Banner Advertiser

Friday, July 5, 2013

[mukto-mona] Fwd: মিশরে মৌলবাদের বিদায়।। বাংলাদেশে সম্ভব নয় কেন? [1 Attachment]

[Attachment(s) from Sitangshu Guha included below]

মিশরে মৌলবাদের বিদায়।। বাংলাদেশে সম্ভব নয় কেন?
নিউইয়র্ক থেকে শিতাংশু গুহ, ৩রা জুলাই, ২০১৩: guhasb@gmail.com;
মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরশির বিদায় ঘটনায় বিএনপি-জামাত চাঙ্গা হবে, সুবিধা নিতে চাইবে। হেফাজতকে দিয়ে মৌলবাদরা ওই রকম কিছু একটা করতে চেয়েছিলো। খালেদা জিয়াও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তখন ব্যর্থ হলেও বিএনপি এখন এথেকে ফায়দা নিতে চাইবে। আওয়ামী লীগও মুরশির বিদায়কে মৌলবাদের পতন হিসাবে কাজে লাগাতে পারে। মুরশি মুসলীম ব্রাদারহুদ নেতা। ব্রাদারহুদ আমাদের দেশীয় জামাত-হেফাজত। মিশরে ওদের বিদায় হলে বাংলাদেশেও হতে পারে। ২০০১-এর ১১ই সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড ভাঙ্গার ঘটনা আওয়ামী লীগ নিজেদের পক্ষে বা মৌলবাদের বিপক্ষে কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি ঠিকই 'ইসলাম গেলো' ধুয়া তুলে ওই ঘটনাকে কাজে লাগায় এবং নির্বাচনে বিজয় লাভ করে। আওয়ামী লীগের এই না পারার কারণ হচ্ছে, ভোট কমার ভয়ে সরাসরি মৌলবাদের বিরোধিতা না করা। বা তলে তলে মৌলবাদের একটি অংশকে হাতে রাখার চেষ্টা করা। 'মৌ' (mou) চুক্তি তেমনি একটি পদক্ষেপ।

এবার পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনে হারার কারণ একই। বাংলায় একটি কথা আছে, ' নিশ্চিত ছাড়িয়া যে অনিশ্চিতে ধায়; একুল অকুল সে দু'কুল হারায়' আওয়ামী লীগও অনিশ্চিত হেফাজতি ভোটের আশায় নিশ্চিত নুতন প্রজন্ম সংখ্যালঘু ভোট বিসর্জন দেয় এবং তাতে ভরাডুবি ঘটে। আওয়ামী লীগ কখনই তার 'সিউর' ভোটকে পাত্তা দেয়না। তাদের ধারণা: নুতন প্রজন্ম, প্রগতিশীল বা সংখ্যালঘুরা তাদের ভোট না দিয়ে যাবে কোথায়! পক্ষান্তরে বিএনপি প্রণব মুখার্জির সাথে দেখা না করে বা হেফাজতিদের মুসাফির বানিয়ে ভোটের ভিত্তি শক্ত করেছে।

এসময়ে পৌর কর্পোরেশনের ভোট দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিলোনা; তবু সরকার তা দেয়; কারণ তাদের কাছে খবর ছিলো সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা বেশীরভাগ না হলেও অন্তত: আধাআধি আসনে জিতবেন। তদুপুরি হেফাজতি ব্যর্থতায় বিএনপি' তখন কোমরভাঙ্গা। পরিস্তিতি অনুকুল। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে বাতাস নিজেদের পক্ষে রাখতে নির্বাচন কিন্তু ফলাফল সব পাল্টে দেয়। থেকে আন্দাজ করা কঠিন নয় যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচন দেন তারা হয় খবর রাখেন না। অথবা চার বছরের বেশি বর্তমান সরকারের সেবা করে এরা টায়ার্ড। নয়তো ভবিষৎ সরকারের আনুগত্য ওনারা আগেভাগেই স্বীকার করে রাখছেন। তবে সরকারের আমলে প্রতিটি নির্বাচন ভালো হয়েছে; কারো কোন অভিযোগ নেই। সরকার প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন যে, দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল সরকারকে ভাবিত করেছে। বিএনপি চাঙ্গা হয়েছে। হেফাজত দম ফিরে পেয়েছে। লাভবান হয়েছে জামাত। কেন এমন হলো, প্রশ্নের যথার্থ উত্তর ও তদনুযায়ী যথার্থ ব্যবস্থা নেয়ার মাঝে লুক্কায়িত আছে জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের ভবিষৎ। তবে প্রশ্ন,জাতীয় নির্বাচন কবে হবে? সরকার সম্ভবত: নির্বাচন পিছাতে চাইবেন। কারণ, হাতে কিছুটা সময় পাওয়া গেলে পরিস্তিতির পরিবর্তন সম্ভব।

এমন একটা অবস্থা ভাবা যাক: গোলাম আজমের মামলায় ফাঁসীর রায় হলো। সরকার অন্য 'জনার রায় কার্যকর করতে উদ্যত। বিএনপি না চাইলেও জামাত বসে থাকবে না। দেশব্যাপী গন্ডগোল, মারামারি, ধ্বংসযজ্ঞ। কয়েক মাসের জন্যে নির্বাচন স্থগিত। জানুয়ারির বদলে জুনে নির্বাচন। এরমধ্যে সকল যুদ্দাপরাধীর বিচার রায় কার্যকর হয়ে যাবে। তিস্তা চুক্তি হবে। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়ে যাবে। সরকার স্পিকারকে প্রধান করে আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে এমপি নিয়ে একটি গ্রহনযোগ্য অন্তর্বর্তী সরকার দেবেএমন একটা ছক বিএনপি আন্দাজ করতে পারছে বলে হয়ত এখন বলতে শুরু করেছে যে, স্পীকার নিরপেক্ষ নন!

এরমধ্যে সরকার আরো কিছু পদক্ষেপ হয়তো নেবে। সংখ্যালঘু নুতন প্রজন্মকে খুশি করতে চাইবে। এজন্যে বিশ্বজিত হত্যা মামলা দ্রুততর করতে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান প্রধান যুদ্বাপরাধীদের ফাঁসী হলে নুতন প্রজন্ম অভিমান করে দুরে সরে থাকবেনা। সংখ্যালঘুদের খুশি করতে সরকার একটি পৃথক সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়, অর্পিত সম্পত্তির কিছুটা সুরাহা; পার্বত্য শান্তি চুক্তির খানিক বাস্তবায়ন; ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে জাতীয় মন্দিরের মর্যাদা দেয়াসহ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। ২০০১-এর নির্যাতন মামলা শুরু হতে পারে। সরকার জানে হিন্দুরা এবার শুধু কথায় ভুলবেনা; কিছু দিতে হবে। এখন পর্যন্ত শুধু কিছু অযোগ্য মন্ত্রী, সর্বচ্চো নেপালের রাষ্ট্রদূত ছাড়া হিন্দুরা কিছুই পায়নি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে হিন্দুরা খুব পছন্দ করে তা মনে হয়না; অথবা তিনি ধোয়া তুলসী পাতা তাও কেউ মনে করেনা। কিন্তু তাকে যে ফাঁসানো হয়েছে তাতে কারো সন্দেহ নেই।

চার সিটি কর্পোরেশনে হারার কারণ হিসাবে অনেকে অনেক হিসাব দিচ্ছেন। সিলেট ছাড়া বাকি তিন কর্পোরেশনে হারার মূল কারণ পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে কি হয় নাই সেটা বড় কথা নয়। জনগণ বিশ্বাস করে 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়' সরকারী দল দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জনগনকে প্রকৃত সত্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা নিয়ে আরো হবে এবং তাতে শেখ পরিবারকে জড়ানো হতে পারে। শেষ পর্যন্ত হয়তো কিছুই প্রমান হবেনা। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হয়ে যাবে। জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা এমনি একটি পদক্ষেপ। : ইউনুস খালেদা জিয়া এর পেছনে তা পাগলেও বুঝে। ইউনুস সাহেব মাঠে নেমেছেন এবং সামনের দিনগুলোতে আরো সক্রিয় হবেন বলে মনে হয়। রেশমা, সানডে মীরর উপাখ্যান এর অংশ হতে পারে। সামনে জয়-পুতুলকে নিয়ে কল্প-কাহিনী ছড়ানো হবে। সরকারের নরম জায়গাগুলোর ওপর আঘাত আসবে

যারা বলার চেস্টা করছেন যে, হেফাজতকে নিবৃত করে সরকারের ভোট কমেছে, তারা ভুল বলছেন। বরং মৌলবাদকে তোষণ করায় আওয়ামী লীগের আসল ভোটাররা ভোট দিতে যাননি। হিন্দুদের একটি ভালো অংশ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে বা ভোট দিতে যাবার প্রয়োজন বোধ করেননি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এবারো আনুপাতিক হারে আওয়ামী লীগ খুব কম ভোট পায়নি। যা পেয়েছে তার সাথে দুরে সরে যাওয়া ভোট যুক্ত হলে জাতীয় নির্বাচনে জয় সম্ভব। আরো একটা জিনিস দরকার: কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা। একজন প্রভাবশালী এমপি আমায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মীরা মূলত: পরাজয় মেনে নিয়েছে, এবং থেকে উত্তরণ স্বল্প সময়ে কঠিন হবে, তবে একেবারে অসম্ভব নয়।

অনেক দিন আগে বায়তুল মোকাররমে এক বক্তৃতায় শুনেছিলাম: ' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেন : কামাল সাত্তার। জনগণ ভোট দিলো : কামালকে; জিতলেন বিচারপতি সাত্তার। আর ক্ষমতায় বসলেন হুসাইন মূহান্মদ এরশাদ' বাংলাদেশের নির্বাচনে সচরাচর ক্ষমতায় বসে সেই দল যাকে পরাশক্তি তাদের বাংলাদেশী বন্ধুরা চান। এখন পর্যন্ত ওই বন্ধুরা বিএনপি' ব্যাপারে যথেষ্ট শঙ্কিত। আগামী দিনগুলোতে ইউনুস সাহেব ওদের ওই ভয় ভাঙ্গাতে সক্রিয় থাকবেন। কাজ হবে কিনা বলা শক্ত। না হলে অন্য ব্যবস্থা। মইন-ফখরুদ্দিন সরকারকে যত গালি দেয়া হোক না কেন, জনগনের মধ্যে তাদের সমর্থন ব্যাপক- তথ্য কারো অজানা নয়। তদুপুরি, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি, দু'দলই মনে করে তারা নিজেরা ক্ষমতায় না থাকলে তৃতীয় শক্তি থাক!

বর্তমান মহাজোট সরকারের সাফল্য অনেক। বিএনপি' চাইতে আওয়ামী লীগ দেশ ভালো চালায়- এটা সত্য এবং জনগণ তা জানে। ১৯৯৬ সালেও আওয়ামী লীগ ভালোই দেশ চালিয়েছিল। কিন্তু তাতে জয় আসেনি। দুর্নীতিতে বিএনপি' কাছে আওয়ামী লীগ শিশু; তবে আওয়ামী লীগ ঢেকুড় তুলে বড়। অবশ্য বাংলাদেশের নির্বাচনে দুর্নীতি খুব বড় ফ্যাক্টর নয়; কারণ তাহলে লোম বাছতে কম্বল উজার হয়ে যাবে। জিয়া এরশাদ অনেক আগেই দুর্নীতিকে জাতীয়করণ করে ফেলেছেন। থেকে মুহুর্তে মুক্তির উপায় নাই।

কথায় বলে আওয়ামী লীগকে কেউ হারায় না; আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগকে হারায়। আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দল হারিয়ে যায়; এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। দল নাই। মাঠ ফাঁকা। অন্যরা সহজেই গোল করতে পারছেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা থেকে এটা আবারো প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সহজেই বন্ধুদের শত্রু বানায় এবং পক্ষান্তরে বিএনপি শত্রুকে বন্ধু বানায়। যেমন ড:ইউনুস। শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া, দু'জনেরই অপছন্দের ছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি বিএনপি'র বন্ধু এবং আওয়ামী লীগের শত্রু। শেখ হাসিনার খুব কাছের এক মন্ত্রীর স্বামীর সাথে ঝগড়া ছিলো ইউনুসের। ক্ষমতায় গিয়ে মন্ত্রী প্রতিশোধ নেন এবং তা সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে। এখন ঠ্যালা সামলাতে হচ্ছে পুরো জাতিকে। ড: ইউনুস প্রাত:স্মরণীয় ব্যক্তি নন-তার অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সা আকাশচুম্বী, তবু তাকে না ঘাটালেও চলতো।

তারপর হেফাজত প্রসঙ্গ: হেফাজত চরিত্রগতভাবে মৌলবাদী হলেও এন্টি-জামাত ছিলো। এদের ভোট বিএনপি বেশি পেলেও আওয়ামী লীগ কিছু পেতো। এজন্যে ওদের এবারকার আন্দোলনের শুরুতে বড় দুই দলই তোশামদিতার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। জলিল সাহেবকে দিয়ে মৌ (mou) স্বাক্ষর করিয়ে আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছিল এবার হেফাজতের সাথে প্রথম দিকে সখ্যতা করতে গিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে। আওয়ামী লীগ বুঝতে ব্যর্থ যে, মৌলবাদকে তোষণ করে তাদের ভোট বাড়বে না, বরং কমবে। বারবার ওমরা করে বা মাথায় কাপড় বেঁধে ভোট বাড়েনি; বাড়বেও না। শেখ হাসিনা মৌলবাদীদের বিশ্বস্থ নন। মৌলবাদের বিশ্বস্থ হতে যতগুলো অসৎগুনের প্রয়োজন তার সবগুলোই বেগম জিয়ার আছে। সুতরাং শেখ হাসিনাকে মৌলবাদ পিটিয়ে এবং সুশীল সমাজ বা প্রগতিশীলদের কাছে টেনেই এগুতে হবে। এর অন্যথা নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা করেনা। তাই হেফাজতকে খুশি করতে তারা শাহাবাগীদের জেলে পুরে অত্যাচার করে।

২০০৮-এর নির্বাচনে নুতন প্রজন্ম, প্রগতিশীল বা সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগকে ১০০% ভোট দেয়। প্রতিদানে ক্ষমতায় গিয়ে মহাজোট এদের বুড়ো আঙ্গুল দেখায়। প্রজন্ম চত্বর বা শাহাবাগীদের আন্দোলনের সাথে আওয়ামী লীগ বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। এই আন্দোলন আওয়ামী লীগকে প্রায় দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলো। প্রতিদানে আওয়ামী লীগ ওদের আন্দোলনটা ভেঙ্গে দেয়। জাহানারা বেগমের আন্দোলনের সাথেও আওয়ামী লীগ একই আচরণ করেছিলো। তাই ২০০১ সালে পরাজয়। নুতন প্রজন্ম, সংখ্যালঘু সুশীল সমাজকে দুরে ঠেলে দেয়ায় পৌর কর্পরেশেনের নির্বাচনে ভরাডুবি। এরপর কালিগঞ্জ এবং সম্ভবত: গাজীপুরও

মৌলবাদ তোষণ নীতি না পাল্টালে মহাজোট-এর সামনে আরো দুর্দিন আসবে। এবার সেটা হবে টর্নেডোর মত। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, পুরো দেশ, প্রগতিশীল শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দীর্ঘকাল ক্ষমতা ছাড়া হবে আওয়ামী লীগ। দেশ উল্টোমুখী হাটবে; ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনগণ। সবাই মিলে তখন এজন্যে দায়ী করবে শেখ হাসিনাকে। কারণ সব ক্ষমতা তার হাতে। ভালো হলেও তিনি, মন্দ হলেও তিনি। তিনি ছাড়া আওয়ামী লীগে কেউ কিছু না। একই অবস্থা বিএনপি-তেও। খালেদা জিয়াই সবকিছু। একেক সময় মনে হয়, আমাদের পার্লামেন্টে ওনারা দু'জনই শুধু পুরুষ! পুরো দেশের অবস্থাও অনেকটা একই রকম এজন্যে দায়ী অবশ্য আমাদের রাজনৈতিক নেতারা।

এখন সময় এসেছে আবার সঠিক সিদ্বান্ত নেয়ার। আর ভুল করার কোনো সুযোগ নেই বাস্তবতাকে মেনেই এগুতে হবে, বিএনপি' বিরুদ্বে দুর্নীতির এত অভিযোগ, কিন্তু কেউ দন্ডিত হলেন না! সাগর-রুনি হত্যার বিচার হলোনা; স্টক-মার্কেট ধ্বসের সুরাহা হলোনা; হলমার্ক কেলেঙ্কারির খবর নাই; নন্দিরহাট-সাতক্ষীরা বা এমনকি বিশ্বজিত হত্যার পর সরকারী ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ব ছিলো। এসবই বাস্তবতা এবং ভোটের ওঠা-নামার ব্যারোমিটার। চার সিটি কর্পোরেশনে হারার পর সরকারি মহলে যে সতর্কতা আসার প্রয়োজন ছিলো তা আসেনি। ভাবখানা এই যে, কিছুই হয়নি। সদ্য একজন প্রতিমন্ত্রী এসেছিলেন, তিনি ফিলাডেলফিয়া- যান। তাকে একজন হিন্দু ভদ্রলোক প্রশ্ন করেন যে, মন্দির ভাঙ্গার কিছু হচ্ছেনা কেন? উত্তরে তিনি অবলীলাক্রমে বলে দিলেন যে, সব মন্দির সরকার পুনর্নির্মাণ করে দিয়েছেন। ধারণা করি, তিনি রামুর বৌদ্ব মন্দির পুনর্নির্মাণের কথা বলেছেন, হিন্দু মন্দিরের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। জাপানের চাপে প্যাগোডা পুনর্নির্মাণ হলেও কোনো একটা হিন্দু মন্দিরও যে পুনর্নির্মাণ হয়নি মন্ত্রী তা জানার প্রয়োজনও বোধ করেননা। অথচ ভোট চাই একশ শতাংশ।

অবস্থার উন্নতি না হলে শেখ হাসিনার চমকের মন্ত্রীসভা আগামী নির্বাচনে সত্যি চমক দেখাবে। জনগণ চমক দেখতে চায়না। চায় প্রগতিশীল শক্তি জয়ী হোক। জন্যে যা করার শেখ হাসিনাকেই করতে হবে। নইলে 'যত দোষ নন্দ ঘোষ'-জননেত্রী শেখ হাসিনার

 



Attachment(s) from Sitangshu Guha

1 of 1 File(s)


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___