গোলাম আযমের মামলার রায় কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৪-০৭-২০১৩
গত ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। ওই দিন রায় অপেক্ষাধীন (সিএভি) রেখে ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।
যেভাবে শুরু: মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১০ সালের ১ আগস্ট গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। তবে তা 'অবিন্যস্ত ও অগোছালো' উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ পুনর্দাখিলের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ পুনর্দাখিল করলে ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে হাজির হতে বলেন। সে অনুযায়ী তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে তা খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পরে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁকে বিএসএমএমইউর কারাকক্ষে রাখা হয়। ১৩ মে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ১ জুলাই থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ১৬ জন, আসামিপক্ষে একজন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।
গোলাম আযম একাত্তরে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির ছিলেন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের ২২ নভেম্বর তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান। ১৯৭৩ সালের ১৮ এপ্রিল তাঁর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ১৯৭৮ সালের ১১ আগস্ট গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত দুটি ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত চারটি মামলার রায় দিয়েছেন। এই চারটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য গড়ে এক মাস করে সময় লেগেছে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি প্রথম রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ডের ওই রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের সময় লাগে ২৬ দিন। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় রায়ও আসে একই ট্রাইব্যুনাল থেকে। ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ১৭ জানুয়ারি কার্যক্রম শেষ হওয়া ওই মামলার রায় হয় ১৮ দিন পর। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তৃতীয় রায় ও ট্রাইব্যুনাল-১-এর প্রথম রায় আসে ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছিল ঠিক এক মাস আগে, ২৯ জানুয়ারি। সর্বশেষ রায় আসে ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে, যাতে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ১৬ এপ্রিল এই মামলার কার্যক্রম শেষ হয়, ২৩ দিন পর ৯ মে রায় ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য :
বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040রাজাকার-আলবদর বাহিনী গড়ার হোতা গোলাম আযম:
১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/fix/29522100
থেমে থাকেনি গোলাম আযম:
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=8983&Itemid=53
দেশ স্বাধীনের পরও পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে স্বাধীনতা বিপন্নের ষড়যন্ত্র করেছিল ঘাতক গুরু গো'আযম :
http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=4&textid=2812
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক':
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারএকাত্তরে তাঁরা কে কোন দলে ছিলেন, কী করেছেন |
http://dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=124&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4 |
একাত্তরে গোলাম আযমের বিবৃতি
http://www.prothom-alo.com/detail/news/215745
|
৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী
__._,_.___
Jabed
২০১৩.০৭.১৪ ১২:১০Rayhan
২০১৩.০৭.১৪ ১২:১৪Jabed
২০১৩.০৭.১৪ ১২:১৫Sheikh Ali Uzzaman
২০১৩.০৭.১৪ ১২:১৬