Banner Advertiser

Tuesday, April 8, 2014

[mukto-mona] এই শনিবার রতনদার শোকসভা ৬টায় 41-20 Queens Blvd, Sunnyside. You are invited to join.



gvB jv÷ m¨vjyU Uz iZb`v Bhorer Kagoj, 9th Apr 2014

http://www.bhorerkagoj5.net/new/blog/2014/04/09/169984.php

রতনদা নেই, আজ তার মরদেহ বাংলাদেশে গেছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। রতনদার ফিউনারেল- নিউইয়র্কে এত মানুষ হয়েছে যে, ইতিপূর্বে কারো জন্যে তা হয়নি।

প্রবাসে রতন বড়ুয়াকে শেষ বিদায়

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-04-07 17:32:43.0 BdST Updated: 2014-04-07 18:01:01.0 BdST

শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় মুক্তিযোদ্ধা রতন বড়ুয়াকে শেষ বিদায় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরারোববার বিকালে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি চার্চের মিলনায়তনে রতন বড়ুয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন হয়চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মাদার্সা গ্রামের রতন বড়ুয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ বছর বয়সে গত এপ্রিল মারা যান। তিনি ২৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেনযুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছে অতিপরিচিত মুখ ছিলেন রতন বড়ুয়া, বিপদে পড়লে তার কাছেই ছুটে যেতেন সবাই

শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠের পর জাতীয় পতাকায় রতন বড়ুয়ার কফিন আচ্ছাদিত করেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কে মোমেনএরপর শিশু-কিশোর-নারী-পুরুষ সবাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা জানানোর পর মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের পাশাপাশি ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন। প্রবাসে বাংলাদেশিদের এই ধরনের অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম আগে কখনো ঘটেনি বলে স্থানীয়রা জানান

কে মোমেন বলেন, "রতন বড়ুয়ার মানবসেবার পরিধি ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-জাতি-গোষ্ঠির সীমানায় আটকে ছিল না বলেই তার মৃত্যু সকলকে গভীরভাবে শোকাহত করে গেল।" আকরামুল কাদের বলেন, "নিঃস্বার্থভাবে পরোপকারে অনেক বাধা এসেছে, কিন্তু তাকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মন্দ কাজ হতে বিরত এবং মহৎ কাজে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে রতন বড়ুয়া মানব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।" অকৃতদার রতন বড়ুয়া গবেষণার জন্য তার দেহটি বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করে গেছেন

যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আন্তর্জাতিক সমন্বয় কারী শিতাংশু গুহ জানান, রতন বড়ুয়ার মরদেহ মঙ্গলবার দেশে যাবে। ঢাকায় কমলাপুর বৌদ্ধ বিহার হয়ে চট্টগ্রামের গ্রামের বাড়িতে যাবে বুধবার। এরপর তা ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বিএসএমএমইউকে হস্তান্তর করা হবে



'মাই লাস্ট স্যালুট টু রতনদা'

অনেকদিন আগে এরিখ মারিয়া রেমার্কের লেখা 'প্রেম-মৃত্যু-ভালবাসা' নামক যুদ্ব্ভিত্তিক উপন্যাসটি পড়েছিলাম। রতনদার মৃত্যুর পর কেন জানি বারবার তা মনে পড়ছে। কাহিনীপ্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও কোথায় জানি একটা মিল আছে। শুনেছি, যৌবনে রতনদা একজনকে ভালবেসেছিলেন। তার মৃত্যু দেখলাম খুব কাছে থেকে। আর ভালবাসা, এতো পার্থিব নয়; ঐশ্বরিক। রতনদা মানে আমাদের রতন বড়ুয়া; যিনি সবাইকে 'এপ্রিল ফুল' বানিয়ে চলে গেছেন 'না ফেরার দেশে।মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু কোন কোন মৃত্যু সবাইকে ধাক্কা দিয়ে যায়, রতনদা তাই করেছেন। এতকাল লোকে জেনেছে, রতনদা সবাইকে ভালবাসে; কিন্তু তিনি চলে গেলে বোঝা গেলো, মানুষও তাকে ভালবাসে। মঙ্গলবার পহেলা এপ্রিল ভোরবেলা লোকে লোকারণ্য হাসপাতালে সবাই জানান দেন: 'রতনদা, আমরাও আপনাকে ভালবাসি।'


এরআগে শুক্রবার রতনদা-কে যখন হাসপাতালের সাধারণ বেড থেকে 'হসপিস'- নিয়ে যাচ্ছিলো তখন তিনি নার্সকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, 'সাধারণ বেড হসপিস-এর মধ্যে তফাৎ কি?' নার্স আমাদের দিকে তাকান এবং বলেন, 'আমি ঠিক জানিনা, আপনি ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করবেন।' আমরাও সবাই জানতাম তা নয়, তবে আন্দাজে বুঝতে চেষ্টা করি। রতনদা ঠিকই বুঝে ফেলেন, একসময় বলেন, 'শেষ যাত্রা।'  আরো বলেন, 'টাইম শেষ, আর ভালো লাগেনা।' আগস্টে প্রথম যখন রতনদার 'ল্যাঙ ক্যান্সার' ধরা পড়লো এবং ডাক্তার এসে জানান দিলো থেকে ১২ মাস; রতনদা তখন হেসে বললো, 'ডাক্তার আমি রেডী, তবে আমি যেন হাটাচলা করতে করতে চলে যাই।' মৃত্যু দোরগোড়ায় শুনলে মানুষ ভয় পায়; সেদিন রতনদার কথায় ডাক্তার ভড়কে যায়। সংবাদ শুনে দলে দলে মানুষ যায় রতনদাকে শান্তনা দিতে, রতনদা সবাইকে শান্তনা দিয়ে বিদায় করে। আমরাও যাই এবং বলি, 'বিছানায় শুয়ে লম্বা লম্বা কথা কইছেন, চলেন বাইরে চলেন।' আসলে, তিনি শুয়ে থাকেননি, 'দিনের মধ্যেই দেখি তিনি আবার সর্বত্র। মিটিং মিছিল, বরফ ভেঙ্গে যেখানে আমরা যেতে ইতস্তত: করি, রতনদা সেখানেও হাজির। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করে; অন্যরা বলে, ব্যস্ত থাকুক, তাহলে ভালো থাকবে। ব্যস্তই তিনি ছিলেন, কখনো বাসায়, কখনো হাসপাতালে বা জনতার ভীড়ে।


গত মাস হাসপাতাল বাসা এভাবেই চলছিলো। সপ্তাহ তিনেক আগে আমরা তার বাসায় এক সভা ডাকি। সবাই যাই, গিয়ে দেখি তিনি নাই। হাসপাতালে। আমাদের জানাননি; বাসায় বলে গেছেন, অতিথিদের যাতে যত্নের ক্রুটি না হয়। হয়নি। আমরা ভেবেছি, উনি তো হাসপাতালে যাওয়া-আসাতেই আছেন, একটু সুস্থ হলে বাসায় যাবো। তবে তার ভাই নয়ন বড়ুয়ার  সাথে কথা বলে বুঝলাম, অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এরমধ্যে সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার মিতা রতনদাকে দেখতে যান; বেরিয়ে এসে ফোন করে জানান, 'আপনি বলছেন রতনদার অবস্থা ভালো নয়; রতনদার অবস্থা তো গুরুতর খারাপ।' তখন বৃষ্টি হচ্ছিলোতবু সস্ত্রীক গেলাম, কারণ গিন্নিও তার ভক্ত। রতনদাকে দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। বললেন, 'আর পারছিনা।' রতনদার মুখে আমরা এমন কথা শুনতে অভ্যস্ত নই। দেখলাম, রতনদার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এরপর হসপিস- স্থানান্তর। সন্ধ্যায় ১০/১২ জন সুভার্থী আসেন; অনেক লোকের কোলাহলে রতনদা চাঙ্গা হয়ে উঠেন।  তাকে বলি, উঠেন, প্যান্ট পরেন, চলেন বাইরে থেকে ঘুরে আসি। নেতা হাসেন। একফাকে বলেন, 'আর বাইরে যাওয়া হবেনা।' সেদিনও বুঝিনি এত তাড়াতাড়ি তিনি চলে যাবেন।


রতনদা কি বৌদ্ব ছিলেন? বড়ুয়া যখন তখন সবাই বলবেন, হ্যা। 'দিন আগে রতনদা এক সভায় নিজেই বলেছেন: 'বৌদ্বের ঘরে জন্মেছি বলে আমি বৌদ্ব। যদি হিন্দুর ঘরে জন্মাতাম, বা মুসলমানের ঘরে হতাম, তবে আমার অন্যরকম ধর্মীয় পরিচয় হতো। আসলে আমি মানুষ।' রতনদা সত্যি সত্যি ধর্মীয় গন্ডীর বাইরে এসে মানুষ হতে পেরেছিলেন। তারমধ্যে মানবিক গুনাবলীর কোন অভাব ছিলোনা। হলুদ কাপড় পরে জীবন শুরু করেছিলেন। একসময় ঈশ্বরের সান্নিধ্য ছেড়ে মানুষের মাঝে মিশে যান; মানুষের জন্যে জীবন উত্সর্গ করেন। 'জীবে প্রেম করে যে জন সেজন সেবিছে ঈশ্বর'- একথা যদি সত্য হয় তবে রতনদা সারাজীবন মানুষরুপী ঈশ্বরের সেবা করে গেছেন। মানুষের সেবায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। রতনদার মত মানুষ আছে বলেই হয়তো পৃথিবী আজো সুন্দর। 'মাই লাস্ট স্যালুট টু রতনদা।'


রতনদা সার্বজনীন ব্যক্তিত্ব। হিন্দু-মুসলীম-বৌদ্ব-ক্রিস্টান; ধনী-দরিদ্র-উচু-নীচু; গৃহকর্তা-কর্ত্রী-যুবা-পুরুষ-নারী সবারই তিনি রতনদা। মন্দির-মসজিদ-চার্চ-প্যাগোডা সর্বত্র তিনি। বিয়ে-অন্নপ্রাশন-পৈতা-মুসলমানী-ব্যাপটিজম সব অনুষ্টানে তিনি। কেউ বিপদে পড়লে রতনদা সেখানে হাজির। কেউ মরলে তিনি হাজির। এখানে 'আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম' নাই; কিন্তু রতনদা ছিলেন। নিজেই বলতেন যে, অন্তত: ৫শ মানুষের শেষকৃত্যে তিনি অংশ নিয়েছেন। ধর্ম নির্বিশেষে মৃতদেহ দেশে পাঠাতে রতনদা ছিলো অপরিহার্য। সব ধর্মীয় অনুষ্টানে, এমনকি জানাজায় রতনদা শরিক। মৃত্যুর সপ্তাহ দু'য়েক আগেও হাসপাতালের বেডে থেকে তিনি অন্য একজনের লাশের সুব্যবস্থা করে দেন। নিউইয়র্কে মানুষের বিপদে-আপদে বা স্বজনহারা কেউ মারা গেলে এখন রতনদার শূন্যস্থান কে পূরণ করবে জানিনা।


রতনদাকে আমরা বলতাম 'সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ।' জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে যতবার সুযোগ হয়েছে ততবারই তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, 'আমাদের জয়প্রকাশ নারায়ণ, রতন বড়ুয়া।' নেত্রী হেসেছেন। গত আগস্টে 'মরণ অসুখটা' ধরা পড়লে, সেপ্টেম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এলে রতনদা ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তার সাথে দেখা করার। আমরা চেষ্টাও করেছিলাম, পারিনি। রতনদা তখন অতটা অসুস্থ ছিলেন না বা তাকে দেখে অসুস্থ মনে হতোনা; এখন হলে হয়তো সেটা সম্ভব ছিলো। কারণ আমার সুহৃদ-বন্ধু মাদারীপুরের রাজ্জাক-কে নেত্রী দেখতে গিয়েছিলেন। রতনদার সাথে নেত্রীর আর দেখা হলো না এবং আমার দু:খটা সারাজীবন থেকে যাবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় রতনদাকে সন্মান করেছেন; যদিও বর্তমান যুক্ত্ররাস্ট আওয়ামী লীগ তা করেনি। রতনদা ছিলো সবার বন্ধু। হাজারো পরিবারের তিনি ফ্যামিলী ফ্রেন্ড। বয়স নির্বিশেষে সব মহিলার তিনি শ্রদ্বার পাত্র।

গতকাল সংবাদ এলো রতনদাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। পুরো নিউইয়র্কে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। অনেকে জানতে চান, উনি তো ওনার দেহ পিজি হাসপাতালে দান করে দিয়েছেন, তাহলে শেষকৃত্য হবে কিভাবে? নিউইয়র্কে রতনদার বাসায় মানুষের ভীড়। শুক্র-শনি-রবি অনেকগুলো অনুষ্টান; মানুষ উপচে পড়বে রতনদাকে শেষ বারের মত একনজর দেখার জন্যে। দুই রাষ্ট্রদূত, কনসাল অফিস সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন। পুরো উত্তর আমেরিকা ঝাঁপিয়ে পড়েছে রতনদার কাছে তাদের ঋন শোধ করতে। রতনদা মরে প্রমান করেছেন, মানুষের জন্যে কাজ করলে মানুষ তা মনে রাখে। রতনদা মারা যাবার পর আমার কম্পিউটারেও অসংখ্য শোকবার্তা, যা পড়ার বা উত্তর দেয়ার সময়ও পাইনি। নিউইয়র্ক ইন্টারফেইথ সার্ভিসেসের ম্যাট ইউনার লিখেছেন, 'রতনের হাজারো বন্ধুর মধ্যে আমি একজন। বসন্ত এলো, রতন চলে গেল। তবে তিনি না থাকলেও তার কর্মদ্দোপনা আমাদের উদ্দীপিত করবে; আর তার হাসির কথা মনে করে আমরা আরো হাসবো।' সত্যিই জীবিত থাকতে তিনি সবার মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করেছেন; আর মরে গিয়ে সবাইকে কাঁদাচ্ছেন। লন্ডনের ভারতী টেইলর লিখেছেন, রতনজীকে বেশিদিন চিনি না; কিন্তু যেটুকু চিনেছি তাতেই অবাক হয়েছি, কি চমত্কার মানুষ। কলেজ ছাত্রী তুনা মজুমদার লিখেছে, আমার জীবনের একটি অংশ হারিয়ে গেছে। আঙ্কেল মা' চেয়েও আমাকে বেশি জানতো। তুনাকে আমরা জানি রতনদার মেয়ে হিসাবে। রতনদা অকৃতদার; অন্যের কন্যাকে এভাবেই তিনি নিজের কন্যার মত আপন করে নিতে পেরেছেন। আর শুধু তুনা কেন রতনদার স্নেহধন্য মানুষ অগুন্তি। হাসপাতালে রতনদার ভিজিটরের আধিক্য দেখে কর্তৃপক্ষ প্রথমটা বিব্র্ত হলেও ওরা পরে জেনে যায় রুগী সাধারণ নয়। আমেরিকায় দুই রাষ্ট্রদূত বাণী দিয়েছেন; আশা করি প্রধানমন্ত্রীও হয়তো শোকবার্তা দেবেন। রতনদার অন্যতম পরিচয় তিনি ঐক্য পরিষদের সভাপতি; কেন্দ্রীয় ঐক্য পরিষদের কোন শোকবার্তা এখনো দেখিনি। ঠিকানা সম্পাদক লাবলু আনসার জানালেন, তিনি সৌভাগ্যবান; দু'দিন আগে তিনি অনেকটা সময় রতনদার সাথে কাটাতে পেরেছেন। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত লিখেছেন, 'খুব দু: পেলাম।' রতনদা শুধু যে, উত্তর আমেরিকায় সর্বজন সমাদৃত তা নয়; বাংলাদেশে বৌদ্ব্যদের মধ্যেও তিনি সমধিক প্র্নম্য। পৃথিবীর যেখানেই বৌদ্ব্যরা আছেন, সর্বত্র তিনি আদরণীয়। ইউরোপের বৌদ্ব সম্প্রদায় তাকে যথেস্ট মান্য করে। রামুর ঘটনার পর রতনদা আর একবার জ্বলে ওঠেন; কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিউইয়র্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। সারাবিশ্বে যা কিছু হয়েছে, তার অনেককিছুর পিছেই ছিলেন রতন বড়ুয়া। রতনদার মৃত্যু বৌদ্ব সম্প্রদায়ের জন্যে বিরাট ক্ষতি। নিউইয়র্ক প্রবাসী বৌদ্বরা এতিম হয়ে গেল।  আর শুধু বৌদ্বরা কেন এতিম হলাম আমরা সবাই।

রতনদা ছিলেন মানবাধিকার নেতা। মানুষের অধিকারের জন্যে সংগ্রাম করতে করতে নিজের অধিকারের কথা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। সিকি শতাব্দীর বেশি আমেরিকা থেকেও তার গ্রীনকার্ড হয়নি; তাই কখনো দেশেও যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর দেয়া সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন, ফিরেও যাচ্ছেন একই পাসপোর্ট নিয়ে। রোববার পর্যন্ত তিনি আমেরিকায় আছেন; তারপর হয়তো সোম-মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং অত:পর চূড়ান্ত গন্তব্য পিজি হাসপাতাল। এতো তার দেহ, তার আত্মা নির্বাণ লাভ করুক, সবার প্রার্থনা তাই। রতনদাকে আমরা যেতে দিতে চাইনি। 'যেতে নাহি দেব হায়, তবু যেতে দিতে হয়তবু চলে যায়---'

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ৩রা এপ্রিল ২০১৪


 


 


 


 





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___