তারেকনামাঃ আক্রান্ত তারেক জিয়া ও নিস্ক্রান্ত শারমিন অাহমদ
13 Jun, 2014
শারমিন আহমদ এবং তারেক জিয়া উভয়েই মৌচাকে ঢিল ছুড়েছেন। কিন্তু মৌমাছির ঝাঁকটি তারেক জিয়ার দিকে ছুটলেও শারমিন আহমদের দিকে তেমন ভাবে ছুটেন নি।
জাতি হিসাবে আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর বৈশিষ্ট্য হলো আমরা হয় কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসি, নয় তো একই পরিমাণে ঘৃণা করি। এই দুইয়ের মাঝামাঝি কোন অবস্থানে থাকতে পারি না। আমরা প্রায় সবাই এই রোগে আক্রান্ত, তবে কারো কারো মাঝে এই রোগটি ভয়াবহ।
অনেকের মনেই প্রশ্ন, তেতাল্লিশ বছর পর তারেক জিয়া এবং শারমিন আহমদ অহেতুক এসব প্রসঙ্গ উঠাচ্ছেন কেন? এই মুরব্বীরা তারেকের 'বেয়াদবি' এবং শারমিনের 'বোকামি'তে বিরক্ত হচ্ছেন। প্রশ্নকারীদের নিয়ে মুশকিলটি হলো ইনারা কখনও ঘুমান, কখনও জেগে উঠেন। ইনারা কখন ঘুমান আর কখন জেগে উঠেন বোঝা বড় দায়।
এক নেতাকে দেবতা বানাতে গিয়ে অপরাপর সকল জাতীয় নেতার প্রতি অবজ্ঞা, কারো কারো প্রতি ঘৃণা ও চরিত্র হননের যন্ত্রনাদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা গত তেতাল্লিশ বছর ধরে চলেছে। এই তেতাল্লিশ বছর যাবৎ (তারেক ও শারমিনের প্রতি) আজকের এই প্রশ্নকারীরা ঘুমিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় (Sequential consequence) দেশটি আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে।
কাজেই তারেক জিয়া ও শারমিন আহমদ উভয়েই নতুন তাগিদে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুখ খুলেছেন। অহেতুক বিতর্ক এড়াতে যে মুখ তারা তেতাল্লিশ বছর বন্ধ করে রেখেছিলেন, আজ বাধ্য হয়েই সেই মুখ তারা খুলেছেন।
কারণ স্বাধীনতার ঘোষকের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকেই এই চেতনাধারীরা অস্বীকার করে নি, তাকে রাজাকার পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছে। কাজেই সুশীল গুরুদের পরামর্শমত শান্ত সুবোধ সাপের মত পড়ে না থেকে তারেক ও শারমিনের জন্যে সামান্য একটু ফোঁস শব্দ করা জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে।
শারমিন আহমদের কথামত দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার নোটে একই নেতার ছবি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নোটে তাদের সকল জাতীয় নেতা ও ব্যক্তিত্বকে স্থান দেওয়া হয়েছে।Father of the nation না বলে Fathers of the nation দেরকে জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এক নেতা ও এক দেবতার বন্দনা করে গড ফাদার, সন্ত্রাসী ও মতলববাজগণ আমাদের মুখ বন্ধ করে ফেলেছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে ওদের খুশীমত গণতন্ত্র উপহার দিচ্ছে। ১৯৭২-১৯৭৫ এ প্রচারিত মুজিববাদের মত ২০১৪ তে এসে গণতন্ত্রের আজব মডেল হিসাবে 'হাসিনাবাদ' জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
আওয়ামী বলয়ের বুদ্ধিওয়ালা সুশীল ও বুদ্ধিহীন পলিটিশিয়ান- উভয় গ্রুপই তারেক জিয়ার দিকে নিজ নিজ তীর নিক্ষেপ করছেন । হানিফ, হাছান মাহমুদ প্রমুখ নেতাগণ তারেক জিয়া উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনবরত গালি দিয়ে যাচ্ছেন। হুমকি ধমকি দিয়ে প্রশ্নের ধারটি ভোতা করে ফেলতে চাচ্ছে ।
অন্যদিকে প্রথম আলোর সোহরাব হাসানগণ তাদের কায়দামত বোঝাতে চাচ্ছেন যে তারেক বিএনপির ভরসা না, একটা মস্ত বড় বোঝা। এই ধরনের তারেকনামার শুরুতেই এক চিমটি লবণ হিসাবে সরকারের সমালোচনা করেন। পরে এক মুঠ গুড় হিসাবে বিএনপি বা জিয়ার একটু প্রশংসা করেন। তারপর এক জগ পানি হিসাবে তারেকের পুরা বেয়াদবি ঢেলে দেন। নিরপেক্ষতার সেই স্যালাইনটি জাতিকে পান করিয়ে নিজেরা ধন্য হন। কিন্তু সেই স্যালাইন খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত জাতির স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি হয় না।
যাই হোক, এদের সম্মিলিত প্রচারণা ও কৌশলের বদৌলতেই তারেক রহমান শুধু এখন বিএনপির নয়, এই মুহূর্তে সারা দেশের মানুষের ভরসা হয়ে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।
তারেক রহমান মুখ খুললেই এরা সবাই অাঁতকে উঠেন। তারেকের বক্তব্য প্রচার না করতে মিডিয়ার প্রতি অাহ্বান জানান। তারেক যদি অর্বাচীনের মত কথা বলেন তবে সেসবের প্রচারে তাদের তো আরো লাভ হওয়ার কথা। তবে ভয় পাচ্ছেন কেন?
এই ধরনের ভীতি আওয়ামীলীগকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করে ফেলেছে। সঙ্গত কারণেই তিনি (তারেক রহমান) আওয়ামী লীগের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আওয়ামী লীগ নিজের নামের মধ্যে উর্দু শব্দ (আওয়াম, অর্থ জাতি) লাগিয়ে রেখেছে। এদিকে তারেক রহমান অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন বলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। অথচ এরাই বিশুদ্ধ দেশপ্রেমের নমুনা হিসাবে বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রিয় দলের পতাকা তোলার নির্দোষ উচ্ছ্বাসটি পালন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময়ে অনেক আগে থেকেই এদেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ এই উচ্ছ্বাসটি দেখিয়ে থাকতো। এই পতাকাটি অন্য সময় টানানো হচ্ছে না। নেহায়েত বিশ্বকাপের সময় প্রিয় দলের পতাকা হিসাবে টানানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগে আওয়াম শব্দ দেখে এদের খারাপ লাগে না। কিন্তু ব্রাজিল বা অার্জেন্টিনার সমর্থকের ছাদে প্রিয় দলের পতাকা দেখলে খারাপ লাগে!
সত্যি এক আজব চিড়িয়াদের হাতে পড়েছে এদেশের রাজনীতি ও মানুষ।
জাতি হিসাবে আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর বৈশিষ্ট্য হলো আমরা হয় কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসি, নয় তো একই পরিমাণে ঘৃণা করি। এই দুইয়ের মাঝামাঝি কোন অবস্থানে থাকতে পারি না। আমরা প্রায় সবাই এই রোগে আক্রান্ত, তবে কারো কারো মাঝে এই রোগটি ভয়াবহ।
অনেকের মনেই প্রশ্ন, তেতাল্লিশ বছর পর তারেক জিয়া এবং শারমিন আহমদ অহেতুক এসব প্রসঙ্গ উঠাচ্ছেন কেন? এই মুরব্বীরা তারেকের 'বেয়াদবি' এবং শারমিনের 'বোকামি'তে বিরক্ত হচ্ছেন। প্রশ্নকারীদের নিয়ে মুশকিলটি হলো ইনারা কখনও ঘুমান, কখনও জেগে উঠেন। ইনারা কখন ঘুমান আর কখন জেগে উঠেন বোঝা বড় দায়।
এক নেতাকে দেবতা বানাতে গিয়ে অপরাপর সকল জাতীয় নেতার প্রতি অবজ্ঞা, কারো কারো প্রতি ঘৃণা ও চরিত্র হননের যন্ত্রনাদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা গত তেতাল্লিশ বছর ধরে চলেছে। এই তেতাল্লিশ বছর যাবৎ (তারেক ও শারমিনের প্রতি) আজকের এই প্রশ্নকারীরা ঘুমিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় (Sequential consequence) দেশটি আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে।
কাজেই তারেক জিয়া ও শারমিন আহমদ উভয়েই নতুন তাগিদে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুখ খুলেছেন। অহেতুক বিতর্ক এড়াতে যে মুখ তারা তেতাল্লিশ বছর বন্ধ করে রেখেছিলেন, আজ বাধ্য হয়েই সেই মুখ তারা খুলেছেন।
কারণ স্বাধীনতার ঘোষকের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকেই এই চেতনাধারীরা অস্বীকার করে নি, তাকে রাজাকার পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছে। কাজেই সুশীল গুরুদের পরামর্শমত শান্ত সুবোধ সাপের মত পড়ে না থেকে তারেক ও শারমিনের জন্যে সামান্য একটু ফোঁস শব্দ করা জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে।
শারমিন আহমদের কথামত দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকার নোটে একই নেতার ছবি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নোটে তাদের সকল জাতীয় নেতা ও ব্যক্তিত্বকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী বলয়ের বুদ্ধিওয়ালা সুশীল ও বুদ্ধিহীন পলিটিশিয়ান- উভয় গ্রুপই তারেক জিয়ার দিকে নিজ নিজ তীর নিক্ষেপ করছেন । হানিফ, হাছান মাহমুদ প্রমুখ নেতাগণ তারেক জিয়া উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনবরত গালি দিয়ে যাচ্ছেন। হুমকি ধমকি দিয়ে প্রশ্নের ধারটি ভোতা করে ফেলতে চাচ্ছে ।
অন্যদিকে প্রথম আলোর সোহরাব হাসানগণ তাদের কায়দামত বোঝাতে চাচ্ছেন যে তারেক বিএনপির ভরসা না, একটা মস্ত বড় বোঝা। এই ধরনের তারেকনামার শুরুতেই এক চিমটি লবণ হিসাবে সরকারের সমালোচনা করেন। পরে এক মুঠ গুড় হিসাবে বিএনপি বা জিয়ার একটু প্রশংসা করেন। তারপর এক জগ পানি হিসাবে তারেকের পুরা বেয়াদবি ঢেলে দেন। নিরপেক্ষতার সেই স্যালাইনটি জাতিকে পান করিয়ে নিজেরা ধন্য হন। কিন্তু সেই স্যালাইন খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত জাতির স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি হয় না।
যাই হোক, এদের সম্মিলিত প্রচারণা ও কৌশলের বদৌলতেই তারেক রহমান শুধু এখন বিএনপির নয়, এই মুহূর্তে সারা দেশের মানুষের ভরসা হয়ে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।
তারেক রহমান মুখ খুললেই এরা সবাই অাঁতকে উঠেন। তারেকের বক্তব্য প্রচার না করতে মিডিয়ার প্রতি অাহ্বান জানান। তারেক যদি অর্বাচীনের মত কথা বলেন তবে সেসবের প্রচারে তাদের তো আরো লাভ হওয়ার কথা। তবে ভয় পাচ্ছেন কেন?
এই ধরনের ভীতি আওয়ামীলীগকে চতুর্দিক থেকে গ্রাস করে ফেলেছে। সঙ্গত কারণেই তিনি (তারেক রহমান) আওয়ামী লীগের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আওয়ামী লীগ নিজের নামের মধ্যে উর্দু শব্দ (আওয়াম, অর্থ জাতি) লাগিয়ে রেখেছে। এদিকে তারেক রহমান অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন বলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। অথচ এরাই বিশুদ্ধ দেশপ্রেমের নমুনা হিসাবে বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রিয় দলের পতাকা তোলার নির্দোষ উচ্ছ্বাসটি পালন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময়ে অনেক আগে থেকেই এদেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ এই উচ্ছ্বাসটি দেখিয়ে থাকতো। এই পতাকাটি অন্য সময় টানানো হচ্ছে না। নেহায়েত বিশ্বকাপের সময় প্রিয় দলের পতাকা হিসাবে টানানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগে আওয়াম শব্দ দেখে এদের খারাপ লাগে না। কিন্তু ব্রাজিল বা অার্জেন্টিনার সমর্থকের ছাদে প্রিয় দলের পতাকা দেখলে খারাপ লাগে!
সত্যি এক আজব চিড়িয়াদের হাতে পড়েছে এদেশের রাজনীতি ও মানুষ।
__._,_.___