আগামী নির্বাচনে বি এন পি'র ভোট কেনার বাজেট বার শত কোটি টাকা। 'তত্ত্বাবধায়ক'খেলা খেললেও তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি ছাড়াইনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। প্রতিবেদক:-মোহাং মুসলিম উদ্দীন-মাষ্টার
বাংলাদেশের দশম জাতীয়-সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্রধারী প্রায় নয়কোটি বাইশ লক্ষ ভোটার।২০০৮ সালেই পরিচয় পত্র পদ্ধতি কার্যকরী হওয়ায় ভোট কেন্দ্রে ভোট কারচুপির বিভিন্ন পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে২০০৮সালের ডিসম্বরে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এক কোটি তেইশ লক্ষ ভূঁয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ায়,বি এন পি'র বিশ্ব-কুখ্যাত ভোট কারচুপির মহা পরিকল্পনা ভেস্তেযায়।পরিনামে নির্বাচনে চরম ভরাডুবি হয় বি এন পি'জোটের।বি এন পি,দলের জন্ম লগ্ন থেকে তাদের লঘিষ্ঠ সংখ্যক জন সমর্থনেরব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও অতিমাত্রায় সজাগ।তাইনির্বাচনে বিজয় সংগ্রহের অবৈধ পথ আবিষ্কারে সর্বদা ব্যস্ত।বি এন পি,র,তৈরী এক কোটি তেইশ লক্ষ ভূঁয়া ভোটার সমন্বিত ভোটার তালিকা বাতিল হয়ে পরিশুদ্ধ হয়ে যাওয়ায়;নতুন ভোটার তালিকার পরি প্রেক্ষিতে আগামীনির্বাচনে বিজয়ের জন্য এখন তাদের নতুন করে দুই কোটি অতিরিক্তভোটার যেভাবেই হউক সংগ্রহ করতে হবে।কেননা, আওয়ামীলগের'তথাকথিত জনপ্রিয়তা' হ্রাসের কারণে;-স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বি এন পি তার ২০০৮ সালে প্রাপ্ত ৩০ সিটের স্থলে বৃদ্ধি পেয়ে আগামীনির্বাচনে ৬০ থেকে ৮০ টি সিটে ও যদি বিজয়ী হয় দিল্লী পৌঁছা কিন্ত আদৌ সম্ভব হবেনা। এখানে একটা বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য,-ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশে পার্লামেন্টারিনির্বাচনেবাংলাদেশের মতো সংসদীয় এলাকা ভিত্তিক প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়না।সে সব দেশে সংসদীয় নির্বাচনেপ্রতিটি দল বা জোট সমগ্র দেশে মোট যতো শতাংশ ভোট পায় সে অনুপাতেই অংশগ্রহণকারী দল বা জোট সিট পায় এবং প্রাপ্ত সিট অনুযায়ী জয় পরাজয় মীমাংসিত হয় ।প্রকৃত পক্ষে এতেই একটি দেশে কোন্ দল বা জোটের প্রতি কতোটা জন সমর্থন এবং যথাযথ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন্ দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলো তা প্রতিফলিত হয়।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা,ইউনিয়ন,গ্রাম এবং ওয়াড পযায়ে দলীয় নেতা কর্মীদের পেশী শক্তি ও আর্থিকশক্তির বদৌলতে যে দলের যত বড় ও শক্ত ঘাঁটি তৈরী হয় সে দলের তথাকথিত জনসমর্থন ও তত বেশী হয়।পরিনামে আসন ভিত্তিক ভোটের বৈষম্য ও বেড়ে যায়। বর্তমানে৩০০শ'টি সংসদীয় আসনেরকোনটিতে এক লক্ষ পঁচিশ হাযার,কোনটিতে এরও দ্বিগুণ আবার কোন কোনটিতে তিন বা চার লক্ষ ভোটার তালিকাভুক্ত। তাইআসন বা এলাকা বিশেষে কাউকে এক লক্ষ পঁচিশ হাযার বা দেড় লক্ষ ভোটের জন্য প্রতিযোগিতা করতে হলে আর কাউকে তিন লক্ষ বা চার লক্ষ ভোটের জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে হয়।তাই প্রার্থীরা সাদা মনে ভোট প্রার্থনার চাইতে অবৈধ উপায়ে পাশ করার নানা ফন্দি কৌশল রপ্ত করতে শুরু করে।
৩০০টি সংসদীয় এলাকার প্রতিটিতে জনসংখ্যার সমান বণ্টন ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের চরম বৈষম্যের পরিনামে কোন দল গোটা দেশে সমষ্ঠিগত ভাবে ৫০ লক্ষ কিংবা এক কোটি ভোট অন্যদল থেকে বেশীঅর্জন করে ও আসন ভিত্তিক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারেনা।১৯৯১ সালের নির্বাচনে বি এন পি জামায়াতে ইসলামির সাথে জোট বদ্ধ হবার পর ও মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সিট বেশী পাওয়ার ফলে সরকার গঠন করতে পেরেছিলো।১৯৯১ সালের নির্বাচনী পস্তুতিতে বি এন পি,তার পছন্দেরনির্বাচনকমিশনকে দিয়ে সংসদীয় এলাকাকে তাদের সুবিধাজনক ভাবেপুনর্গঠন এবং যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে হাযার হাযার ভুঁয়া ভোটার সংযোজন করেই যথাসম্ভব কম সংখ্যক ভোটারের মাধ্যমে তাদের বিজয়কে নিশ্চিত করার কৌশল গ্রহণ করেছিলো।অথচ আওয়ামীলীগ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েও সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি।সে সময় ভোটার সংখ্যার এই চরম বৈষম্য নিয়ে পত্র পত্রিকায় অনেক লেখালেখিও হয়েছিলো।
আমাদের দেশে যেকোনো রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থন কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়ার বাপারে খূব সহজ ভাবেই ঢালাও মন্তব্য করা ও তথ্য ঘোষণা করা হয়।অথচ যারা যে দলের অনুসারী যে কোন অবস্থায় তাদের মধ্যে খূব নগণ্য সংখ্যক এদিক সেদিক হতে দেখা যায়।যা আদৌ ধরা যায়না। তাই কোন দলকে ভোটে জেতার জন্য যে পরিমাণ তথাকথিত জনপ্রিয়তা সংগ্রহ করতে হয় তা,পেশী শক্তির জোরে তথা ব্যাপক ভোট কারচুপি,ডাকাতি,বাক্সছিনতাই,ভুঁয়া ভোট ইত্যাদি পন্থায় নতুবা এক কথায় হাযার হাযার কোটি টাকার বিনিময়ে গরীব ভোটারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ ভোট খরিদ করা। পরিস্থিতি দৃষ্টে মনে হচ্ছে বি এন পি জোট তাদের তথাকথিত জনপ্রিয়তা সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে।ইতোমধ্যে জানা গেছে দক্ষিণ চট্রগ্রামের একটি আসনে বি এন পি'র একজন ভি আই পি -ব্যাংকারপ্রার্থী ঈদ শুভেচ্ছার উসিলায় 'ছাগলকে কাঁঠাল পাতা'খাওয়ান শুরু করেছে।আওয়ামীলীগের অনেক পেতি নেতাকে ও এই যাদু মারা কাঁঠালপাতার ঘ্রাণ নাকের অতি কাছে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বি এন পি'র পেতি নেতাদেরযোগসাজশে,সুকৌশলে যাতে আগামী নির্বাচনেরসময় আওয়ামীলীগের পাথী ধরাশায়ী হয়।
আগামী দশম জাতীয় সংসদের সরকার গঠনের জন্য সাধারণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে তথা ১৫১টি সিট পেতে সম্ভাব্য প্রদত্ত ভোটের মোট কতো শতাংশ ভোট প্রয়োজন তা ৩০০ টি নির্বাচনী এলাকারপ্রতিটিতে ব্যাপক পার্থক্যের ভিন্ন ভিন্ন ভোটার সংখ্যা বিদ্যমান থাকায়,-নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা,যে কোন ধরনের মিডিয়া বা কোন গবেষক; কারো পক্ষে আদৌ কোন সম্ভাব্য পরিসংখ্যান ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।যে হেতু বর্তমান ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ ভুঁয়া ভোটার বর্জিতএবং ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্র ভিত্তিক এবং যে হেতু জাতীয় পরিষদের ৩০০ টি নির্বাচনী এলাকার এক একটি বিশাল পার্থক্যেরভোটার সংখ্যার উপর গঠিত,-সে কারণে কোনই রাজনৈতিক দল বা জোটনির্বাচনের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান সম্পর্কেঅগ্রিম কিছুই বলতে পারবেনা।
তাই,বি এন পি উল্লেখিত বিষয় দুটো মাথায় রেখেই, বিগত নির্বাচনেতারা পরাজিত হওয়া সত্তেও যে সব সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের অতি কাছাকাছি ছিলো, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে ধরনেরদু'শত সিটের গড় পড়তা দেড় লক্ষ করে তিন কোটি ভোট খরিদকরারঅত্যন্ত গোপন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।প্রতি ভোট পাঁচশত টাকা থেকে ক্ষেত্র বিশেষে প্রতিটি পাঁচ হাযার টাকায় কিনতে এরা প্রস্তুত!সারা দেশের গার্মেন্টস শিল্প কারখানা এবং অন্যান্য সমস্ত কলকারখানার ভোট কেনার জন্য অনেক আগেভাগেই গোপন পদক্ষেপ নেওয়া হয়ছে।এই কাজে কোন কোন ক্ষেত্রে মিল মালিকদেরকে ভাবী নানা সুযোগ সুবিধার টোপ দেওয়া হয়েছে আবার শ্রমিক নেতাদেরকে বড় অংকের টাকার টোপ দেওয়া আছে।যদি কেউ সত্যতা যাচাই করতে চান,বলবো সোজা গাজীপুরেরকলকারখানা, দোকান মার্কেট,অলিগিল,পথে ঘাটে খোঁজ নিন।গাজীপুর সহ পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নিবাসনে বি এন পি,র লাগাতার বিজয়ের পেছনের কাহিনী অনুসন্ধান করলে থলি থেকে আসল বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাযার ভোটের 'আলিফ লালা'ও বাংলায় কথা বলা শুরু করবে।
বি এন পি জোট আগামী সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ভোট কেনার মোট বাজেট:এক হাযার কোটি টাকা, প্রয়োজনে আরো বেশী।টাকার যোগান দাতা:পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা,পাকিস্তানজামায়াতে ইসলাম এবং কয়েকটি জঙ্গি গোষ্টি।এছাড়াআমেরিকা,ব্রিটেন,মধ্যপ্রাচ্য সহ আরও কয়েকটি দেশে বি এন পি/জমায়াতে ইসলামী সমর্থক প্রবাসী ব্যবসায়ী ওচাকুরিজীবী।এসব অবৈধ টাকা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী নিয়ন্ত্রিতব্যাংকসমুহের মাধ্যমে -হণ্ডিতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিনশতনির্বাচনী এলাকার প্রতিটি শহর থেকে গ্রামের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডথেকে,বি এন পি'র জন্য ভোট খরিদ করার দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যেস্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের তথাকথিত দায়িত্ববান কর্মীরমুখোশধারী,সন্ত্রাসী-সেয়ানা,টাউট প্রকৃতির পাঁচ থেকে দশজন করে নেতাকর্মীকে যে কোন মূল্যে খরিদ করে উল্লেখিত ভোট সংগ্রহেরকাজে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।আওয়ামীলীগকেস্থানীয় নির্বাচনে বারবার পরাজয়ের কারণ দ্রুত খুঁজে বের করে এখনই সংশোধনমুলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিদ্রোহীপ্রার্থীহলেই,আপনার বা আপনার কাছের কোন লোকের পছন্দ না হলেই তাকে গধান চেপে বসায়ে না দিয়ে যেখানে একাধিক প্রার্থীদাঁড়াবে সেখানেএকেবারে তৃণমূল থেকে সকল নেতা কর্মীকে একত্রিত করে,তা পয়োজনে এক লক্ষ নেতা কমী হউক সবাইকে আহবান করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যে বেশী সমর্থন পাবে তাকেই প্রার্থিতাদেবেন। সে যুবক বা পৌড় হউক,মহাজোট সরকারের সাড়ে চার বছর ক্ষমতার মাথায় এসে এক নাগারে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেবিরোধী দলের প্রার্থীর নিকট বাহ্যত: উল্লেখযোগ্য নিম্নমুখী জনসমর্থনের কারণে সরকারী দলের প্রার্থীর পরাজয়কে কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ না করে 'ক্ষমতাসীন দলের জন সমর্থন হারিয়ে গেছে' এই ধরণের একটা সাদামাঠা হিসেব গ্রহণ করাটা আদৌ সমীচীন হবে বলে মনে হয়না।অবশ্য যদি মহাজোট সরকার নিজেদের রাজনৈতিক কোন স্বেচ্ছা ষ্ট্রেটেজী গ্রহণের ফলে এই অবস্থা তাদের আকাঙ্কিত হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। নির্বাচনের পর টেলিভিশন টক শো'তে জনৈক রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিন্তু এসব পরাজয়কে,বিষেশতঃ গাজীপুরের প্রায় দেড় লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে সরকারী দলের পরাজয়কেনেহায়েত 'ষ্ট্রেটেজী'বলেই আখ্যায়িত করেছেন।কেননা আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীকে এমন ভীষণ দূরত্বের মাধ্যমে হারানো কল্পনা করাই দুষ্কর।
মাননীয় প্রধান মন্রী! আপনি মাঝে মাঝে নিজেই বলেন ভোট প্রয়োগের ব্যাপারে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা।আপনি বলেন,- আমার ভোট আমি দেবো,যাকে খুশী তাকে দেবো।তারপরেও আপনি এক প্রার্থীর পক্ষে সাপাই বক্তব্য রাখেলন যে উনি তিনবার মেয়র পদ অলংকৃত করেছেন এবং গাজীপুরে চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন করেছেন।আমরা সব মেনে নিলাম।তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, তার আমলে গাজীপুরে উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে,তিনি অত্যন্ত সুযোগ্য ব্যক্তি,তার মতো তুলসী ধোয়া গাজীপুরে আর হয়না ইত্যাদি।কিন্তু আমরা যা দেখলাম,আপনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জনমতের থলীতে খোঁজ না নিয়ে,আপনার রিজার্ভ ভোটার,কর্মী বাহিনীর মনোভাবের গতি প্রকৃতির খোঁজ না নিয়ে আপনি বলে দিলেন ' সবাই মিলে অমুক'কে ভোট টিয়ে জয়ী করুন।আবুল হোসেন আর তার অনুসারীরা চোখের পানিমুছে-মুছে বাড়ী ফিরলো।ওরা আপনার কথা মানলোনা।ওরা মানলো ওদের ব্যক্তি-মনের কথা। তিনবারের চ্যাম্পিয়নের প্রতি ওদেরমোটেইআকর্ষণ নেই।ওদের আকর্ষণ ছিলো নতুন যুব নেতা মকবুলহোসেনের প্রতি ।কিন্ত আপনি কমী সমথকদের মনোভাব বুঝবার চেষ্ঠা করলেননা,তাদের আশা ও পুরণ হতে দিলেননা। আপনার তো উচিত ছিলো আপনার একান্ত পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহীপ্রার্থী,-তার খুঁঠির জোর কেমন,প্রথমতঃ দলের কমী বাহিনীর বেশীর ভাগের সমর্থন কোন দিকে,সাধারণ মানুষ আপনার প্রার্থীর পক্ষে নাকি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে।কিন্ত আপনি সেসব কিছুই বিবেচনায় নিলেননা।এতে আপনার পছন্দের প্রার্থীর ভরাডুবি হলো,শুধু গাজীপুরে নয়সমগ্রবাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে ভোটের অভূতপূর্ব ব্যবধানে ভরাডুবির চ্যাম্পিয়ন হিসেবে।
আরও একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য নির্বাচনে সঠিক প্রার্থী বাচাইয়ে আপনি ব্যর্থ হওয়ায় চরম অবাঞ্চিতভাবে মেয়র পদ হারাবার কথা মনে করে দিতে চাই,-চট্রগ্রামের বিগত মেয়র নির্বাচনে আপনার একগুঁয়ে সিদ্ধান্তের পরিনামে চট্রগ্রামবাসী বঞ্চিত হয়েছিলো।আপনার সেই একই কথা, মহিউদ্দীন চৌধুরী,মহিউদ্দীন চৌধুরীকে ছাড়া অন্যকাকেও নমিনেশন দেওয়া যাবেনা।বি এনপি'র প্রাথীর বিরুদ্ধে অন্য কাউকেপ্রার্থীদিলে জিতবেনা। ২০০৮সালের জাতীয় সংসদের প্রার্থী নির্বাচনেতৃণমূল পর্যায়ের ভোটা ভোটির বিষয়ে চট্রগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় গভীররাতে টানা টানি হেঁচকা হেঁচকির এতো রং তামাশার ঘটনা গুলোরপর ও আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের আদৌ কেন টনক নড়লোনা তাবোধগম্য নয়। তবে সবকিছু দেখে শুনে, আসন্ন পরিস্থিতি ও বুঝে সুজে মহিউদ্দীন চৌধুরীকে পরাজিত হওয়ার রাজনৈতক বলি বানায়ে ছাড়ার যদি আয়ামীলীগের রাজনৈতিক- 'ষ্ট্রাটেজী' হয়ে থাকে তবে বুদ্ধিটা অবশ্যই অসংখ্য বাহবা পাওয়ার দাবী রাখে।
চট্রগ্রামের আওয়ামীলীগ ঘরানার রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে স্থানীয় নেতা কমী এবং সবসাধারণের নিকট সবাধিক গ্রহণযোগ্য একজন প্রাথী সনাক্ত না করে বেরী বাঁধের জরুরী সংস্কার করার মতো ঢাকা থেকে দলীয় সেক্রেটারীর নেতৃত্বে একটা ওপারেশন টিম পাঠিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রাথী ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেন।প্রাথীনিবাচনে কাকে প্রাধান্য দিলে সকল স্তরের ভোটারদের কাছে সব্বোচ্চ গ্রহণ যোগ্যতা পাবে ,তা বিবেচনা পযালোচন না করেই ভোট দেওয়ার আহবান জানালেই যে প্রাথী বিজয়ী হয়ে যাবে তেমনটা আশা করারমতো আমরা তো কোন কারণ দেখতে পাইনি!
সবার মনে থাকার কথা।২০০৮ সালের জাতীয় পরিষদ নিবাচনে আওয়ামীলীগের একজন পরীক্ষিত কমী হিসেবে মেয়র মনজুরআলমসংসদ সদস্য প্রাথীতা পাওয়ার আশায় ঢাকায় নিবাচনী বোডেরদরবারে হাযির হয়েও বঞ্চিত হয়েছিলেন।আপনার কাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে আবার বি এন পি'র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দরবারে উপস্থিত হন।কথায় বলে ঘরে না থাকলে ম্যাজ্জাইন্যা বাড়ীতেও থকেনা।মনজুর আলম সাহেবকে তদ্রুপ আপন ঘর থেকে বঞ্চিত হয়ে,বি এন পি'র দুয়ারে গিয়ে সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়।
তারপর এলো মেয়র নিবাচনের মৌসুম।আওয়ামীলীগ চিরদিনের জন্য কসম খেয়েছে, দলের মধ্যে যত অরাজকতা চলতে থাকুক-মহিউদ্দীন চৌধুরীকেই আবার মেয়র পদে বিজয়ী করতে হবে।কিন্ত সে কাজটি কে করবেন ?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামীলগের সাধারণ সম্পাদক কাজী দানু মিয়া সাহেবকে নিয়ে করবেন নাকি চটগ্রামের সকল নেতা কমীকে নিয়ে করবেন?।ভুল সিদ্ধান্ত ওপদক্ষেপ যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিছু ছাড়তে চায়না।চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ নিয়ে অজস্র অভিযোগ,দলীয় নেতা-কমীদের মধ্যে স্থানীয় রাজনীতির তিন চারটি দলীয় কোন্দলের চরম গোষ্টি সবদা বিরাজমান। এতোসব জঞ্জালের কোনই পয়সলা মিমাংসার তোয়াক্বা না করেই মেয়র প্রাথীতা দিয়ে দিলেন মহিউদ্দীন উদ্দীন চৌধুরী সাহেবকে।এটা বঙ্গবন্ধুর সাথে পাকিস্তানের প্রতিযোগিতার জমনা নয় যে বঙ্গবন্ধু নিদেশ দিলেই গোটা বাঙ্গালী জাতি বিনাবাক্যে জান প্রান দিয়ে তা কাযকর করবেই করবে।
শুধু তাই নয়,দেশের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়না যে, জাতীয় পযায়ে আওয়ামীলীগ বা দলের কোন মন্ত্রী,নেতার বিরুদ্ধে কোন অপবাদ-অভিযোগ উঠলেই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আপনি চোখ বুঝেই তার প্রতিবাদ করে দাঁড়িয়ে যান।দলের স্বাথ,দেশের স্বাথ কিছুই বিবেচনায় না এনে একজনকে নিস্কলুষ চরিত্রের সনদপত্র দিয়ে দেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আপনি তাকে কেন তা মোকাবেলা করতে দেননা?আপনি আবুল হোসেন সাহেবকে রক্ষা করতে গিয়ে,আপিন সহ পুরা সরকার একটা অবাঞ্চিত পরিস্থিতিতে নিমজ্জিত হলেন। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দূনীতির অভিযোগ ওঠার পর আপনি বিদেশে দাঁড়িয়েই বলে দিলেন,-উনি চরিত্রবান, উনি নিদোষ।আমরা সবাই জানি ওনি নিদোষ। কিন্তু দোষ নিদোষের পদা জনসমক্ষে খুলতে না পারলে কে মানবে উনি নিদোষ?যে বিষয়ে,যে ঘটনার উদ্ভব হয়েছে দেশে বিদেশে সবত্র তার চুড়ান্ত মোকাবেলার পর যখন দেখা যেতো যে,বেচারা আবুল হোসেন সাহেব নিদোষ,শুধু তখনই তো আপনিবলতে পারেন উনি নিদোশ। পদ্মা সেতু পাওয়ার বিনিময়ে ওনাকে বিনা দোষে দোষী বানালে;তাও তো আপনি যথা সময়ে দেশের মানুষের কাছে বলতে পারতেন-`আমি দেশের একটি বড় স্বাথ হাসিলের জন্য আমার একজন চরিত্রবান নিদোষ মন্ত্রীকে বলি দিলাম।কিন্তু তা না হয়ে আম ও গেল,ছালা ও গেল। মন্ত্রী আবুলকে রক্ষা করতে গিয়ে পদ্মাসেতুর প্রধান দাতা বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহ সকল দাতা সংস্থাকে হারালাম,আবুলকে ও হারালাম।আওয়ামীলীগ আর মন্ত্রী এম পি'রা যতোই ভালো হোক ঘসেটি বেগমের বংশধররা যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে ওতপেতে বসে আছে কারণে অকারণে ফাঁসাবার চক্রান্তে, ভালো উদ্যোগকে নস্যাত করে দিতে তা তো আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, এম পি'দের নিজেদেরকেই বুঝতে হবে এবং যথাযথ সজাগ সচেতন থাকতে হবে।ফেঁসে যাওয়ার পর রক্ষা বা উদ্ধার করার অপচেস্ঠায় লিপ্ত হওয়ার চেয়ে শুরু থেকে প্রতিরক্ষা তথা আত্ম রক্ষা মুলক অবস্থানে থাকাই বুদ্ধমত্তার কাজ নয় কী?
এবার কিন্তু মনজুর আলম সাহেবের ভাগ্যাকাশের দরজা খুলে গেলো।তিনি একরকম রাজনীতির জুঁয়া খেলতেই 'নাদান'এর মতো চলে গেলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে।এবার খালেদা জিয়া বিনা প্রশ্নেই,অনায়াসে তাকেই দিয়ে দিলেন মহিউদ্দীন উদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্রগ্রামের মেয়র প্রাথীর নমিনেশন।
আওয়ামীলীগ নিবাচনে ,তা জাতীয় পরিষদ হউক কিংবা সিটি কপোরেশনে হউক অথবা ইউ পি নিবাচন, যেখানেই পরাজিত হয়েছে সব ক্ষেত্রে ভালভাবে পযালোচনা করলে পরাজয়ের সব প্রধান এবং মারাত্মক আত্মঘাতি কারণ হিসেবে ভেসে উঠ তা হলোঃ-
নং১- কেন্দ্রীয় মনোনয়নের বাইরে বিদ্রোহী প্রাথী।বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্রোহী প্রাথীর সঙ্গে মনোনীত প্রাথীর সাবিক গ্রহণযোগ্যতাভালোভাবে দেখেশুনে যাচাই না করে,সবোপরি যারা দলীয় প্রাথীকে জয়ী করার জন্য প্রাণপণ চেষ্ঠা ও আত্ম নিয়োগ করে;দলের সে সবনেতা কমীদের মনোভাব আদৌ বুঝবার চেষ্ঠা না করেই তাদের উপড় কেন্দ্র থেকে মনোনীত প্রাথীকে চাপিয়ে দেওয়া হয়।বিদ্রোহী প্রাথীকেনেত্রীর কাছে ডেকে নিয়ে পিঠে হাত বুলায়ে প্রাথীতা প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া হয়।বিদ্রোহী প্রাথী তার প্রাথীতা প্রত্যাহার করলে ও হাযার হাযার কমী যারা বিদ্রোহী প্রাথীর জন্য মাঠে নেমেছিলো তারা আর দলীয় মনোনীত প্রাথীর পক্ষে কোন কাজই করেনা।এমনকি নিবাচনের মাঠে ও থাকেনা।সুযোগ পেলে গোপনে বিপক্ষ প্রাথীর জন্য কাজ করে দলীয় প্রাথীকে ধরাশাহী হওয়ার রাস্তা পরিস্কার করে দেয়।এমনকি আপন পকেটের টাকা ও খরচ করে।অতীতের ডজন ডজন এধরনের ঘটনা থেকে বাস্তব শিক্ষা না নিয়েই শীষ নেত্রীত্বনানামুখী তোষামোদীর খপ্পরে পরে বার বার একই ভুল বাস্তবায়িত করতেই থাকে।পরিনতি যা হওয়ার তাই হয়।(ক)সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কপোরেশন নিবাচনে বিদ্রোহী প্রাথী মকবুল হোসেনকে নানা কৌশলে বসিয়ে দিয়ে তার সম্ভাব্য পাওনা ভোটগুলো একরকম জোর করেইঅধ্যাপক আবদুল মান্নানের বাক্সে ডুকিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিলেন।অথচ এক সমীক্ষায় দেখা যায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী মকবুল হোসেন তার প্রাথীতা প্রত্যাহার না করলে তিনি প্রায় তিন লক্ষ ভোট পেয়ে বিজয়ী হতেন।দ্বিতীয় হতেন বি এন পি'র প্রাথী।আর তৃতীয়হতেন আওয়ামীলীগের তথা প্রধান মন্ত্রীর মনোনীত প্রাথী।
নং২-ওয়াড এবং ইউনিয়ন পযায়ের আদশ-নীতিহীন-টাউট প্রকৃতিরপেতীনেতা-কমীদের প্রতিপক্ষের প্রাথীর কাছ থেক বড় অঙ্কের টাকা খেয়ে ভেতরে ভেতরে দলীয় প্রাথীর বিপক্ষে কাজ করা।
নং৩-স্থানীয় নেতা কমীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ না থাকা।
নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ তাদের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পর্যালোচনাকরার কথা বলেছেন ।অন্যদিকে বি এন পি বলছে দেশের মানুষ আর আওয়ামীলীগকে চায়না।তাদের জন সমর্থন এখন শূন্যেরকোটায়।এমতাবস্থায় গতরাত ৩রা আগস্ট চ্যানেল আই'এর তৄথীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষকসংগঠনের প্রধান ডঃ কলিম উল্লাহ একিট ভীষণ শিহরণপূণ তথ্য প্রকাশ করেছেন,-তা হলো গাজীপুর এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনেরনির্বাচনের সময় প্রতিটি ভোট পাঁচ হাযার টাকা পর্যন্ত বিক্রী হয়েছে।তবে কারা কিনেছে তিনি তা জানেননা।যাহোক ,কিন্তু ভোটার আই ডিকার্ড প্রথা বাস্তবায়িত হওয়ার পরও যে,ভোটার ছাড়া হ্যাঁ না'র গণভোট, মিডিয়া ক্যু, এককোটি সাতাশ লক্ষ ভূঁয়া ভোটারের ন্যাক্কার জনক ষড়যন্ত্রের মাঝেও এসব দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্রকারিরা তাদের প্রভু-দোসর দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা সংগ্রহ করে এনে ২০০১ সালের নির্বাচনে নব অধিকার,মানবিক অধিকার খরিদ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে লুটেপুটে খেয়েছিলো সে সব গরীবদের সম্পদ!
সুতরাং সাধু সাবধান !আওয়ামীলীগের কাছে খবর আছে কি না আমরা জানিনা,কিন্তু বিভীষণ বলছে,-বিগত ৫টি সিটিকর্পোরেশননির্বাচনে জয় পাওয়ার জন্য পাকিস্তান থেকে আসা বিশ কোটি টাকার ভোট কেনা হয়েছে।
সকল পথ বন্ধ হলেও ভোট চোরদের জন্য টাকার পথ খোলা।তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি না মানা হলে ও আগামী নির্বাচনে বি এন পি অংশ নেবে।এরা আগামী নির্বাচনে তিন কোটি ভোট কিনবে অপেক্ষাকৄত গরীব মানুষদেরকে টাকার লোভে ফেলে।সে জন্য বি এন পি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দশ হাযার কোটি টাকাএযাবত সংগ্রহ করেছে। সব টাকা লন্ডনে তারক রহমানের কাছে গচ্ছিত। সময় মতো হুন্ডির মাধ্যমে দল নেতার কাছে দেশে পৌঁছে যাবে ।
কারো একথা ভুলে গেলে মোঠেই চলবেনা যে ;_
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার (২০০৭-২০০৮ )আমলে দেশের মানুষের একটি দুষ্প্রাপ্য অর্জন- ভোটার আই ডি কার্ড তথা জাতীয় পরিচয় পত্র।এবং সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি ছিলো ইতোপূর্বে বি এনো পি আমলেসংযোজিতএক কোটি সাতাশ লক্ষ ভুয়া ভোটার বিবর্জিত-সংশোধিত ভোটার তালিকায় এবং ছবিযুক্ত আই ডি কার্ড প্রদর্শিত বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি -মাইল ফলক'; যা ছিলো শতভাগনির্ভেজাল,নিরপেক্ষ -জাতীয় সাধারণ নির্বাচন।প্রসংগতঃ উল্লেখ্য যে,সেনাবাহিনী ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময়,বি এন পি আমলের ২০০৬ সালে প্রণীত ভোটার তালিকায় মোট প্রায় সাত কোটি ভোটারের মধ্যেসমগ্র দেশের আনাচে কানাচে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এক কোটি সাতাশ লক্ষ ভূঁয়া ভোটার দেখতে পায়,যা বি এন পি ২০০৬ সালের শেষের জাতীয়নির্বাচনে ব্যবহার করে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য হিসেব মতো ঠিক ঠিক জায়গায় সাজিয়ে রেখেছিলো!
কিন্তু বিধি বাম ! বি এন পি'র জন্মের পর থেকে,-মেজর জিয়ার জন- মানব হীন গণভোটে শতকড়া নিরানব্বই ভাগ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ,১৯৯১ সালে মিডিয়া ক্যু'র মাধ্যমে সংখ্যা গরিস্ঠতা চিনিয়ে নেওয়া ,২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের চরম পক্ষপাতদুষ্ট গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভুঁয়া ভোটারতালিকারবদৌলতে বি এন পি'কে ক্ষমাতায় অধিষ্টিত করা, জাতীয় নির্বাচনেএভাবে একের পর এক চরম অরাজকতার পথ ধরে অবশেষে ২০০৬ সালে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের রাজনৈতিক বিতর্ক ও সংকটের মাঝে বি এন পি'র রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দীন আহমদ আচমকা রাষ্ট্রপতি পদের সাথে নিজে যুগপৎ প্রধান উপদেষ্টার পদ ও অবৈধভাবে দখল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। পরিণামে দেশে তথাকথিত এক/এগার'রআবির্ভাব তথা সেনা বাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে বেসামরিক প্রশাসনের মাধ্যমে দেশে রাজৈনতিক লেভেল প্লেন তৈরী করে একটিসম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্টানের ব্যবস্থা করে নির্বাচনে বিজয়ী মহাজোট সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেসেনাবাহিনীনিজেদের জায়গা ফিরে যান।
http://banglarkantha.com/?p=11047
__._,_.___