Banner Advertiser

Friday, July 18, 2014

[mukto-mona] নেগেটিভ পলিটিক্স করতে করতে ম্যাডাম নিজেই নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছেন



শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১
নেগেটিভ পলিটিক্স করতে করতে ম্যাডাম নিজেই নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছেন
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
বলিহারি বলতে হবে। দিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের সাউথ ব্লকের কাঁচাপাকা চুল কর্তাবাবুদের আইনী লড়াইয়ে ঘোল খাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেকটি বিশাল সমুদ্র বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে আরেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করলেন। এর আগে মিলিটারি জান্তাশাসিত মিয়ানমারকেও একইভাবে আইনী লড়াইয়ে পরাভূত করে প্রথমবার সমুদ্র বিজয় করেন। এই দুটি মহান বিজয়ের ফলে অর্থাৎ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আমাদের দাবি অনুযায়ী সমুদ্রসীমা নির্ধারণ তথা বঙ্গোপসাগরে মালিকানা নির্ধারণ ও প্রতিষ্ঠিত হবার ফলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারে আমাদের রাজনৈতিক, আয়তনিক ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রায় আরেকটি বাংলাদেশ। এর আগে আমাদের এই বাংলাদেশ ভূখণ্ডর আয়তন ছিল এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬ হাজার ৯৭৭ বর্গমাইল। এটি ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় রেডক্লিফ প্রণীত ম্যাপ অনুযায়ী, যা এতদিন একই ছিল। শেখ হাসিনার কালজয়ী নেতৃত্বে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে বিজয়ের ফলে আমাদের মূল ভূণ্ডখণ্ড বঙ্গোপসাগরের জলাধার মিলে বাংলাদেশের আয়তন দাঁড়াল ১৪৭৫৭০+১১৮৮১৩=২৬৬৩৮৩ (দুই লাখ ছেষট্টি হাজার তিনশত তিরাশি) বর্গকিলোমিটারে। অর্থাৎ এই বিশাল জলাধারে মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ আহরণে বা গভীর সমুদ্রে পোর্ট নির্মাণে কোন বাধা থাকল না এবং তা আইনী আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হলো। এই আদালত জাতিসংঘ কর্তৃক গঠিত এবং এর রায় সংশ্লিষ্ট সকলে মানতে বাধ্য-এর বিরুদ্ধে কোন আপীল চলবে না। এখন গভীর সমুদ্রেও বাংলাদেশের পতাকাবাহী ট্রলার স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে পারবে, তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে পারবেন আমাদের বিজ্ঞানীরা, কেউ বাধা দিতে পারবে না। এখানেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জননেতা এবং দেশপ্রেমিক দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। নেতৃত্বে ও ব্যক্তিত্বে একেবারেই আলাদা। নিজে স্বপ্ন দেখেন, অপরকে স্বপ্ন দেখাতে জানেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রজ্ঞা, মেধা যেমন উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছেন, তেমনি নিজেও অটল আদর্শ, শ্রম এবং নৈতিকতাবোধে নিজের মনোজগত গড়ে তুলেছেন, যেখানে বাংলায় বাঙালী সবার ওপরে। আর এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর পর রাষ্ট্রের যত অর্জন সবই এসেছে কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। 
বাঙালী জাতির দুর্ভাগ্য, মিলিটারি জিয়ার মতো এক স্বৈরাচার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের পথে নিয়ে যাবার প্রয়াস পেয়েছিলেন। মিলিটারি জিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী- না মিলিটারী না রাজনীতিকের ঐতিহ্য ধারণকারী, এমনি সুশ্রী অথচ প্রতিক্রিয়াশীল এক নারী মিথ্যা 'দেশপ্রেমিক' এবং 'আপোসহীন' নামাবলি জড়িয়ে বাংলার রাজনীতিতে এলেন, তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রীও (অবশ্য একবার মাত্র দেড় মাস, ১৯৯৬ সালে) হয়েছিলেন। স্বামীর মতো তিনিও দেশ ও জাতির কোন অর্জনই ধারণ করতে পারছেন না। কে কখন তাকে শিখিয়েছিল আওয়ামী লীগ সংগঠন ও সরকার যা করবে, যা অর্জন করবে তার বিপরীতে থাকতে হবে, তাহলেই 'আপোসহীন নেত্রী' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি এই সোজা কথাটা অনুধাবন করতে পারেননি। সব কিছুতেই তার নেগেটিভ এটিচিউড এবং নেগেটিভ পলিটিক্স করতে করতে নিজেই এখন নেগেটিভ হবার পথে। আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের সময় (২০০৯-২০১৩) আইনী লড়াইয়ে মিয়ানমারের মিলিটারি জান্তাকে পরাভূত করে শেখ হাসিনা যখন প্রথমবারের মতো সমুদ্র বিজয় অর্জন করলেন, তখন খালেদা ও তার মিথ্যার লাউড স্পিকার মীর্জা ফখরুল গং বললেন, এই বিজয়ে 'শুভঙ্করের ফাঁকি' রয়েছে। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার টিম বললেন, রায়টি হয়েছে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অর্থাৎ যার যা পাওনা তিনি তা পেয়েছেন। অর্থাৎ ২০০ নটিক্যাল মাইল (১৮৫২ মিটারে এক নটিক্যাল মাইল) পর্যন্ত আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মহীসোপানেও আমাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ম্যাডামের এক কথা-শেখ হাসিনার সরকার ব্যর্থ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোন অর্জনই তার ভাল্লাগেনা। বস্তুত, বাঙালী মানসই এমন যে নিজের ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য অপরের সাফল্য অস্বীকার করতে হবে এই ধরনের বাঙালীর প্রতিনিধিই হলেন বেগম খালেদা জিয়া। আবদুল মান্নান, মুনতাসীর মামুন, স্বদেশ রায়ের মতো জানাশোনা ধীসম্পন্ন কলামিস্ট সাম্প্রতিক রায়ের পর ভারতীয় পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে দেখিয়েছেন এই রায়ে বাংলাদেশ জিতেছে, ভারত হেরেছে। তবুও ম্যাডাম বাহিনী বলেছেন, তালপট্টি কোথায় গেল? আমরাও বলি তালপট্টি কোথায় গেল? স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সীমানা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানাসহ নানা প্রসঙ্গে আলোচনার পর তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বসে একটি চুক্তিতে উপনীত হন। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটির শিরোনাম ছিল 'মুজিব-ইন্দিরা' চুক্তি। কিন্তু চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিরোধ মীমাংসার ব্যাপারটি দীর্ঘসূত্রতায় ঠেলে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিলিটারি জিয়া। তিনি তো ৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, জিয়ার পর ৯ বছর স্বগোত্রীয় মিলিটারি এরশাদ এবং এরশাদের পর খালেদা- এভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একটানা ১৬ বছর এবং পরে আরও ৫ বছর খালেদা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। আজ যারা তালপট্টি তালপট্টি (যার কোন অস্তিত্বই নেই তিন দশক ধরে) করে চিৎকার করছেন, তাদের একটা ছোট্ট প্রশ্ন করতে চাই- আপনাদের এত বড় ক্ষমতা ছিল জলস্থল অন্তরীক্ষে, কই একটিবারও তো তালপট্টি অভিযানের কথা শুনলাম না। কিন্তু কেন? উপর দিয়ে ভারত বিরোধিতা, তলে তলে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ, এই কি তাহলে আপনাদের চরিত্র, রাজনীতি? আমরা জানি, স্বাধীনতার পর হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় তালপট্টি নামে একটি ভেসে ওঠা দ্বীপের অস্তিত্ব চোখে পড়ে এবং যার মালিকানার ন্যায্যতা বাংলাদেশের পক্ষে। তখনকার সরকারের ম্যাপে তালপট্টির অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে তালপট্টির অস্তিত্ব সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত আর তালপট্টির অস্তিত্ব কেউ আবিষ্কার করতে পারছে না। তারপরও বিএনপি কেন প্রশ্নটি সামনে আনল। তারা নিজেরাও জানে যে বস্তুর অস্তিত্বই নেই তার দাবির পেছনে কোন যুক্তি নেই। তবু তারা করছে স্রেফ নেগেটিভ পলিটিক্স-এর কারণে। ওই যে বলেছি, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরোধিতা করলে 'আপোসহীন নেত্রী' হওয়া যাবে। আসলে মনোজগতের দীনতাই এ ক্ষেত্রে কাজ করে। 
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা প্রথম দিন থেকেই বঙ্গোপসাগরে আমাদের অপার সম্পদ আহরণে প্রচেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু সমুদ্রসীমা অমীমাংসিত থাকায় যথাযথ সম্পদ আহরণ হচ্ছিল না। তাই তিনি প্রথমেই জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত International tribunal for ttge kaw if tge sea ev ITLOS-এ প্রথমে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মামলা করেন। বাংলাদেশের পক্ষে এই মামলার বাদী হন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ রিয়ার এডমিরাল (অব) খোরশেদ আলম এবং পুরো টিম তিন বছর আইনী লড়াই করে রায় অর্জনে সমর্থ হন। ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান হয়। আগেই বলেছি যার যা প্রাপ্য সে তা পেয়েছে। ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং তার পরের মহীসোপান পর্যন্ত আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 
একই বছর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে জাতিসংঘ কর্তৃক নেদারল্যান্ডের হেগে স্থাপিত স্থায়ী সালিশী আদালতে মামলা করেন। এই মামলার রায়ও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই রায়ে ৫ জন বিচারপতির মধ্যে ভারতের একজন বিচারক ছাড়া বাকি ৪ জন বিচারকই রায়ের পক্ষে মত দেন। রায়ে বঙ্গোপসাগরের ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার আর ভারত পেয়েছে ৬ হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার। এরপরও আমাদের ম্যাডামের মন ভরে না। ভারতের বিচারপতির মতেও এই রায়ে ভারত ঠকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি ভারতের পত্র-পত্রিকায়ও একই মন্তব্য করা হচ্ছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমাদের ম্যাডাম এবার ভারতের পক্ষে নেমেছেন। প্রকাশ্যে নেমেছেন। অবশ্য আমরা দেখেছি ভারতের বিগত নির্বাচনের আগে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে এবং নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মিডিয়ায় এমন আভাস পেয়ে ম্যাডাম বাহিনীর সে কি উল্লাস, কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে, এর অর্থ এবার আওয়ামী লীগকে একহাত নেয়া যাবে। মোদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর এমন খবরও নাকি প্রচার করা হয়েছে বলে শোনা গেছে, মোদি ভাই নাকি তারেক ভাইকে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের নেমন্তন্ন করেছেন। আসলে সব ভুয়া। 
একটু পেছনে তাকালেও আমরা দেখব ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রয়াত আবদুর রাজ্জাককে দায়িত্ব দিয়ে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করেন তখনও বিএনপি বলেছিল, আওয়ামী লীগ ভারতকে সব পানি দিয়ে এসেছে। অথচ সেই চুক্তিতেও বাংলাদেশই লাভবান হয়েছিল। তারপরও বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করতেই হবে। এমনকি যেদিন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে (একদিন আগে বা দু'দিন পরে), সেদিনও বললেন এটি একটি সস্তা চুক্তি এবং লাখ লাখ বস্তা পানি ভারতকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা যেদিন আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর সুদীর্ঘ অসন্তোষের অবসান ঘটালেন, সশস্ত্র শান্তিবাহিনী তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এল এবং ৬০ হাজারের মতো শরণার্থী ভারত থেকে নিজ বাসভূমে ফিরে এল, সেদিনও খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ওই অঞ্চলটিকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। বলেছেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার মিলিটারি সমাধানের পথে গিয়ে একদিকে সেখানে একটার পর একটা আর্মি ক্যাম্প বসিয়েছিলেন এবং পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছিল তখনই শান্তিবাহিনী অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। এভাবে সেখানে বছরের পর বছর রক্ত ঝরতে থাকে। অপরদিকে পাহাড়ে জমি বরাদ্দ দিয়ে সমতল থেকে লোক বসানো শুরু করলে সঙ্কট আরও তীব্রতর হয়। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা এর রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হন। চুক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়া-এরশাদ-খালেদা মিলিটারি দিয়ে যা পারেননি শেখ হাসিনা আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করলেন, এটা কিভাবে মেনে নেয়া যাবে? অতএব, পাকিস্তানের আইএসআই পরামর্শ দিল : বলে দিন, তথাকথিত শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম হাতছাড়া হয়ে গেল এবং তিনি বলেও দিলেন। 
নেগেটিভ পলিটিক্সের সর্বশেষ উদাহরণ হলো বিগত ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে সশস্ত্র জামায়াত-শিবিরকে মাঠে নামিয়ে, বোমা মেরে মানুষ মেরে, বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে তাদের মেয়েদের উপর নির্যাতন চালিয়ে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও লুট করে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেও যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকানো গেল না তখন প্রথমে রাজাকার সাঈদীকে চাঁদে ওঠানো হলো তারপর পবিত্র কাবা শরীফের ইমামগণ নাকি সাঈদীর মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন করছে (?) এমন সব আজগুবি মিথ্যাচার করেও যখন ঠেকানো গেল না তখনই সেই প্রভুর পরামর্শে এবার হেফাজতকে মাঠে নামানো হলো। তারা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে বায়তুল মোকররম মসজিদের পাশের ইসলামী বইয়ের দোকানসহ গোটা মতিঝিল-বিজয়নগরের ফুটপাথের হকারদের দোকানপাট জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল, এমনকি তাদের দেয়া আগুনে পবিত্র কুরআন ও হাদিস পুড়ে ছাই হলো, তাতেও যখন সরকারের ভিত নড়ানো গেল না তখন প্রভুর পরামর্শে এবার নির্বাচন বর্জন করলেন। 
পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জোটবেঁধে নির্বাচন করে সরকার গঠন করলেন। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সমাজে রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে, আড়াই লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণেরও বরাদ্দ রেখেছেন। এতকিছুর পর আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি শতকরা ৬ ভাগের ওপরে, মাথাপিছু আয় ১২শ' মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যে সব বিদেশী মোড়ল দৌড়-ঝাপ দিচ্ছিল তারাও নির্বাচনের পর সহযোগিতার হাত বাড়ালো। খাদ্য উৎপাদনে তো বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রথমবার থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ (অবশ্য মাঝে খালেদা-নিজামীরা ক্ষমতায় বসে আবার ঘাটতি করেছিল)। খালেদা জিয়া এখন বলছেন ঈদের পর আবার মাঠে নামবেন এবং সরকারকে দেখিয়ে দেবেন। কিন্তু তার দলের অনেক নেতাই বেলুনের মতো চুপসে বসে আছেন। তারা কি জাগবেন?
বস্তুত, ভদ্রমহিলাকে দিয়ে নেগেটিভ পলিটিক্স করাতে করাতে তাকে নেগেটিভ করে দেয়া হচ্ছে। 

ঢাকা- ১৮ জুলাই ২০১৪
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-07-19&ni=179497



শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১
ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়
ওয়াহিদ নবি
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___