Patano bicharer rai kono din karjokor hobena. Sottikar bicharer (antorjatik maner) rai ke jonogon somman korbe ebong todaninton sarkar karjokor korbe.
Shahadat Suhrawardy
Shahadat Suhrawardy
এ সরকারের আমলে রায় কার্যকর হবে না
26 Jul, 2013
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তদের রায় কার্যকর বর্তমান সরকারের আমলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
তিনি বলেন, 'যে যাই বলেন না কেন, এ সরকারের আমলে এসব রায় কার্যকর করা হবে না। মনে হচ্ছে আমার বয়সেও এসব রায় কার্যকর দেখে যেতে পারবো না। কারণ এখন আর শুদ্ধ আওয়ামী লীগও নেই, শুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাও নেই।'
ধানমণ্ডির একটি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে 'ট্রাইব্যুনালের রায় দ্রুত কার্যকর এবং গণহত্যাকারী জামায়াতের বিচারের বাধা কোথায়' শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রামে গোলাম আযমের জনসভা প্রতিরোধ করতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের গুলিতে শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ। কিন্তু বিচারের রায় পরবর্তী প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে এ সরকারের আমলে রায় কার্যকর হবে না। আমরা বড় ক্লান্ত। আপনারা প্রস্তুতি নিন, আরেকটি একাত্তরের। লড়াই করতে হবে।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'একাত্তরে যারা অপরাধ করেছে তাদের বাঁচাতে পুরো রাষ্ট্র এক হয়ে গেছে।' এখন রায় কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারকে শত অনুরোধ করলেও লাভ হবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন এ ইতিহাসবিদ।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে মুনতাসীর মামুন বলেন, 'রায় কার্যকর করতে আপনি সরকারকে অনুরোধ করতে পারেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। পুরো দেশের বড় একটি অংশ এখন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিকে সমর্থন করছে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হোক এটাও অনেকে চায় না। গোলাম আযম থেকে আহমদ শফী পর্যন্ত সবাই এখন তাদের সুনজরে। আহমদ শফী নারীকে এতো বড় অসম্মান-অবমাননা করার পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।'
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণিত গোলাম আযমকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়ার প্রতিবাদ করে নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, 'গোলাম আযমের রায় ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী কমাতে পারে না। মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধীকে লুঘ শাস্তি দেয়া যায় না। এটি ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। এটি করতে পারেন একমাত্র রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের শাস্তি লুঘ করার আইনগত ভিত্তি নেই।'
ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করতে সরকার সময়ক্ষেপন করচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ করেন দ্রুত রায় কার্যকর করে শহীদ পরিবারের দাবি মেটাতে।
আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতাসীন হয়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্ত করে দেবে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে শাহরিয়ার কবির বলেন, 'সরকারকে এই চার মাসের মধ্যে সংবিধানের ৪৯ ধারা সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার অধিকার মওকুফ করতে হবে। নইলে এরপর দেশের পরিস্থিতি পচাত্তরের মতো হবে। আসামিরা বের হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যারা করছে তাদের ফাঁসিয়ে দেবে।' তিনি ট্রাইব্যুনালে আইনি জটিলতা ও রায় কার্যকর নিয়ে বিচলিত বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় শাহরিয়ার কবির অভিযোগ করেন, 'সরকারের একটি অংশ হেফাজতে ইসলামকে হুজুর হুজুর করে।'
পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার বলেন, 'গোলাম আযমের অপরাধের তুলনায় তার শাস্তি আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন ছিল।'
জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'জামায়াত এক শক্তিশালী সংগঠন নয়, যে তাদের নিষিদ্ধ করা যাবে না। তাদের চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা যেন রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে না পারে।'
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সরকার পরিবর্তন হলে ট্রাইব্যুনাল ভেস্তে যেতে পারে।'
সংবিধানে ৪৯ ধারা নিয়ে তিনি জানান, 'পরবর্তী দল টুথার্ড মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতাসীন হলে সংবিধান তারাও পরিবর্তন করতে পারবে। এ জন্য সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নিষিদ্ধ করার কাজটি এখন সরকারের।' এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হতে পারে বলে তিনি পরামর্শ দেন।
সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, 'যে যাই বলেন না কেন, এ সরকারের আমলে এসব রায় কার্যকর করা হবে না। মনে হচ্ছে আমার বয়সেও এসব রায় কার্যকর দেখে যেতে পারবো না। কারণ এখন আর শুদ্ধ আওয়ামী লীগও নেই, শুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাও নেই।'
ধানমণ্ডির একটি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে 'ট্রাইব্যুনালের রায় দ্রুত কার্যকর এবং গণহত্যাকারী জামায়াতের বিচারের বাধা কোথায়' শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রামে গোলাম আযমের জনসভা প্রতিরোধ করতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের গুলিতে শহীদদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ। কিন্তু বিচারের রায় পরবর্তী প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে এ সরকারের আমলে রায় কার্যকর হবে না। আমরা বড় ক্লান্ত। আপনারা প্রস্তুতি নিন, আরেকটি একাত্তরের। লড়াই করতে হবে।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'একাত্তরে যারা অপরাধ করেছে তাদের বাঁচাতে পুরো রাষ্ট্র এক হয়ে গেছে।' এখন রায় কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারকে শত অনুরোধ করলেও লাভ হবে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন এ ইতিহাসবিদ।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে মুনতাসীর মামুন বলেন, 'রায় কার্যকর করতে আপনি সরকারকে অনুরোধ করতে পারেন। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। পুরো দেশের বড় একটি অংশ এখন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিকে সমর্থন করছে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হোক এটাও অনেকে চায় না। গোলাম আযম থেকে আহমদ শফী পর্যন্ত সবাই এখন তাদের সুনজরে। আহমদ শফী নারীকে এতো বড় অসম্মান-অবমাননা করার পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।'
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণিত গোলাম আযমকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়ার প্রতিবাদ করে নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, 'গোলাম আযমের রায় ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী কমাতে পারে না। মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধীকে লুঘ শাস্তি দেয়া যায় না। এটি ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। এটি করতে পারেন একমাত্র রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের শাস্তি লুঘ করার আইনগত ভিত্তি নেই।'
ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করতে সরকার সময়ক্ষেপন করচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ করেন দ্রুত রায় কার্যকর করে শহীদ পরিবারের দাবি মেটাতে।
আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতাসীন হয়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্ত করে দেবে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে শাহরিয়ার কবির বলেন, 'সরকারকে এই চার মাসের মধ্যে সংবিধানের ৪৯ ধারা সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার অধিকার মওকুফ করতে হবে। নইলে এরপর দেশের পরিস্থিতি পচাত্তরের মতো হবে। আসামিরা বের হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যারা করছে তাদের ফাঁসিয়ে দেবে।' তিনি ট্রাইব্যুনালে আইনি জটিলতা ও রায় কার্যকর নিয়ে বিচলিত বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় শাহরিয়ার কবির অভিযোগ করেন, 'সরকারের একটি অংশ হেফাজতে ইসলামকে হুজুর হুজুর করে।'
পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার বলেন, 'গোলাম আযমের অপরাধের তুলনায় তার শাস্তি আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন ছিল।'
জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'জামায়াত এক শক্তিশালী সংগঠন নয়, যে তাদের নিষিদ্ধ করা যাবে না। তাদের চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা যেন রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে না পারে।'
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সরকার পরিবর্তন হলে ট্রাইব্যুনাল ভেস্তে যেতে পারে।'
সংবিধানে ৪৯ ধারা নিয়ে তিনি জানান, 'পরবর্তী দল টুথার্ড মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতাসীন হলে সংবিধান তারাও পরিবর্তন করতে পারবে। এ জন্য সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নিষিদ্ধ করার কাজটি এখন সরকারের।' এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হতে পারে বলে তিনি পরামর্শ দেন।
সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪
__._,_.___