দেওবন্দের ফতোয়া, ছবি তোলা নাজায়েজ
আলোকচিত্রকে নাজায়েজ ও পাপ বলে ফতোয়া দিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দ।
আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির মোহতামিম (উপাচার্য) মুফতি আবদুল কাসিম নোমানি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আলোকচিত্র তোলা নাজায়েজ। শরিয়ার বিচারে পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া মুসলমানেরা ছবি তুলতে পারে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ছবি তোলা কিংবা বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও করার অনুমতি দেয় না ইসলাম।
সৌদি আরবের পবিত্র নগর মক্কায় ছবি তুলতে এবং হজের দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমোদন হলেও ভারতে এমন ফতোয়া কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে নোমানি বলেন, 'তারা এটা করুক। আমরা এটা অনুমোদন করি না। তারা যা করে, তার সবকিছুই সঠিক নয়।'
দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ দারুল ইফতা ফতোয়াটি দিয়েছে প্রকৌশলে স্নাতক একজন ছাত্রের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে। ওই ছাত্র মুফতি নোমানিকে বলেন, তিনি আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহী এবং আলোকচিত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান। জবাবে মুফতি বলেন, 'আলোকচিত্র অবৈধ এবং পাপ। হাদিসে এটিকে কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুমি আলোকচিত্রের ওপর কোর্স কোরো না। তুমি প্রকৌশল-সংশ্লিষ্ট কোনো পেশা বেছে নাও।'
প্রকৌশলের ওই ছাত্রের উত্তর সংবলিত ফতোয়াটি দারুল ইফতা বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। ফতোয়াটি সমর্থন করেছে 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল পার্সোনাল বোর্ড'-এর সদস্য মুফতি আবুল ইরফান কাদরি রাজ্জাকি। তিনি বলেন, 'ইসলাম মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলা নিষিদ্ধ করে। কেউ এটা করলে তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'
সৌদি আরবে ছবি তুলতে দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্জাকি বলেন, 'একমাত্র ধনী হওয়ার কারণে তারা (সৌদি আরব) ছবি তোলা জায়েজ ঘোষণা করলেই তা সঠিক হয়ে যায় না। তারা ছবি তোলা জায়েজ ঘোষণা করলে এ ব্যাপারে শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।'
http://www.prothom-alo.com/international/article/46454/দেওবন্দের_ফতোয়া_ছবি_তোলা_নাজায়েজ
পাঠকের মন্তব্য ( ১৩ )
- Mohammad sirajum Munir২০১৩-০৯-১১ ২০:৪৯ via computer
এটা নতুন কোন ফতোয়া নয়।এটা অনেকেই জানেন না। তবে আসলেই শরিয়ার বিচারে পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট(তাও এটা একান্ত প্রয়োজনে) ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া মুসলমানেরা ছবি তুলতে পারে না। ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ছবি তোলা কিংবা বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান ভিডিও করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। বুখারি শরিফে লেখা রয়েছে। আমরা বাসাবাড়িতে যেসব রুমে এরকম ছবি আছে সেরকম রুমে কেউ নামাজ পড়লে নামাজ হয়না। এটা খুব কমন হাদিস আমাদের দেশে। তার মানে হল ছবি তোলাও হারাম।
- Mike Rundle২০১৩-০৯-১১ ২০:৫৩ via computer
১ . এই ফতোয়া কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছেনা, বা তার জন্য নির্যাতন করা হচ্ছেনা ২ . এই ফতোয়া কার্যকরের জন্য হেফাজতের মত ১৩ দফা দেয়া হচ্ছেনা যারা ফতোয়া মানেন বিশ্বাস করেন তাদের জন্য ! যারা বিশ্বাস করেন না, করতে চান না --তাদের উত্তেজিত না হওয়াই ভালো । কেউ যদি বলে কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কফি বর্জন করুন --সেটা করবেন কি করবেন না আপনার ব্যাপার, কেউ চাপিয়ে দিচ্ছেনা ।
- Tajuddin Ahmed২০১৩-০৯-১১ ২০:৫৮ via computer
আমি এই ফতোয়া পুরোপুরি সমর্থন করি আর মেনে চলি। আমার কোনো ফেইসবুক প্রোফাইল নেই। এখানে অনেক ধার্মিক লোক আছেন যাদের ফেইসবুক প্রোফাইল আছে। আপনারা আপনাদের প্রোফাইল এ কোনো মানুষ অথবা অন্য প্রাণীর ছবি দেবেন না এবং থাকলে অবিলম্বে তা delete করুন। -- তাজউদ্দিন আহমেদ, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
- Setu২০১৩-০৯-১১ ২০:৫৯ via computer
শরিয়ার বিচারে পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া মুসলমানেরা ছবি তুলতে পারে না। শরিয়াহ কি আপনি বানাইছিলেন নাকি? ভিসা লাগাইতে যে ছবি ব্যবহার করা যাবে এইডা কি শরিয়াহ তে লিখা আছে? এইডা বলেন যে প্রয়োজন টা বিবেচনা যোগ্য।
- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১১ ২১:০৩ via phone
ভারতের শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ওয়াহাবি-মওদুদি মাদরাসা। তেতুল হুযুরের হাটহাজারি মাদ্রাসাও একই তরিকায় চলছে। এরা ভুতের পায়ের মত পিছনের দিকে চলতে চায়। দুনিয়াকে তারা আবার মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার চেসটা করছে। মক্কার সমালোচনা করার অধিকার কারো নেই। হযরত মোহামমদ (স :) বলেছেন তোমরা মক্কা বাসিদের সমালোচনা করো না। ইসলামের আদি ঠিকানায় আললার কিবলা আর রাসুল (স.)এর নিবাসে যদি ছবি ও ভিডিও তোলা যায়েজ তাহলে দেওবনদ কোন অধিকারে ফতোয়া দেয় ? তারা কি মাকক্কা -মদিনায় চেয়ে ও ইসলামের বড় দাবিদার ?
- Mohamed Akhlak২০১৩-০৯-১১ ২১:০৪ via computer
ফতোয়াতে বলা হয়েছে পাসপোর্ট, আইডি কার্ড কিংবা দরকারী কোনো কারণে ছবি তুলতে কোনো সমস্যা নেই। ফতোয়ার মূল বিষয় বস্তু এবং ব্যাখ্যা কোরান হাদিসের আলোকেই দেয়া হয়েছে এবং সবচাইতে বড় ব্যাপার ফতোয়াটি অনেক পুরনো। অযথা মানুষের ছবি তুলার ব্যাপারে ইসলামের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সারা বিশ্বের আলিম উলামারা একমত।
- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক২০১৩-০৯-১১ ২১:০৬ via computer
I don't understand one thing, There was no camera when Islam was first introduced so By which law we can say that using camera for entertainment is prohibited. I really don't know. I am a Muslim by the way. BUT IRAN , Saudi Arabia, Syria , Egypt all Muslim countries use camera and not only for passport I think. This careless lines are used by foreign media in criticizing us. Once a Maulana said to me sports like football and cricket is also bad
- iftekar jaki২০১৩-০৯-১১ ২১:০৯ via phone
100% right ... Capturing picture without necessary is iligal in islam... Open quran & see it,who can understand holy quran.
- abdullah al zubayer২০১৩-০৯-১১ ২১:১২ via computer
হা হা হা। সংবাদে দেখছি দেওবন্দের একখানা ছবিও আছে !!
- asadullah২০১৩-০৯-১১ ২১:১৯ via computer
ছবি তুলা জায়েজ না, সেটা সবার বেলাই । একমাত্র ধনী হওয়ার কারণে তারা (সৌদি আরব) ছবি তোলা জায়েজ ঘোষণা করলেই তা সঠিক হয়ে যায় না। কথা সত্য । আললাহর কাছে সবাই সমান ।
- শিশির বাবু২০১৩-০৯-১১ ২১:২৩ via computer
একদম সঠিক কথা । এতে সন্দেহ থাকলে বা এটা ভাল না লাগলে আপনার মুসলিম না থাকার অধিকার আছে। কিন্তু মুসলামন থাকতে হলে ইসলামের মৌলিক অনুশাসনের সাথে আপস করা যাবে না। প্রথম আলো জানি না কেন এটাকে খবর হিসাবে নির্বাচন করল ? আর যেহেতু করেছে তখন হেডলাইনটা একটু ভিন্নভাবে দিলে প্রকৃত অর্থটা লোকজন প্রথমেই বুঝতে পারতো । যেমন : "দেওবন্দের ফতোয়া, প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা নাজায়েজ"" বর্তমান হেডলাইন পড়ে প্রথমে ভুল ধারণার সৃষ্টি হবে।
- Enam Hoque২০১৩-০৯-১১ ২১:২৪ via computer
How you will gonna perform Hajj or omrah then? It's a bad judgment like not using mike in prayer time. Muslim should use educate them self along with their religious knowledge.
- Abu Md. Toufikur Rahman২০১৩-০৯-১১ ২১:২৭ via computer
ইসলামে জীব জন্তুর ছবি তোলা কঠিন ভাবে নিষেধ। মক্কায় হজের ছবি তোলা যারা অনুমোদন দিয়েছেন, এজন্য আললাহ পাকের কাছে তারা জবাব দিতে বাধ্য। নবী করিম (সা:)বা তার সাহাবীদের কোন ছবি নাই। বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) এরও কোন ছবি নাই। আললাহ পাক উনার খাটি বানদাদের কোন ছবি বা মূরতি দুনিয়াতে রাখেন নাই।
__._,_.___