Banner Advertiser

Wednesday, January 8, 2014

[mukto-mona] সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে মন্দিরে হামলা অব্যাহত : জয়পুরহাটে আতঙ্কে একজনের মৃত্যু




সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে মন্দিরে হামলা অব্যাহত : জয়পুরহাটে আতঙ্কে একজনের মৃত্যু
সংবাদ ডেস্ক
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ভাঙচুর শুরু করে। গতকাল জয়পুরহাটে হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে আতঙ্কে হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন সুজেন দাস। নেত্রকোনায় কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নাটোরে হিন্দু পরিবারের খড়ের গাদায় আগুন দেয়া হয়। নওগাঁর রানীনগরে কয়েকটি হিন্দু পরিবারের খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবারও জয়পুরহাটে আরেকজন সংখ্যালঘু আতঙ্কে মারা গিয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন থেকে ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, যশোরের অভয়নগরে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা-অগি্নসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নিরাপত্তাহীনতায় ঠাকুরগাঁওয়ের হিন্দুরা মন্দিরে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ফিরে আসে গ্রামে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এসব হামলায় আতঙ্কে দিনযাপন করছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ ও দোষীদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। জয়পুরহাট পাঁচবিবি প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাটের ৩টি স্থানে জামায়াত-শিবির আগুন দিয়েছে। এরমধ্যে ২টি সংখ্যালঘু অঞ্চলে। নিজেদের খরের গাদায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কে মারা গেলেন সুজেন দাস নামে এক ব্যক্তি।

জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের সোনাকুল গ্রামে জিতেন্দ্রনাথ দাসের খরের গাদায় আগুন দেয় জামায়াত-শিবির। আগুনের লেলিহান শিখা বাড়ির ভেতর থেকে দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকেরা বাইরে আসে। এ সময় জিতেন্দ্রনাথ দাসের ভাই সুজেন দাস (৫৮) অন্যদের সঙ্গে বাইরে এসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সুজেন দাসের মৃত্যুতে ওই এলাকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। একই রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব পারুলিয়ার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামের সুকুমার দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে গোটা বাড়ি ভস্মিভূত হয়। পুলিশ সুপার হামিদুল আলম ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ ম-ল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের বটতলা গ্রামের অনিল বিশ্বাসের বাড়ির কালী মন্দিরে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে আগুন দিলে বুধবার সকালে অনিল বিশ্বাস মন্দিরে গিয়ে দেখেন আগুনে দুটি প্রতিমার চুল পুড়ে গেছে, একটি প্রতিমার হাত ভাঙা। পরে পুলিশে খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ছতরভাগ গ্রামে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচ আওয়ামী লীগ কর্মীর বাড়ি ও সিংড়া উপজেলার দিঘলগ্রামের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ৪টি খড়ের গাদা। মঙ্গলবার গভীর রাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। 

ফায়ার ব্রিগেড, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতের কোন একসময় নলডাঙ্গা উপজেলার ছতরভাগ গ্রামের সোহেল, গিয়াস, সেন্টু, আসাদুল ও বাক্কারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। আগুন ধরে উঠলে বাড়ির লোকজন টের পান। পরে গ্রামের লোকজন ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা। নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ করার অপরাধেই ছতরভাগ গ্রামের ৪ জন কর্মীর বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে এ নাশকতা ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই।

অপরদিকে একই রাতে সিংড়া উপজেলার দিঘলগ্রামের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের মুক্তিযোদ্ধা বিনয় কুমার সরকার, শিবেন চন্দ্র সরকার, চঞ্চল কুমার ও গৌড় চন্দ্রের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে নাটোর ফায়ার ব্রিগেড অফিসে বিষয়টি জানালে ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা এসে আগুন নেভায়। ক্ষতিগ্রস্ত দিঘল গ্রামের চঞ্চল কুমার জানান, গত ৫ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কারণে কেউ তাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার দুপুর ২টার দিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাফর উল্লাহ ও জেলা পুলিশ সুপার ড. নাহিদ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। 

নাটোরের পুলিশ সুপার ড. নাহিদ হোসেন আগুন ধরার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ কোন মামলা করেননি।

রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর রানীনগরে একই রাতে একটি তুলা বোঝাই গাড়ি ও সংখ্যালঘু পরিবারসহ ১১টি খড়ের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম খট্রেশ্বর চকাদিন গ্রামে ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে কতিপয় দুর্বৃত্তর রাতের আঁধারে কুবড়াতলি এলাকার রেজাউলের তুলার মিলের পাশ্র্বে রাখা তুলা বোঝায় একটি ভুটভুটিতে,পশ্চিম খট্রেশ্বরের আলহাজ আবদুর রাজ্জাকের ২টি, তাজিমুদ্দিনের ১টি, আবুলের ১টি, মোসাদ্দেকের ২টি, শ্রী চরণের ১টি, গোপী মোহনের ১টি, প্রাণ চরণের ১টি ও সদাশ্রী চরণের ২টিসহ ১১টি খড়ের পালায় আগুন দিয়ে চলে যায়। এতে সব পালা ও তুলার গাড়ি পুড়ে ছাই হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) ছামছুর রহমান জানান, রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে তুলা বোঝাই ভটভটি ও খড়ের পালাগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। - 
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ পৌষ ১৪২০, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৪
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৪, ২৬ পৌষ ১৪২
জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের রুখে দাঁড়ানোর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতনসহ সারাদেশে নারকীয় তা-ব সৃষ্টিকারী মৌলবাদী অপশক্তি জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিক সমাজ। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি। উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীসহ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধেরও দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ' আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি ওঠে। 'মৌলবাদ রুখে দাও-রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ' এই সেøাগানে কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। 
একই দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, কর্মজীবী নারীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। বিবৃতি দিয়েছে দেশের বিশিষ্টজনরা। 
সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর ও দিনাজপুর, মনিরামপুর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, ধর্মীয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। হামলার শিকার হয়ে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অসহায় হাজারো মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষের ওপর ধারাবাহিক হামলায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রেই নির্বিকার। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। গ্রেফতার হচ্ছে না প্রকৃত অপরাধীরা। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত-শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। 
সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চের সংগঠক ও পিটিবিনিউজ২৪.কম এর প্রধান সম্পাদক আশীষ কুমার দে'র সভাপতিত্বে ও দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রাজন ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সংহতি বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেনÑ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, দৈনিক জনতার সম্পাদক আহসানউল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক অর্থ সম্পাদক সিদ্দীকুর রহমান, পিটিবিনিউজ২৪.কম-এর সহযোগী সম্পাদক তুসার রেহমান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি এনায়েত ফেরদৌস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তপন বিশ্বাস, সাংবাদিক ফিরোজ মান্না প্রমুখ। এছাড়া কর্মসূচীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসানুজ্জামান তরুণ, জিটিভির প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ, সাংবাদিক মোরসালিন মিজান, সাজ্জাদ হোসেন, আজিজুল পারভেজ, শেখ মামুনুর রশীদ, শফিকুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, তৌহিদুর রহমান, অপূর্ব কুমার, রহিম শেখ, রতন বালো, নিজামুল হক বিপুল, পরিতোষ কুমার রায় তুষার, শাহীন রহমান, আহমেদ রাকিব, আবু সালেহ রনি, এম শাহজাহান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যখনই দেশে জাতীয় নির্বাচন কিংবা রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয় তখনই প্রথম হামলার শিকার হয় এদেশের ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। এবারের দশম সংসদ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র এসব দুর্বৃত্তের আগেভাগে প্রতিহত করতে না পারায় ভোটগ্রহণের দিন থেকে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে নারকীয় তা-বে মেতে ওঠে। যার শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান সাংবাদিকরা। পাশাপাশি সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়েছে সমাবেশ থেকে। 
প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতাÑ সুরঞ্জিত ॥ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে না পারা প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, যৌথ ও সামরিক বাহিনী মাঠে থাকার পরও নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ কেন প্রতিহত করা গেল না বিষয়টি স্বচ্ছ নয়। বুধবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে 'ঠিকানা বাংলাদেশ' আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সুরঞ্জিত অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত মিলে বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করেছে। এ দায় শুধু সরকার আর প্রশাসনকে দিলে চলবে না, আমরা যারা প্রগতিশীল রাজনীতি করি তাদেরও নিতে হবে। তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচারের জন্য বিশেষ আইন করার আহ্বান জানান। 
নির্যাতনকারীদের এখনই প্রতিহত 
করুনÑবিএফইউজে ॥ সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের এখনই প্রতিহত না করা গেলে আইএসআইয়ের অর্থে তারাই একদিন সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনপরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএফইউজে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা দেশের সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশী ভাবতে পারিনি। অবহেলায় দূরে সরিয়ে রেখেছি। আর এ সুযোগে ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী একটি দল এসব সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন এ দলটি আইএসআইয়ের অর্থ সহযোগিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত হবে। সেদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থেকে মুছে যাবে তারা। নির্বাচনকালে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ব্যর্থতা নির্বাচন কমিশনের মন্তব্য করে বিএফইউজের সভাপতি বলেন, তাদের দায়িত্ব ছিল নির্বাচনকালে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি গভীরভাবে নজরে রাখা। কিন্তু তারা এটা করেনি। তাই এ হামলার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন।
সংখ্যালঘুদের সংখ্যালঘু হিসেবে দেখতে নারাজ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
একই মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, দেশকে পাকিস্তানের রাহুমুক্ত করতে সংখ্যালঘুরাও বাঙালিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। বুকের তাজা রক্ত বিসর্জন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তাই সংখ্যালঘুদেরও বাঙালীদের মতো দেশের সমান অধিকার রয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজের মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সভাপতি ড. উৎপল সরকার, ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব মোঃ শাহজাহান মিয়া, আলতাফ মাহমুদ, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোল্লা জালাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। বুধবার 'বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও' সংগঠনের ব্যানারে এগারোজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির পাশাপাশি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আক্রমণ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, দোকান ও মন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে।' সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও সম্পদ লুটপাটের জন্য জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীদের দায়ী করে 'বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও' সংগঠনের ব্যানারে আক্রান্ত অঞ্চলসমূহ পরিদর্শনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, এমিরটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক, ড. আকবর আলী খান, সুলতানা কামাল, কামাল লোহানী, ডা. সারওয়ার আলী, আবেদ খান, জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, রানা দাশগুপ্ত, রামেন্দু মজুমদার ও এমএম আকাশ। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কর্মজীবী নারী। সংগঠনের প্রধান শিরিন আখতারের সভাপতিত্বে শতাধিক নারী সমাবেশে উপস্থিত হন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদম ফোরায়া হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৪, ২৬ পৌষ ১৪২

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/117616/রুখে_দাঁড়াও_বাংলাদেশ

Related:

মালোপাড়া অভিমুখে ১০ ও ১১ জানুয়ারি গণজাগরণের রোড মার্চ

মালোপাড়া অভিমুখে ১০ ও ১১ জানুয়ারি গণজাগরণের রোড মার্চ


চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর
নির্বাচনের পর দিনাজপুরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। ভোটদানে অংশ নেয়ার অপরাধে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা দিনাজপুরের... বিস্তারিত

NPR: Deadly Violence Mars Elections In Bangladesh
January 06, 2014 2:02 PM

Bangladeshi protesters burn election material Sunday at a polling station in the northern town of Bogra.

Bangladeshi protesters burn election material Sunday at a polling station in the northern town of Bogra.              AFP/Getty Images

http://www.npr.org/blogs/thetwo-way/2014/01/06/260179101/deadly-violence-mars-elections-in-bangladesh

Low Turnout in Bangladesh Elections Amid Boycott and Violence

Reuters

An activist with the governing Awami League was attacked by men with the Bangladesh National Party and its ally the Jamaat-e-Islami on Sunday in Rajshahi, about 150 miles west of Dhaka.

By 

Published: January 5, 2014
http://www.nytimes.com/2014/01/06/world/asia/boycott-and-violence-mar-elections-in-bangladesh.html

চাঁপাতলায় শুধুই কান্না



রাজীব নূর ও মাসুদ আলম, অভয়নগর (যশোর) থেকে | আপডেট: ০৩:১০, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
      

খাবারের জন্য কাঁদছে শিশু বিপাশা বর্মণ। কাঁদছেন মা সঞ্চিতা বর্মণও। কারণ, ঘরে খাবার নেই। খাবার আসবে কোথা থেকে? ঘরই তো নেই! ঘরদোর, সহায়-সম্বল গেছে এমন ১২২টি সংখ্যালঘু পরিবারের। গত রোববার নির্বাচনের পর রাতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি বাড়ি। জামায়াত-শিবির এ নারকীয় হামলা চালিয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন । ছবি: এহসান-উদ-দৌলা

খাবারের জন্য কাঁদছে শিশু বিপাশা বর্মণ। কাঁদছেন মা সঞ্চিতা বর্মণও। কারণ, ঘরে খাবার নেই। খাবার আসবে কোথা থেকে? ঘরই তো নেই! ঘরদোর, সহায়-সম্বল গেছে এমন ১২২টি সংখ্যালঘু পরিবারের। গত রোববার নির্বাচনের পর রাতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের মালোপাড়ায় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১০টি বাড়ি। জামায়াত-শিবির এ নারকীয় হামলা চালিয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন । ছবি: এহসান-উদ-দৌলা

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/117478/চাঁপাতলায়_শুধুই_কান্না

চার জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, আগুন, লুট

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও তাণ্ডবের শিকার

ইত্তেফাক ডেস্ক

নির্বাচনের পরপরই দিনাজপুর, যশোর, সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা শুরু করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। গত রবিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অনেকে প্রাণভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মন্দিরে। ....................






প্রকাশ : ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৪, ২৪ পৌষ ১৪২০, ০৫ রবিউল আওয়াল ১৪৩৫
(
http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDFfMDdfMTRfMV8xXzFfOTk0MTU=

Also read:
ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ঘরছাড়া দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রামের হিন্দুরা

যশোর-দিনাজপুরে হিন্দুদের 
ওপর হামলা, ঘরে আগুন

ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা বলেছেন, ভোট না দিতে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। ভোট দেয়ার পর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article725920.bdnews

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর
নির্বাচনের পর দিনাজপুরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। ভোটদানে অংশ নেয়ার অপরাধে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা দিনাজপুরের... বিস্তারিত

Hindus under threat

It has been a long 43 years. But the Hindus are still vulnerable to attacks by anti-liberation forces. They are not safe in independent Bangladesh as in East Pakistan before the Liberation War. Nobody can blame them if they feel this way after Sunday night's post-poll attacks by BNP-Jamaat men in Thakurgaon, Dinajpur, Rangpur, Bogra, Lalmonirhat, Rajshahi, Chittagong and Jessore. What will Mayarani feel? Jamaat-Shibir activists looted all her savings, even a...

http://www.thedailystar.net/hindus-under-threat-5781

BNP, Jamaat attack Hindu village in Jessore

BNP-Jamaat activists vandalised and looted 130 houses...

BNP, Jamaat attack Hindu village in Jessore

Star Online Report
BNP, Jamaat attack Hindu village in Jessore


http://www.thedailystar.net/bnp-jamaat-attack-hindu-village-in-jessore-5665

Hindus Intimidated

Majority refrain from voting

Staff Correspondent
Majority refrain from voting
A man being taken to a hospital after Jamaat activists beat him up for going to a polling station to vote in Satkania of Chittagong yesterday. Photo: Anurup Kanti Das

http://www.thedailystar.net/majority-refrain-from-voting-5645







__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___