বিএনপি না এলে কি নির্বাচন একদলীয় হবে?
ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টির দুই অংশ, ইসলামী ঐক্যজোট, তরিকত পার্টি ইত্যাদি ডান ও বামের অধিকাংশ দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে এই নির্বাচনকে ১৯৯৬ সালের মতো একদলীয় নির্বাচন বলা যাবে কিভাবে?
"বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে তা একদলীয় নির্বাচন হবে বলে কী করে প্রচারণা চালায় তা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির অগণ্য"।
ওরে আহাম্মক (ওরফে গাদ্ধার)! তুমি দোল কানা তাই নিজের মত করেই বুঝো. ১৯৭০ এর নির্বাচন এ ১০ টি মেজর পার্টি ছিল. এক ভাসানী NAP নির্বাচনে না গেলে কোনো ভাভেই এক দলীয় বা জোটের নির্বাচন হয়নি বা হত না. মনে রেখো ভাসানী NAP নির্বাচন করলে BAL কে কোনো ভাভেই ১৬৫ টি সিট পেত হতনা. এখন নির্বাচনে দুটি জোট, আর বাকিরা অব শূন্য. একটি জোট নির্বাচন না করলে কেন নির্বাচন সঠিক হবেনা নিশ্চয় বুঝতে পারছ.
Shahadat Suhrawardy
একটি বড় দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত নির্বাচন যে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়েছে তার প্রমাণ তো পাকিস্তান আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৭০ সালের নির্বাচন। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) ছিল একটি বড় দল। মওলানা ভাসানী তখন জীবিত এবং তিনি একজন সর্বপাকিস্তানী নেতা। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের উভয় অংশে সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হলে মওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জনের ডাক দেন। তাঁর সেøাগান ছিল 'ভোটের আগে ভাত চাই।' এই ন্যাপের সহযোগী একাধিক চীনপন্থী রাজনৈতিক দল ও গ্রুপ নির্বাচন বর্জনে সমর্থন জানায়।
এই সময় লাহোরের 'পাকিস্তান টাইমস'-এর মতো প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক প্রশ্ন তুলেছিল, ন্যাপ-ভাসানীর মতো একটি বড় দল, পাকিস্তানের দুই অংশেই যার শাখা এবং শক্তিশালী জনসমর্থন রয়েছে, সেই দল নির্বাচনে না এলে দেশের বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের জনমতের সঠিক প্রতিফলন কি ঘটবে নির্বাচনে এবং সেই নির্বাচনকে কি সকলের অংশগ্রহণের নির্বাচন বলা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে এখন এক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচন ছাড়া এই অচলাবস্থা দূর করার এবং দেশকে রক্ষা করার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এই অবস্থায় ভাসানী ন্যাপের মতো একটি বড় দলও যদি পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন না করে তুচ্ছ অজুহাতে নির্বাচন বর্জন করতে চায়, তাহলে কারো কিছু করার নেই। বাকি দলগুলোকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিয়ে দেশের ভবিষ্যত সঙ্কটমুক্ত করতে হবে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতো ২০১৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও এই যুক্তিটি প্রযোজ্য। দেশ এখন এমন এক সঙ্কটপূর্ণ অচলাবস্থায় মধ্য দিয়ে চলছে, যার শান্তিপূর্ণ সমাধান একটি সাধারণ নির্বাচন। তাতে সকলের অংশগ্রহণ কাম্য। কিন্তু কোন বড় দলও যদি তুচ্ছ অজুহাতে দেশকে সঙ্কটমুক্ত করার কাজে তাদের দায়িত্ব পালনে অংশ নিতে না চান, তাহলে তো আর সকলের পক্ষে বসে থাকা সম্ভব নয়। অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে এগিয়ে যেতে হবে। এই নির্বাচন যদি দেশের শতকরা ৫০ ভাগ ভোটদাতাকেও ভোট দিতে হাজির করা যায় তাহলে এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না কেন?
ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টির দুই অংশ, ইসলামী ঐক্যজোট, তরিকত পার্টি ইত্যাদি ডান ও বামের অধিকাংশ দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে এই নির্বাচনকে ১৯৯৬ সালের মতো একদলীয় নির্বাচন বলা যাবে কিভাবে?
"বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে তা একদলীয় নির্বাচন হবে বলে কী করে প্রচারণা চালায় তা আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির অগণ্য"।
ওরে আহাম্মক (ওরফে গাদ্ধার)! তুমি দোল কানা তাই নিজের মত করেই বুঝো. ১৯৭০ এর নির্বাচন এ ১০ টি মেজর পার্টি ছিল. এক ভাসানী NAP নির্বাচনে না গেলে কোনো ভাভেই এক দলীয় বা জোটের নির্বাচন হয়নি বা হত না. মনে রেখো ভাসানী NAP নির্বাচন করলে BAL কে কোনো ভাভেই ১৬৫ টি সিট পেত হতনা. এখন নির্বাচনে দুটি জোট, আর বাকিরা অব শূন্য. একটি জোট নির্বাচন না করলে কেন নির্বাচন সঠিক হবেনা নিশ্চয় বুঝতে পারছ.
Shahadat Suhrawardy
একটি বড় দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত নির্বাচন যে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হয়েছে তার প্রমাণ তো পাকিস্তান আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৭০ সালের নির্বাচন। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) ছিল একটি বড় দল। মওলানা ভাসানী তখন জীবিত এবং তিনি একজন সর্বপাকিস্তানী নেতা। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের উভয় অংশে সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হলে মওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জনের ডাক দেন। তাঁর সেøাগান ছিল 'ভোটের আগে ভাত চাই।' এই ন্যাপের সহযোগী একাধিক চীনপন্থী রাজনৈতিক দল ও গ্রুপ নির্বাচন বর্জনে সমর্থন জানায়।
এই সময় লাহোরের 'পাকিস্তান টাইমস'-এর মতো প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক প্রশ্ন তুলেছিল, ন্যাপ-ভাসানীর মতো একটি বড় দল, পাকিস্তানের দুই অংশেই যার শাখা এবং শক্তিশালী জনসমর্থন রয়েছে, সেই দল নির্বাচনে না এলে দেশের বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের জনমতের সঠিক প্রতিফলন কি ঘটবে নির্বাচনে এবং সেই নির্বাচনকে কি সকলের অংশগ্রহণের নির্বাচন বলা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে এখন এক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচন ছাড়া এই অচলাবস্থা দূর করার এবং দেশকে রক্ষা করার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এই অবস্থায় ভাসানী ন্যাপের মতো একটি বড় দলও যদি পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন না করে তুচ্ছ অজুহাতে নির্বাচন বর্জন করতে চায়, তাহলে কারো কিছু করার নেই। বাকি দলগুলোকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিয়ে দেশের ভবিষ্যত সঙ্কটমুক্ত করতে হবে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মতো ২০১৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও এই যুক্তিটি প্রযোজ্য। দেশ এখন এমন এক সঙ্কটপূর্ণ অচলাবস্থায় মধ্য দিয়ে চলছে, যার শান্তিপূর্ণ সমাধান একটি সাধারণ নির্বাচন। তাতে সকলের অংশগ্রহণ কাম্য। কিন্তু কোন বড় দলও যদি তুচ্ছ অজুহাতে দেশকে সঙ্কটমুক্ত করার কাজে তাদের দায়িত্ব পালনে অংশ নিতে না চান, তাহলে তো আর সকলের পক্ষে বসে থাকা সম্ভব নয়। অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে এগিয়ে যেতে হবে। এই নির্বাচন যদি দেশের শতকরা ৫০ ভাগ ভোটদাতাকেও ভোট দিতে হাজির করা যায় তাহলে এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না কেন?
__._,_.___