আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার 'খেলা'য় মেতে খালেদা জিয়া কার স্বার্থে আন্দোলন করেছেন?
দীপক চৌধুরী : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কার স্বার্থে আন্দোলন করেছেন এ প্রশ্নই এখন সবখানে। দৃশ্যত হরতালের নামে সহিংসতা-নাশকতা আর আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার 'খেলা'য় মেতেছেন তিনি। বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে কর্মসূচি বন্ধ রাখেন। দেশের চার কোটি শিক্ষার্থী-পরীক্ষার্থীর সমস্যা তার কাছে বড় নয়। তার কাছে লেখাপড়া নয় ক্ষমতা বড় জিনিস। এটাই তার রাজনীতি।
আবার কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস চালাবে তার আঠার দলীয় জোট। আগামী সোমবার পর্যন্ত নাশকতা-সন্ত্রাসের হরতাল দেবেন না তিনি। কারণ, এ সময় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল আগামী শনিবার ঢাকায় আসবেন। যাবেন সোমবার। ঢাকায় তিন দিন থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাপা চেয়ারম্যান হসেইন মুহম্মদ এরশাদ, পররাষ্ট্রসচিব ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলবেন। শুধু এ কারণে খালেদা জিয়া কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে চান না।
জানা গেছে আগামী রোববার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার রায় হবে। বড় ধরনের কী শাস্তি অপেক্ষা করছে তা অনুমান করা না গেলেও ধারণা করা যায় সবার দৃষ্টি ঘুরানোর জন্য খালেদা জিয়া হঠাৎ জাতীয় প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে নতুন কৌশল গ্রহণ করবেন খালেদা। এটাও সত্যি রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণের নয় তার সকল রাজনীতিই পুত্রদের জন্য। পুত্রদ্বয়কে রক্ষার উদ্দেশে ১৮ দলীয় জোটকে ব্যবহারের জন্য নাশকতার কর্মসূচি দিয়ে এসেছেন তিনি। ভবিষ্যতে তা করবেন। জন্য জটিলতা কারণে মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক কার্যকর হবে এটা কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না। দুইশ ৪ ঘণ্টার হরতাল নাশকতায় ৩০ জন মানুষকে জীবন দিতে হলো তাতে কী সমস্যার সমাধান হয়েছে? শতাধিক মানুষকে পোড়ানো হয়েছে।
প্রধান দুই দলের বিরোধে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দলকে সমঝোতায় রাজি করানোর চেষ্টার অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বৈঠকে বসবেন। কিন্তু তিনি কী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কৌশল বুঝতে সক্ষম হবেন? শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারাও খালেদার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন কিন্তু ফলাফল শূন্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারের তরফ থেকে সংলাপের বিষয়ে উদ্যোগ বা সহযোগিতার কোনও অভাব নেই। পার্লামেন্ট অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। শুধু ধরে রেখেছি। উনারা যদি আসেন।ব্যবসায়ীরা তা চাইলেও হত্যা-সন্তাস জ্বালাও পোড়াও আমরা দেখেছি। সংবিধান অনুযায়ী দশম সংসদ নির্বাচন হবে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী ইতোমধ্যে 'নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা' গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এখনও বলে আসছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনও নির্বাচনেও তারা যাবে না। গতকালও প্রেসক্লাবে একথা আবারও উচ্চারণ করলেন তিনি।
- See more at: http://www.khabor.com/?p=12485#sthash.SpeCDRP7.dpufহরতালে দগ্ধ নাসিমার আর গার্মেন্টসে যাওয়া হল না
__._,_.___