On Tuesday, March 18, 2014 6:43 PM, Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com> wrote:
৭৫'র জাতির জনকের হত্যাকান্ডের নেপথ্যে সবচে' চাতুর্যপূর্ন নায়ক ছিলেন জেনারেল জিয়া : লরেন্স লিফসুলজ
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক বিশিস্ট সাংবাদিক আর্নল্ড জাইটলিন বলেন, 'বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী অর্জন, অগ্রগতি এবং গর্বের বিষয়। আপনারা 'জয় বাংলা' বলুন। কখনো 'জয় তারেক বলবেন' না। লরেন্স লিফসুলজ বলেন, '৭৫'র জাতির জনকের হত্যাকান্ড এবং কয়েকটি সেনা অভ্যুত্থানের নেপথ্যে সবচে' চাতুর্যপূর্ন নায়ক ছিলেন জেনারেল জিয়া এবং এর পেছনে আমেরিকারও হাত ছিল। যা আমাকে '৭৫'র ঘাতক কর্নেল রশিদ লন্ডনে বলে গেছেন'।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্ক অর্ধ দিবসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মূল আককর্ষন ছিল আর্নল্ড জাইটলিন যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাক বাহিনীর আক্রমনের শুরু ২৫শে মার্চ থেকে ধারাবাহিক রিপোর্টিং করেন। আরেকজন বরেন্য অতিথি লরেন্স লিফসুলজ ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশের পর পর কয়েকটি সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করেন। এই দু'জন বরেন্য ব্যক্তি এবারের মিশনে আয়োজনে উপস্থিত থেকে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছেন। বিদেশী বিশিস্ট সাংবাদিক ও লেখকদ্বয়কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তাঁরা প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বিদেশী সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ড.এ.কে আব্দুল মোমেন।
বিকেল চারটায় শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রচনা 'শৈশব-কৈশোরের খোকা' শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা অংশগ্রহন করে। রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে জাতির জনকের ৯৫তম জন্মদিবসের কেক কাটেন মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ও আগত বিশেষ অতিথিদ্বয়। গোটা অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনায় এবং উপস্থাপনায় ছিলেন মিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মামুন-অর-রশিদ।
দিবসটি পালন উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির বানী পাঠ করেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন ডিফেন্স এ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একএম আখতারুজ্জামান। গোলাম সারোয়ার হারুনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন শাহ মাহবুব, কবিতা আবৃতি করেন মিজানুর রহমান বিপ্লব।
আলোচনা পর্বে মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আজকের শিশুদের আগামী দিনের সৎ-যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। শিশু উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন। সেই লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে বর্তমান সরকার শিশুর শিক্ষা ও মানবিকতা বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হবে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবার দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে।
__._,_.___