Banner Advertiser

Thursday, March 13, 2014

[mukto-mona] বিএনপিতে গৃহবিবাদ তুঙ্গে ॥ ফখরুলও খোকার পথ ধরতে পারেন ॥ আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় পরস্পরকে দোষারোপ




শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০১৪, ৩০ ফাল্গুন ১৪২০
বিএনপিতে গৃহবিবাদ তুঙ্গে ॥ ফখরুলও খোকার পথ ধরতে পারেন
আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় পরস্পরকে দোষারোপ
শরীফুল ইসলাম ॥ বিএনপিতে গৃহবিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খোকার পথ ধরে যে কোন দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন। দলে প্রভাব বিস্তার, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার বিষয় নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ ও জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে পদ-পদবি দখল করা কেন্দ্র করে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দলের হাইকমান্ড বিষয়টি টের পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। 
জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের পর জাতীয় কাউন্সিল করার টার্গেট নিয়ে বিএনপি হাইকমান্ড দলের ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন শাখা ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আর এসব কমিটি পুনর্গঠনে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে দলের কিছু নেতা উঠে পড়ে লেগেছে। এ কারণে পরস্পরবিরোধী নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এ ছাড়া এবারের জাতীয় কাউন্সিলে দলের মহাসচিব পদ দখলের ব্যাপারেও কিছু নেতা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন। আর এ সবকিছুকে নিয়েই বিএনপিতে গৃহবিবাদ বেড়ে গেছে। 
উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কিছু নেতা ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বক্তব্য দিতে থাকেন। তাঁরা এই দুই নেতাকে সংস্কারপন্থ'ী এবং তিনিই ওয়ান-ইলেভেনের সময় পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করার পাশাপাশি আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য তাঁরাই দায়ী বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করতে থাকেন। এ ছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি খোকা কারাবন্দী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াও ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপিকে দায়ী করে অবিলম্বে বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেন। 
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহানগর বিএনপি নেতাদের বৈঠকের কথোপকথন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর কারাগারে থেকেই খোকা ক্ষুব্ধ হন। এ কারণে পরে কারাগার থেকে মুক্ত হলেও ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ দলীয় কোন কর্মকা- নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখাননি। গত কয়েক দিন ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অথবা আ স ম হান্নান শাহকে ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হবে হচ্ছেÑ এমন একটি খবর বাতাসে ভাসতে থাকলে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হন সাদেক হোসেন খোকা। তাই বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে এক আলোচনাসভায় বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ডাকে সারাদেশে তৃণমূল নেতারা আন্দোলন করেছেন; কিন্তু ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আগামী আন্দোলনে যাঁরা মাঠে নামবেন, তাঁদের নিয়েই পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর বিএনপি কমিটি হবে।
১১ মার্চ রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশে তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ঢাকার অধিবাসী হিসেবে আমরা তা পারিনি। একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সারাদেশে আন্দোলনের ঢেউ লাগলেও ঢাকা কেন নীরব ছিল? যাঁরা ঢাকার দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা তখন কী করেছেন? তাঁদের বলব, আপনারা প্রস্তুতি নিন, সারাদেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাঠগড়ায় আপনাদের বিচার হবে। 
এ পরিস্থিতিতে ১১ মার্চ বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা খালেদা জিয়ার কাছে একটি চিঠি দিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১২ মার্চ তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে তাঁর ঘোষণাকে খালেদা জিয়া বাদ দেয়ার আগেই নিজের মানসম্মান রক্ষার কৌশল বলে খোকাবিরোধীরা মনে করছেন। 
ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার আগেই সাদেক হোসেন খোকা ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ায় এখন আর কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না। এ কারণে ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ দল গোছানো নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি দলের বিভিন্ন শাখায় না পারছেন বর্তমান নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বহাল রাখতে এবং না পারছেন হঠাৎ করে নতুন কাউকে এনে দায়িত্ব দিতে। কৌশলে পরিস্থিতি মোকাবেলা না করলে দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করে তিনি চরম সঙ্কট মোকাবেলা করছেন বলে জানা গেছে। 
সাদেক হোসেন খোকা সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, আমাকে যাঁরা আন্দোলনে ব্যর্থ বলছে তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, আন্দোলনে যদি ব্যর্থতা থেকে থাকে তাহলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যে ৮ নেতাকে আন্দোলনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁরাও দায়ী। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া যে ৮ জনকে ঢাকা মহানগরে আন্দোলন সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আ স ম হান্নান শাহ, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও সালাউদ্দিন আহমেদ। আর তাঁদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। কিন্তু তাঁদের কেউই আন্দোলন চলাকালে রাজপথে নামেননি। 
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দলের একটি অংশ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কতিপয় নেতার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে দলীয় এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আবদুস সালাম বক্তব্য রাখার সময় দর্শক সারি থেকে 'দালাল' 'দালাল' বলে চিৎকার দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে যুবদলের ২ গ্রুপ হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়। 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হওয়ার পর থেকেই মির্জা আব্বাস ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ দলের কিছু সিনিয়র নেতা প্রকাশ্যেই তাঁর বিরোধিতা করতে থাকেন। আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্বেচ্ছায় পালিয়ে যাওয়া ও আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য লন্ডন প্রবাসী দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ফখরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়। এসব অভিযোগ পেয়ে তারেক রহমানও মির্জা ফখরুলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ সুযোগ পেয়ে একদিকে ফখরুলবিরোধী দলের কিছু সিনিয়র নেতা এবং অপর দিকে দলের তারেক রহমান অনুসারী নেতারা মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান। দলের জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে মির্জা ফখরুলকে সরিয়ে মহাসচিব পদ দখল করতে কিছু নেতা প্রস্তুতিও শুরু করেন। 
জানা যায়, ৯ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর ২দিন পর খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়ে তিন দিন পর পর ১২মার্চ সাদেক হোসেন খোকা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে খোকা পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করায় দলের খোকাবিরোধী নেতারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে ঢাকা মহানগর নতুন কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্তের পর দলের একটি অংশ এর বিরোধিতা করছে বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়া যাতে নতুন কমিটি গঠন না করেন, সে জন্য কয়েক দিন ধরে খোকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন কিছু নেতা লবিং চালাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, ঢাকা মহানগরে খোকার বিকল্প নেই। কমিটি ভেঙ্গে দিলে দলে কোন্দল দেখা দেবে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থী নেতা সাদেক হোসেন খোকার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর যুক্তি দেখানো হয়, খোকা ছাড়া ঢাকা অচল। তাঁকে ছাড়া মহানগর কমিটি গঠন করলে আন্দোলন হবে না। এর পর ২০১১ সালের মে মাসে খোকাকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ছয় মাসের জন্য বিএনপির ২১ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু খোকা-আব্বাসের বিরোধিতার কারণে ৩ বছরেও নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। 
খোকাকে বাদ দিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি করা হলে তাঁর অনুসারী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাইয়ুম, আব্দুল লতিফ, বজলুল বাছিত আনজু, আলী আজগর মাতবর, আব্দুল আলীম নকীসহ শতাধিক নেতা সে কমিটি মেনে নেবে না বলে জানা গেছে। আর এ কারণেই এখন নতুন কমিটির দায়িত্ব কেউ নিতে চাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। 
খোকাকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হলে মহানগর বিএনপির হাল কে কে ধরবেন বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনে এখন এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম শোনা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা কেউই দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। তবে দলের যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও কিছু নেতার নামও এখন উচ্চারিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী সোহেলেরও ঢাকা মহানগর বিএনপিতে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে। 
সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণাকালে খোকা বলেন, আমি সাড়ে ১৭ বছর ধরে ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্বে রয়েছি। এখন নতুন কেউ আহ্বায়কের দায়িত্বে আসুক এটা আমি চাই। তাই দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কাছে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। পদত্যাগ করছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি পদত্যাগের বিষয় নয়, আমি নেত্রীকে বলে দিয়েছি। তিনি নিশ্চয়ই কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে দখলদার সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়া মহানগরের দায়িত্ব নতুন কাউকে দেবেন। রাজনীতি যদি থেকে থাকে তাহলে খালেদা জিয়াই বিজয়ী হবেন।
খালেদা জিয়া আবারও দায়িত্ব দিতে চাইলে দায়িত্ব নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি সাড়ে ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। তাই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে আমি চাই নতুন কেউ নেতৃত্বে আসুক। আর তার জন্য আমি নেত্রীকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর কথা বলেছি। তাঁরা যদি দায়িত্ব না নেন তাহলে যেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহকে দেয়া হয় সে ব্যাপারে বলেছি। 
মহানগর বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি কেন জানতে চাইলে খোকা বলেন, এটা সঠিক মূলায়ন নয়। এই দখলদার সরকারের আচরণের সঙ্গে আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে হয়ত সফল হইনি। ব্যর্থতার দায়িত্ব নিজে নিতে চান কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের আন্দোলন সফল করতে ঢাকা ৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে আমি ও হান্নান শাহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাই। তাই ব্যর্থ হলে বাকি ৬ জন কোথায় ছিল তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। তাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে থাকলে এ দায় আমার একার নয় দলের সবার। 
যাঁরা বিগত দিনে আন্দোলনে খোকার ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের বক্তব্য খ-ন করতে গিয়ে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, যাঁদের রাজনীতি সর্ম্পকে জ্ঞান সীমিত, তাঁরা এ রকম বক্তব্য দিয়ে সরকারকে স্পেস করে দিচ্ছে। আমাদের দলের ভেতরে কেউ কেউ এ রকম কথা বলে ব্লেম গেম খেলছেন। এতে সরকারপক্ষই লাভবান হচ্ছে। এটা দলের সঠিক রাজনীতি নয় বলে আমি মনে করি।
সাদেক হোসেন খোকা ১৯৮৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। খোকা ১৯৯৬ সাল থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালের ২ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন পর তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেন। পরে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর আবার সে কমিটি বহাল রাখা হয়। ২০১১ সালের মে মাসে খালেদা জিয়া খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন খালেদা জিয়া।
খোকা ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তাঁর দল সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে তাঁর দল সরকার গঠন করলে তিনি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। সরাসরি নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তিনি বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভুইয়ার অন্যতম অনুসারী ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির অফিস তালাবদ্ধ করেছিলেন। পরে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তিনি ওই অফিস খুলে দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য সাদেক হোসেন খোকার ওপর যে ব্লেম দেয়া হয়েছে তা ঠিক হয়নি। কারণ, আমাদের সবারই কিছু ভুলত্রুটি ছিল। আর সরকারেরও কঠোরতা ছিল। তাই আমরা আন্দোলনে সফল হতে পারিনি। এ ব্যর্থতা এককভাবে খোকা বা ঢাকা মহানগর বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। খোকার মতো আরও কেউ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বড় দলে কিছু সমস্যা থাকে তবে এ সমস্যা কেটে যাবে। দলের উচ্চপর্যায় থেকে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০১৪, ৩০ ফাল্গুন ১৪২০
  1. সরে দাড়ালেন সাদেক হোসেন খোকা: বিএনপিতে অস্থিরতা | বিশ্ব ...

    www.dw.de/...সাদেক-হোসেন-খো...

    1 day ago - ৫ই জানুয়ারির একতরফা সংসদ নির্বাচনের সময় সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপির আরো অনেক শীর্ষ নেতা ছিলেন কারাগারে৷ গত ২০শে ফেব্রুয়ারি খোকা কারাগার থেকে ছাড়া পান৷ তবে তার আগেই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সিগন্যাল দিয়েছিলেন৷ নির্বাচনের পর সাদেক হোসেন খোকার অনুপস্থিতে মহানগর ...



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___