৃশংস হত্যাকা-ের পরও কি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ প্রভৃতি, বাংলাদেশ চুপ থাকেনি? পরবর্তীকালে জিয়া থেকে খালেদা জিয়া পর্যন্ত পাকিস্তানী আদর্শে দেশ শাসন নতুন দুই মুসলিম লীগ মনোভাবাপন্ন জেনারেশনই শুধু সৃষ্টি করেনি, আওয়ামী লীগবিরোধিতা, উদারনীতির বিরোধিতা ডানপন্থার পরিধি বাড়িয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগেও। সামরিক শাসন ও এই শাসন সঞ্জাত খালেদা জিয়া সবচেয়ে ক্ষতি যা করেছেন এই দেশ-জাতির, তা'হলো, যে আত্মপরিচয়ের সঙ্কট ১৯৭১ সালে মনে হয়েছিল মোচন হয়েছিল সেই সঙ্কট আবার সৃষ্টি করেছেন। আত্মপরিচয়ের সঙ্কট ও আঞ্চলিকতা মিলে জগাখিচুড়ি ও স্থবির মানসিকতা সৃষ্টি করেছে। টঙ্গী-গাজীপুরের মতো সামান্য এলাকায় টঙ্গীর ভোটার গাজীপুরের প্রার্থীকে ভোট দেবেন না গাজীপুরের ভোটার টঙ্গীর প্রার্থীকে ভোট দিতে চান না। পৃথিবীর আর কোন দেশের নাগরিক বিদেশে গিয়ে নানা পর্যায়ের সমিতি করেন না, রাজনৈতিক দলের শাখা নিয়ে মাতামাতিও করেন না। একই সঙ্গে জিয়া এরশাদ-খালেদা রাজনীতিতে যুক্ত করেছেন দুটি উপাদানÑ ভায়োলেন্স ও টাকা। এসব যুক্তিপূর্ণভাবে বিচার করলে দেখা যাবে, জাতিগত বিকাশ আমাদের অসম্পূর্ণ, আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে দীর্ণ, জগাখিচুড়ি মানসিকতায় পরিপূর্ণ এক জাতি আমরা। একটি বড় অংশ কেন বলি, সংখ্যাগরিষ্ঠের মানসিকতা এ রকম কিছুটা হেজাবি, কিছুটা পাকিস্তানী, কিছুটা উদারÑ সব মিলিয়ে এক জগাখিচুড়ি অবস্থা, সংখ্যাগরিষ্ঠ আবার সাদাকালোয় বিভক্ত নয়, ধূসরে থাকা তাদের পছন্দ; এমনকি বিখ্যাত সুশীল সমাজও। এভাবে, বাংলাদেশের জনসমষ্টির মধ্যে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি উদাহরণ দিই। 
পাঁচটি সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়ররা যথেষ্ট কাজ করলেও জিততে পারেননি। পরাজয়ের অনেক কারণ আছে, কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি ভোটাররা কখনও পর্যালোচনা করেননি। খালেদা জিয়ার আমলে ছাত্রদল তা-ব চালিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের ছাত্রীদের ওপর। এর পর পরই ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল জয়ী হয়েছিল। আহমাদ শফী মেয়েদের দেখলে পুরুষের লালা ঝরে বলেছেন, [হয়ত সে কারণেই খালেদাকে সমর্থন করছেন] চারটি বিয়ের উপদেশ দিয়েছেন, নারী ভোটারদের একটি বড় অংশ তারপরও সমর্থক ১৮ দলের। আমাদের মিডিয়া নাকি খুবই প্রগতিশীল। বিশ্বজিৎ হত্যাকা- দিনের পর দিন তারা দেখিয়েছে; কারণ, তা'হলে ছাত্রলীগ যে কত খারাপ তা বোঝানো যায়, কিন্তু হেজাবীদের কোরান পোড়ানো যেদিন ঘটেছে সেদিনই দেখিয়েছে। আহমাদ শফীর লালাঝরা ভিডিও দেখান হয়নি। খুবই প্রগতিশীল সুশীল সমাজ আছে তারা মাইনাস টু ফর্মুলায় বিশ্বাসী। মাইনাস টু না হলে নিদেনপক্ষে মাইনাস ওয়ান অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে বাদ দিলে ঠিক আছে। তার যদি কোন কারণে মৃত্যু হয় বা হত্যা করা যায় তা হলে তো রাজনীতি নিষ্কণ্টক হয়Ñ এ রকম একটা মনোভাব তাদের মনের গহীনে কাজ করে। আওয়ামী লীগ আসলে বাংলাদেশে মেজরিটি পার্টি নয়। 
এ পরিপ্রেক্ষিতে দুটি প্রশ্ন জাগাতে পারে: এক. পাকিস্তানীমনা লোকজন তা'হলে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করলেন কেন? স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ তিনবার ক্ষমতায় গেল কী ভাবে? 
পাকিস্তান আমলে শত্রু ছিল বিদেশী এবং নির্দিষ্ট। নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কোন দোদুল্যমানতা ছিল না। সংখ্যালঘিষ্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মামলার জন্য তদ্বির করেছেন এবং যখন মানুষ দেখেছে তিনি স্থিরচিত্ত তখন তারা বিষয়টি অনুধাবন করেছে এবং অকুণ্ঠ চিত্তে গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, আওয়ামী লীগের নেতাদের সততা, জনসম্পৃক্ততা মানুষকে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থাবান করে তুলেছে। আর সব ধরনের শোষণ-বঞ্চনায় মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগকে তারা ভোট দিয়েছেন। 
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ দু'বার মাত্র ক্ষমতায় এসেছে বঙ্গবন্ধুর আমল বাদে। প্রথমবার শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসাটা ক্ষমতায় আসা বলা যাবে না। অনেকের হাতেপায়ে ধরে ক্ষমতায় থাকতে হয়েছে। এমনকি ক্ষমতায় থাকার জন্য সু-মেকার [বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতা প্রস্তুতের ঘোষণাকারী-কেও রাখতে হয়েছে। লীগ ভোট বিরোধীদের থেকে খুব বেশি পেয়েছিল তা নয়। দ্বিতীয়বার বা এইবার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেলেও আওয়ামী লীগ কি ৩২ ভাগের বেশি ভোট পেয়েছে? মনে রাখতে হবে, বিএনপি-জামায়াতের চরম অত্যাচার, তারপর বিএনপি-জামায়াতমনা সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্যাতনের পর আওয়ামী লীগবিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পার্থক্য কিন্তু খুব বেশি একটা ছিল না। কারণ, সেই মানসিকতা। তার প্রাক-স্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগের তফাত অনেক। এখনকার আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীর ক্ষেত্রে কি সেরকম সততার সুনাম, লক্ষ্যে পৌঁছার অবিচল নিষ্ঠা, আত্মত্যাগের স্পৃহা আছে? আর মানসিকতার ধরনও খুব একটা পাল্টায়নি। যে কারণে আবদুল মান্নানের লেখার উদ্ধৃতি দিলাম শুরুতেÑ আওয়ামী লীগ কাজ ভাল করে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে ভোট দিই কী ভাবে? 
মানসিকতার বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করলাম, অনেকটা তাত্ত্বিক আলোচনা হয়ে গেল, হয়ত তত্ত্বে খানিকটা পাগলামি থাকতেও পারে। এই আলোচনার পটভূমি হলো গত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরিচয়। এর সঙ্গে লেখার ভূমিকায় যে প্রশ্নটি রেখেছিলামÑ ভোটের সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক। 
আওয়ামী লীগের অনেকে, পত্রিকায় দেখলাম, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও নাকি বলেছিলেনÑ এত্তো কিছু করলাম তার পরিণতি এই? প্রধানমন্ত্রী যদি এ কথা বলে থাকেন, ভুল বলেননি, অসত্যও বলেননি। গত প্রায় চার বছরে দেশের প্রতিটি পর্যায়ে যে উন্নতি হয়েছে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। বিএনপি-জামায়াত যদি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করত তা'হলে উন্নয়নের মাত্রা আকাশ ছুঁতো। 
চার বছর একনাগাড়ে জিডিপি ৬ ভাগের ওপরে! নারীদের উপার্জন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বিদেশী পত্র-পত্রিকা বর্তমান সরকারের ওপর ড. ইউনূস ইস্যুতে নাখোশ হলেও বর্তমান সরকার যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তা স্বীকারে বাধ্য হয়েছে। বিএনপির স্থির-মস্তিষ্কের অনেকে ব্যক্তিগত আলোচনায় বলেছেন, বিএনপির জোটের পক্ষেও এ রকম উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি, হবেও না।
সুতরাং, আওয়ামী নেতাদের মনে ক্ষোভ থাকতেও পারে। কিন্তু, এটিও মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন, আমরা দেশের সেবা করতে এসেছি। তো সেবা করতে চেয়েছেন, করেছেন। প্রতিদান আশা করেন কেন? এ উত্তর অনেকে দিতে পারেন, কিন্তু, প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিতে সেবা/উন্নয়নের তুলনা হবে না? হবে কিন্তু, ভোটাররা স্থানীয় উন্নয়নে যত গুরুত্ব দেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে ততটা আগ্রহী নন। আবার স্থানীয় উন্নয়ন না হলেও দোষারোপ করেন। সিটিগুলোতে তো উন্নয়ন হয়েছে। তা'হলে?
এই ধাঁধার কিছু উত্তর খোঁজা যেতে পারে। জগাখিচুড়ি মানসিকতা, দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি মাথায় রেখেও বলতে পারি সব দোষ ভোটারদের ওপর চাপানোও সঠিক নয়। হেফাজত ইস্যু ভোটে খুব বড় প্রভাব ফেলেনি। চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা বিবেচনা করুন। তখন মহাজোট নানাভাবে বিজয়ী। মহিউদ্দিন চৌধুরী যথেষ্ট কাজ করেছেন। হেফাজতও কোন ইস্যু ছিল না। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। সে কারণে বলিÑ আত্মসমালোচনা ও আত্মানুসন্ধান করাও জরুরী। (চলবে)






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___