Banner Advertiser

Saturday, July 13, 2013

[mukto-mona] Lets Gazipur become Turning Point !!!!!!



গাজীপুর হোক টার্নিং পয়েন্ট
এম. নজরুল ইসলাম
লন্ডন থেকে ভিয়েনা ফিরেছি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে। এবারের লন্ডন সফরের উদ্দেশ্য ছিল একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠানে যোগদান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিরল সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও লন্ডনে এসেছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। শেখ হাসিনা ইউরোপের যেকোনো দেশে এলেই সেখানে যাওয়া নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন আসার পর তো বটেই, রবিবার সন্ধ্যায়ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। সুযোগ হয়েছে কুশলাদি বিনিময়ের। 
লন্ডনে অনেকবারই যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো বেদনার্ত মন নিয়ে কখনও ফিরতে হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেশের বাইরে অনেক জায়গাতে দেখা হয়েছে। কিন্তু এবার লন্ডনে কি ভিন্ন এক শেখ হাসিনাকে দেখলাম? জানি না। তবে, আমাদের অনেক আশা ছিল, চার সিটি করপোরেশনে ভরাডুবির পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে। বিজয় ছিনিয়ে আনবে। প্রবাসে আমি একা নই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সবারই সে আশা ছিল। দেশ থেকেও সেরকম আশাবাদ শুনিয়েছেন অনেকে। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ সুরক্ষিত থাকবে, সে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু গাজীপুরের ভোটের ফল বেদনাহত করেছে। যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, সেই দলটিকে কেন সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রত্যাখ্যান করছে জনগণ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা নানা দিক থেকে এই পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। কারও কারও মতে, দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগে আস্থা হারিয়েছে মানুষ। দলটির সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকা-ে মানুষ বিরক্ত-এমন কথাও বলেছেন অনেকে। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথাও উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের নানা খবরে। আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচ সিটি করপোরেশনে পরাজয়ের বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন তাই এখন সবচেয়ে জরুরী। সেটাই হবে নতুন করে উজ্জীবিত হওয়ার সঞ্জীবনী শক্তি। 
আওয়ামী লীগ শুধু উদার গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী পুরনো একটি রাজনৈতিক দলই নয়, গণতন্ত্রেরও সমার্থক শব্দ। দেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে এ কথার সত্যতা মিলবে। দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তান আমলে ও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সামরিক শাসন এসেছে বারবার। এই সামরিক শাসনের একটি কমন বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। বরাবরই সামরিক উর্দির পকেট থেকে জš§ নেয়া রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের ধজা ধারণ করে সাধারণ মানুষের সারল্যকে পুঁজি করেছে। মানুষ প্রতারিত হয়েছে। সে বিবেচনায়, গেল শতকের মধ্যচল্লিশ পেরিয়ে উপমহাদেশের রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভ্যুদয় একেবারেই আলাদা। সমাজের তথাকথিত ওপর মহল বা এলিট শ্রেণী নয়, নিতান্তই সাধারণ মানুষের দল হিসেবে আওয়ামী লীগের আত্মপ্রকাশ ও বিকশিত হওয়া। সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন জগতের মানুষ হিসেবে নন, একান্তই তাদের সারির একজন হয়ে মিশে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর চৌম্বক-ব্যক্তিত্ব ও অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা দলটিকে জনআকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসে। ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা গণমানুষের দলটিকে ধ্বংস করে ব্যক্তিপূজার রাজনীতি বিস্তৃত করতে চেয়েছে। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষণস্থায়ী ভাটার টান কেটে গিয়ে জনজোয়ারে কল্লোলিত হয়েছে সমর্থনের নদী। উজান হাওয়ায় বেগবান হয়েছে নৌকা। ২০০৮ সালের নির্বাচন সেই জনজোয়ারের সর্বশেষ উদাহরণ। গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ মানুষের এই সমর্থনকে যথার্থ মূল্যায়নও করেছে।
গেল চার দশকে কোন সরকারের এত অর্জন নেই, যা বর্তমান সরকার করেছে। এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যে ক্ষেত্রে অগ্রগতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভাবমূর্তির বাংলাদেশকে আজ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসা বাংলাদেশে বেড়েছে বিদেশী বিনিয়োগ। 'মেড ইন বাংলাদেশ' ব্র্যান্ড সারা বিশ্বে পরিচিত। দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি-সবকিছুতেই বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু তারপরও এই ইতিবাচক বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি কেন বিরুদ্ধস্রোতের মুখে? রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবির পর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও কেন এ অনাকাক্সিক্ষত পরাজয়? গাজীপুরেও কেন রচিত হলো আশার সমাধি? 
ভোটের বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টঙ্গী সদর, বাসন, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি ও পূবাইলের যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা সর্বাধিক ভোট পেয়েছিলেন, সিটি নির্বাচনে সেসব এলাকার কেন্দ্রগুলোতেই সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন অ্যাডভোকেট আজমত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে দেশের প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে বাসন, কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চলে গত চার বছর ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সীমাহীন চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বিপর্যয়ের বড় কারণ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বড় বিপর্যয় ঘটেছে টঙ্গী শিল্প এলাকায়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জের হিসেবে টঙ্গী এলাকার প্রায় ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ভোট দিতেই যাননি। খবরটি যে মিথ্যে নয়, তা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ওয়াকিবহাল। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ভোটের পরিসংখ্যানও বলছে, টঙ্গী এলাকার কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। অথচ গাজীপুর সদর এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। কাশিমপুর এবং কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চল আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে বরাবরই পরিচিত। গত সংসদ নির্বাচনে এসব এলাকা থেকে গাজীপুর-১ আসনের এমপি আ ক ম মোজাম্মেল হক সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। গত চার বছরে তিনি নাকি একবারও এসব এলাকায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যও যাননি, এমন খবর ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকায় এসেছে।
ঢাকার একটি দৈনিকের ফল বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টার অভূতপূর্ব সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা, সদালাপ, সহাস্য আচরণ এবং বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছিলেন, তা রক্ষা করতে পারেননি তাঁর পারিবারিক উত্তরসূরীরা। বরং তাঁরা দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ভোটের দিন টঙ্গী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নেতাদের বিরোধে বিব্রত টঙ্গীর নেতা-কর্মী-সমর্থক বেশিরভাগই ভোট দিতে যাননি বলে খবরে প্রকাশ। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলমও বলেছেন, আজমত উল্লার পরাজয়ের বড় কারণ গাজীপুরের আওয়ামী লীগ এমপিদের জনবিচ্ছিন্নতা। এমপিরা নির্বাচিত হওয়ার পর গত সাড়ে বছরে নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত থেকেছেন। নিজেদের মধ্যে নানা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের খবর নেননি, এলাকার সমস্যা খতিয়ে দেখেননি, উন্নয়নও করেননি। ফলে তাঁরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তারই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। 
অল্পদিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচ সিটি কর্পোরেশন কি আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস? গাজীপুরে আওয়ামী লীগের যে অবস্থা, একই দশা কি সারা দেশে? তা যদি হয়ে থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগকে এখনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মনে করি। গাজীপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরে নিতে হবে গাজীপুরকে। কেমন করে সেটা সম্ভব, এ প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক সহচর হিসেবে পেয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান, মনসুর আলীর মতো স্থিতধী নেতাদের। শেখ হাসিনা কি সেই আস্থার প্রতিবিম্ব দেখতে পাচ্ছেন তাঁর দলে? আওয়ামী লীগের মতো একটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যার সাংগঠনিক বিস্তৃতি তৃণমূল পর্যায়ে, সেই দলে সমন্বয় সাধন হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি একটি বিষয়। এই সমন্বয়ের দায়িত্ব কার বা কাদের? তিনি বা তাঁরা কি সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন বা করছেন? কেন দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব? আজকের আওয়ামী লীগে সবাই কি তবে বসন্তের কোকিল? হালুয়া-রুটির ভাগীদার? তাই যদি হয়, তাহলে তো সেটা আদর্শের রাজনীতি নয়। আর, আদর্শহীন রাজনীতি পথ হারাবেই। 
রাজনৈতিক কমিটমেন্ট না থাকলে জনকল্যাণের ব্রতসাধন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে। দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সুবিধাবাদী শ্রেণী ও চরম ডানপন্থীরা কি গোপনে প্রতিক্রিয়াশীলদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখন জরুরী। কারণ, দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ বাঙালীর আবেগ ও ভালবাসার জায়গা। সেই আবেগ নিয়ে নিষ্ঠুর খেলা করা যাবে না। আবেগকে মূল্য দিতে হবে।
অনেকেই বলে থাকেন, ভোটে জিতলে আওয়ামী লীগ একা জেতে। কিন্তু হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যায়। পরাজিত হয় বাঙালীর জাতিসত্তা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। আওয়ামী লীগের লীগের পরাজয় মানে বাঙালী জাতির পরাজয়-এই সত্য আজকের আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব বিস্মৃত হলে তার চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হবে না।
লেখক : অস্ট্রিয়া প্রবাসী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক
nazrul@gmx.at



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___