শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৫ - ৭)
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
॥ ৫ ॥
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনীর গুরুত্ব অস্বীকার করা হয় না। তবে, উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার আগে সামগ্রিকভাবে তার বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে লুসিয়েন গোল্ডম্যানের মন্তব্য অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, এই ধরনের রচনার অন্য একটি দিক আছে। তা হলো এই ধরনের রচনার মাধ্যমে আমরা কিছু সামাজিক বৈশিষ্ট্য (ঝড়পরধষ ঃৎধরঃ) জানতে পারি। আমরা জানতে পারি লেখকের সামাজিক অবস্থান এবং ঐ অবস্থান নির্ধারণ করতে পারলেই একটি বিশেষ সময়ে, একটি বিশেষ সমাজে, একটি বিশেষ শ্রেণীর সামাজিক চালচলন, মূল্যবোধ আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি রাজাকারদের আত্মজীবনী বিচার করেছি এবং গ্রহণ করেছি একটি সহজ পদ্ধতি। দেখাতে চেয়েছি লেখক কীভাবে ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করেছেন এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে তা যথার্থ কি-না সে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। যা সত্য নয় তা বলা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, রাজাকাররা বিরোধীদের সম্পর্কে অতিরঞ্জন বা সত্য নয় এমন বক্তব্য রাখলেও নিজের সহযোগীদের সম্পর্কে মোটামুটি সঠিক তথ্য দিয়েছে। এদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ তেমন নেই হেতু বর্ণনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
রাজাকারদের লেখা বইয়ের সংখ্যা ২০টির বেশি নয়। আগেই উল্লেখ করেছি আমার পূর্ণ প্রকাশিত দুই খণ্ডে এর বেশির ভাগ বই নিয়েই আলোচনা করেছি। সম্প্রতি পেয়েছি মহিউদ্দিন আহমদের বই। তাই এটি নিয়েই বর্তমান প্রবন্ধ। প্রবন্ধটিকে সম্পূর্ণতা দেয়ার জন্য ভূমিকা ও উপসংহারের পূর্বোল্লিখিত বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
॥ ৬ ॥
এক যুগ আগের কথা। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সঙ্গে আছে ইউপি হলের মহিউদ্দিন আহমদ। এমন সময় শ্মশ্রুশোভিত কৃষ্ণকায় এক বাঙালী প্রবেশ করলেন। পাশে বসলেন। আলোচনার বিরতিতে, একজন শিক্ষক 'বাঙালী' জনকে দেখিয়ে বললেন, 'বাঙালী, বাংলা বিভাগে আছে। আপনারা আসবেন শুনে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।'
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এ সময় বাংলাদেশের একজন থাকা মানে লোকটি বাংলাদেশী নয়, রাজাকারই হবে। প্রাক-স্বাধীনতা আমলে সৈয়দ আলী আহসান, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম প্রমুখ এই বিভাগে চাকরি করেছেন। সে এক অন্য সময়। আমি কৃষ্ণকায় ব্যক্তিটির কাছে তার নাম জানতে চাইলাম। জানালেন,
'মহিউদ্দিন চৌধুরী।'
'বাংলা বিভাগে আছেন?'
'হ্যাঁ।'
'আর কেউ আছেন বাংলা বিভাগে?'
'না।'
'তা' ছাত্র কেমন?'
ছাত্র নেই, এমন একটি বিভাগ একজন শিক্ষক দিয়ে চালু রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। লোকটা যে রাজাকার সে বিষয়ে নিশ্চিত হলাম। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য জানতে চাইলাম, 'কবে জয়েন করেছেন?'
তারিখ যেটা বললেন, সেটা ১৯৭১ সালের পরের। তার রাজাকারিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আর কথা বাড়ালাম না।
এখন সেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর সানসেট এ্যাট মিড ডে পড়ে তার সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হলাম। আশ্চর্যের বিষয়, তার বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৮ সালে। আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে। করাচি থেকে প্রকাশিত হওয়ায় তা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।
বর্তমান নিবন্ধটি নোয়াখালীর সেই রাজাকার মহিউদ্দিন চৌধুরীর আত্মস্মৃতি সানসেট এ্যাট মিড ডে' কে ভিত্তি করে রচিত।
মহিউদ্দিন তার বইয়ের অর্ধেক ব্যয় করেছেন দুর্ঘটনায় হঠাৎ মারা যাওয়া তার এক পুত্রের স্মৃতিচারণে, বাকিটুকু তার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি বর্ণনা করে। আমি এখানে তার রাজাকারী জীবনকথাই শুধু উল্লেখ করব।
॥ ৭ ॥
১৯৫৫ সালে মহিউদ্দিন প্রথম জামায়াত ইসলাম ও সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী সম্পর্কে জানতে পারেন। তার এক বন্ধু হাফিজুল্লাহ তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের অফিসে। মুনসিফ কোর্টের সামনেই ছিল জামায়াতের অফিস। হাফিজুল্লাহ সেখানে পরিচয় করিয়ে দেয় তার বড় ভাই শফিকুল্লার সঙ্গে। এলাকার ইউনিয়নের সদস্য ও ধনী ব্যবসায়ী হাজি রোশান আলী প-িতের ছেলে শফিকউল্লাহ। তিনি খুব ভালভাবে কথা বললেন মহিউদ্দিনের সঙ্গে এবং বিদায় নেয়ার সময় মওদুদীর কলেমা তৈয়বা বইটি ধরিয়ে দিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত জামায়াত অফিস থেকে বই আনতেন, পড়তেন এবং ফিরিয়ে দিতেন। সেই সময় থেকেই তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন এল। ঠিক করলেন এমএ পাস করে শিক্ষকতা করবেন।
বাংলা সাহিত্যে ১৯৬২ সালে তিনি এমএ পাস করলেন, লিখেছেন, বাঙালী ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়ই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য চিৎকার করত কিন্তু যারা ইংরেজী জানত না তাদের মর্যাদা দিত না। (পৃ: ৬৫)
১৯৬২ সালেই জামায়াতে যোগ দেন একজন সমর্থক হিসেবে। ঐ সময় স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
১৯৬৩ সালে যোগ দেন নোয়াখালী ডিগ্রী কলেজে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৮ সালে ঠিক করেন রাজনীতি আর শিক্ষকতা একসঙ্গে করা পোষাবে না। তিনি পদত্যাগ করলেন।
আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হলে তিনি ড্যাক বা ডেমোক্রেটিক এ্যাকশন কমিটির সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি জেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি সেই পদে ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য শান্তি কমিটি গঠিত হলে তিনি জেলা শান্তি কমিটিরও সদস্য নির্বাচিত হন।
শুরু থেকেই জামায়াতের কর্মীরা পার্টির প্রতি কী রকম অনুরক্ত থাকেন তার বিবরণ পাই মহি উদ্দিনের লেখায়। (চলবে)
॥ ৫ ॥
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনীর গুরুত্ব অস্বীকার করা হয় না। তবে, উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার আগে সামগ্রিকভাবে তার বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে লুসিয়েন গোল্ডম্যানের মন্তব্য অনুসরণ করা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, এই ধরনের রচনার অন্য একটি দিক আছে। তা হলো এই ধরনের রচনার মাধ্যমে আমরা কিছু সামাজিক বৈশিষ্ট্য (ঝড়পরধষ ঃৎধরঃ) জানতে পারি। আমরা জানতে পারি লেখকের সামাজিক অবস্থান এবং ঐ অবস্থান নির্ধারণ করতে পারলেই একটি বিশেষ সময়ে, একটি বিশেষ সমাজে, একটি বিশেষ শ্রেণীর সামাজিক চালচলন, মূল্যবোধ আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি রাজাকারদের আত্মজীবনী বিচার করেছি এবং গ্রহণ করেছি একটি সহজ পদ্ধতি। দেখাতে চেয়েছি লেখক কীভাবে ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করেছেন এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে তা যথার্থ কি-না সে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। যা সত্য নয় তা বলা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, রাজাকাররা বিরোধীদের সম্পর্কে অতিরঞ্জন বা সত্য নয় এমন বক্তব্য রাখলেও নিজের সহযোগীদের সম্পর্কে মোটামুটি সঠিক তথ্য দিয়েছে। এদের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ তেমন নেই হেতু বর্ণনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
রাজাকারদের লেখা বইয়ের সংখ্যা ২০টির বেশি নয়। আগেই উল্লেখ করেছি আমার পূর্ণ প্রকাশিত দুই খণ্ডে এর বেশির ভাগ বই নিয়েই আলোচনা করেছি। সম্প্রতি পেয়েছি মহিউদ্দিন আহমদের বই। তাই এটি নিয়েই বর্তমান প্রবন্ধ। প্রবন্ধটিকে সম্পূর্ণতা দেয়ার জন্য ভূমিকা ও উপসংহারের পূর্বোল্লিখিত বই থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
॥ ৬ ॥
এক যুগ আগের কথা। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সঙ্গে আছে ইউপি হলের মহিউদ্দিন আহমদ। এমন সময় শ্মশ্রুশোভিত কৃষ্ণকায় এক বাঙালী প্রবেশ করলেন। পাশে বসলেন। আলোচনার বিরতিতে, একজন শিক্ষক 'বাঙালী' জনকে দেখিয়ে বললেন, 'বাঙালী, বাংলা বিভাগে আছে। আপনারা আসবেন শুনে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।'
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এ সময় বাংলাদেশের একজন থাকা মানে লোকটি বাংলাদেশী নয়, রাজাকারই হবে। প্রাক-স্বাধীনতা আমলে সৈয়দ আলী আহসান, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম প্রমুখ এই বিভাগে চাকরি করেছেন। সে এক অন্য সময়। আমি কৃষ্ণকায় ব্যক্তিটির কাছে তার নাম জানতে চাইলাম। জানালেন,
'মহিউদ্দিন চৌধুরী।'
'বাংলা বিভাগে আছেন?'
'হ্যাঁ।'
'আর কেউ আছেন বাংলা বিভাগে?'
'না।'
'তা' ছাত্র কেমন?'
ছাত্র নেই, এমন একটি বিভাগ একজন শিক্ষক দিয়ে চালু রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। লোকটা যে রাজাকার সে বিষয়ে নিশ্চিত হলাম। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য জানতে চাইলাম, 'কবে জয়েন করেছেন?'
তারিখ যেটা বললেন, সেটা ১৯৭১ সালের পরের। তার রাজাকারিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আর কথা বাড়ালাম না।
এখন সেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর সানসেট এ্যাট মিড ডে পড়ে তার সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হলাম। আশ্চর্যের বিষয়, তার বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৮ সালে। আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে। করাচি থেকে প্রকাশিত হওয়ায় তা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।
বর্তমান নিবন্ধটি নোয়াখালীর সেই রাজাকার মহিউদ্দিন চৌধুরীর আত্মস্মৃতি সানসেট এ্যাট মিড ডে' কে ভিত্তি করে রচিত।
মহিউদ্দিন তার বইয়ের অর্ধেক ব্যয় করেছেন দুর্ঘটনায় হঠাৎ মারা যাওয়া তার এক পুত্রের স্মৃতিচারণে, বাকিটুকু তার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি বর্ণনা করে। আমি এখানে তার রাজাকারী জীবনকথাই শুধু উল্লেখ করব।
॥ ৭ ॥
১৯৫৫ সালে মহিউদ্দিন প্রথম জামায়াত ইসলাম ও সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী সম্পর্কে জানতে পারেন। তার এক বন্ধু হাফিজুল্লাহ তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের অফিসে। মুনসিফ কোর্টের সামনেই ছিল জামায়াতের অফিস। হাফিজুল্লাহ সেখানে পরিচয় করিয়ে দেয় তার বড় ভাই শফিকুল্লার সঙ্গে। এলাকার ইউনিয়নের সদস্য ও ধনী ব্যবসায়ী হাজি রোশান আলী প-িতের ছেলে শফিকউল্লাহ। তিনি খুব ভালভাবে কথা বললেন মহিউদ্দিনের সঙ্গে এবং বিদায় নেয়ার সময় মওদুদীর কলেমা তৈয়বা বইটি ধরিয়ে দিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত জামায়াত অফিস থেকে বই আনতেন, পড়তেন এবং ফিরিয়ে দিতেন। সেই সময় থেকেই তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন এল। ঠিক করলেন এমএ পাস করে শিক্ষকতা করবেন।
বাংলা সাহিত্যে ১৯৬২ সালে তিনি এমএ পাস করলেন, লিখেছেন, বাঙালী ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়ই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য চিৎকার করত কিন্তু যারা ইংরেজী জানত না তাদের মর্যাদা দিত না। (পৃ: ৬৫)
১৯৬২ সালেই জামায়াতে যোগ দেন একজন সমর্থক হিসেবে। ঐ সময় স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
১৯৬৩ সালে যোগ দেন নোয়াখালী ডিগ্রী কলেজে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৮ সালে ঠিক করেন রাজনীতি আর শিক্ষকতা একসঙ্গে করা পোষাবে না। তিনি পদত্যাগ করলেন।
আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হলে তিনি ড্যাক বা ডেমোক্রেটিক এ্যাকশন কমিটির সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি জেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি সেই পদে ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য শান্তি কমিটি গঠিত হলে তিনি জেলা শান্তি কমিটিরও সদস্য নির্বাচিত হন।
শুরু থেকেই জামায়াতের কর্মীরা পার্টির প্রতি কী রকম অনুরক্ত থাকেন তার বিবরণ পাই মহি উদ্দিনের লেখায়। (চলবে)
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২০
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩০ মাঘ ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (১-২)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩০ মাঘ ১৪২০
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৩ - ৪ )
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১ ফাল্গুন ১৪২০
__._,_.___