শিবিরের উচ্ছ্বাস মিইয়ে দিলেন খালেদা !
26 Oct, 2013
'দুদিন আল্টিমেটামের পর তিন দিন হরতাল- এটা কী নতুন কিছু! বিএনপি জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। মাঠে নামতে আড়াই মাসের রণপ্রস্তুতির রেশ না কাটিয়েই পাঁচ দিনের অবসর। এরপর দেখি তারা কীভাবে শেখ হাসিনাকে গদি থেকে নামায়!'
না, এটি ক্ষমতানসীন দলের কারো বক্তব্য নয়। বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতের সংগঠন ছাত্রশিবিরের এক নেতার বক্তব্য।
পুলিশ প্রশাসন আর ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের ঝক্কি-ঝামেলা পার করে ইমামুল ভোররাতে রওনা হয়ে পৌঁছান সোহরাওয়ার্দীতে। দিনভর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আশায় ছিলেন খালেদা জিয়ার মুখ থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের। কিন্তু শেষ বিকেলে তার মাথায় সোজা বাজ ফেলে দেন জোটনেত্রীর কর্মসূচি।
ইমামুলের মতো জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মীই কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলটির কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলেছেন, আমরা এই কর্মসূচি পালন করব না। এরপর দেখি বিএনপি কীভাবে তাদের হরতাল কর্মসূচি সফল করে এবং শেখ হাসিনাকে চাপে রাখতে পারে?'
উল্লেখ্য, শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকার দাবিতে দুদিনের সময় এবং সেটি মানা না হলে রবিবার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন।
একদফার কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে শুধু গতানুগতিক কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ওপর নাখোশ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। দলটির নেতারা আশা করেছিলেন, '২৫ অক্টোবর নিয়ে জনমনে যে শঙ্কা ছিল, তার কিছুটা হলেও ১৮ দল দেখাবে।'
কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। জোটনেত্রী বেগম জিয়া সরকারকে পুনরায় সংলাপে বসার আল্টিটিমেটাম ও হরতালের ঘোষণা দিয়েই বহুল আলোচিত ২৫ অক্টোবরের সমাবেশের পরিসমাপ্তি টানেন। বরাবরের মত বেগম জিয়ার এমন কর্মসূচি শুনে অনেকটাই হতাশ হয়ে যায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে অনেককেই বলতে শোনা যায়, 'প্রতিবার এত কষ্ট করে সমাবেশে যোগ দিয়ে কী লাভ হচ্ছে? এ কর্মসূচি তো সংবাদ সম্মেলন করেই ঘোষণা দেওয়া যেতো। আমরা টিভি দেখে জেনে নিতাম। শুধু হরতাল কর্মসূচি শোনার জন্য এত কাঠ-খড় পুড়িয়ে সমাবেশে আসতে হতো না।'
অবশ্য দুপরের পরে কিছুটা আভাস মিলেছিল পূর্বাশঙ্কার। শাহবাগে এতদিনের সরকারি উন্নয়ন ফিরিস্তির বিলবোর্ড মুহূর্তে মাটিয়ে নামিয়ে ফেলে শিবিরের কর্মীরা। সোহরাওয়ার্দীর দখল নিয়ে তারা যে আছে, তার ভালোই জানান দিতে থাকে যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধী মুহুর্মুহু স্লোগানে।
সমাবেশ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরা বিরোধীদলীয় নেতার কড়া সমালোচনায় মেতে ওঠে।
অনেকেই খালেদা জিয়ার হরতাল ঘোষণাকে উপহাস করেন। বলেন, 'জামায়াত প্রতি মুহূর্তেই এই ধরনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে। এ আর নতুন কী! হরতাল ঘোষণা করতে এত ঢাক-ঢোল পেটানোর কী ছিল?'
এদিকে, শুক্রবার রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভোর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তাদের সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের দেওয়া শর্ত ভেঙে মৎসভবন ও শাহবাগে মিছিল করে, সেখানে অবস্থান নেয়।
মৎসভবন মোড়ে বিলবোর্ডে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি শিবিরকর্মীরা ছিড়ে ফেলে। সমাবেশকালীন পুরো সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের উৎসবের আমেজে দেখা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সমাবেশ শেষ হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। এই সময় খালেদা জিয়া হাত নেড়ে তাদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
খালেদা জিয়া বক্তব্য শুরুর প্রাক্কালে সমাবেশস্থলে উপস্থিত শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলতে থাকেন, ম্যাডামের (বেগম জিয়া) বক্তব্যের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হবে। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে ম্যাডাম এখন নির্দেশ দিবেন। খালেদা জিয়া বক্তব্য শুরু করার পর শিবির কর্মীরা ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তা শুনতে থাকেন।
বেগম খালেদা জিয়া শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পুলিশি নির্যাতনে কথা তুলে ধরলে শিবিরকর্মীরা করতালি আর স্লোগানে তাকে অভিবাদন জানায়। বেগম জিয়া সংলাপের জন্য সরকারকে আজ ও কাল সময় বেঁধে দেওয়ার কথা বলামাত্রই শিবির কর্মীরা হরতাল হরতাল স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তোলে।
হঠাৎ করেই কিছুটা থমকে যান খালেদা জিয়া। এরপরই দুই দুইবার বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আপনাকে দুদিন সময় দিলাম। আজ ও কালকের মধ্যে যদি আলোচনার ব্যবস্থা না করেন, তাহলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে।'
এরপরই শিবিরের এতক্ষণের উৎসব মিইয়ে যায় শেষ বিকেলে আলোর মত। নাখোশ মনে ফিরতে শুরু করেন তারা।
সমাবেশ শেষে তাদের অনেকেই খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। তাদের চোখে-মুখে ছিল হতাশার গ্লানি।
তাদের অনেকেই এখনি হাল ছাড়তে নারাজ। বলতে থাকেন- 'এবারের হরতাল দিয়ে খেলা হবে শুরু, শেষ হবে খালেদা জিয়ার শপথ গ্রহণে।'
প্রসঙ্গত, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে ছিল জামায়াত-শিবির কর্মীদের একক আধিপত্য। জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মঞ্চের সম্মুখভাগ সকালেই দখল করে নেয়। যদিও পরে বিএনপি নেতাদের অনুরোধে মঞ্চের বামপাশের একটি অংশ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বসতে দেয় শিবির।
জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ক্রমাগত চাপের কারণে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানের বামপাশ ও রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। এতে মূল মঞ্চের সামনে থেকে তাকালে গোটা সমাবেশই মনে হচ্ছিল জামায়াত-শিবিরময়।
না, এটি ক্ষমতানসীন দলের কারো বক্তব্য নয়। বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতের সংগঠন ছাত্রশিবিরের এক নেতার বক্তব্য।
পুলিশ প্রশাসন আর ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের ঝক্কি-ঝামেলা পার করে ইমামুল ভোররাতে রওনা হয়ে পৌঁছান সোহরাওয়ার্দীতে। দিনভর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আশায় ছিলেন খালেদা জিয়ার মুখ থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের। কিন্তু শেষ বিকেলে তার মাথায় সোজা বাজ ফেলে দেন জোটনেত্রীর কর্মসূচি।
ইমামুলের মতো জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মীই কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলটির কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলেছেন, আমরা এই কর্মসূচি পালন করব না। এরপর দেখি বিএনপি কীভাবে তাদের হরতাল কর্মসূচি সফল করে এবং শেখ হাসিনাকে চাপে রাখতে পারে?'
উল্লেখ্য, শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকার দাবিতে দুদিনের সময় এবং সেটি মানা না হলে রবিবার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন।
একদফার কর্মসূচি ঘোষণা না দিয়ে শুধু গতানুগতিক কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ওপর নাখোশ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। দলটির নেতারা আশা করেছিলেন, '২৫ অক্টোবর নিয়ে জনমনে যে শঙ্কা ছিল, তার কিছুটা হলেও ১৮ দল দেখাবে।'
কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠেনি। জোটনেত্রী বেগম জিয়া সরকারকে পুনরায় সংলাপে বসার আল্টিটিমেটাম ও হরতালের ঘোষণা দিয়েই বহুল আলোচিত ২৫ অক্টোবরের সমাবেশের পরিসমাপ্তি টানেন। বরাবরের মত বেগম জিয়ার এমন কর্মসূচি শুনে অনেকটাই হতাশ হয়ে যায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে অনেককেই বলতে শোনা যায়, 'প্রতিবার এত কষ্ট করে সমাবেশে যোগ দিয়ে কী লাভ হচ্ছে? এ কর্মসূচি তো সংবাদ সম্মেলন করেই ঘোষণা দেওয়া যেতো। আমরা টিভি দেখে জেনে নিতাম। শুধু হরতাল কর্মসূচি শোনার জন্য এত কাঠ-খড় পুড়িয়ে সমাবেশে আসতে হতো না।'
অবশ্য দুপরের পরে কিছুটা আভাস মিলেছিল পূর্বাশঙ্কার। শাহবাগে এতদিনের সরকারি উন্নয়ন ফিরিস্তির বিলবোর্ড মুহূর্তে মাটিয়ে নামিয়ে ফেলে শিবিরের কর্মীরা। সোহরাওয়ার্দীর দখল নিয়ে তারা যে আছে, তার ভালোই জানান দিতে থাকে যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধী মুহুর্মুহু স্লোগানে।
সমাবেশ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরা বিরোধীদলীয় নেতার কড়া সমালোচনায় মেতে ওঠে।
অনেকেই খালেদা জিয়ার হরতাল ঘোষণাকে উপহাস করেন। বলেন, 'জামায়াত প্রতি মুহূর্তেই এই ধরনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে। এ আর নতুন কী! হরতাল ঘোষণা করতে এত ঢাক-ঢোল পেটানোর কী ছিল?'
এদিকে, শুক্রবার রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভোর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তাদের সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের দেওয়া শর্ত ভেঙে মৎসভবন ও শাহবাগে মিছিল করে, সেখানে অবস্থান নেয়।
মৎসভবন মোড়ে বিলবোর্ডে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি শিবিরকর্মীরা ছিড়ে ফেলে। সমাবেশকালীন পুরো সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের উৎসবের আমেজে দেখা গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সমাবেশ শেষ হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। এই সময় খালেদা জিয়া হাত নেড়ে তাদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
খালেদা জিয়া বক্তব্য শুরুর প্রাক্কালে সমাবেশস্থলে উপস্থিত শিবিরের মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলতে থাকেন, ম্যাডামের (বেগম জিয়া) বক্তব্যের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হবে। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে ম্যাডাম এখন নির্দেশ দিবেন। খালেদা জিয়া বক্তব্য শুরু করার পর শিবির কর্মীরা ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তা শুনতে থাকেন।
বেগম খালেদা জিয়া শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পুলিশি নির্যাতনে কথা তুলে ধরলে শিবিরকর্মীরা করতালি আর স্লোগানে তাকে অভিবাদন জানায়। বেগম জিয়া সংলাপের জন্য সরকারকে আজ ও কাল সময় বেঁধে দেওয়ার কথা বলামাত্রই শিবির কর্মীরা হরতাল হরতাল স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করে তোলে।
হঠাৎ করেই কিছুটা থমকে যান খালেদা জিয়া। এরপরই দুই দুইবার বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আপনাকে দুদিন সময় দিলাম। আজ ও কালকের মধ্যে যদি আলোচনার ব্যবস্থা না করেন, তাহলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ২৭ অক্টোবর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে।'
এরপরই শিবিরের এতক্ষণের উৎসব মিইয়ে যায় শেষ বিকেলে আলোর মত। নাখোশ মনে ফিরতে শুরু করেন তারা।
সমাবেশ শেষে তাদের অনেকেই খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। তাদের চোখে-মুখে ছিল হতাশার গ্লানি।
তাদের অনেকেই এখনি হাল ছাড়তে নারাজ। বলতে থাকেন- 'এবারের হরতাল দিয়ে খেলা হবে শুরু, শেষ হবে খালেদা জিয়ার শপথ গ্রহণে।'
প্রসঙ্গত, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে ছিল জামায়াত-শিবির কর্মীদের একক আধিপত্য। জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মঞ্চের সম্মুখভাগ সকালেই দখল করে নেয়। যদিও পরে বিএনপি নেতাদের অনুরোধে মঞ্চের বামপাশের একটি অংশ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বসতে দেয় শিবির।
জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ক্রমাগত চাপের কারণে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানের বামপাশ ও রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। এতে মূল মঞ্চের সামনে থেকে তাকালে গোটা সমাবেশই মনে হচ্ছিল জামায়াত-শিবিরময়।
উৎসঃ আরটিএনএন
__._,_.___