ইউনূসের কৌশলে হতবাক সরকার
25 Dec, 2013
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপ আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন না পাওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করছে সরকার। গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে ড. ইউনূসের অব্যাহতির পরই বহির্বিশ্বের বিরাগভাজন হয় শেখ হাসিনা সরকার। একের পর এক হারাতে থাকে বিদেশী মিত্রদের। বাতিল হয় দাতা সংস্থার অর্থায়ন। এসবের জন্য সরকারের সন্দেহের তীর ড. ইউনূসের দিকে।
অর্থনৈতিক সামরিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রত্যাহারে সরকার যেমন ধরাশায়ী, তেমনি সহযোগিতা প্রাপ্তির জন্য ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক বিশ্বের অনুরোধ-উপদেশে শেখ হাসিনা হতবাক বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সূত্রমতে, সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের নেপথ্যে রয়েছে ড. ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক। মার্কিন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সংক্রান্ত মার্কিন নীতি ইউনূস প্রভাবিত। তাছাড়া জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমনওয়েলথেও গুরুত্ব পাচ্ছে ইউনূস প্রেসক্রিপশন।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে না যাওয়া, আগামী নির্বাচনে দেশগুলোর পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের পেছনে ড. ইউনূসের হাত আছে বলেও সন্দেহ করছেন সরকারের কয়েকজন নীতিনির্ধারক।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।
রোববার ৫৪ দেশের জোট কমনওয়েলথ এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। এর আগে ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এছাড়া চীন, জাপান, কানাডাসহ অনেক দেশ চিঠি না দিলেও মৌখিকভাবে কোনো ধরনের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা জানিয়েছে। সার্ক, বিমসটেক কিছু না জানালেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এসবের নেপথ্যে ড.ইউনূস কলকাঠি নাড়ছেন বলে সরকারি দলের নেতারা মনে করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের শীতল সম্পর্ক ও নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বিরোধীদলের পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূকেই দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ। তিনি প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, নোবেলজয়ী ড.ইউনূস দেশের গৌরব। কিন্তু তার দ্বারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়নি। তার দ্বারা দেশ উপকৃত হওয়ার কথা; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসতে চান। তাই ২০০৭ সালে নাগরিক শক্তি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লেগেছেন। বাংলাদেশের ব্যপারে বিদশীদের নেতিবাচক ধারণা তৈরিতে ইউনূস সাহেব অনেক কিছু করেছেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলে ড. ইউনূসকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের জন্য বিশেষ কারো হাত রয়েছে বলে তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য, কোনো এক ব্যাংকের এমডি পদের জন্য বিশ্বব্যাংক টাকা বন্ধ করে দেবে- একথা আমার কানে এসেছিল। অনেকেই আমাকে এ কথা বলেছিল।
সূত্রমতে, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে ক্ষমতায় বসাতে ড. ইউনুসের কার্যক্রম থেমে নেই। ইউনূসের কূটনৈতিক কৌশলে ধরাশয়ী আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে দেশে বিদেশে চাপে ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাকে 'অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ' নিতে চাচ্ছেন তিনি।
ড. ইউনূসের মধ্যস্থতায় বিএনপির কয়েক নেতার চলছে কূটনৈতিক পাড়ায় রহস্যজনক আরেক রাজনীতি। বিএনপির ওই নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেও তা বাস্তবায়নে মাঠে না নেমে ব্যস্ত থাকছেন ড. ইউনূসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গত রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। মধ্যস্থতায় ছিলেন ড. ইউনূস। দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন। বিএনপির পক্ষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে তিনি বলেন, মানুষ মনে করে ইউনূস দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত । জনগণের বিশ্বাসকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অর্থনৈতিক সামরিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রত্যাহারে সরকার যেমন ধরাশায়ী, তেমনি সহযোগিতা প্রাপ্তির জন্য ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক বিশ্বের অনুরোধ-উপদেশে শেখ হাসিনা হতবাক বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সূত্রমতে, সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের নেপথ্যে রয়েছে ড. ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক। মার্কিন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সংক্রান্ত মার্কিন নীতি ইউনূস প্রভাবিত। তাছাড়া জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমনওয়েলথেও গুরুত্ব পাচ্ছে ইউনূস প্রেসক্রিপশন।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে না যাওয়া, আগামী নির্বাচনে দেশগুলোর পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের পেছনে ড. ইউনূসের হাত আছে বলেও সন্দেহ করছেন সরকারের কয়েকজন নীতিনির্ধারক।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।
রোববার ৫৪ দেশের জোট কমনওয়েলথ এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়। এর আগে ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এছাড়া চীন, জাপান, কানাডাসহ অনেক দেশ চিঠি না দিলেও মৌখিকভাবে কোনো ধরনের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা জানিয়েছে। সার্ক, বিমসটেক কিছু না জানালেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এসবের নেপথ্যে ড.ইউনূস কলকাঠি নাড়ছেন বলে সরকারি দলের নেতারা মনে করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের শীতল সম্পর্ক ও নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বিরোধীদলের পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূকেই দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ। তিনি প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, নোবেলজয়ী ড.ইউনূস দেশের গৌরব। কিন্তু তার দ্বারা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়নি। তার দ্বারা দেশ উপকৃত হওয়ার কথা; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসতে চান। তাই ২০০৭ সালে নাগরিক শক্তি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লেগেছেন। বাংলাদেশের ব্যপারে বিদশীদের নেতিবাচক ধারণা তৈরিতে ইউনূস সাহেব অনেক কিছু করেছেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিলে ড. ইউনূসকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের জন্য বিশেষ কারো হাত রয়েছে বলে তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য, কোনো এক ব্যাংকের এমডি পদের জন্য বিশ্বব্যাংক টাকা বন্ধ করে দেবে- একথা আমার কানে এসেছিল। অনেকেই আমাকে এ কথা বলেছিল।
সূত্রমতে, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে ক্ষমতায় বসাতে ড. ইউনুসের কার্যক্রম থেমে নেই। ইউনূসের কূটনৈতিক কৌশলে ধরাশয়ী আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে দেশে বিদেশে চাপে ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাকে 'অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ' নিতে চাচ্ছেন তিনি।
ড. ইউনূসের মধ্যস্থতায় বিএনপির কয়েক নেতার চলছে কূটনৈতিক পাড়ায় রহস্যজনক আরেক রাজনীতি। বিএনপির ওই নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেও তা বাস্তবায়নে মাঠে না নেমে ব্যস্ত থাকছেন ড. ইউনূসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।
সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গত রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। মধ্যস্থতায় ছিলেন ড. ইউনূস। দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন। বিএনপির পক্ষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের আরেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে তিনি বলেন, মানুষ মনে করে ইউনূস দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত । জনগণের বিশ্বাসকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উৎসঃ প্রাইমনিউজ
__._,_.___