এই পরিনত বয়সে প্রয়োজনে আমি নিজেও যেকোনো শয়তানির চুলের মুঠি ধরতে কসুর করবনা। সে যত বড় 'হনু' হন না কেন?
Shahadat Suhrawardy
এক চুলও না নড়লে খবর আছে
হা সা ন হা ফি জ |
নতুন জামাই যে হয়, তার অনেক সুবিধে। অনেক আরাম অনেক আয়েশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তটস্থ থাকে তার জন্যে। পাছে কোনো গলতি না হয়। কসুর হলে জামাই বাবাজি গোস্বা হবেন। তার খানাদানা যাতে উত্তম হয় সর্বদা, সেদিকে সক্কলের নজর। এই মহা সুবিধার অধ্যায় শুরু হয় শা'নজর পর্বের যে প্রারম্ভ, তার আগ থেকেই। কিন্তু এমন জামাইও কী আছে, যাকে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয়? চাচা আপন প্রাণ বাঁচা—মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ছুটতে ছুটতে পগার পার হতে হয়? পালানোর পথেও বালামুসিবত 'হতে পারত'। শালা-সম্বন্ধীদের তরফ থেকে উত্তম-মধ্যম বোনাস হিসেবে জোটার নিয়মও আছে।
এমন একখান ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। পেয়ে 'হতে না পারা' জামাইয়ের জন্য বেজার হয়েছি। বেচারা! বিয়ে তো হলোই না, উল্টো মারধর অপমান হজম করতে হলো। ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলাও অবস্থা। দুর্ভোগ যদি কারো কপালে থাকেই, ঠেকাবে কে জনাব। ওই বিয়েভাঙা যুবকের পক্ষে নির্লজ্জ সাফাই গাওয়ার জন্য আজ কলম ধরেছি। উঁহু হলো না। একটু ভুল বলে ফেললাম। কলম না, কম্পিউটারের মাউস (সাইজটা ঢাউস নয় মোটেও) ও কী-বোর্ড ধরেছি। আজাইড়া প্যাঁচাল থুয়ে মূল ঘটনায় প্রবেশ করা যাক।
ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা। এক বিয়ের আসরে হঠাত্ই ঘটে গেল অঘটন। সে এক মহা কেলেংকারিয়াস ব্যাপার। শুনবাইন পাঠক? শুনুন তাহলে। বিয়ের খানাখাদ্য ভক্ষণ চলছিল। বিবাহের জন্য বর-কনে তৈয়ার। না, প্রেম পিরিতের বিয়ে না। সেটেলড্ ম্যারেজ। বরযাত্রী, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের খাওয়া-দাওয়া তখন শেষপর্যায়ে। বিয়ে হবো হবো করছে। এমন টাইমে হবু জামাতা একখান অবান্তর দাবি করে বসলেন। ব্যস। আর যায় কোথায়? ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল। ফাটাফাটি অবস্থা। বর সাহেব এক দফা দাবি পেশ করে গ্যাঁট হয়ে রইলেন। মোটরসাইকেল ছাড়া তিনি বিবাহ করবেন না। তাকে 'এক চুল'ও নড়ানো যাবে না এই 'ন্যায্য দাবি' থেকে। যৌতুক চাইলেন তিনি। কী এক দফা নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। মহা গভীর নিম্নচাপের আশঙ্কা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান থেকে 'এক চুল'ও নড়বেন না বলে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে ও গোলমেলে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে 'এক চুল'ও না সরার প্রতিজ্ঞা থেকে সরে এসেছেন। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে 'সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার' গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষের চাপে এই তেতো কুইনাইন গিলতে হয়েছে তাকে। দেখাই যাক শেষমেশে কোথাকার ওয়াটার কোথায় গিয়ে স্ট্যান্ড করে।
ভালুকার সেই যৌতুকলোভী জামাই সাহেবের ওপরও নরম গরম চাপ ছিল নিশ্চয়ই। কিন্তু তিনি 'এক চুল'ও নড়তে নারাজ। তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার মোটরসাইকেল চাই। বিয়ে ভেঙে যায় যায় অবস্থা। ভাঙলে ভাঙুক। বর সাহেব তার প্রতিজ্ঞায় অটল। ভাবখানা এই—শির দেগা নেহি দেগা আমামা। রাঙা টুকটুক বৌয়ের চাইতে বেশি পেয়ারের হয়ে উঠলো মোটরসাইকেল। সেটাই কাল হলো তার জন্যে। খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে/ কাল হলো তার এঁড়ে গরু কিনে। বর সাহেবের আম ছালা দুটাই গেল।
বরের চোখে রঙিন দৃশ্য—মোটরসাইকেল চড়ে খোশমেজাজে তিনি দাবড়ে বেড়াচ্ছেন গোটা তল্লাট। পথচারী ও স্থানীয় লোকজন সপ্রশংস দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। জৌলুসভরা স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছিলেন ইনি। বিয়েবাড়ির হট্টগোল শোরগোলে চমক ভাঙল তার। সংবিত্ও ফিরল। এর মধ্যে খবর চলে গেছে হেড অফিসে। হবু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (কনে) জেনে গেছেন বিস্তারিত। রুখে দাঁড়ালেন তিনি। জাগো নারী বহ্নিশিখা। সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, এ বিয়ে হবে না। কোনো ধরনের যৌতুক দিয়ে তাকে যেন বিয়ে দেয়া না হয়। মেয়ের ইচ্ছাকে সম্মান দিলেন তার বাবা। মেয়ের সঙ্গে একমত হলেন। তাত্ক্ষণিকভাবে নাকচ করে দিলেন বিবাহ।
মোটরসাইকেল তো জুটলই না, বউও গেল হাতছাড়া হয়ে। হতাশ, বিষণ্ন ও পরাস্ত যুবক ফিরে যাচ্ছিলেন নিজ গ্রামে। ফেরার পথে বিপত্তি। উটকো ঝামেলা। কনের গ্রামের ইয়ং পোলাপাইন তাকে গণধোলাই দিলো এই সুযোগে। একচোট হাতের সুখ করে নিলে তারা। এই চান্স মিস করে কোন্ বেকুবে?
ময়মনসিংহ বারের একজন আইনজীবী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যৌতুক দাবি করা ও দেয়া-নেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই ঘটনায় ফৌজদারি আইনে থানা অথবা আদালতে মামলা করা যায়। উরে বাপ রে! ওই জামাই ব্যাটা কনের গ্রামের লোকজনের কিলঘুষি চড় থাপ্পড় তো খেয়েছেই, তাকে জেলের ঘানিও টানানো যায়। খাইছে আমারে।
বর ব্যাটার মহা মহা ক্ষতি হয়ে গেল। কোন্ কুক্ষণে যে তার বিবাহ করবার দুর্মতি হয়েছিল! জাত, মান, কুল সবই গেল।
একটা মোটরসাইকেল বিক্রি হতে পারল না। হতো যদি, অকটেন/পেট্রলও বিক্রি হতো। মেয়েটা বড্ড বোকা। স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে ইনিও ফুরফুরে হাওয়া খেতে বেড়াতে যেতে পারতেন। তার মাথায় যে কিসের ভূত চাপল, তিনিই জানেন। মেয়েটির হঠকারিতার কারণেই 'নিরীহ' প্রত্যাখ্যাত জামাইবাবুকে নাহক মারধর খেতে হলো। এটা বড়ই অনুচিত কাজ হয়েছে। আর, যৌতুক এমন কী খারাপ জিনিস! মোটরসাইকেলটা দেয়া হলে মহাভারত কী অশুদ্ধ হয়ে যেত? নিশ্চয়ই না। যন্ত্রটি এই নবদম্পতির (যা ভণ্ডুল হয়ে গেল মেয়েটির একগুঁয়েমির কারণে) সম্পত্তি হয়েই থাকত। গতি বাড়তো সংসারের। বাজারঘাট করা, চাকরিতে যাওয়া-আসা করা যেত অনায়াসে। সে সব কিছুই হলো না।
আমরা বলি কী, 'এক চুল নড়ব না'—এ সিদ্ধান্ত সঠিক না। জামাই ব্যাটা যদি নড়তো, তাহলে বিয়েটা হতো। বেহুদা মারপিটের শিকার হতে হতো না। আমাদের রাজনৈতিক আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। 'এক চুল নড়ব না' এই গোঁ ধরে থাকলে দেশ জাতির তেরোটা বাজবে। অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাওয়া নিষ্প্রয়োজন। অতএব... এখনো সময় আছে আল্লাহ নবীর নাম লও আল্লাহ নবীর নাম।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
hasanhafiz51@gmail.com
এমন একখান ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। পেয়ে 'হতে না পারা' জামাইয়ের জন্য বেজার হয়েছি। বেচারা! বিয়ে তো হলোই না, উল্টো মারধর অপমান হজম করতে হলো। ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলাও অবস্থা। দুর্ভোগ যদি কারো কপালে থাকেই, ঠেকাবে কে জনাব। ওই বিয়েভাঙা যুবকের পক্ষে নির্লজ্জ সাফাই গাওয়ার জন্য আজ কলম ধরেছি। উঁহু হলো না। একটু ভুল বলে ফেললাম। কলম না, কম্পিউটারের মাউস (সাইজটা ঢাউস নয় মোটেও) ও কী-বোর্ড ধরেছি। আজাইড়া প্যাঁচাল থুয়ে মূল ঘটনায় প্রবেশ করা যাক।
ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা। এক বিয়ের আসরে হঠাত্ই ঘটে গেল অঘটন। সে এক মহা কেলেংকারিয়াস ব্যাপার। শুনবাইন পাঠক? শুনুন তাহলে। বিয়ের খানাখাদ্য ভক্ষণ চলছিল। বিবাহের জন্য বর-কনে তৈয়ার। না, প্রেম পিরিতের বিয়ে না। সেটেলড্ ম্যারেজ। বরযাত্রী, আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের খাওয়া-দাওয়া তখন শেষপর্যায়ে। বিয়ে হবো হবো করছে। এমন টাইমে হবু জামাতা একখান অবান্তর দাবি করে বসলেন। ব্যস। আর যায় কোথায়? ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল। ফাটাফাটি অবস্থা। বর সাহেব এক দফা দাবি পেশ করে গ্যাঁট হয়ে রইলেন। মোটরসাইকেল ছাড়া তিনি বিবাহ করবেন না। তাকে 'এক চুল'ও নড়ানো যাবে না এই 'ন্যায্য দাবি' থেকে। যৌতুক চাইলেন তিনি। কী এক দফা নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। মহা গভীর নিম্নচাপের আশঙ্কা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান থেকে 'এক চুল'ও নড়বেন না বলে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে ও গোলমেলে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে 'এক চুল'ও না সরার প্রতিজ্ঞা থেকে সরে এসেছেন। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে 'সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার' গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষের চাপে এই তেতো কুইনাইন গিলতে হয়েছে তাকে। দেখাই যাক শেষমেশে কোথাকার ওয়াটার কোথায় গিয়ে স্ট্যান্ড করে।
ভালুকার সেই যৌতুকলোভী জামাই সাহেবের ওপরও নরম গরম চাপ ছিল নিশ্চয়ই। কিন্তু তিনি 'এক চুল'ও নড়তে নারাজ। তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার মোটরসাইকেল চাই। বিয়ে ভেঙে যায় যায় অবস্থা। ভাঙলে ভাঙুক। বর সাহেব তার প্রতিজ্ঞায় অটল। ভাবখানা এই—শির দেগা নেহি দেগা আমামা। রাঙা টুকটুক বৌয়ের চাইতে বেশি পেয়ারের হয়ে উঠলো মোটরসাইকেল। সেটাই কাল হলো তার জন্যে। খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে/ কাল হলো তার এঁড়ে গরু কিনে। বর সাহেবের আম ছালা দুটাই গেল।
বরের চোখে রঙিন দৃশ্য—মোটরসাইকেল চড়ে খোশমেজাজে তিনি দাবড়ে বেড়াচ্ছেন গোটা তল্লাট। পথচারী ও স্থানীয় লোকজন সপ্রশংস দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। জৌলুসভরা স্বপ্নে বিভোর হয়ে ছিলেন ইনি। বিয়েবাড়ির হট্টগোল শোরগোলে চমক ভাঙল তার। সংবিত্ও ফিরল। এর মধ্যে খবর চলে গেছে হেড অফিসে। হবু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (কনে) জেনে গেছেন বিস্তারিত। রুখে দাঁড়ালেন তিনি। জাগো নারী বহ্নিশিখা। সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, এ বিয়ে হবে না। কোনো ধরনের যৌতুক দিয়ে তাকে যেন বিয়ে দেয়া না হয়। মেয়ের ইচ্ছাকে সম্মান দিলেন তার বাবা। মেয়ের সঙ্গে একমত হলেন। তাত্ক্ষণিকভাবে নাকচ করে দিলেন বিবাহ।
মোটরসাইকেল তো জুটলই না, বউও গেল হাতছাড়া হয়ে। হতাশ, বিষণ্ন ও পরাস্ত যুবক ফিরে যাচ্ছিলেন নিজ গ্রামে। ফেরার পথে বিপত্তি। উটকো ঝামেলা। কনের গ্রামের ইয়ং পোলাপাইন তাকে গণধোলাই দিলো এই সুযোগে। একচোট হাতের সুখ করে নিলে তারা। এই চান্স মিস করে কোন্ বেকুবে?
ময়মনসিংহ বারের একজন আইনজীবী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যৌতুক দাবি করা ও দেয়া-নেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই ঘটনায় ফৌজদারি আইনে থানা অথবা আদালতে মামলা করা যায়। উরে বাপ রে! ওই জামাই ব্যাটা কনের গ্রামের লোকজনের কিলঘুষি চড় থাপ্পড় তো খেয়েছেই, তাকে জেলের ঘানিও টানানো যায়। খাইছে আমারে।
বর ব্যাটার মহা মহা ক্ষতি হয়ে গেল। কোন্ কুক্ষণে যে তার বিবাহ করবার দুর্মতি হয়েছিল! জাত, মান, কুল সবই গেল।
একটা মোটরসাইকেল বিক্রি হতে পারল না। হতো যদি, অকটেন/পেট্রলও বিক্রি হতো। মেয়েটা বড্ড বোকা। স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে ইনিও ফুরফুরে হাওয়া খেতে বেড়াতে যেতে পারতেন। তার মাথায় যে কিসের ভূত চাপল, তিনিই জানেন। মেয়েটির হঠকারিতার কারণেই 'নিরীহ' প্রত্যাখ্যাত জামাইবাবুকে নাহক মারধর খেতে হলো। এটা বড়ই অনুচিত কাজ হয়েছে। আর, যৌতুক এমন কী খারাপ জিনিস! মোটরসাইকেলটা দেয়া হলে মহাভারত কী অশুদ্ধ হয়ে যেত? নিশ্চয়ই না। যন্ত্রটি এই নবদম্পতির (যা ভণ্ডুল হয়ে গেল মেয়েটির একগুঁয়েমির কারণে) সম্পত্তি হয়েই থাকত। গতি বাড়তো সংসারের। বাজারঘাট করা, চাকরিতে যাওয়া-আসা করা যেত অনায়াসে। সে সব কিছুই হলো না।
আমরা বলি কী, 'এক চুল নড়ব না'—এ সিদ্ধান্ত সঠিক না। জামাই ব্যাটা যদি নড়তো, তাহলে বিয়েটা হতো। বেহুদা মারপিটের শিকার হতে হতো না। আমাদের রাজনৈতিক আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। 'এক চুল নড়ব না' এই গোঁ ধরে থাকলে দেশ জাতির তেরোটা বাজবে। অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাওয়া নিষ্প্রয়োজন। অতএব... এখনো সময় আছে আল্লাহ নবীর নাম লও আল্লাহ নবীর নাম।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
hasanhafiz51@gmail.com
__._,_.___