Banner Advertiser

Saturday, August 3, 2013

[mukto-mona] Fw: ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা




----- Forwarded Message -----
From: Jamal Hasan <poplu@hotmail.com>
To:
Sent: Saturday, August 3, 2013 3:55 PM
Subject: FW: ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা



প্রসঙ্গ RTV গোল টেবিল
ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা
গতকাল (শুক্রবার) RTV এর একটি অনুষ্ঠানের কিছু অংশ দেখার সুযোগ হযেছে আমার হয়েছে। শুনলাম মাহী বি চৌধুরীর কিছু বক্তব্য। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ, অত রাজনীতি বু্ঝিনা, কিন্তু এই হ্যান্ডসাম চেহারার রাজনীতিবীদকে আমার এত ধান্ধাবাজ কেন যে মনে হয়, আমি তা বুঝতে পারি না। আমার এখনো মনে পড়ে, মিডিয়ায় দখল নিয়ে তার এবং তারেক জিয়ার ব্যক্তিগত কোন্দল। যে কোন্দলে পরাজয় বরণ করে বি এন পি থেকে বেড়িয়ে যেতে হয়েছিলো মাহী বি চৌধুরীকে।
RTV এর এই গোল টেবিল অনুষ্ঠানে মাহী বি চৌধুরী বার বার বলছিলেন, আওয়ামী লীগের উচিত জামাতকে ব্যান করে দেওয়া। ১৯৯৩ সালে নাকি সুযোগ ছিল জামাতকে ব্যান করার কিন্তু আওয়ামী লীগ তাতে সায় দেননি।আমার কাছে এটি অত্যন্ত হাস্যকর যু্ক্তি । যখন বঙ্গবন্ধু গোলাম আযম -কে নিষিদ্ধ করেছিলো এবং তার নাগরিকত্ব বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, তখন তাকে বাঙলাদেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং বৈধতা দিয়েছেলেন জিয়াউর রহমান। মাহী বি চৌধুরী যাকে নিয়ে গর্ব করে বললেন, আমি জিয়াউর রহমানের নীতিতে বিশ্বাস করি। জিয়া শুধু যে ফিরিয়ে এনেছিলো গো আজমকে তা কিন্তু নয়, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি তিনিই প্রথম শুরু করেছিলেন স্বাধীন বাঙলাদেশে। কারন, বঙ্গবন্ধু নিজে ধর্মের ভিত্তিতে কোন রাজনীতিতে বিশ্বাসই করতেন না। বাঙলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মানুষ জানতো ধর্ম যার যার, দেশ সবার। এমনকি ৭১'এর মুক্তিযুদ্ধেও বাঙলার মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, আপনি কী নাস্তিক নাকি আস্তিক। বঙ্গবন্ধুর কারনেই এখন পর্যন্ত বাঙলাদেশী পাসপোর্টে নিজের ধর্মের কথা বাধ্যতামূলক লিখতে হয় না।
জামাতকে ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ করার পর যে আবার বৈধতা দেয়া হবে না, তার নিশ্চিয়তা কী মাহী বি চৌধুরী দিতে পারবেন? অথবা তার পাশে বসা নিলুফার হোসেন মনি, যিনি চিৎকার করছিলেন, জামাতকে ব্যান করে দেন, হ্যা জয় যুক্ত হয়েছে তিনবার বলে। বিএনপি তো হিযবুত তাহিরী নামের কোন দল বাঙলাদেশে আছে তাই প্রথমে স্বীকার করতে চায়নি, এমন কি স্বীকার করেননি বাঙলাভাই নামে কোন সন্ত্রাসী বাঙলাদেশে আছে।
নিলুফার হোসেন মনিও, বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, প্রজন্মের আন্দোলন আসলে নাস্তিকদের আন্দোলন।নিলুফার হোসেন মনি আরো বললেন, ধর্ম ছাড়া তিনি বাঁচবেন না, ধর্ম হচ্ছে তার প্রাণের খোরাক। নীলুফার হোসন মনিকে বলছি, তাহলে টেলিভিশনে কি করেন আপনি? আর ইসলামকে না মেনে টেলিভিশনে আসলেন তবে বোরখা পড়ে আসলেন না কেন? নাকি আপনি সো কলড মডারেট মুসলিম, যারা বলে ঐসব কথা/ প্রথা মধ্যযুগের জন্য ঠিক আছে বর্তমানে বোরখা কেন পড়তে হবে? পড়তে হবে এই কারণে আপনার প্রাণের ধর্ম ইসলাম, এবং আপনি ইসলাম ছাড়া বাঁচবেন না। আর ইসলাম কোন পরিবর্তনে বিশ্বাস করেনা। একজন মুসলিম নারী হিসাবে, আপনার স্বামী যদি আপনি থাকতে আপনার দাসীর সঙ্গে ঘুমায় তাও আপনাকে মেনে নিতে হবে কারন কোরানে স্পষ্ট লেখা আছে। আপনি বলবেন আমি এখানে আস্তিকতা নাস্তিকতা টানছি। আমি বলবো না। আমি কোরানে উল্লেখিত বিধানের কথা বলছি।
[৩৩:৫০] "হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু";আর এটাই আল্লাহর বিধান।
নিলুফার হোসেন আরো বললেন, কেন শাহবাগে কোরান, বাইবেল, গীতা ত্রিপিটক পাঠ করতে হলো তরুণ প্রজন্মকে। আপনি বলেছেন, আগে তো কখনো নামাযের বিরতি নেয়নি তরুণ প্রজন্ম। আমি বলবো, আপনি/আপনারা তরুণদের বাধ্য করছেন কপটতা শিখতে। আপনারা রাজীবের লাশ আর হত্যা নিয়ে আপনি এবং আপনার সমমোনারা খেলেছেন আস্তিকতা আর নাস্তিকতার খেলা। রাজীবের কেন জানাযা হবে এবং হবে না সে নিয়েও আপনার মতো কিছু রাজনীতিবীদরা করেছে নোংরামী। রাজীব ব্লগার আস্তিক বা নাস্তিক সব কিছুর আগে একজন মানুষ ছিলেন। যার রক্তে প্লাবিত হয়েছে শাহবাগ। আমাদেরকে মানুষ সম্বোধন করার আগে শুধু নাস্তিকের পরিচয়ে ঢেকে দিলেন আপনারা।
নিলুফার হোসেন, বি এন পি-র সেই রগরগে ইস্যুগুলো আ্উরে গেলেন, যেমন: সাগর-রুনী, বিশ্বজিত, পদ্মাসেতু, শেয়ার বাজার। আপনারা কবে, কোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে এভাবে পথে নেমেছেন? কবে এই ব্লগারদের চেয়ে বেশী কোন দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন? আপনারা ভেবেছেন এসব বলে, জাতির চোখে ধুলো দেবে? সত্যি ম্যাডাম, আপনাকে বলতে হয় : আমরা যৌক্তিকগত ভাবে এবং নীতিগত ভাবে নিজেদের বিবেকের কাছে পরিষ্কার বলেই এই আন্দোলন করছি। আমাদের একটাই দাবী যুদ্ধাপরাধীদের বাঙলাদেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ৪১ বছর ধরে বাঙলাদেশ কাঁদছে, সমগ্র জাতি শোক করছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জস্য, আর আপনারা দেশের চেয়ে দলকে বড় করে দেখছেন। এখন পর্যন্ত জামাতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বিএনপি থেকে কাউকেই কোন কথা বলতে দেখলাম না। এমনকি এখন জামাতের হরতালে বিএনপির সমর্থন আছে। আর বলবেন বা কিভাবে, ঘর বেঁধেছেন জামাত সঙ্গে নিয়ে। আহা ৮% ভোটের মায়া কি আর তারা ছাড়তে পারবেন?
এবার বলি কেন মাহী বি চৌধুরীকে ধান্ধাবাজ মনে হয়েছে, পিতৃদেব এবং নিজের অপকর্ম ও কোন্দলের কারনে বি এন পি ছেড়ে আসতে হয়েছে, সেই ভুলের মেকওভার করছেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই বিএনপিতে ফেরত যাওয়া।যদি এখন পর্যন্ত রহস্যজনক, একই সঙ্গে অবস্থান করার পরও জিয়ার লাশের একটি হাড়ও খুঁজে পাওয়া যায় নি যেখানে, তার পিতা বদরুদ্দোজা কিভাবে সেখানে বহাল তবিয়তে সুরক্ষিত এবং জীবিত ছিলেন। এখনও মনে করা হয়, জিয়ার হত্যাকান্ডে মাহী বি চৌধুরীর পিতাও জড়িত ছিলেন। আর মাহী বি চৌধুরী যদি ভাবেন তিনি বিএনপি তে ফিরে যাবেন আর তাকে বুকে জড়িয়ে ধরবে তারেক জিয়া সেটাও আসলে ভেবে দেখবার ব্যাপার। সে ব্যাখ্যা নিশ্চয় আমার মতো কারো করার প্রয়োজন নাই।
এবার আসি প্রজন্ম চত্বর প্রসঙ্গে। আমি নিজেও টিভিতে যেদিন থেকে এইচ ইমরানের পাশে কিছু দালালদের দাঁড়াতে দেখেছি ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো ঠেকেনি। কারন, তাদেরকে আমি আমার জন্মের পর থেকে চিনি। সব জায়গায় তারা নিজেদের বসিয়ে নেত্রীর চোখে সুপাত্র হতে চান। তাদের কারনে, আজ এই আন্দোলনকে লোকে সন্দেহের চোখে দেখছে। আর কেমন করেই বা বলি, যে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছেন না, এই প্রজন্ম চত্বরের নতুন প্রজন্মকে। কারন, এরা মানে না কোন বাঁধা। এরা সাগরের জলের মতো, যখন ধেয়ে আসে তাদের বাঁধা দায়। আপনাদের বলছি, যারা ভাবছেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি আর জামাত নিষিদ্ধকরণের ইস্যু দিয়ে আপনারা আবার ক্ষমতায় আসার সোনালী সম্ভাবনা দেখছেন, তারাইআবার মাথায় হাত দিয়ে বসবেন। কারন এই তরুণরা সত্যকে সত্য বলতে জানে। তারা জানে, ৯০ এর গণ আন্দোলনে যেই স্বৈরাচারী সরকারকে টেনে জনগণ পথে নামিয়েছিল, তাকে নিয়েই আপনারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।
আসলে সত্যি কথাটি হচ্ছে, আপনি এবং আপনারা প্রজন্ম চত্বরকে ভয় পান। ভয় পান এত দিন ধরে দূর্নীতি লালন করে আসছেন এখন তা শেষ হওয়ার দিন। আজ রাজীবের হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে যতগুলো খুন করেছে জামাত-শিবিররা প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবো না। আমি বিশ্বাস করি শাহবাগের এই প্রজন্ম চত্বর বাঙলার মানুষের সামনে এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে, যেখান থেকে আমি এবং আমরা আমাদের মাতৃভুমির উজ্জল ভবিষ্যত দেখতে পাই। যেখানে থাকবে না ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল এবং দূর্নীতির অনুশাসন। শাহবাগের এই আন্দোলনকে আমরা বৃথা যেতে দিবো না। শাহবাগের এই আন্দোলন আমাদের সবার প্রাণের আন্দোলন। যেই দূর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখি আমরা তার শুরু এই প্রজন্ম চত্বরে।
জয় বাঙলা। জয় মাতৃভুমি!!
তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা!!
বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___