সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরদমনে আর কালবিলম্ব নয়ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনার কারণেই ইসলামী ছাত্রশিবির নানাভাবে সমালোচিত। বহুমাত্রিক সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত জামায়াতের এ ছাত্রসংগঠনটির পরিচিতি ছিল 'রগকাটা' বাহিনী হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে দলগতভাবে যুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন শিবির আরো নানা কুকর্মে যুক্ত। পরিকল্পিতভাবে খুন, শিক্ষক হত্যাসহ নানা কারণে আলোচিত তারা। ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেতাদের বাঁচাতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে শিবির। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর দেশজুড়ে এত বেশি সহিংসতা আর কখনো করেনি শিবির। ফলে তাদের নাম উঠেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায়। বিশ্বের অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়িয়ে একেবারে তৃতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তাবিষয়ক থিঙ্কট্যাঙ্ক আইএইচএস জেনস গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইমারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স-২০১৩, সংগঠনটির বার্ষিক প্রতিবেদনে আতঙ্কজনক এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ যে নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে_ বিশ্লেষকদের এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়। ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এ ধরনের ভয়াবহ তথ্য একটি রাষ্ট্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বলে আমরা মনে করি।
স্বাধীনতা লাভের পর নানা ইতিবাচক কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যেমন বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি দেশজুড়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, নাশকতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ নানা কারণে সমালোচিতও হয়েছে। বাস্তবতা, জাতির ঘাড়ে এখনো চেপে বসে আসে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। বলাবাহুল্য রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা বিভিন্ন সময়ে এদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এতে কিছু রাজনীতিবিদ লাভবান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে গেছি আমরা; পিছিয়ে গেছে রাষ্ট্র। আর এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের মূলোৎপাটনে বিভিন্ন মহল থেকে বারবারই সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক, তবু দেশ থেকে এদের মূলোৎপাটনের বিষয়টি অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। তথ্য মতে, জামায়াত, শিবির, জেএমবি, হুজিসহ যেসব সংগঠন দেশব্যাপী যুগপৎ নাশকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে এ দেশের ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ যে অনুজ্জ্বল সেটিই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এ তথ্যে। কোনো কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের লজ্জাজনক অবস্থান সৃষ্টি হোক কিংবা কোনো সংগঠন দেশের নিরাপত্তা, শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াক সেটিও মেনে নেয়া যায় না। আমরা মনে করি রাষ্ট্রকেই এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশ থেকে সব ধরনের অপশক্তির মূলোৎপাটনে নিতে হবে যথাযথ উদ্যোগ।
বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের নৃশংস কর্মকা-ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় ৩ নাম্বার অবস্থানে উঠে আসার ঘটনাকে কিছুতেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। যারা কলম্বিয়ার ফার্ক, সোমালিয়ার আল-শাবাব, ইরাকের আল-কায়েদা ও ভারতের মাওবাদীদের মতো ভয়ঙ্কর সংগঠনগুলোকে পেছনে ফেলে সামনে চলে আসতে পারে তাদের শক্তি যে কত ভয়াবহ তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদারও গণমাধ্যমের কাছে 'ওই তালিকা যথার্থ' বলে মন্তব্য করেছেন। আমরা তখন বেদনাহত হই, যখন দেখি সরকারের অনাগ্রহে জঙ্গি মামলাগুলো নিষ্পত্তির অভাবে বছরের পর বছর আদালতে ঝুলে থাকে। এই বিচারহীনতার প্রবণতা জঙ্গিবাদ বা অপরাধ কার্মকা-কে উৎসাহিত করে বলে মনে করেন বোদ্ধারা। ফলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নির্মূলে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সন্ত্রাসী মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দিকেও সরকারের নজর দেয়া কর্তব্য।
বিশ্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা প্রায়ই উচ্চারিত হয়। অন্যদিকে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী বাহিনীকে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত, হত্যা ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের ভিত্তিতে শিবির যে সন্ত্রাসী সংগঠন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কিন্তু এটাকে পুঁজি করে অন্য কোনো রাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলে সেটিও হবে বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। ফলে এ বিষয়ে সরকারের কঠোরতা অবলম্বন করা কর্তব্য। সার্বিক বিবেচনায় আমরা সরকারকে বলতে চাই, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘি্নত হবে এমন সংগঠনকে যে কোনো মূল্যে দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অপশক্তির মূলোৎপাটনে কালবিলম্ব কোনো অর্থেই সঙ্গত নয়।- See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=28-02-2014&feature=yes&type=single&pub_no=761&cat_id=3&menu_id=19&news_type_id=1&index=2#sthash.a1DmHqwc.dpuf
স্বাধীনতা লাভের পর নানা ইতিবাচক কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যেমন বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি দেশজুড়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, নাশকতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ নানা কারণে সমালোচিতও হয়েছে। বাস্তবতা, জাতির ঘাড়ে এখনো চেপে বসে আসে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। বলাবাহুল্য রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা বিভিন্ন সময়ে এদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এতে কিছু রাজনীতিবিদ লাভবান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে গেছি আমরা; পিছিয়ে গেছে রাষ্ট্র। আর এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের মূলোৎপাটনে বিভিন্ন মহল থেকে বারবারই সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক, তবু দেশ থেকে এদের মূলোৎপাটনের বিষয়টি অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। তথ্য মতে, জামায়াত, শিবির, জেএমবি, হুজিসহ যেসব সংগঠন দেশব্যাপী যুগপৎ নাশকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে এ দেশের ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ যে অনুজ্জ্বল সেটিই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এ তথ্যে। কোনো কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের লজ্জাজনক অবস্থান সৃষ্টি হোক কিংবা কোনো সংগঠন দেশের নিরাপত্তা, শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াক সেটিও মেনে নেয়া যায় না। আমরা মনে করি রাষ্ট্রকেই এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশ থেকে সব ধরনের অপশক্তির মূলোৎপাটনে নিতে হবে যথাযথ উদ্যোগ।
বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের নৃশংস কর্মকা-ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় ৩ নাম্বার অবস্থানে উঠে আসার ঘটনাকে কিছুতেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। যারা কলম্বিয়ার ফার্ক, সোমালিয়ার আল-শাবাব, ইরাকের আল-কায়েদা ও ভারতের মাওবাদীদের মতো ভয়ঙ্কর সংগঠনগুলোকে পেছনে ফেলে সামনে চলে আসতে পারে তাদের শক্তি যে কত ভয়াবহ তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদারও গণমাধ্যমের কাছে 'ওই তালিকা যথার্থ' বলে মন্তব্য করেছেন। আমরা তখন বেদনাহত হই, যখন দেখি সরকারের অনাগ্রহে জঙ্গি মামলাগুলো নিষ্পত্তির অভাবে বছরের পর বছর আদালতে ঝুলে থাকে। এই বিচারহীনতার প্রবণতা জঙ্গিবাদ বা অপরাধ কার্মকা-কে উৎসাহিত করে বলে মনে করেন বোদ্ধারা। ফলে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নির্মূলে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সন্ত্রাসী মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দিকেও সরকারের নজর দেয়া কর্তব্য।
বিশ্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা প্রায়ই উচ্চারিত হয়। অন্যদিকে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী বাহিনীকে মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত, হত্যা ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের ভিত্তিতে শিবির যে সন্ত্রাসী সংগঠন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কিন্তু এটাকে পুঁজি করে অন্য কোনো রাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলে সেটিও হবে বাংলাদেশের জন্য লজ্জার। ফলে এ বিষয়ে সরকারের কঠোরতা অবলম্বন করা কর্তব্য। সার্বিক বিবেচনায় আমরা সরকারকে বলতে চাই, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘি্নত হবে এমন সংগঠনকে যে কোনো মূল্যে দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অপশক্তির মূলোৎপাটনে কালবিলম্ব কোনো অর্থেই সঙ্গত নয়।- See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=28-02-2014&feature=yes&type=single&pub_no=761&cat_id=3&menu_id=19&news_type_id=1&index=2#sthash.a1DmHqwc.dpuf
Related:
37 eQ‡i QvÎwkwe‡ii Av‡jvwPZ 34 nZ¨vKvÐ
শিবিরের সন্ত্রাসী তিলক : হুমকিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা!
Shibir world's 3rd top armed group - বিশ্বের 'তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির'
Also Read (Some background of Shibir):
আলবদর এখনও আছে :