ঐক্য পরিষদের সন্মেলন।। ৭ টি দেশের বক্তা ও প্রতিনিধির অংশগ্রহণ। ।
২০শে নভেম্বর ফরেন রিলেশন কমিটির হিয়ারিং: জে, কানসারা
বাংলাদেশ সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের কোন বিচার হয়না: জেনী
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ব ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ইউএসএ রোববার ১০ই নভেম্বর ২০১৩ সনিসাইড কমিউনিটি হলে 'বাংলাদেশে নির্বাচন: গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা' শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এতে ৭টি দেশ থেকে বক্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেয়। এরা হলেন: লেখক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিস মেডেলিন ব্রুকস, নিউইয়র্ক; হিন্দু আমেরিকান ফাউনদেশনের (হাফ)-এর জে, কানসারা, ওয়াশিংটন; সুইডিশ মডারেট পার্টির রাজনৈতিক মানবাধিকার কর্মী মেরী স্পিনারে; নেদারল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী মিস জেনী ল্যান্ডস্ট্রম; ইউরোপ হিন্দু ফোরামের সভাপতি মিস ভারতী টেইলার (লন্ডন); বাংলাদেশের রোজালিন কোস্টা; জাস্টিস ফর হিন্দুস নেতা মি: ভিনসেন্ট ব্রুনো; ভারতের যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের শিক্ষক ক্যাম্ব সভাপতি ড: মোহিত রায়, ইউরোপীয় ঐক্য পরিষদের সভাপতি তরুণ চৌধুরী (সুইডেন), চিত্রা পাল (সুইডেন); সরোজ দাশ, সাধারণ সম্পাদক, কানাডা ঐক্য পরিষদ (মন্ট্রিল, কানাডা) ও অন্যান্যরা। সভাপতিত্ব করেন নবেন্দু দত্ত। পরিচলনা করেন প্রদীপ দাশ। এতে শিতাংশু গুহ-এর সম্পাদনায়'Bangladesh: A Portrait of Covert Genocide', 3rd edition নামে একটি চমত্কার ডকুমেন্টারী প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচনের আগে বা পরে বা অন্য যে কোন ইস্যুতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবীতে এ অনুষ্ঠানে সেমিনার; চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি স্থান পায়। দু'শ মানুষ মন্ত্রমুদ্বের মত এ সেমিনারে বক্তাদের কথা শুনেন। প্রথমে শাহরিয়ার কবীরের 'আলটিমেট জ্বিহাদ' দেখানো হয়। এরপর শুরু হয় সেমিনার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রতন বড়ুয়া। তারপর একের পর এক বক্তা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। ঐক্য পরিষদ একটি স্লাইড শো-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে।
নেদারল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী মিস জেনী ল্যান্ডস্ট্রম'কালচার অব ইম্পিউনিটি'শীর্ষক আর একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী করে দেখান যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচার করে সহজেই পার পাওয়া যায়;কোন বিচার হয়না। তিনি বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনা ও অত্যাচারের বর্ণনা করেন। তিনি জানান যে, রামুর ঘটনার পর তিনিবাংলাদেশে যান এবং তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সমস্যার ব্যাপারে কিছু সমাধন তিনি তুলে ধরেন।
ওয়াশিংটন হাফ-এর জে, কানসারা বলেন, আপনারা White House-এর যে বিশাল সমাবেশ করেছেন তার ফলশ্রুতিতে এ মাসের ২০ তারিখ হাউজের ফরেন রিলেসেনস কমিটির এশিয়া বিভাগে 'বাংলাদেশের হিন্দুদের নির্যাতনের বিষয়ে একটি হিয়ারি' হচ্ছে।' আপনারা সবাই এতে অংশ নিয়ে আপনাদের করুন কাহিনী সবাইকে জানান। তিনি জানান, হাফ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
লন্ডনের মিস টেইলর বলেন, তারা বাংলাদেশে প্রতিদিন মন্দির ভাঙ্গার ব্যাপারে এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রশ্নে উদ্বিগ্ন এবং বিষয়টি নিয়ে শিগগিরিই আলোচনায় বসবেন(তার বক্তব্য সংযুক্ত হলো)। সুইডেনের রাজনীতিক মেরী স্পিনারে বলেন, কেন হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা হবে? কেন হিন্দুদের নির্যাতন করা হবে? তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি এখন থেকে সোচ্চার হবেন (তার বক্তব্য সংযুক্ত হলো)।
ইউরোপীয় ঐক্য পরিষদের সভাপতি তরুণ চৌধুরী; কানাডার ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরোজ দাশ ও অন্যান্যরা বলেন, সাথিয়ার ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত সবাই জড়িত। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে কারো হাতই পরিস্কার নয়। বক্তারা বলেন, আমরা ব্লেমগেম চাইনা ; সমস্যার সমাধান চাই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত সবাই বলুক তারা সংখ্যালঘুদের জন্যে কি করবেন। আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটের ঐক্য পরিষদের নেতারাও এতে অংশ নেন।
সেমিনারের পরে রতন বড়ুয়ার সন্মানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চন্দন সেনগুপ্ত। পরিচলনা করেন বিষ্ণু গোপ। এতে প্রায় ৫০ জন বক্তৃতা করে রতনদার প্র্রতি গভীর শ্রদ্বা প্রদর্শন করেন। এটি একটি আবেগঘন অনুষ্ঠানে পরিনত হয়। ক্যাম্ব ঐক্য পরিষদকে এর কর্মকান্ডের জন্যে সন্মাননা জানায় এবং রতন বড়ুয়ার হাতে একটি চমত্কার ক্রেস্ট তুলে দেয়। এছাড়াও ঐক্য পরিষদের আরো ৫ নেতাকে সন্মাননা জানিয়ে উত্তরীয় প্রদান করে; এরা হলেন চন্দন সেনগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তী, প্রদীপ দাশ, বিষ্ণু গোপ ও সুশীল সাহা। অনুষ্ঠানে উমাকান্ত শর্মার অসমীয়া নভেল 'সিমসন্গের দু'টি পার'-এর বাংলা অনুবাদ গ্রন্থের উদ্বোধন ও মড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলা অনুবাদ করেন মানস রায় এবং মোড়ক উন্মোচন করেন ড: টমাস দুলু রায়।
__._,_.___