http://bdlive24.com/home/details/14458/
সেইতো চুন খসালি, তবে কেন লোক হাসালি!
বিডিলাইভ ডেস্ক: বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার, তাও কিনা বিনা শর্তে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে! বিএনপির এই 'রাজনৈতিক বোধদয়' যদি সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে হত তা হলে তা বিএনপি এবং দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনত, তাতে এত যান-মালের ক্ষতি হতনা বা বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে এমন 'দেওলিয়া' হতে হত না। তাই বলছিলাম 'সেইতো চুন খসালি, তবে কেন লোক হাসালি'!
তবে বিএনপির বোধোদয় হলেও তাদের তল্পিবাহক সুশীলদের কিন্তু তা হয়নি। সেই ভাঙ্গা পুরানো রেকর্ডের মত গলাবাজি করেই যাচ্ছে, বলছে বর্তমান সরকার নাকি অবৈধ, মাত্র ৫% লোক নাকি ভোট দিয়েছে। তাই যদি হত তা হলেতো ৯৫% এর বিরোধী দল, ৫% এর অবৈধ সরকারী দলকে বালির বাধের মত গুড়িয়ে দিত এতদিনে! কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখছি? আন্দোলন তো দুরের কথা, তাদের কথা মত অবৈধ সরকারের সাথে বিনাশর্তে 'মধ্যবর্তী' নির্বাচনের জন্য আলোচনায় বসতে পাগল হয়ে গেছে তারা, সরকারকে রাজি করাতে বিদেশী প্রভুদের দারস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত !
গত নির্বাচনে মন থেকে নয়, ভীত শন্ত্রস্ত হয়ে অনেকে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত যে ভাবে নিরীহ জনসাধারণের উপর পৈশাচিক তান্ডবলীলা চালিয়েছিল তাতে অনেকের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তার পরেও ভোট কিন্তু কম পরেনি, প্রায় ৪০% লোক গত নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে যা অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ছিল বেশী। জনসাধারণ যখন মন থেকে কোনো নির্বাচন বর্জন করে তখন সেই জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে হটাতে তারা এমনিতেই রাস্তায় নেমে পরে আর সরকারও কিছু দিনের মধ্যে 'তাসের ঘরের মত' ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যা আমরা দেখেছিলাম ১৯৯৬ এ বিএনপি সরকারের ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর পরই। মাত্র দুই মাসের মধ্যে সেই সরকার বিদায় নিয়েছিল! কিন্তু এবার তার কোনো লেশ মাত্র দেখতে পাচ্ছিনা। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সরোওয়ার্দি উদ্যানে জনসভা করেও খালেদা জিয়া লোক সমাগম করতে পারেনি! যাও হয়েছিল তার ৩০% ছিল ছদ্দবেশধারী জামাত-শিবির কর্মী।
পচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর থেকে ২০০১ পর্যন্ত 'ইসলাম গেলো আর ভারতীয় জুজুর ভয়' দেখিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশের ধর্মপ্রধান নিরীহ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছিল, সামরিক বাহিনীর প্রভাব আর জাল ভোটের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতায় গিয়েছিলো। বিএনপি এখনো সেই পথ ধরে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, কর্নেল ফারুক-রশিদ দের মত পাকিস্তানি এজেন্টরা এখন আর আর্মিতে নেই, মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এখন ভীষণ সচেতন। '৭১ এর নরপিসাচদের বিচারে দেশের ৯৫% মানুষ আজ একতাবদ্ধ। তাই বিএনপিকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। না হলে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি প্রকান্তরে এদেশের রাজনীতিতে ৫% হয়ে যাবে!
নির্বাচনের পর পরই পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়ে বিএনপি-জামাতিরা "উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ের মত" তা আওয়ামী লীগের উপর চাপাচ্ছে ! বরাবরের মত সাথে সাথে না করে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করে তারা এই দোষারোপটি করছে। বিএনপি-জামাতি ক্যাডাররা চতুরতার সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে এই পৈশাচিক বর্বরতা চালিয়ে তা সরকারী দলের উপর চাপাচ্ছে আর স্বাধীনতা বিরোধীদের তল্পিবাহক মিডিয়াগুলো পরিকল্পিতভাবে তা ফলাও করে প্রচার করছে।
কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হচ্ছেনা, বিএনপি-জামাতিদের চেয়ে দেশের মানুষ আজ বেশি 'রাজনৈতিক সচেতন'! আর এটাই কাল হয়েছে বিএনপির জন্য। তাই এখন দল হিসাবে টিকে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাচনে বিনা শর্তে অংশগ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাইতো বলছিলাম "সেইতো চুন খসালি, তবে কেন লোক হাসালি"!
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু,
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, বিডিলাইভ/আরএস/
তবে বিএনপির বোধোদয় হলেও তাদের তল্পিবাহক সুশীলদের কিন্তু তা হয়নি। সেই ভাঙ্গা পুরানো রেকর্ডের মত গলাবাজি করেই যাচ্ছে, বলছে বর্তমান সরকার নাকি অবৈধ, মাত্র ৫% লোক নাকি ভোট দিয়েছে। তাই যদি হত তা হলেতো ৯৫% এর বিরোধী দল, ৫% এর অবৈধ সরকারী দলকে বালির বাধের মত গুড়িয়ে দিত এতদিনে! কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখছি? আন্দোলন তো দুরের কথা, তাদের কথা মত অবৈধ সরকারের সাথে বিনাশর্তে 'মধ্যবর্তী' নির্বাচনের জন্য আলোচনায় বসতে পাগল হয়ে গেছে তারা, সরকারকে রাজি করাতে বিদেশী প্রভুদের দারস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত !
গত নির্বাচনে মন থেকে নয়, ভীত শন্ত্রস্ত হয়ে অনেকে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত যে ভাবে নিরীহ জনসাধারণের উপর পৈশাচিক তান্ডবলীলা চালিয়েছিল তাতে অনেকের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তার পরেও ভোট কিন্তু কম পরেনি, প্রায় ৪০% লোক গত নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে যা অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ছিল বেশী। জনসাধারণ যখন মন থেকে কোনো নির্বাচন বর্জন করে তখন সেই জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে হটাতে তারা এমনিতেই রাস্তায় নেমে পরে আর সরকারও কিছু দিনের মধ্যে 'তাসের ঘরের মত' ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যা আমরা দেখেছিলাম ১৯৯৬ এ বিএনপি সরকারের ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর পরই। মাত্র দুই মাসের মধ্যে সেই সরকার বিদায় নিয়েছিল! কিন্তু এবার তার কোনো লেশ মাত্র দেখতে পাচ্ছিনা। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে সরোওয়ার্দি উদ্যানে জনসভা করেও খালেদা জিয়া লোক সমাগম করতে পারেনি! যাও হয়েছিল তার ৩০% ছিল ছদ্দবেশধারী জামাত-শিবির কর্মী।
পচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর থেকে ২০০১ পর্যন্ত 'ইসলাম গেলো আর ভারতীয় জুজুর ভয়' দেখিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশের ধর্মপ্রধান নিরীহ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছিল, সামরিক বাহিনীর প্রভাব আর জাল ভোটের মাধ্যমে বার বার ক্ষমতায় গিয়েছিলো। বিএনপি এখনো সেই পথ ধরে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, কর্নেল ফারুক-রশিদ দের মত পাকিস্তানি এজেন্টরা এখন আর আর্মিতে নেই, মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এখন ভীষণ সচেতন। '৭১ এর নরপিসাচদের বিচারে দেশের ৯৫% মানুষ আজ একতাবদ্ধ। তাই বিএনপিকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। না হলে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি প্রকান্তরে এদেশের রাজনীতিতে ৫% হয়ে যাবে!
নির্বাচনের পর পরই পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর তান্ডবলীলা চালিয়ে বিএনপি-জামাতিরা "উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ের মত" তা আওয়ামী লীগের উপর চাপাচ্ছে ! বরাবরের মত সাথে সাথে না করে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করে তারা এই দোষারোপটি করছে। বিএনপি-জামাতি ক্যাডাররা চতুরতার সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে এই পৈশাচিক বর্বরতা চালিয়ে তা সরকারী দলের উপর চাপাচ্ছে আর স্বাধীনতা বিরোধীদের তল্পিবাহক মিডিয়াগুলো পরিকল্পিতভাবে তা ফলাও করে প্রচার করছে।
কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হচ্ছেনা, বিএনপি-জামাতিদের চেয়ে দেশের মানুষ আজ বেশি 'রাজনৈতিক সচেতন'! আর এটাই কাল হয়েছে বিএনপির জন্য। তাই এখন দল হিসাবে টিকে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাচনে বিনা শর্তে অংশগ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাইতো বলছিলাম "সেইতো চুন খসালি, তবে কেন লোক হাসালি"!
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু,
ডা : মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, বিডিলাইভ/আরএস/
__._,_.___