Banner Advertiser

Sunday, June 8, 2014

[mukto-mona] Fw: An Article To Read , An Article To Digest !!!!!!!





On , Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Sunday, June 8, 2014 11:04 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:



তারেক রহমান কি নিজেকেই ভুলে গেছেন?

08 Jun, 2014
আপনি যদি বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করেন তাতে আপনার ও আমার পিতাকে এবং দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অসম্মান করা হবে

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতা ছাড়াও তারেক রহমানের আরও পরিচয় আছে। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সন্তান। তার বেশকিছু নেতিবাচক পরিচয়ও আছে, তবে আমি তা নিয়ে এখানে আলোচনা করব না। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তারেক রহমানের একাধিক অসৌজন্যমূলক বক্তব্য নিয়ে কিছু বলার জন্য আমি এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমার বাবা একজন শহীদ সেনা কর্মকর্তা। তিনি মেজর জিয়াউর রহমানের চেয়ে উপরের পদে ছিলেন। আমরা ১৯৭০ এ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ছিলাম, মেজর জিয়া ছিলেন নাসিরাবাদে। তখনই আমাদের প্রথম দেখা হয়। আমার বাবা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধের শুরুর দিকেই বাবার সরবরাহ করা বিস্ফোরক দিয়ে একটি সেতু উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগার থেকে মুক্ত হলে বাবা গোপনে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

তারেক রহমান আমার থেকে বয়েসে নবীন হওয়ায় আমাদের যখনই দেখা হয়েছে তিনি আমার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তারেকের বন্ধু গিয়াসুদ্দিন আল- মামুন ঢাকা সেনানিবাসে আমাদের উল্টোদিকের বাড়িতে থাকেন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে আমার মায়ের সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম।

আমার প্রথম বইতে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে মাসহ সকালের নাশতা করার বিষয়ে লিখেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম একজন রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই পুডিং আর রোস্ট দিয়ে নাশতা করবেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের নাশতার টেবিলে চাপাতি রুটি, ডিম, আলু ভাজি আর চা দেখে আমি চমৎকৃত হয়েছিলাম।

বেগম খালেদা জিয়াকে আমি পারিবারিক পরিসরে 'আন্টি' বলে ডাকি।তিনিও জানেন আমি দেখা হলেই তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করব। শেষবার তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। আমার প্রশ্নে তার দেওয়া উত্তর পরদিন কাগজের শিরোনাম হয়েছিল।

সাংবাদিক হিসেবে আমি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সংবাদ সম্মেলনে যাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রায় দেখা হয়, তাকে আমি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সম্মানের সঙ্গে 'আপা' বলে ডাকি।

তারেক ও আমার মধ্যে সাদৃশ্য হচ্ছে আমরা দু'জনেই বীর যোদ্ধা ও সেনা নায়কের সন্তান। পার্থক্য হচ্ছে তার বাবা-মা পরবর্তীতে জাতীয় নেতা হয়েছেন, আমার বাবা শুধু যোদ্ধাই ছিলেন। আর একটা হচ্ছে আমি একজন সাধারণ সাংবাদিক আর তিনি রাজনীতিবিদ।

তারেক লন্ডনে বিলাসী সময় কাটাচ্ছেন আর দাবি করছেন তার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। আমি ভেবেছিলাম তিনি ভুল বইপত্র পড়ে ভুল শিক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু এবার তারেকের ব্যবহারে আমি হতভম্ব।

বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, তিনি সাত কোটি বাংলাদেশিকে পরিচয় দিয়েছেন। তার নেতৃত্ব বাঙ্গালি জাতিকে এক করেছে। আমার শহীদ পিতা ও মেজর জিয়া তার নেতৃত্বেই যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, কারণ তাদের সামনে পথ দেখানোর মত আর কোন নেতা ছিলেন না।

আমার বাবার সঙ্গের অন্যান্য সেনাকর্মকর্তারাও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনেই যুদ্ধ করেছেন। আমার বাবার মত আরও অনেকের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।

সাংবাদিকতার এক পর্যায়ে আমি বিএনপির একজন অন্ধভক্তের সঙ্গে কাজ করতাম। যখনই বঙ্গবন্ধুকে বোঝাতে 'বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা' লিখতাম, তিনি তা বদলে 'বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি' করে দিতেন। তিনি কি ভুল ছিলেন? সে সময় আমি পক্ষপাতিত্বমূলক সাংবাদিকতার সঙ্গে পরিচিত হই।

তারেক স্বাধীন বাংলাদেশের ফল ভোগের ক্ষেত্রে তার বাবার মতই ভাগ্যবান ছিলেন। আমার বাবা বলতেন, একবার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলে পাকিস্তানীরা থাকবে না তার পদোন্নতি আটকাতে। তিনি ১৯৬৫ সালে কর্নেল হন ও ১৯৭১ পর্যন্ত তার পরবর্তী পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করেন।

আমি আর আমার মা কি স্বাধীন বাংলাদেশের সুফল পেয়েছি? না, পাইনি। আমরা কষ্ট করেছি,আমার মা যুদ্ধ করে আমাকে আর আমার ভাইকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি শুধু আমাদের সবচেয়ে ভালো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই দেননি বরং বড়দের সম্মান করতেও শিখিয়েছেন, হোক তারা আত্মীয় বা দেশের নেতা।

আমার মা আমাদের বঙ্গবন্ধুর শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। কেন? এমন না তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তার ভালবাসা ছাড়া অন্য কোন পার্থিব সুবিধা পেয়েছেন। সেই ভালবাসা আমাদের হৃদয়ে রয়ে গেছে।

তারেক রাজনীতিতে আছেন বলে সেনাপরিবারের মৌলিক শিক্ষা ভুলে গেলে চলবে না। বড়কে সম্মান করলে মানুষ বড় হয়।

আপনি যদি বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করেন তাতে আপনার ও আমার পিতাকে, আপনার-আমার মাতা শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে ও দেশের বেশিরভাগ মানুষকে অসম্মান করা হবে। দয়া করে এমনটা করবেন না। অনেকেই এখন আপনাকে পাগল, অপ্রকৃতিস্থ, বোকা ও কুলাঙ্গার বলছে। আপনার শহীদ পিতার কি তা ভালো লাগছে?

আমাদের গর্বের লাল সবুজের পতাকা বঙ্গবন্ধুর দান। আপনি ক্ষমতায় এলে কি এই পতাকা বদলে ফেলবেন? নাকি নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনি সহনশীলতা, সদাচরণ ও সুস্থ রাজনীতির উদাহরণ রাখবেন। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় একজন শিক্ষিত মানুষ। যখনই তার সঙ্গে কথা বলি, তার পরিমিতিবোধ বুঝতে পারি যা একজন নেতার জন্য মানানসই।

জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ, আইটি আরও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন কিন্তু কখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বা অন্য কোন নেতাকে অপমান করেন না। এতদিন পর এসব কেন? আপনি কি বিরোধিতা করার অন্য সব পথ হারিয়ে ফেলেছেন? নিশ্চয়ই না।

আমি নিশ্চিত তারেকের এই ব্যক্তিত্ব বিএনপির কোন সমর্থক অনুসরণ করবে না। আমি বিশ্বাস করি কোন কাজ বা কটূক্তি বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বকে ছোট করতে পারবে না। তিনি সবার উপরে। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, এশিয়ান টিভি।







__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___