Banner Advertiser

Monday, March 10, 2014

[mukto-mona] পরামর্শ উপেক্ষিত তারেক ক্ষুব্ধ





সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের কমিটি গঠনে পরামর্শ আমলে না নেওয়া, দলের মহানগর কমিটি গঠনে পরামর্শ কাজে লাগাতে না পারা, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য দেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং কিছু নেতার ব্যাপারে তাঁর অভিযোগে যথাসময়ে যথাযথভাবে কান না দেওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসব নিয়ে সম্প্রতি লন্ডন থেকে একটি মূল্যায়ন বার্তা দলের চেয়ারপারসনের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও আছে। একান্ত দলীয় সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

জানা গেছে, ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি গঠনের সময় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ চেয়েছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারেক তাঁর 'নিজস্ব' ব্যক্তিদের মাধ্যমে খোঁজখবর করে তাঁর বিবেচনায় যোগ্য, মেধাবী ও পরীক্ষিত নেতাদের একটি তালিকাও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর দেখা গেল, ছাত্রদলের শীর্ষ পাঁচ পদের মাত্র একটি পদ দেওয়া হয়েছে ওই তালিকা থেকে। যুবদলের কমিটি গঠনের সময়ও একই ঘটনা ঘটে। তালিকা এনেও রাখা হয় মাত্র একজনকে। বিএনপির বর্তমান ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময়ই তারেক রহমান তাঁর মা খালেদা জিয়াকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে পরামর্শও রাখতে পারেননি বেগম জিয়া। সর্বশেষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখার পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল বেগম জিয়ার কাছে। সেটিও ভেস্তে যায়। এসব নিয়ে তারেক রহমান প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।

কেন তাঁর পরামর্শ আমলে নেওয়া হচ্ছে না? কে বা কারা এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে? এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজছেন তারেক রহমান। তিনি দলের ভেতর ও বাইরের কিছু লোকের- যাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে- প্রতি ইঙ্গিত করছেন। একই সঙ্গে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার (বিশেষ করে গুলশান অফিসে বসেন এমন কয়েকজন সাবেক

আমলা) দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি তারেক রহমানের ক্ষোভের বিষয়টি অবশ্য নির্বাচনের আগেই দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে টেলিসংলাপে বেরিয়ে এসেছে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন আইনজীবী নেতা কালের কণ্ঠকে এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি তিনি লন্ডন ঘুরে এসেছেন। প্রায়ই লন্ডনে যান এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন এমন কয়েকজন নেতাও একই রকমের তথ্য জানিয়েছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য দ্বিমত রয়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তারেক রহমান যে দলের সিনিয়র নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি তা শুনিনি বা এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখছেন।' তাঁর মতে, সংগঠনকে গতিশীল করতে তিনি (তারেক) আগেও ভূমিকা রেখেছেন, এখনো রাখছেন। মাঝখানে অসুস্থ থাকায় তিনি সেভাবে কাজ করতে পারেননি। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। এর পরও দলের দুর্দিনে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁর মতামত দেবেন- এটাই স্বাভাবিক। বিদেশে থাকলেও নিজের দল নিয়ে কাজ করছেন তিনি। দলের সব দিক বিবেচনা করে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দলের চেয়ারপারসনের কাছে তিনি দিতেই পারেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ বলেন, 'দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার মনে হয় না।'

অভিমান করে দলের কর্মকাণ্ড থেকে খানিকটা দূরে অবস্থানকারী স্থায়ী কমিটির এক নেতা জানান, 'কেউ স্বীকার করুক আর না-ই করুক; তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা উঠলে বেশির ভাগ সদস্য কথা বলেন না। কারণ সবার সামনে আলোচনা করে কেউ তারেকের বিরাগভাজন হতে চান না। কিন্তু বেগম জিয়া যখন এ নিয়ে ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনা করেন, তখন অনেক সিনিয়র নেতাই নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তারেকের সিদ্ধান্তগুলো মনঃপুত না হলে অনেক নেতাই তাঁর (তারেকের) অনুসারী নেতাদের দিয়ে বিষয়টি খালেদা জিয়ার কাছে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করান।'

পূর্বোক্ত আইনজীবী নেতা আরো জানান, নিজস্ব নানা মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে তারেক রহমান তাঁর পরামর্শ যে আমলে নেওয়া হচ্ছে না বা তাঁর মতামত যে ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে সেসব বিষয়ে জানতে পেরেছেন। দলকে সুসংগঠিত করতে এবং আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে বেশ কিছু পরিকল্পনাও নিয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার কাছে একটি মূল্যায়ন বার্তাও পাঠিয়েছেন বিএনপির এই ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি।

কোন সময়ের মধ্যে দলের তৃণমূল সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি গঠন শেষ করতে হবে, কখন দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করতে হবে, কোন সময়ের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাওয়া যেতে পারে- এসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে ওই মূল্যায়ন বার্তায়। তিনি জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হোমওয়ার্ক করছেন তারেক। হোমওয়ার্ক থেকে উঠে আসা অনেক বিষয়ও রয়েছে বেগম জিয়ার কাছে পাঠানো বার্তার মধ্যে। যেসব নেতা দলকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং করছেন তাঁদের ব্যাপারে এখনই সতর্ক হওয়ার জন্য তিনি তাঁর মাকে পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর কমিটি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কমিটি দ্রুত গঠন বা পুনর্গঠনের কথাও বলেছেন তিনি।

আন্দোলন থেকে দূরে থাকার জন্য যেসব নেতা বউ-বাচ্চা নিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁদের বিষয়েও তথ্য দিয়েছেন তারেক। বার্তায় তিনি দেখিয়েছেন, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির মোট সদস্য ৩৮৬ জন। তাঁদের মধ্যে আন্দোলনের কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ২২ জন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন, গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চারজন, অসুস্থ ছিলেন দুজন। ভাইস চেয়ারম্যান ১৭ জন, গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুজন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ৩৫ জন, তাঁদের মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যুগ্ম মহাসচিব সাতজন, গ্রেপ্তার ছিলেন দুজন। সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সাতজন, মাত্র একজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারেক প্রশ্ন রেখেছেন, বাকিরা কোথায় ছিলেন?

দলের 'নিষ্ক্রিয়' নেতাদের বিষয়েও বলা হয়েছে। তাতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত নেতার নাম রয়েছে। নিষ্ক্রিয়তা বা কোনো ভূমিকা না থাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিনজন, উপদেষ্টা পরিষদের ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যানদের আটজন, যুগ্ম মহাসচিবদের তিনজন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন সম্পাদক, সহসম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ প্রায় ২৫ জনের ব্যাপারে সজাগ থাকতে বেগম জিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক।

এদিকে তারেক রহমানের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়া কর্মপন্থা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। গত রবিবার রাতে খালেদার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে এর ইঙ্গিত রয়েছে বলে ওই আইনজীবী নেতা দাবি করেছেন।

চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনের পরে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল এবং যেকোনো দিন ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে কাউন্সিল বা মহানগর কমিটি করার তারিখ ঠিক করা হয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত স্থায়ী কমিটির এক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, আলোচনায় প্রাধান্য পায় ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন। শিগগিরই মহানগর কমিটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। কমিটি দুই ভাগ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ওই নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনের পর জাতীয় কাউন্সিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাঁরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোয় বিএনপির একক প্রার্থী রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। একই সঙ্গে সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের দাম বাড়ালে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/03/11/60528

civgk© D‡cw¶Z Zv‡iK ¶yä



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___