তারেক, জাওয়াহিরির গোপন বৈঠক!
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ no comments 96 বার পঠিত
আর্ন্তজাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার প্রধান নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি আর বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে 'গোপন বৈঠক' হয়েছিল। 'বৈঠক'টি হয়েছিল ঢাকায় গত ২০০২ সালে। তাতে তারেক তখন বাংলাদেশে অবস্থানরত আল কায়েদার নেতাদেরকে 'নিরাপদে' থাকতে দেয়ার আশ্বাস জাওয়াহিরিকে দিয়েছিলেন বলে দেশিয় গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।
দেশিয় গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, '২০০২ সালের মার্চে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে এদেশে কয়েক মাস ছিলেন জাওয়াহিরি। তারেক রহমানসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সমর্থনে তখন জাওয়াহিরি রাজনীতিবিদ, গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। ওই সময় ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন জাওয়াহিরি। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেন নিহত হওয়ার পর আল কায়েদার প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি।'
গোয়েন্দারা দাবি করছেন, 'জাওয়াহিরিসহ আল কায়েদার প্রশিক্ষিত শতাধিক জঙ্গি নেতাকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ ২০০২ সালের মার্চের রাতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের গোপন ওই মিশন নিয়ে ২০০২ সালের অক্টোবরে বিশ্বখ্যাত টাইম এশিয়া পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আলোচিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল-ডেডলি কার্গো: বাংলাদেশ হ্যাজ বিকাম এ সেফ হ্যাভেন ফর আল কায়েদা অ্যান্ড তালেবান। প্রায় একই সময় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ পত্রিকাতেও।'
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের 'অনুরোধে' আল কায়েদার বর্তমান প্রধান নেতা জাওয়াহিরিকে বাংলাদেশে কয়েক মাসের জন্য 'আশ্রয়' দিয়েছিল বিএনপি, জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চার দলের জোট সরকার। ওই সরকারের অন্যতম নীতিনির্ধারক ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। সরকারি গোয়েন্দা দপ্তরে থাকা তথ্য; দেশি, বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটি এখন মনে করছেন দেশিয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আল কায়েদার প্রধান নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির নামে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করছেন, 'তিনি গত ২০০০ সালের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন। তবে কখন এসেছিলেন, বার্তায় তিনি তা স্পষ্ট করেননি।' যদিও ভিডিও বার্তাটি আসলে তার কী না, তা এখনো প্রমাণ হয়নি। এ ভিডিও বার্তার পর বিষয়টি নতুন আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকারও বেশ 'নড়েচড়ে' উঠেছে। পাশাপাশি চলছে গোয়েন্দাদের তদন্ত। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে চার দলের জোট সরকার।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, 'আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনসহ অন্যরা পাকিস্তানে আত্মগোপন করে আছেন, এ ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছিল পাকিস্তানে তখন ক্ষমতাসীন পারভেজ মোশাররফকে। আল কায়েদার নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করতেও মোশাররফের সরকারকে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ চাপ থেকে রক্ষা পেতে জাওয়াহিরিসহ শতাধিক নেতাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য মোশাররফ চার দলের জোট সরকারকে অনুরোধ জানান। তার অনুরোধে সরকার তাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়।'
গোয়েন্দাদের দাবি, 'পারভেজ মোশাররফের অনুরোধে আল কায়েদার নেতাদেরকে বাংলাদেশে কয়েক মাসের জন্য আশ্রয় দেয়ায় তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিতে ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তবে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওই তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল।' উল্লেখ্য, বিশ্বে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস ওই তারবার্তা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি দাবি করেছিলেন, 'পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বিএনপি, জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঢাকায় এসে কী কী করেছিলেন, এ বিষয়ে সরকারের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে।' এ নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপির মধ্যে কয়েকদিন 'বক্তব্য যুদ্ধের পর' বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
সৈয়দ আশরাফের ওই বক্তব্যের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকরা বিষয়টির সত্যতা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। পরে অবশ্য বিএনপির তখনকার মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন তথ্য, প্রমাণ দেয়ার জন্য সৈয়দ আশরাফের কাছে দাবি জানান।
চার দলের জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অভিযোগ ওঠে, 'খোদ সরকার জঙ্গিবাদে মদদ দিচ্ছে'। তবে সরকার থেকে এ বিষয়ে কয়েকবার দাবি করা হয়, 'জঙ্গিবাদে সরকারের মদদ নেই'। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তখন জঙ্গিবাদের তথ্যকে 'মিথ্যে' বলে দাবি করে কয়েক দফায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। তারেক রহমানও গণমাধ্যমের কাছে বলেন, 'বাংলাদেশে কোনো তালেবান নেই।'
মাসুম আজাদ, ঢাকা।
Published in:
-
জাওয়াহেরি~~হেফাজত~~ জামাত ~~ বিএনপি এবং আল কায়েদা বাস্তবতা ...
আল-কায়েদার বৈশিস্ট হোচ্ছে তারা যে দেশের জন্য বার্তা প্রেরণ করে-সে দেশের ভাষা এবং ইংরেজিতে সাব টাইটেল দিয়ে প্রকাশ করে। "আয়মান আল জাওয়াহিরি" আর বিএনপির ভাইস চ্যায়ারম্যান "তারেক রহমানের সাথে একটি গোপন বৈঠক হয়েছিলো ২০০২ সালে।আল-কায়েদা নেতাদেরকে বাংলাদেশে নিরাপদে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুবরাজ। বিশ্লেষন করে ...
__._,_.___