ভোটে প্রমাণিত আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ॥ এইচটি ইমাম
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ কারণে ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। এই উপজেলা নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোট বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট প্রমাণ হবে, জনসমর্থন হ্রাস নয়, বরং জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন বেড়েছে আওয়ামী লীগের।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গত দুই পর্বে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বেশি পেয়েছেন। আর এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ এবং স্বাধীন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব, বিএনপিও এটা মেনে নিয়েই বার বার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এইচটি ইমাম পাল্টা অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর বিরোধী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আক্রমণ হয়েছে। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলেই আমাদের প্রার্থীদেরও রেহাই দেয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন স্থানে হস্তক্ষেপ করিনি। করলে ম্যাজিস্ট্রেটদের বদলি করাসহ অনেক কিছুই করতে পারতাম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ছুটিতে যাওয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, অনেক দিন ধরে তিনি (সিইসি) ছুটি চাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। তিনি না থাকলে আরও চারজন নির্বাচন কমিশনার আছেন। তাঁরা অনায়াসে কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, জনসমর্থন বাড়লেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে আমরা বিএনপির চেয়ে কম উপজেলায় জিতেছি। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাও স্বাভাবিক। তবে আগামী পর্বে আরও বেশি একক প্রার্থী নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।
গত দুই পর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তথ্য তুলে ধরে এইচটি ইমাম বলেন, মোট জনসংখ্যার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ আওয়ামী লীগের এবং ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ বিএনপির ভোট ব্যাংক রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্বের উপজেলা নির্বাচনে মোট ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৩ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা মিলিয়ে সাড়ে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্বেও প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েও অধিকাংশ স্থানে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায়। বেশি ভোট পেলেও বিদ্রোহীতার কারণে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত হতে হয়েছে।
ভোটের চিত্র তুলে ধরার কারণ ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি যে প্রচার করছে উপজেলা নির্বাচনে তাদের বেশি সংখ্যক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, কাজেই তাদের জনসমর্থন বিপুলভাবে বেড়ে গেছে আর আমাদের জনসমর্থনে ধ্বস নেমেছে। আসলে এটি ঠিক উল্টোটা হয়েছে। গ্রাম-গঞ্জে যে পরিমাণ উন্নয়ন বর্তমান সরকার করেছে তাতে গ্রামের মানুষ ভাল আছে। তাছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, অবরোধ, মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার দৃশ্যও দেশের মানুষ দেখেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের সমাবেশের পর থেকে একের পর এক সহিংস ঘটনার কারণে বিএনপির জনসমর্থন কমেছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গত দুই পর্বে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বেশি পেয়েছেন। আর এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ এবং স্বাধীন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব, বিএনপিও এটা মেনে নিয়েই বার বার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এইচটি ইমাম পাল্টা অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ওপর বিরোধী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আক্রমণ হয়েছে। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলেই আমাদের প্রার্থীদেরও রেহাই দেয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন স্থানে হস্তক্ষেপ করিনি। করলে ম্যাজিস্ট্রেটদের বদলি করাসহ অনেক কিছুই করতে পারতাম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ছুটিতে যাওয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, অনেক দিন ধরে তিনি (সিইসি) ছুটি চাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। তিনি না থাকলে আরও চারজন নির্বাচন কমিশনার আছেন। তাঁরা অনায়াসে কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, জনসমর্থন বাড়লেও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে আমরা বিএনপির চেয়ে কম উপজেলায় জিতেছি। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাও স্বাভাবিক। তবে আগামী পর্বে আরও বেশি একক প্রার্থী নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।
গত দুই পর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তথ্য তুলে ধরে এইচটি ইমাম বলেন, মোট জনসংখ্যার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ আওয়ামী লীগের এবং ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ বিএনপির ভোট ব্যাংক রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্বের উপজেলা নির্বাচনে মোট ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৩ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা মিলিয়ে সাড়ে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্বেও প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েও অধিকাংশ স্থানে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায়। বেশি ভোট পেলেও বিদ্রোহীতার কারণে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত হতে হয়েছে।
ভোটের চিত্র তুলে ধরার কারণ ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি যে প্রচার করছে উপজেলা নির্বাচনে তাদের বেশি সংখ্যক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, কাজেই তাদের জনসমর্থন বিপুলভাবে বেড়ে গেছে আর আমাদের জনসমর্থনে ধ্বস নেমেছে। আসলে এটি ঠিক উল্টোটা হয়েছে। গ্রাম-গঞ্জে যে পরিমাণ উন্নয়ন বর্তমান সরকার করেছে তাতে গ্রামের মানুষ ভাল আছে। তাছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, অবরোধ, মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার দৃশ্যও দেশের মানুষ দেখেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের সমাবেশের পর থেকে একের পর এক সহিংস ঘটনার কারণে বিএনপির জনসমর্থন কমেছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
__._,_.___