স্বাধীনতার মহানায়ক: জাসদ প্রশ্নে রহস্যজনক তারবার্তা
কিসিঞ্জার চুয়াত্তরেই জানতেন ভারত হস্তক্ষেপ করবে না
১৯৭৪ সালে হেনরি কিসিঞ্জার তাঁর ঢাকা সফরের আগেই স্পষ্ট ধারণা পেয়েছিলেন যে বাংলাদেশে একটি অভ্যুত্থান ঘটতে পারে এবং সেটা ঘটলে ভারতের তরফে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা কম। আর চক্রান্তকারীরা জাসদকে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি 'আড়াল' হিসেবে ব্যবহারের কথাও ভাবছে। এমনকি জাসদ কেন সরকার উৎখাতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না, সে বিষয়ে আক্ষেপ করেও তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার ওয়াশিংটনে একটি সিক্রেট বার্তা পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, চুয়াত্তরের অক্টোবরে কিসিঞ্জারের ঢাকা সফরের চার মাস আগে সৈয়দ ফারুক রহমান মুজিব সরকার উৎখাতে মার্কিন কর্মকর্তা গ্রেশামের কাছে তাঁর অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় মার্কিন সাহায্য চান এবং বিশেষ করে সম্ভাব্য ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানতে চান। ভারতভীতিই ছিল আততায়ীদের দুশ্চিন্তার কারণ। ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পরপরই ফারুক রহমান ও আবদুর রশীদ ভারতের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ ঠেকাতে মার্কিন দূতাবাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। ফারুক বোস্টারের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন।
১৯৭৪ সালের ৯ অক্টোবর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল প্যাট্রিক মইনিহান দিল্লি থেকে তিনটা ৫০ মিনিটে একটি সিক্রেট বার্তা পাঠান। এই তারবার্তার শিরোনাম 'ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে একটি মূল্যায়ন।' এতে মইনিহান প্রকারান্তরে বাংলাদেশে একটি অভ্যুত্থান ঘটলে ভারতীয় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা কতটুকু, সে বিষয়ে কিসিঞ্জারকে একটি ধারণা দেন। রাষ্ট্রদূত মইনিহান বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, 'অর্থনীতির কঠিন অবস্থা বিবেচনায় ভারত আশঙ্কা করছে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। তবে তারা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে বা বিরোধী দল থেকে মুজিবের প্রতি গুরুতর হুমকি আসার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করে। তারা এমনকি বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকেও অযোগ্য মনে করে। কারণ, তারা বিভক্ত।'
নীতিগত সংঘাত নেই: মইনিহান আরও লিখেছেন, 'বাংলাদেশকে দেওয়া মার্কিন সাহায্য কোনো না কোনোভাবে ভারতবিরোধী বলে দিল্লির মনে যে সন্দেহ (এ কথা যদিও দিল্লিতে উচ্চারিত হয়নি, তবে ভারত অবচেতনে মার্কিন সাহায্য লাভ করতে বাংলাদেশের সামর্থ্যকে ঈর্ষা করতে পারে) দেখা দিয়েছিল, দৃশ্যত তার সমাপ্তি ঘটেছে। বছরের গোড়ায় যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি দ্রুততায় দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চেয়ে বেড়ে চলেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মতভিন্নতা আছে এবং তা আরও বাড়তে পারে, কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ীই তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে এগোচ্ছে। তাদের মধ্যকার মতপার্থক্য এতটা বেশি হবে না, যা এই অঞ্চলে এতটাই অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে, যা কিনা বিদেশি হস্তক্ষেপ ডেকে আনতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ভিন্ন বিষয়। ভারত যদি সেখানে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে গোটা অঞ্চলে ভয়ানক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হবে। এটা ভাবতে আমরা সন্দিগ্ধ যে ভারত সে ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো দেশের প্রতিবাদের কারণে হস্তক্ষেপ করা থেকে নিজকে নিবৃত্ত করবে বা করতে পারে। এ বিষয়ে দরকার পড়লে ভারত সিদ্ধান্ত নেবে, তবে সেটা তার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সেই মুহূর্তে কতটা কী প্রয়োজন পড়ে তা বিবেচনার নিরিখে। প্রতীয়মান হচ্ছে যে ভারত মুজিববিরোধী একটি সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনাকে কিছুটা ক্ষীণ মনে করে। সেই আকস্মিকতাকে এক পাশে সরিয়ে রেখে এবং সম্ভবত তা বিবেচনায় রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের নীতিতে সংঘাত সৃষ্টি করে না।'
চার পৃষ্ঠাব্যাপী মইনিহানের এই তারবার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মনে হচ্ছে, তিনি জ্ঞাতসারে ওয়াশিংটনকে ভরসা দিয়েছিলেন বা এটা কারও কাছে ভরসাপূর্ণ বলে গণ্য হতে পারে, যিনি বা যাঁরা বুঝতে চান যে মুজিববিরোধী একটি অভ্যুত্থান ঘটে গেলে ভারত কী করতে পারে। প্রতীয়মান হয়, মইনিহানের ওই বার্তা স্পষ্ট করেছিল যে তেমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা মোটেই জোরালো নয়। মইনিহানের ভাষায়, 'উপমহাদেশের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ না করা এবং বাংলাদেশে আমরা যে নিম্ন পর্যায়ের উপস্থিতি বর্তমানে বজায় রাখছি, সে বিষয়ে আমাদের অবস্থানকে ভারত উপলব্ধিতে নিয়েছে।' অভ্যন্তরীণ গোলোযোগে ১৯৭১ সালের মতো উদ্বাস্তু পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা, একাত্তরে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে চলে যাওয়া হিন্দুদের ভারতে ফেরার প্রবণতা এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের ভারতে ঢুকতে ভিসার পরিবর্তে পারমিট প্রদানের ব্যবস্থায় দিল্লি উদ্বিগ্ন হতে শুরু করেছিল বলেও মইনিহান তাঁর ওই তারবার্তায় উল্লেখ করেন।
১৯৭৪ সালের ২২ আগস্ট মইনিহান বাংলাদেশের একটি দুর্দশাগ্রস্ত চিত্র পাঠান। এতে তিনি বলেন, ২২ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ডেস্কের প্রধান আমাদের পলিটিক্যাল কাউন্সিলরকে জানান, বাংলাদেশ ভারতের কাছে প্রতিদিনই কিছু না-কিছু চাইছে। কিন্তু তাদের দরকার খাদ্য। সেটাই ভারতের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মইনিহান বলেন, ভারতীয় কর্মকর্তারা অন্তত স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত। শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল নেই। তাঁরা যদিও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার সমস্যা স্বীকার করেন, কিন্তু তাঁরা যুক্তি দেন যে সেখানে তিনটি উপদলের অস্তিত্ব রয়েছে। এবং সে কারণে সামরিক বাহিনীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অল্প সম্ভাবনা রয়েছে।'
আরও একটি কাকতালীয় ঘটনা হচ্ছে, হেনরি কিসিঞ্জারের ঢাকা সফর সামনে রেখে মইনিহান যেভাবে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অভ্যুত্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, ঠিক এর তিন দিনের ব্যবধানে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টারও কিসিঞ্জারের কাছে পাঠানো 'কনফিডেনশিয়াল' তারবার্তায় মুজিবের বিরুদ্ধে 'অভ্যুত্থান' বিষয়ে কিসিঞ্জারকে অবহিত করেন। আরেকটি লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, মইনিহান ও বোস্টারের এ দুটি তারবার্তাই ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার-ইন চিফের কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কোনো তারবার্তার অনুলিপি তাঁকে দেওয়া রুটিন কাজ নয়। ১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবরে পাঠানো ওই বার্তায় বোস্টার বিশেষ করে দুর্ভিক্ষ এবং সে কারণে মুজিববিরোধিতা বৃদ্ধি এবং ভারত ও বিরোধী দলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। বার্তাটির শিরোনাম 'হোয়াট অ্যাওয়েটস দ্য সেক্রেটারি ইন বাংলাদেশ'। বোস্টার লিখেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্বল্পতায় বাংলাদেশ প্রায় দেউলিয়া অবস্থায় আছে। আওয়ামী লীগ ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে, অনাহারে মৃত্যুর ব্যাপকতা পেলে সমালোচনাও তীব্র হবে। কিন্তু মুজিবকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে বিরোধী দলকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, তাদের শঙ্কা থাকবে, যদি তারা সফল বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা ভারতের ভয়ানক রোষের কবলে পড়বে। এতে তিনি বলেন, অনাহারে লোক মারা যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার আরও হানি ঘটবে। অবস্থা এমন যে আওয়ামী লীগেরও অনেকে মুজিব থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে চাইবেন। সরকারের সঙ্গে বিরোধে যেতে বিরোধী দলের সাহস বাড়তে পারে এবং বাংলাদেশে 'অভ্যুত্থানের' বিড়বিড়ানি আরও বেশি করে শোনা যাবে।'
জাসদ 'স্টকিং হর্স': ১৯৭৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। শুক্রবার। সকাল নয়টা ৪০ মিনিট। রাষ্ট্রদূত বোস্টার তাঁর এদিনের বার্তায় ১৪ সেপ্টেম্বর '৭৪ পল্টন ময়দানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ আয়োজিত সভা ও তাঁর নেতাদের প্রতি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তবে তাতে বঙ্গবন্ধু মুজিব সরকারের মঙ্গল, নাকি জাসদের মঙ্গল চিন্তা তাঁকে উতলা করেছিল, তা দ্ব্যর্থবোধক বলে প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আসা গ্রুপটি জাসদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চের পরে জাসদের গোপন রাজনৈতিক কার্যক্রম প্রাধান্য পায়। ১৭ মার্চ জাসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে। এদিন জাসদের সঙ্গে পুলিশ ও রক্ষিবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। আবদুর রব এবং এম এ জলিল আহত অবস্থায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। এই পটভূমিতে বঙ্গবন্ধু সরকারকে সশস্ত্র উপায়ে উৎখাতের লক্ষ্যে গণবাহিনী গঠন করা হয়। জাসদের সামরিক শাখা গণবাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রাষ্ট্রদূত ইউজিন বোস্টারের এই রহস্যজনক কনফিডেন্সিয়াল বার্তাটি ইঙ্গিতবহ যে চক্রান্তকারীরা জাসদকে তাদের অভ্যুত্থান ঘটানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিন্তু জাসদের সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখে বোস্টার হতাশ হয়েছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়। বোস্টার লিখেছেন, 'শনিবার জাসদ যে তৎপরতা দেখাল, তাতে তাদের কার্যকরিতা সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ অটুট থাকল। জনপ্রিয় ভাবাবেগ উসকে দিতে তাদের ইতিপূর্বেকার ব্যর্থতা থেকে তারা কোনো শিক্ষা নেয়নি কিংবা খাদ্যের ঘাটতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে উদ্ভূত জনমনের অসন্তোষ ও ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো কৌশলও বের করতে পারেনি। আমরা সন্দিহান যে শনিবারের সমাবেশ কথিত সামরিক চক্রান্তকারীদের, যারা কথিতমতে একটি অভ্যুত্থান ঘটানোর অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে জাসদের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের তা আশ্বস্ত করেছে।'
ওই বাক্যটিতে ব্যবহূত 'ক্যু' শব্দটির পর বোস্টার তাঁর তরফেই পৃথকভাবে পাঠানো আরেকটি তারবার্তার উল্লেখ করেছেন। এর হদিস আমরা পাইনি।
বোস্টার তাঁর ওই বার্তার উপসংহারে বলেন, 'আমরা সন্দেহ করি যে সামরিক চক্রান্তকারীরা জাসদকে 'স্টকিং হর্স' অর্থাৎ পটভূমি রচনায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে এবং এখন তারা যে অন্য কোনো বিকল্প পন্থার কথা ভাবতে পারে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।'
এ থেকে ইঙ্গিত মেলে যে ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে জাসদের কোনো অংশের যোগসূত্র থাকা মার্কিন দূতাবাস সন্দেহ করেছিল। কিন্তু জাসদের দুর্বল তৎপরতা দেখে বোস্টার ধারণা করেছিলেন যে চক্রান্তকারীরা এখন জাসদকে বাদ দিয়ে 'অন্য বিকল্প পন্থা' বেছে নেবে।
রক্ষীবাহিনীর একজন সাবেক উপপরিচালক সম্প্রতি আমাকে বলেছেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। এতে লে. কর্নেল (অব.) আবু তাহের বলেছিলেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। আমি বিষয়টি সরকারের কাছে রিপোর্ট করেছিলাম।' কর্নেল তাহের ছিলেন গণবাহিনীর ফিল্ড কমান্ডার।
লক্ষণীয় যে বোস্টারের এই তারবার্তা ঢাকা থেকে পাঠানোর পর আবার কিসিঞ্জারের স্বাক্ষরে বিশ্বের বিভিন্ন মার্কিন দূতাবাসে বিতরণ করা হয়েছিল।
(লেখাটি এ বিষয়ে প্রকাশিতব্য লেখকের দ্বিতীয় বইয়ের পাণ্ডুলিপি থেকে নেওয়া) শেষ
অভ্যুত্থানের জন্য মার্চকে 'অনুকূল' ভেবেছিল যুক্তরাষ্ট্র
আগামীকাল: কিসিঞ্জার চুয়াত্তরেই জানতেন ভারত হস্তক্ষেপ করবে না
__._,_.___