Banner Advertiser

Sunday, August 11, 2013

[mukto-mona] ঈদের মাঠেও শাহবাগী ভূত : ইসলামী মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য বিনাশের সর্বনাশা খেলা



ঈদের মাঠেও শাহবাগী ভূত : ইসলামী মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য বিনাশের সর্বনাশা খেলা
ইনকিলাব রিপোর্ট : এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ঈদের মাঠ, বাংলাদেশের গৌরব কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ। রাজধানী ঢাকা থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরত্বে দেশের উত্তর-পূর্ব ভাটি অঞ্চলে স্বাধীন বাংলার প্রতীক, বীর যোদ্ধা মসনদ-ই-আলা ঈসা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত কিশোগঞ্জ এ মাঠের জন্যেই আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। শোলাকিয়া মাঠের মূল জায়গাটি ঈসা খাঁ মসনদ-ই আলার অধস্তন পুরুষ হয়বত নগর দেওয়ানবাড়ি ও শোলাকিয়া সাহেব বাড়িরই দান। উনবিংশ শতকের শেষ দিকে সাহেব বাড়ির একজন দরবেশ ইসলাম প্রচারক প্রথম প্রথম এখানে ঈদের নামাজ পড়ান। তার আধ্যাত্মিক আকর্ষণ একবার সোয়া লাখ লোক এতে শরিক হন। স্থানীয় লোকজন মাঠের নাম দেন সোয়ালাখিয়া মাঠ। কালে নামটির বিবর্তন ঘটে বর্তমানে এলাকাটির নাম হয় শোলাকিয়া। শরীয়ত মত ওয়াকফ করা পারিবারিক মাঠটিতে ব্রিটিশ আমল থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসতেন। অবিভক্ত ভারতের দূঢ় দূরান্ত থেকে মানুষ এ মাঠে নামাজ পড়তে এসেছেন। পাকিস্তান আমলেও ঈদ উপলক্ষে আসামের করিমগঞ্জ গোহাটি ধুবড়ি, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমান এখানে এসে নামাজে শরিক হতেন। বাংলাদেশ আমলে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশের লোকই ঈদের জমাতে শরিক হতে কিশোরগঞ্জে আসেন। তাবলীগ জামাতে আগত বিদেশিরাও সুযোগ পেলে ঈদ করতে চলে আসেন এ জেলা শহরে।
এ বছর ছিল ঈদুল ফিতরের ১৮৬ তম জামাত। কিন্তু শোলাকিয়া মাঠের ঐতিহ্য ও রেওয়াজ ভেঙে দেয় বর্তমান সরকার। প্রায় দুই'শ বছর এ মাঠের রীতি ছিল ওয়াকফকারী দেওয়ান পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী একজন বুযুর্গ আলেম এ মাঠের ইমাম হবেন। বিগত সময় দেশের সর্বজনমান্য বুযুর্গ আলেমগণই এ মাঠে ইমামতি করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর মাঠের ইমাম ছিলেন দেওয়ান বাড়ি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ,কে, এম নূরুল্লাহ। তার মৃত্যুর পর দেওয়ান পরিবারের প্রতিনিধি বর্তমান মোতাওয়াল্লী দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খানের অনুমোদনক্রমে  নামাজ পড়াতেন মরহুম ইমামের পুত্র মাওলানা এ কে এম সাইফুল্লাহ। পিতার মৃত্যুর পর ৬ বছর নামাজ পড়ানোর পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটি মহল ঐতিহ্যবাহী এ মাঠটির উপর শ্যেনদৃষ্টি দেয়। মাঠের দাতা ও ওয়াক্্ফকারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং দুইশত বছরের রেওয়াজ ও ঐতিহ্য ভঙ্গ করে এ মাঠে ইমাম নিয়োগ করা হয় মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে। যার উপর এলাকাবাসীর কোন সমর্থন বা শ্রদ্ধা আছে বলে গত তিন বছরেও প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
শোলাকিয়ার নিয়মিত মুসল্লি মাওলানা ফারুক আহমদ বলেন, সরকার সমর্থিত ইমাম মাওলানা মাসউদের শাহবাগ চত্বরের ভূমিকা তাকে বেশ বিতর্কিত করে। দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এবং নাস্তিক-মুরতাদ-ধর্মবিদ্বেষী শক্তির সহায়ক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইতোমতধ্যেই দেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার চোখে একজন ভ্রষ্টচারী, ক্ষমতাভজা ও দালাল ব্যক্তিরূপে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকুরি করার সময় দুর্নীতির অভিযোগে তিনি অকাল অবসরে যান, বিগত দিনে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও বোমাহামলার সাথে তার সম্পৃক্ততার জন্যে তাকে জেলে নেয়া হয়। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মানিলন্ডারিংয়ের একাধিক মামলার জন্যে তিনি বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ে ধর্না দিয়ে ফিরছেন। বায়তুল মোকাররমের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হওয়ার কথা বলে সরকারের একটি মহল তাকে দেশের আলেম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। বড় কোন পদ না দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়োগ দেয়া হয় শোলাকিয়ার ইমাম পদে। যা অন্যায়, অনিয়ম ও রীতিবিরোধী নিয়োগ। তিনি শুরু থেকে পুলিশ র‌্যাব ও দলীয় ক্যাডার নিয়ে ঈদের জামাত পড়াতে কিশোরগঞ্জে আসেন। তার নামাজ, খুতবা ও মুনাজাত কোন কিছুতেই মুসল্লিরা সন্তুষ্ট নন।
কথা হয় শোলাকিয়া মাঠে ১০৪ বার ঈদের নামাজ আদায়কারী মুসল্লি কিশোরগঞ্জের মাহতাব উদ্দিন মুন্সীর সাথে। ৬৫ বছরের এ বৃদ্ধ বলেন , ছোট বেলা বাবার সাথে মাঠে নামাজ পড়তে এসেছি, জীবনের প্রায় সকল ঈদের নামাজ এই মাঠেই পড়লাম, বছরে দুই ঈদের হিসাবে ৫০/৬০ বছরে ১০০'র বেশি ঈদের জামাত হওয়ার কথা। কোরবানীর ঈদ, ঝড়বৃষ্টি, অসুখ-বিসুখের কারণে কিছু বাদ যাওয়ায় আমার হিসাবে ১০৪টি ঈদের জামাত এই মাঠে পড়েছি। কিন্তু এবারের মত বিশৃঙ্খলা আর কোনদিন দেখিনি। মানুষও হয়েছে প্রায় অর্ধেক। এমনিতে ৩/৪ লাখ লোক হয়। এবার ২ লাখ লোক হয়েছে কিনা সন্দেহ। নামাজের আগে ইমাম সাহেবের বক্তৃতার শুরুতেই হৈ চৈ শুরু হয়। মুসল্লিরা শাহবাগী বলে চিৎকার করে। তখন কথা বন্ধ করে দ্রুত নামাজ পড়ে কয়েক মিনিটে মুনাজাত শেষ করে, ইমাম সাহেব র‌্যাব ও পুলিশ প্রহরায় চলে যান। অথচ এই মাঠে কত বড় বড় আলেম নামাজ পড়াতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা মুসল্লিদের সাথে হাত ও বুক মিলাতেন। কথা বলে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন মাহতাব উদ্দীন মুন্সী। শহরের একজন প্রবীণ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শহরের অভিজাত লোকজন, শিক্ষিত শ্রেণী ও আলেম-ওলামা মসজিদেই নামাজ পড়েছেন। জেলা শহর ও আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে লোকজন মাঠে আসেনি বললেই চলে। দূর-দূরান্ত থেকে মাঠের টানে বা মিডিয়ার প্রচারণায় লোকজন যা এসেছিলেন তারাই কেবল নামাজে শরিক হয়েছেন। পরিস্থিতি অশান্ত ছিল বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও এবার শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে আসেননি। স্পিকার থাকাবস্থায় বেশির ভাগ সময় এডভোকেট আবদুল হামিদ এই মাঠে নামাজ পড়লেও এবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়েন। অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও প্রশাসনের ইতিবাচক সাড়া না থাকায় শোলাকিয়ায় যেতে উৎসাহ বোধ করেন নি। এ প্রথমবারের মত চার স্তরের নিরাপত্তা নিয়ে ইমাম সাহেব নামাজে এসেছেন। মাঠের ভেতর অসংখ্য সিসিটিভি, মেটাল ডিকেক্টর লাগিয়ে, নামাজিদের
কষ্ট দেয়া হয়েছে। সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ এ ঈদের মাঠটিও সরকারের জবরদদখল নীতির কারণে আজ যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে।
ভৈরব থেকে নামাজ পড়তে আসা কলেজ-শিক্ষক হায়াতুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিতর্কিত ইমামের তো নিজে থেকেই নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত। আমি অন্য জায়গার মানুষ। আত্মীয় বাড়িতে এসেছি বড় জামাতে নামাজ পড়ব বলে কিন্তু মাঠে নামাজ পড়া হয়নি। কারণ জানতে চাইলে বলেন, শহরের বড় বড় আলেম ও ইমামগণ এবার এই ইমামকে বয়কট ও প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুনেছি গত ৩১ মার্চ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার সব আলেম কিশোরগঞ্জে সমবেত হয়ে শাহবাগী এই ইমামকে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে এসে আলেম-ওলামাদের শায়েস্তা করার হুমকি দিলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এবার তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় কোনরকম নামাজ পড়িয়ে গেছেন। ভাবিষতে আর পারেন কিনা সন্দেহ আছে। আমি যখন রওনা হই, তখন এতকিছু জানতাম না। কিশোরগঞ্জ এসে দেখি আমার আত্মীয়রাই এবার মাঠে নামাজ পড়বেন না। অতএব, আমারও মাঠে যাওয়ার ইচ্ছা হলো না। ভক্তি ও একিন না হলে কারো, পিছনে নামাজ পড়া ঠিক নয়। কোনদিন যোগ্য ও সঠিক ইমাম এলে তখন মাঠে নামাজ পড়তে আসব। শহরের একটি হোটেলের ম্যানেজার ও রুম সার্ভিসের বয়দের সাথে কথা বলেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। তারাও এবার মাঠে নামাজ পড়তে যাননি। বয় জালাল মিয়ার ভাষায়, এই মাওলানা ক্যাডার নিয়ে চলে, র‌্যাব-পুলিশের ভয় দেখায়। সরকারী ইমামকে দেওয়ান বাড়ি থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ মাঠের মোতাওয়াল্লীর দাম নাই। অথচ দেওয়ান সাহেবরাই এ মাঠটি দান করেছেন। সরকার নাকি মাঠ কমিটির সেক্রেটারী বানাইছে এক হিন্দুরে। মসজিদের হুজুররা বলছেন, শরীয়ত মত সব না চললে মাঠে নামাজ শুদ্ধ হয় না। আমি আগে ১২টি জামাত পড়লেও এই বার মাঠে যাই নাই। সরকারী হস্তক্ষেপের ফলে ঈদের মাঠে গ-গোল হয় গাজীপুরেও। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য বিনাশের এ খেলা কেন কার স্বার্থে শুরু হয়েছে এ নিয়ে প্রশ্ন মুসল্লিদের। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে কথা বলতে গিয়ে আমরা দ্বারস্থ হই রাজধানী ঐতিহ্যবাহী মসজিদ মহাখালীর গাউসুল আযম মসজিদ ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সম্মানিত খতীব আল্লামা কবি রুহুল আমীন খানের। তার অভিব্যক্তি ছিল এই, সুমলমানদের ধর্মীয় বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ কেবল বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। গাজীপুরে ১৪৪ ধারা, কিশোরগঞ্জে নজিরবিহীন নিরাপত্তার নামে যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া মানুষের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ধর্মীয় সৌহার্দকেই  বিনষ্ট করেছে। ইদানীং ক্ষমতাসীনদের মুখে মসজিদ, মাদরাসা, ইমাম, খতিব, আলেম, মুয়াজ্জিনদের সম্পর্কে নানা কটূক্তি শোনা যায়। এর উদ্দেশ্য যে মহৎ নয় তা জনগণ বুঝতে শুরু করেছে। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা ভক্তি ভালোবাসায় পালিত ঈদের জামাত ও ইবাদত উৎসবে সরকারী  হস্তক্ষেপ এবং অপরাজনীতির যে অভিযোগ উঠছে অবিলম্বে এর সংশোধন প্রয়োজন।  ৯৩ ভাগ মুসলমানের এ দেশে মসজিদ ও ঈদগাহকে অশান্ত করে তোলার কোন অপচেষ্টা হচ্ছে কিনা, এ নিয়েও দেশের চিন্তাশীল নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। আমার সাথে কথা বলেও অনেকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে থাকেন। একটি মাঠের ওয়াক্ফ ও মোতাওয়াল্লীর  বিধানই এর মূলনীতি হওয়া উচিত। সরকারের হস্তক্ষেপ এখানে মোটেও কাম্য নয়। বিশেষ করে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম ঈদগা ময়দান নিয়ে কোন ভুল কৌশল সরকারের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। ধর্মীয় আবেগ ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত বিষয়ে, সরকারের নীতি হওয়া উচিত জনবান্ধব। ধর্মপ্রাণ মানুষের উপর ক্ষমতার জোরে কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার মধ্যে কোন কৃতিত্ব আছে বলে আমি মনে করি না। কারো হঠকারিতা ও জেদাজেদির ফলে দুইশত বছরের প্রাচীন এ বৃহত্তর ঈদগাহর গৌরব যেন ক্ষুণœ না হয়। ক্ষমতা ও রাজনীতির প্রয়োজন ক্ষণস্থায়ী বিষয়, কিন্তু আমাদের নামাজ-বন্দেগী, ঈদ-উৎসব চিরস্থায়ী। অতএব ধর্মীয় বিষয়কে বিতর্কমুক্ত রেখে ঐতিহ্য মোতাবেক অগ্রসর করাই সবার কর্তব্য।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ঈদুল ফিতরের দিন গাজীপুরের ঈদগাহ ময়দানে দীর্ঘদিনের ইমাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুনীর আহমদ খানকে বাদ দিয়ে সরকারের অতিউৎসাহী একটি মহল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় বায়তুল মোকাররমের একজন পেশ ইমামকে গাজীপুরে নামাজ পড়তে পাঠায়। স্থানীয় জনগণও বিষয়টিকে অন্যায় ও হস্তক্ষেপ বলে ধরে নিয়ে এর প্রতিবাদ করেন। এ প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে গাজীপুর প্রতিনিধি জানান,
গাজীপুরে ঈদের নামাজ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫
গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে নির্ধারিত ইমাম পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫ মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করে।  
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিবারের মতো এ বছরও এ মাঠে ঈদের নামাজে ইমামতি করার জন্য জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারিত ইমাম ছিলেন গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুনির আহমাদ খান। গাজীপুর জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার নামাজের সময় ইমাম পরিবর্তন করে ইসলামী ফাউন্ডেশনের  মাধ্যমে বাইতুল মোকারমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানকে দিয়ে ঈদের জামাতে ইমামতি করানোর উদ্যোগ নেন। এ ঘটনায় ঈদের জামাতে আসা মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বের নির্ধারিত ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই নিয়ে দুই ইমামের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া মুসুল্লীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে অন্তত ৫ মুসলিল্ল আহত হয়। পরে পুলিশ এসে দুই জনকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মুসল্লি¬দের বৃহৎ একটি অংশ গাজীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে চলে গিয়ে গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। পরে জেলা প্রশাসনের আনা ইমামের মাধ্যমে পুলিশ পাহারায় অপর একটি অংশ কেন্দ্রীয় ঈদগা রাজবাড়ী মাঠে নামাজ আদায় করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মনির আহমেদ খান গাজীপুরের গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরের মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। এসব কারণে মাঠে তার ইমামতি নিয়ে মুসলিল্লদের আপত্তি থাকায় বাইতুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানকে ইমামতি করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এ বিষয়ে রাজধানীর বায়তুল আমান জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবদুল হকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, শাহবাগ মঞ্চ যেমন দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এর প্রভাব ধর্মীয় অঙ্গনেও পড়েছে। শোলাকিয়া জনগণ শাহবাগ মঞ্চের সাথে সংহতি প্রকাশকারী ইমামকে বর্জন করেছে। অপরদিকে নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী তৌহিদী জনতার সাথে থাকায় গাজীপুরে প্রশাসন তথা সরকার নবীপ্রেমিক আলেম ও ইমামকে হয়রানি করছে বলে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন। অন্যথায় ধর্মপ্রাণ মানুষের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ্যে রূপ নিতে সময় লাগবে না। দেশ এখন স্পষ্ট দুই ভগে বিভক্ত। একভাগ ইসলাম, মহানবী (সাঃ) ও ধর্মীয় ভাবধারার পক্ষে। অপর ভাগ নাস্তিকতা, ধর্মবিদ্বেষ ও অপরাজনীতির পক্ষে। আমরা ধর্মীয় ক্ষেত্রে হীন রাজনীতি, সরকারী হস্তক্ষেপ ও পুলিশী শাসনের প্রতিবাদ জানাই। তৌহিদী জনতা আর যাই হোক, ধর্মীয় ক্ষেত্রে দখলবাজি ও হঠকারিতাকে বরদাশত করবে না।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___