Banner Advertiser

Tuesday, November 19, 2013

[mukto-mona] এই কাণ্ডকীর্তি লজ্জাকর



এই কাণ্ডকীর্তি লজ্জাকর

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:৩০, নভেম্বর ২০, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ সংবিধান যে প্রধানমন্ত্রীকেই সর্বেসর্বা করেছে, 'সর্বদলীয় সরকার' গঠনের প্রক্রিয়ায় নতুন করে তা সবার নজর কেড়েছে। ১১ নভেম্বর মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ দিয়ে নাটকের শুরু।

টানা নয় দিন ধরে চলছে রুদ্ধশ্বাস নাটক। কবে নতুন সরকার হবে, তা না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় যান। আবার পতিত স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের মনোনীত একজনকে উপদেষ্টা ও পাঁচজনকে হঠাৎ মন্ত্রী নিয়োগ দেন। এর মধ্যে শহীদ নূর হোসেন ও ডা. মিলনের আত্মত্যাগের দিনগুলোতে জনগণের স্মৃতিতে এক বিতর্কিত সাবেক 'ফার্স্ট লেডি'ও আছেন। সাংসদ হয়ে যিনি গত পাঁচ বছরে তাঁর এলাকায় একটিবারের জন্যও যাননি।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতনের পরে এই প্রথম জাতীয় পার্টির (জাপা) এত বিপুলসংখ্যক মন্ত্রী একসঙ্গে শপথ নিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন হবে। কিন্তু সকালে প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন বরগুনায়। ফিরলেন সন্ধ্যায়। কে থাকবেন, কে বাদ যাবেন—এ নিয়ে দিনভর গুজব-গুঞ্জন চলল। কেউ কিছু জানেন না। একজনই জানেন। সংসদ রেখে নির্বাচন করার ক্ষণগণনা হবে ২৭ অক্টোবর থেকে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এটা হবে ২৫ অক্টোবর থেকে। তাই হলো। পদত্যাগমাত্রই তা কার্যকর হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বললেন, না, হবে না। তিনি যখন বলবেন তখন হবে। এখন আবার নির্বাচনকালীন সরকারকে 'সর্বদলীয় সরকার' বলতে হবে। বাস্তবে তাই হচ্ছে।

বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় এখন তিন ধরনের মন্ত্রী আছেন। একমাত্র নির্ভেজাল মন্ত্রী হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কাছে জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও আছে। তত্ত্বাবধায়ক আমলের নির্বাচনকালে প্রতিরক্ষার দায়িত্ব যেত রাষ্ট্রপতির কাছে। এবার এটা শেখ হাসিনার হাতেই আছে। দ্বিতীয় ধরনের মন্ত্রী হলেন 'পদত্যাগী মন্ত্রী'। একজন নিয়মিত প্রধানমন্ত্রী ও ৫৮ জন পদত্যাগী মন্ত্রী নিয়ে বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। পদত্যাগী মন্ত্রীদের নিয়ে গত রোববার একটি বৈঠকও হয়েছে। এসবই নতুন ইতিহাস।

অবশ্য মন্ত্রিসভা নিয়ে এর আগে সোহেল তাজ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও নতুন ইতিহাস গড়েছেন। তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাজ পদত্যাগ করলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। গণপদত্যাগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা 'অভিপ্রায়' ব্যক্ত করেছেন। যদিও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় হলো, 'অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেই চলবে। এটা তূণ থেকে তির বেরিয়ে যাওয়া। বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যাওয়া। আর ফেরত চলে না।' কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একে প্রকারান্তরে না বলছেন। সবাই জানেন, সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি।

ড. তুহিন মালিক এর বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন। মন্ত্রিসভা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন হাজির করল। তাতে পদত্যাগ শব্দটিই নেই। লেখা আছে, প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেছেন। মি. সেনগুপ্ত এবারে বাদ পড়লেও তাঁর সান্ত্বনা আছে। আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ গতকাল এক দিনের জন্য হলেও তাঁর সঙ্গে একই কাতারে ছিলেন। তাঁরা তৃতীয় ধরনের মন্ত্রী। নবনিযুক্ত মন্ত্রী অথচ দপ্তরবিহীন। এঁরা উজিরে খামোখা।

এমন একটি গোলমেলে অবস্থাকে যদি আরও ঝুলিয়ে রাখা হয়, তাহলেও অসুবিধা নেই। কারণ, অনেকেই মনে করেন, এ দেশে সবকিছুই সম্ভব। কারণ, প্রধানমন্ত্রীই সবকিছু। সবাই শুধু তাঁরই মুখাপেক্ষী। সর্বদলীয় সরকারে নতুন আটজন মন্ত্রীর যোগদানে নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ ও ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন নেই। নির্বাচন কমিশনেরও কোনো মাথাব্যথা নেই।

১৫তম সংশোধনীতে সুযোগ পেয়েও শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের নির্বাহী ক্ষমতা দেননি। শতভাগ নিজের হাতেই রেখেছেন। একা ভোগ করবেন। এখন এর সুফল পাচ্ছেন। মহাজোট দিয়ে একটি মহাজোক করতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মিত্ররা অবশ্য বলছেন, এই ক্ষমতা নতুন কি? বাহাত্তর থেকেই তো আছে!

শপথ গ্রহণের পর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপিকে আনতে রুলস অব বিজনেস পরিবর্তন করার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবিধানমতে, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী একা একদিকে আর ২৯ কি ৩৯ হোক, একদিকে। সব মন্ত্রীর নেওয়া যেকোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত তিনি উড়িয়ে দিতে পারবেন। কারণ, এই রাষ্ট্রের সংবিধানসহ সকল বিধিবিধান সেভাবেই তৈরি করা। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্র, সংসদ, সরকারসহ সবকিছুর একমাত্র জিম্মাদার। নির্বাচনের জন্য প্রভাব ফেলে—এমন সব ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। অনেক সময় মন্ত্রীরা জানবেনও না। তাঁরই মন্ত্রণালয়ের বিষয় প্রধানমন্ত্রী ওপর থেকে চাপিয়ে দেবেন। এবং সেটাই হবে শেষ কথা।

মন্ত্রীরা কোনো সচিব বা ডিসি-এসপিদের বদলি করতে পারবেন না। রাশেদ খান মেনন ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ যেমনটা দাবি করছেন, সেভাবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় এজেন্ডাভুক্ত করতে পারবেন না। কারণ, আইনে আছে, মন্ত্রিসভার আলোচনা কী হবে বা না হবে, তা প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট করবেন। সাবেক তিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাইরে মন্ত্রিসভায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই।

একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ভোগ করেছিলেন ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। দুই নেত্রীর সঙ্গে সমঝোতার জন্য এক মন্ত্রী (উপদেষ্টা) দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়ে একটি লিখিত ম্যান্ডেটে ১০ মন্ত্রী সই দেন। তাঁদের পীড়াপীড়িতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীও (প্রধান উপদেষ্টা) সই দেন। পরে মন্ত্রীরা দৃশ্যত সমঝোতায় সফল হন। কিন্তু ইয়াজউদ্দিন তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের এখতিয়ারে তা ভন্ডুল করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেন, সংবিধানের দিক থেকে এখন অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। কারণ, প্রধান উপদেষ্টার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আরও বেড়েছে।

ত্রয়োদশ সংশোধনীর ৫৮খ অনুচ্ছেদের ৩ দফার ১ উপদফায় বলা ছিল, নির্বাচনকালে 'প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে এবং নির্দলীয় সরকারের পরামর্শে তা প্রযুক্ত হবে।' শেখ হাসিনা এই বিধানটিও সংবিধান থেকে মুছে ফেলেন। এখন তাই নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের মেয়াদে সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ কার্যকর থাকবে। এই অনুচ্ছেদ বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তাঁহার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হইবে।' একাধিক সাবেক উপদেষ্টা একমত যে, বিগত নির্বাচনকালে সংবিধানে নির্দিষ্টভাবে মন্ত্রীদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের একটি অধিকার দিয়েছিল। তবু ১০ মন্ত্রীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সরকারের সাবেক তিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান, সা'দত হুসাইন ও আলী ইমাম মজুমদার আলাপকালে বলেন, রুলস অব বিজনেসে প্রধানমন্ত্রীকে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে মন্ত্রীদের একচুলও নড়ার সুযোগ নেই।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা স্মরণ করেন যে, পাঁচ-ছয়জন সচিবের রদবদল নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বলেছিলেন, 'আপনারা আমার পছন্দের সচিবদের সরাতে চান। আপনাদের পছন্দের সচিবদের সরাতে চান না। তবে এটা কাটিয়ে উঠলেও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রশ্নে ইয়াজউদ্দিন অনড় অবস্থান নেন। এর পরই উপদেষ্টাদের গণপদত্যাগের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, একটি নির্বাচনী প্রশাসন ঢেলে সাজাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রদবদল গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। গত চারটি সাধারণ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাই বলে।

১৯৯৬ সালের রুলস অব বিজনেসের তিন দফায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয় সৃষ্টি থেকে শুরু করে তাতে কখন কতজন কীভাবে থাকবেন, তা শুধু প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট করবেন। প্রধানমন্ত্রী না চাইলে সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার সদস্য পরিচয়ে কেউ কোনো বাড়তি অধিকার খাটাতে পারবেন না।

এদিকে নির্বাচনী ৯০ দিনের সীমার ২৪ দিন চলে গেলেও মন্ত্রীদের আচরণের বিষয়ে গতকালও ইসি নতুন কিছু বলেনি। তার মানে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই সরকার দলীয় সরকারের মতোই আচরণ করে যাবে। সংসদ এখন তথাকথিত 'সর্বদলীয়' আইন উপহার দেবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সঙ্গে বাদবাকি দলীয় মন্ত্রীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে কোনো আইন হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে না। এমনকি নতুন শরিকেরা এ কথা বলে বিরাগভাজনও হবেন না।

রুলস অব বিজনেসের তফসিলে লেখা আছে, যুগ্ম সচিব ও তাঁর ওপরের সব পদে নিযুক্তদের নিয়োগ ও বদলির ফাইলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। অথচ এটা সংসদীয় রেওয়াজ নয়।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ভারতে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ পদগুলোতে নিয়োগ ও বদলি একটি কেবিনেট কমিটির সিদ্ধান্তে ঘটে।

আকবর আলি খান ও আলী ইমাম মজুমদার একমত যে, ৭০ জন মন্ত্রী একদিকে থাকলেও তা কখনো মন্ত্রিসভার বৈধ সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হওয়ার নয়। প্রধানমন্ত্রী একা যা বলবেন সেটাই বৈধ। কোনো সিদ্ধান্ত কখনো ভোটাভুটির ভিত্তিতে হয়নি। সুতরাং 'সর্বদলীয় সরকার' মানে ক্ষমতার ভাগাভাগিও নয়। হালুয়ারুটির ভাগ নেওয়ার শামিল বলে অনেকে মনে করেন।

রুলস অব বিজনেসে অনেক জরুরি বিষয় সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে যেকোনো কাজই চলতে পারে। অথচ মন্ত্রীরা সবাই মিলেও কোনো 'না'কে হ্যাঁ করতে পারবেন না। বিধিবহির্ভূত কোনো কাজ করে ফেলার পর শুধু প্রধানমন্ত্রীই তা মার্জনা করতে পারেন।

আকবর আলি খান স্মরণ করেন যে, বাংলাদেশে বলবৎ রুলস অব বিজনেস প্রধানত আইয়ুব খানের আমলে প্রবর্তিত রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকারপদ্ধতির আদলে তৈরি। দ্বাদশ সংশোধনী প্রবর্তনের পর সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে তাৎপর্যপূর্ণ কোনো পরিবর্তন আসেনি। সা'দত হুসাইন বলেন, ১৯৯১ সালের পরে মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রধান করা হয়। কিন্তু তাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিরঙ্কুশই থাকে।

ঢাকার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশ এ মুহূর্তে বিরাট একটা তামাশার মধ্যে পড়ে গেছে। সংসদীয় রীতিনীতি থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসা শাসকেরা ২০০৬ সালের পর আবারও বাংলাদেশকে ঠেলছে ছুরির ধারালো প্রান্তে। তথাকথিত 'সর্বদলীয়' সরকার গঠনের আজগুবি কাণ্ডকীর্তি দেখে সচেতন মানুষ পীড়িত এবং লজ্জিত।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___