> মহানগর
বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জয়ের
28 Oct, 2013
বিএনপি-জামায়াত ক্রমেই সন্ত্রাসী দলে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে তিনি 'সন্ত্রাসী' সংগঠন হিসেবে বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান ও নির্বাচনে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাতে জয়ের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
জয় লিখেছেন, 'গতকাল (শনিবার) আমার মা টেলিফোনে খালেদা জিয়ার সাথে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কথা বলেন। আলোচনা শুরু করার জন্যে খালেদা সরকারকে যে সময়সীমা দিয়েছিলেন, গতকালই ছিলো তার শেষ দিন। তারপরও তিনি আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন এবং তারা হরতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।'
প্রধানমন্ত্রীপুত্র আরও বলেন, 'আরও দুশ্চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় মুহুর্মুহু বোমার হামলা। আইন মন্ত্রীর বাড়ি বোমায় আক্রান্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে এবং সারা দেশে আরও অনেক বোমা ও ককটেলের হামলা হয়েছে। বিস্ফোরক ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয় এবং কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের আচরণ এমন হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী আচরণ। বিএনপি-জামায়াত ক্রমশ একটি সন্ত্রাসী জোটে পরিণত হয়েছে।'
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, বিএনপি-জামায়াতের গত মেয়াদটি এ ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণে জর্জরিত ছিলো। এদের নির্বাচনে ভোট দিলে কী ঘটতে পারে, তারই একটি ছোট উদাহরণ আপনারা দেখতে পেলেন। আসুন, বিএনপি-জামায়াতের এই সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করি এবং নির্বাচনে তাদের প্রতিহত করি।'
রবিবার রাতে জয়ের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
জয় লিখেছেন, 'গতকাল (শনিবার) আমার মা টেলিফোনে খালেদা জিয়ার সাথে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কথা বলেন। আলোচনা শুরু করার জন্যে খালেদা সরকারকে যে সময়সীমা দিয়েছিলেন, গতকালই ছিলো তার শেষ দিন। তারপরও তিনি আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন এবং তারা হরতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।'
প্রধানমন্ত্রীপুত্র আরও বলেন, 'আরও দুশ্চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় মুহুর্মুহু বোমার হামলা। আইন মন্ত্রীর বাড়ি বোমায় আক্রান্ত হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে এবং সারা দেশে আরও অনেক বোমা ও ককটেলের হামলা হয়েছে। বিস্ফোরক ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয় এবং কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের আচরণ এমন হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী আচরণ। বিএনপি-জামায়াত ক্রমশ একটি সন্ত্রাসী জোটে পরিণত হয়েছে।'
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, বিএনপি-জামায়াতের গত মেয়াদটি এ ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণে জর্জরিত ছিলো। এদের নির্বাচনে ভোট দিলে কী ঘটতে পারে, তারই একটি ছোট উদাহরণ আপনারা দেখতে পেলেন। আসুন, বিএনপি-জামায়াতের এই সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করি এবং নির্বাচনে তাদের প্রতিহত করি।'
উৎসঃ ঢাকাটাইমস
On Sunday, October 27, 2013 4:49 PM, Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net> wrote:
টেলিফোনটি এখনও বিকল
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরেই বিকল হয়ে পড়েছিল বিরোধী নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বাসার লাল টেলিফোন। দুই নেত্রীর ফোনালাপ হয়েছে কিন্তু সচল হয়নি সে বিকল টেলিফোন। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন তিনি বিরোধী দলীয় নেতার কাছে টেলিফোন করবেন। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও সে কথা বলেছেন কয়েকদিন ধরে। কিন্তু গতকাল দুপুরে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিরোধী নেতার টেলিফোন সংযোগ
পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি জানার পর বিরোধী নেতার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়, টেলিফোনটি বিকল পড়ে আছে। পরে বিকালে টিঅ্যান্ডটির গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের একজন প্রকৌশলী বিরোধী নেতার বাসায় যান। তারপরও টেলিফোনটি সচল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টায় বিরোধী নেতার একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা। দুই নেত্রীর ফোনালাপের সময়ও বিকলই পড়েছিল সে লাল টেলিফোন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ফোন করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম। আমি রেড টেলিফোন থেকে নিজের হাতে ফোন করেছি। বারবার রিং হয়েছে। আমি দুঃখিত যে আপনি ধরতে পারেননি। জবাবে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই টেলিফোনটি বিকল। বারবার অভিযোগ করার পরও এটি ঠিক করা হয়নি। খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে বলেছেন, মৃত টেলিফোনে দীর্ঘ চেষ্টার চেয়ে তিনি আন্তরিক হলে আলাপের জন্য অন্য অনেক মাধ্যম ছিল। বিকল টেলিফোনে চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাই অন্তত আগে তার কর্মকর্তারা এসে দেখতে পারতেন ফোন ঠিক আছে কি না। যে সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, আমার লাল টেলিফোন সচল রয়েছে সে মিথ্যা বলেছে। লাল টেলিফোন নিয়ে মিথ্যাচারের দায়ে তিনি টিঅ্যান্ডটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোন ডেড, না কি ডেড করে রাখা হয়েছে, বলতে পারছি না। আগামীকাল আমি দেখব। এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ফোনালাপের আগেই তার বাসায় উপস্থিত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেখেন তো লাল ফোনটির কি অবস্থা। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক টেলিফোন সেটটি তুলে দেখেন সেটি বিকল। এ ব্যাপারে টিঅ্যান্ডটি'র গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার নাসিরউদ্দিন তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার লাল টেলিফোন কতদিন ধরে বিকল ছিল আমাদের জানা নেই। আজ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে টেলিফোন লাইনটি সচল করা হয়। কি কারণে এতদিন বিকল ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফোনালাপ শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিরোধী নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান অভিযোগ করে বলেন, লাল টেলিফোনটি দীর্ঘদিন থেকেই বিকল পড়ে আছে। সাংবাদিকদেরও বিরোধী নেতা সে টেলিফোনটি দেখিয়েছেন। কিন্তু টেলিফোনে বিরোধী নেতাকে পাওয়া যায়নি এমন একটি রাজনৈতিক প্রচারণা সরকারি দল থেকে চালানো হয়েছে। গত রাতে বিরোধী নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ও একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস দৈনিক মানবজমিনকে জানান, বিরোধী নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনালাপের পরও সচল হয়নি সে লাল টেলিফোন।
পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি জানার পর বিরোধী নেতার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়, টেলিফোনটি বিকল পড়ে আছে। পরে বিকালে টিঅ্যান্ডটির গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের একজন প্রকৌশলী বিরোধী নেতার বাসায় যান। তারপরও টেলিফোনটি সচল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টায় বিরোধী নেতার একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা। দুই নেত্রীর ফোনালাপের সময়ও বিকলই পড়েছিল সে লাল টেলিফোন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ফোন করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম। আমি রেড টেলিফোন থেকে নিজের হাতে ফোন করেছি। বারবার রিং হয়েছে। আমি দুঃখিত যে আপনি ধরতে পারেননি। জবাবে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই টেলিফোনটি বিকল। বারবার অভিযোগ করার পরও এটি ঠিক করা হয়নি। খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে বলেছেন, মৃত টেলিফোনে দীর্ঘ চেষ্টার চেয়ে তিনি আন্তরিক হলে আলাপের জন্য অন্য অনেক মাধ্যম ছিল। বিকল টেলিফোনে চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাই অন্তত আগে তার কর্মকর্তারা এসে দেখতে পারতেন ফোন ঠিক আছে কি না। যে সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, আমার লাল টেলিফোন সচল রয়েছে সে মিথ্যা বলেছে। লাল টেলিফোন নিয়ে মিথ্যাচারের দায়ে তিনি টিঅ্যান্ডটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোন ডেড, না কি ডেড করে রাখা হয়েছে, বলতে পারছি না। আগামীকাল আমি দেখব। এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ফোনালাপের আগেই তার বাসায় উপস্থিত সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেখেন তো লাল ফোনটির কি অবস্থা। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক টেলিফোন সেটটি তুলে দেখেন সেটি বিকল। এ ব্যাপারে টিঅ্যান্ডটি'র গুলশান এক্সচেঞ্জ জোনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার নাসিরউদ্দিন তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার লাল টেলিফোন কতদিন ধরে বিকল ছিল আমাদের জানা নেই। আজ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে টেলিফোন লাইনটি সচল করা হয়। কি কারণে এতদিন বিকল ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ফোনালাপ শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিরোধী নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান অভিযোগ করে বলেন, লাল টেলিফোনটি দীর্ঘদিন থেকেই বিকল পড়ে আছে। সাংবাদিকদেরও বিরোধী নেতা সে টেলিফোনটি দেখিয়েছেন। কিন্তু টেলিফোনে বিরোধী নেতাকে পাওয়া যায়নি এমন একটি রাজনৈতিক প্রচারণা সরকারি দল থেকে চালানো হয়েছে। গত রাতে বিরোধী নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ও একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস দৈনিক মানবজমিনকে জানান, বিরোধী নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনালাপের পরও সচল হয়নি সে লাল টেলিফোন।
__._,_.___