Banner Advertiser

Tuesday, July 22, 2014

[mukto-mona] পবিত্র ভূমিতে অপবিত্র চক্রান্তের বৈঠক



বুধবার, ২৩ জুলাই ২০১৪, ৮ শ্রাবণ ১৪২১
পবিত্র ভূমিতে অপবিত্র চক্রান্তের বৈঠক
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাত্রার সময়েই আমার একটি কলামে (জনকণ্ঠে নয়) লিখেছিলাম, এটা রাজনৈতিক তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রায় মায়ের সঙ্গে শামিল হওয়ার জন্য তারেক রহমানের লন্ডন থেকে সৌদি আরবে গমনে কারও বুঝতে বাকি থাকেনি, বাংলাদেশে সরকার উচ্ছেদের চক্রান্তের যে পরামর্শ সভাটি মাতা-পুত্রের মধ্যে কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেটি এখন সৌদি আরবের রিয়াদে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র-নাটকের কুশলীবের সংখ্যাও বেড়েছে। দ-িত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী এবং জাতীয় পার্টির ভগ্নাংশ নাজিউর রহমান মঞ্জুর ছেলে এবং তাঁরই প্রতিষ্ঠিত বিজেপির নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থও একই সময়ে পবিত্র ওমরাহ করার নামে সৌদি আরবে গিয়ে হাজির হয়েছেন।
ঢাকার একটি কাগজের খবরে বলা হয়েছে, ওমরাহ পালনটা অজুহাত। আসলে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের জন্য সৌদি আরবে একটি ত্রিদলীয় বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমান, জামায়াতের পক্ষ থেকে মাসুদ সাঈদী এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার আন্দালিব অংশ নিয়েছেন। আমি ইতোপূর্বেই এই বৈঠকটি সম্পর্কে লিখেছিলাম, এখন সৌদি আরবে এই বৈঠক হচ্ছে, কিছুদিন আগে শুধু মাতা-পুত্র অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মধ্যে এই বৈঠকটি সিঙ্গাপুরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেগম জিয়া সিঙ্গাপুরে যাননি। ফলে বৈঠকটি হয়নি। তারেক রহমান সিঙ্গাপুর থেকে লন্ডনে ফিরে আসেন।
সিঙ্গাপুর-বৈঠকটি না হওয়া সম্পর্কে বাজারে নানা খবর প্রচারিত হয়েছিল। একটি খবর ছিল, তারেক রহমানের চাপ সত্ত্বেও ঈদের পর জামায়াতের সঙ্গে মিলে আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক কাজে আবার নামা সঙ্গত হবে কিনা, সে সম্পর্কে বেগম জিয়া মনস্থির করতে পারেননি। অন্যদিকে জামায়াতের কাছ থেকেও আন্দোলনে নামার কোন গ্রীন সিগন্যাল তিনি পাননি। এছাড়া দলের একটা ছোট অংশের জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ব্যাপারে ঘোর আপত্তি ছিল এবং এখনও আছে। খালেদা জিয়া তাই মনস্থির করার জন্য সময় নিচ্ছিলেন।
এই ফাঁকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে একটা সত্য বুঝতে পেরেছেন, সংগঠন হিসেবে তার দলের অস্তিত্ব এখন বিলুপ্তপ্রায়। নেতাকর্মীরা আন্দোলনবিমুখ এবং আন্দোলনে নামতে ভয় পায়। তাছাড়া সর্ব পর্যায়ে বিএনপির মধ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ অন্তর্দ্বন্দ্ব। যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকানোর ক্ষমতা দলের নেত্রীর নেই। তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বুদ্ধি-পরামর্শের ওপর তিনি একান্তই নির্ভরশীল; কিন্তু তাঁর সাংগঠনিক শক্তির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। সম্প্রতি লন্ডনে দলের এক ইফতার পার্টিতে দলীয় লোকদের প্রচ- লাঠালাঠির মধ্যে তারেক রহমানকে কিভাবে মাথা বাঁচানোর জন্য পালাতে হয়েছে, সে খবর তিনি জানেন। এর আগে তারেক রহমানের ডাকা লন্ডনের আরেক সভাতেও একই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল।
সুতরাং খালেদা জিয়া জানেন, বিএনপির একা আন্দোলন করার এখন আর কোন শক্তি নেই এবং জনসমর্থনও নেই। তবু এখানে সেখানে বিএনপি যে এখনও নির্বাচনে জয়ী হয় তা প্রোটেস্ট ভোটের জোরে; নিজেদের জনসমর্থনের জোরে নয়। আগামী চার বছর হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থেকে যদি ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত সমস্যার মীমাংসা করতে পারেন এবং সেই সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিতে পারেন (যে কাজগুলো করা সম্ভব বলে এখনই মনে হচ্ছে), তাহলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির তহবিলে প্রোটেস্ট ভোটও আর জমা হবে না। আওয়ামী লীগ আগামী চার বছর নয়, তার পরবর্তী পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকতে পারবে।
এই দীর্ঘ নয় কিংবা সাড়ে নয় বছর বিরোধী দল হিসেবে থাকতে হলে বিএনপির অস্তিত্ব টিকবে না। দলছুট লোক নিয়ে যে দলের গোড়াপত্তন, ক্ষমতার হালুয়া-রুটির ভাগ না পেলে তারা এই দলে থাকবে কোন্ আশায়? বেগম জিয়ারও বর্তমানে যে শারীরিক অবস্থা তাতে আরও নয়-দশ বছর পর ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা তাঁর শরীর স্বাস্থ্যে কুলাবে না। তারেক রহমান, যিনি গুরুতর অসুস্থতার অজুহাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন, তার দলের লোক দেখছে, তিনি দিব্যি সিঙ্গাপুর থেকে সৌদি আরব ঘুরে বেড়াচ্ছেন; কিন্তু দেশে ফিরে দলের কর্মীদের নেতৃত্ব দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার সাহস দেখাচ্ছেন না। এই ভীরু ও পলাতক যুবকের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিযোগে অসংখ্য মামলা ঝুলছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কখন কোন্ মামলায় তিনি ফেঁসে যাবেন এবং দীর্ঘকালের জন্য শ্রীঘরে যাবেন তার ঠিক নেই। এখনই হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে ঠেলে ফেলতে না পারলে তার এবং তার দুষ্কর্মের সাথীদের ভাগ্যে কী আছে তা আন্দাজ করা মুশকিল নয়। অনেক ভেবেচিন্তেই মাতা-পুত্রকে জামায়াতের গলগ্রহ হওয়ার সিদ্ধান্তটি নিতে হয়েছে।
আসন্ন ঈদের পর একা আন্দোলন করার ক্ষমতা ও সুযোগ জামায়াতেরও নেই। জামায়াতের জনসমর্থন নেই এবং গণআন্দোলন করার কোন ইস্যুও তাদের হাতে নেই। সরাসরি '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করে আন্দোলন করতে গেলে জনগণের ঘৃণার রোষ তাদের বিরুদ্ধে আরও পুঞ্জিভূত হবে। অন্যদিকে জামায়াত ও শিবিরের ক্যাডাররা প্রকাশ্য গণআন্দোলন পরিচালনায় অভিজ্ঞ নয় এবং আগ্রহীও নয়। তারা গুপ্তহত্যা, প্রতিপক্ষের হাত কাটা, পাকাটা, অগ্নিসংযোগে নিরীহ মানুষ হত্যার মতো সন্ত্রাসী কাজে অভিজ্ঞ। বিএনপির সঙ্গে জুটে জামায়াত এই সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখোশ পরাতে চায়।
জামায়াত জানে, তাদের হাতেও আর সময় নেই। এখনই হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা না গেলে যে কোন কারণেই '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের কারও কারও মামলার রায় দান এবং দণ্ডিতদের দণ্ড কার্যকর করা বিলম্বিত হলেও তা দীর্ঘকাল ঝুলে থাকবে না। কাদের মোল্লার যখন ফাঁসি হয়েছে তখন দণ্ড ঘোষিত অন্যান্য অপরাধীরও দ- কার্যকর হবে। তা আজ অথবা কাল। সরকার কৌশলী হয়ে দণ্ড কার্যকর করা বিলম্বিত করতে পারেন; কিন্তু এই মানবতার শত্রুদের চরম দ- দান থেকে পিছু হটবেন না। সুতরাং হাসিনা সরকারকে এখনই ক্ষমতা থেকে ফেলে দিতে হবে। নইলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো তো যাবেই না, জামায়াতসহ স্বাধীনতার শত্রু রাজনৈতিক দল, উপদলগুলোও বাংলার মাটি থেকে চিরদিনের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সুতরাং জামায়াত আন্দোলনে আসায় আগ্রহী এবং খালেদা জিয়াও তাঁর সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে পুত্র তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে আবারও জামায়াতের সঙ্গেই সন্ধি করার জন্য আগ্রহী হয়েছেন। আর এই সন্ধি-বৈঠক করার জন্য সৌদি আরবে ছুটেছেন। যাবার আগে এক জনসভায় বক্তৃতায় বলেছেন, "আওয়ামী লীগ সরকারকে আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না।" কেন থাকতে দেয়া যায় না, তার কারণগুলো এই নিবন্ধের শুরুতেই আমি আলোচনা করেছি। 
আওয়ামী লীগকে যে আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না এই ব্যাপারে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ঐকমত্য আগেও ছিল, এখন আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নটা হলো কী উপায়ে ফেলে দেয়া যাবে? সেই উপায়টা স্থির করার জন্য সৌদি আরবে এই বৈঠক। আপাতত ত্রিদলীয়। বিএনপির তারেক রহমান, জামায়াতের মাসুদ সাঈদী এবং বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব। কাছেই সৌদি রাজপ্রাসাদে খালেদা জিয়া অবস্থান করছেন। প্রয়োজনমতো বৈঠকের সিদ্ধান্ত তাঁকে অবহিত করা হবে এবং তাঁর মতামতও নেয়া হবে। চাই কি তিনিও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ঢাকার একটি কাগজের খবরে বলা হয়েছে, এই বৈঠকের আয়োজক পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা চক্র আইএসআই। সঙ্গে সৌদি এস্টাবলিশমেন্টের কট্টর অংশ যুক্ত থাকলে বিস্ময়ের কিছু নেই। 
এই বৈঠকে একটা ব্যাপারে যে মতৈক্য হবে তাতে আমার সন্দেহ নেই। অর্থাৎ এ মুহূর্তে জনসমর্থিত আন্দোলন দ্বারা হাসিনা সরকারকে ফেলে দেয়া যাবে না। একটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে আর যত চক্রান্তমূলক পদ্ধতি আছে, সবই বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এবং ক্ষমতা ছাড়ার পরও অনুসরণ করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। 
এই চক্রান্তগুলোর মধ্যে আছে : ১. গ্রেনেড হামলায় হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ২. সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে বিকৃত ও কলুষিত করে জালভোটের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার চেষ্টা, ৩. ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিডিআর-বিদ্রোহ ঘটিয়ে সরকার উচ্ছেদের চেষ্টা, ৪. বিনা ইস্যুতে অনবরত দেশে হরতাল ডেকে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে ফেলার চেষ্টা, ৫. ড. ইউনূস ও তথাকথিত সুশীল সমাজ এবং তাদের দু'টি মুখপত্রের সহায়তায় দেশে গণঅসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা, ৬. জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন বন্ধ করা ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভণ্ডুল করার জন্য দেশময় ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা, ৭. দেশে ৫ মে রক্তাক্ত হেফাজতী অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা, ৮. ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো যাতে এই সরকারকে বৈধতা না দেয়, বিশেষ করে ভারতের নতুন মোদি সরকার যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে তার অশুভ ও অসাধু চেষ্টা চালানো। 
চক্রান্তের তালিকাটি আরও বড় করা যায়, তা না করে বলা যায় শেখ হাসিনাকে শারীরিক অথবা রাজনৈতিকভাবে নিধন এবং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোন সহিংস এবং অহিংস চক্রান্ত নেই, যা বিএনপি করেনি। কিন্তু চক্রান্তগুলো সফল হয়নি এবং খালেদা জিয়াকে শুধু বিরোধীদলের নেতৃত্ব নয়, ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটিও হারাতে হয়েছে এবং তারেক রহমানকে 'যৌবরাজ্যে বসে লুটেপুটে খাওয়ার' হাওয়া ভবনের রাজত্ব ত্যাগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদেশে গিয়ে বনবাসের মতো বসবাস করতে হচ্ছে। এখন বিদেশে বসে চক্রান্ত করা ছাড়া তার আর কোন কাজ নেই। মাঝে মাঝে কিছু ভাড়া করা প-িতের পরামর্শে ইতিহাসবিদ সাজেন এবং মনগড়া নতুন নতুন ঐতিহাসিক তথ্য প্রচার করে লোক হাসান। এখন তারা বুঝেছেন, জামায়াত ছাড়া তাদের কোন দোসর নেই। 
সৌদি আরবের বৈঠকে বসে মাতা-পুত্র দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য আবার কী নতুন পন্থা উদ্ভাবন করবেন তা আমি জানি না; তবে যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হয় গোটা বিএনপি সংগঠনটি এখন মাতা খালেদা পুত্র তারেকের হাতেই ষোলো আনা ছেড়ে দেবেন। পুত্র বিদেশে বসে লাঠি ঘোরাবেন। তার অনুগত দল সেই মোতাবেক দেশে নতুন নতুন তা-ব সৃষ্টির চেষ্টা করবে। সম্ভবত এই লক্ষ্যেই দল পুনর্গঠনের নামে বিএনপিতে তারেকের অপছন্দের লোকদের ছাঁটাই করা শুরু হয়েছে। 
ইতোমধ্যেই ঢাকা মহানগর বিএনপি নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা বর্জিত হয়েছেন। মির্জা আব্বাস উঠে এসেছেন মহানগরের নেতৃত্বে। শোনা যাচ্ছে, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শিরুদ্ধে হবে। মহাসচিব পদে আসবেন তারেক রহমানের পছন্দের লোক। এইভাবে শুধু বিএনপিতে নয়, যুবদল, ছাত্রদলেও চলবে পার্জিং। তারপর খালেদা জিয়া থাকবেন নেপথ্যে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে বিএনপি পুনর্গঠিত হবে, জামায়াতের সঙ্গে তাদের আরও আত্তীকরণ ঘটবে। তারপর সরকার উচ্ছেদের নামে দেশে নব নব সংহার পরিকল্পনা শুরু করার ষড়যন্ত্র দেখা দিলে বুঝতে হবে এসবই হচ্ছে পবিত্র ভূমিতে বসে অপবিত্র সিদ্ধান্তের ফসল। 
আওয়ামী লীগ সরকার যেন এই সৌদি বৈঠককে গুরুত্বহীন না ভাবেন। ক্ষমতায় থাকতে পারার দরুন স্বাধীনতার শত্রুপক্ষের শক্তিকে খাটো করে না দেখেন। মৃত টিকটিকির লেজেরও দাপাদাপি করার শক্তি থাকে। বিএনপির আন্দোলন করার শক্তি খর্ব হতে পারে; চক্রান্ত করার শক্তি খর্ব হয়নি। সঙ্গে দোসর জামায়াত তো আছেই। সুতরাং সরকারকে সময় থাকতে সতর্ক ও সক্রিয় হতে হবে এবং প্রয়োজনে দুরাত্মা নিধনে লাঠ্যৌষধি প্রয়োগে প্রস্তুত থাকতে হবে। 
লন্ডন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০১৪


প্রকাশ: বুধবার, ২৩ জুলাই ২০১৪, ৮ শ্রাবণ ১৪২১

  1. বিএনপির হজের রাজনীতি কোনো দিকনির্দেশনা দেবে কি ...

    4 days ago - আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী. বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০ জুলাই রোববারপবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। খবরটি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হলো এ জন্য যে, ধর্মকর্ম পালনের জন্য তিনি শুধু একাই সৌদি আরব যাচ্ছেন না; তার দুই ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে একই সঙ্গে ...
  2. বেগম খালেদা জিয়ার সৌদি কানেকশন          
    আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
  3. প্রকাশ: বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২, ২৮ ভাদ্র ১৪১৯
  4. তারেক ও পার্থর সঙ্গে সাঈদীপুত্রের ইফতার:

  5. বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত রবিবার মদিনায় মসজিদে নববীতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেছেন। এ সময় ২০ দলীয় জোটের শরিক বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও জামায়াতের কারাবন্দী নেতা দেলাওয়ার  হোসাইন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী তার পাশে বসে ইফতারে অংশ নেন। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/07/22/18952#sthash.GyDLg9JF.dpuf
  6. তারেক রহমানের সঙ্গে ইফতার করলেন মাসুদ সাঈদী ও আন্দালিব 





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___