Banner Advertiser

Saturday, July 19, 2014

[mukto-mona] কোন্ পথে হাঁটবে স্বদেশ ? বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার না গণতন্ত্র



[ রা জ নী তি ]

কোন্ পথে হাঁটবে স্বদেশ ?

বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার না গণতন্ত্র

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

সময়ের প্রয়োজন অনেক দৃশ্যপটের সৃষ্টি করে। সূত্রে না মিললেও তা মেনে নিতে হয়। অনেক সময় এর ভেতরেই খুঁজে পাওয়া যায় কল্যাণ। প্রমাণ খোঁজার জন্য আমরা আঠারো শতকের ইউরোপের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে পারি। তখন ইউরোপের নানা দেশের বিপর্যস্ত প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক কাঠামো এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সময়ের বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে সে সময় ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজারা দেশের অস্থিরতার লাগাম টেনে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এনলাইটেন্ড ডেসপটিজম (বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার) বা বেনেভোলেন্ট ডেসপটিজম (কল্যাণকামী স্বৈরাচার বা একনায়কতন্ত্র)। নানা দল-মতের চিন্তার স্বাধীনতা যখন সুবিধাবাদ আর নৈরাজ্যকে উসকে দিচ্ছিল তখন অনন্যোপায় রাজারা শক্ত হাতে স্বৈরাচারী শাসন প্রবর্তন করেছিলেন। কোনো মানবিক দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেননি। ফলে দেশ আবার অন্ধকার থেকে আলোতে চলে আসে। অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়। শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে সাড়ম্বরে। প্রশাসন আবার একটি শক্ত ভিত পেয়ে যায়। স্বৈরাচার হয়েও তাই বিশ্বনন্দিত হয়েছেন রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্যাথরিন, প্রুশিয়ার দ্বিতীয় ফ্রেডারিক, পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় জোসেফ, স্পেনের তৃতীয় চার্লস, ফ্রান্সের প্রথম নেপোলিয়ন প্রমুখ।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় এগিয়ে যেতে পারেনি। ধ্বংসপ্রায় সদ্য স্বাধীন দেশ পরিচালনা সহজসাধ্য বিষয় ছিল না। সে সময়ে চালকের আসনে বসা আওয়ামী নেতৃত্বের যখন প্রয়োজন ছিল নৈতিক আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে শক্ত হাতে দেশ গড়ার এবং শক্ত হাতে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া তখনই লোভী মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায় দলটির ভেতর। এই বাস্তবতা দর্শনে সে সময়ে বঙ্গবন্ধু অনেক খেদোক্তি করেছিলেন কিন্তু তিনি মানবিক দুর্বলতা অতিক্রম করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু বুকের কোমল মানবিক গুণগুলোকে অতিক্রম করতে পারলেন না। কর্তব্যকে পূর্ণতা দিতে শক্ত হতে পারলেন না। শাসন ব্যর্থতা আর নষ্ট মানুষগুলোর বৃত্তে আটকে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। অবাধ দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অস্থির করে তুলছিল আওয়ামী শাসন কাঠামোকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি দলটির জন্য কোনো সুখকর পরিপ্রেক্ষিত রচনা করতে পারেনি। গণমানুষের সঙ্গে এই প্রথম কিছুটা দূরত্ব তৈরি হতে থাকে আওয়ামী লীগের। 

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সংকটের মুখে বঙ্গবন্ধু সম্ভবত দেশকে সুস্থিরতায় ফিরিয়ে আনার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দেশে নীতি-নির্ধারকদের দুর্বলতার সুযোগে রাজনৈতিক ঘূণপোকা এই উদ্যোগটিকে সুবিধাবাদের বলয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে নিষপ্রাণ করে দেয়। তাই ইউরোপের বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার জনপ্রিয়তা পেলেও বাকশাল নিজের ভেতর আত্মগোপনকারী আওয়ামী লীগকে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আর অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকা শক্তি লুফে নিয়েছিল এই সুবিধাটিই। এই সূত্রেই ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটে। সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। ষড়যন্ত্রকারীরা এখানেই থামেনি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে পঙ্গু করার জন্য বঙ্গবন্ধু-উত্তর পরিণত আওয়ামী মেধা নিঃশেষ করতে জেলহত্যা সম্পন্ন করে। 

মাঠ গরমের বক্তৃতাবাজ রাজনীতিক আর দলকে নিয়মনিষ্ঠ রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিরুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুগঠিত করার মত মেধাবী নির্লোভ আর আদর্শিক রাজনীতিক দু'জন এক নন। দুর্ভাগ্য সঙ্কটময় মুহূর্তে দ্বিতীয় ধারার রাজনীতিকের বড় অভাব বোধ হতে থাকলো আওয়ামী লীগের ভেতর। 

পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের রাজনৈতিক অদক্ষতা স্পষ্ট হতে থাকে। দেশ তখন নানা মত-পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি, ডান-বাম মধ্যপন্থা প্রভৃতি ইস্যু তো আছেই—এছাড়া ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী সকল সামাজিক শক্তিও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। আর এর মোকাবিলায় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দূরদর্শী চিন্তা করতে পারেনি সে সময়ের আওয়ামী নেতৃত্ব। এই ব্যর্থতার সুবিধা পুরোটাই নিতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতীয়তাবাদী স্লে¬াগানে নানা মত-পথের মানুষকে নিয়ে বিএনপি'র জন্ম দিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা যে শূন্য মাঠ তৈরি করে দিয়েছিল সেখানে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি ভাল ফল দিল। বিএনপি'র মত একটি ভুঁইফোড় দল দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে রাষ্ট্রীয় সুবিধা থাকার পরও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যর্থতা যে অনেকাংশে দায়ী ছিল তা কি বর্তমান আওয়ামী নেতৃত্ব কখনও স্বীকার করেন?

গত শতকের আশির দশকে ভাঙ্গনের মুখ থেকে দল বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়। এ পর্বেই আওয়ামী লীগ তার মূল আদর্শ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। দীর্ঘ ঐতিহ্য বহন করা একটি গণতন্ত্রী দল গণতান্ত্রিক ধারণা দলীয় আচরণ থেকে নির্বাসন দিয়ে তা শুধু বক্তৃতার ভাষায় জিইয়ে রাখলো। বিএনপি'র উত্থান এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এর বাড়-বাড়ন্ত কিছুটা যেন দিশেহারা করে দিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী দল নিজেকে সুগঠিত করার বদলে 

ক্ষমতায় পৌঁছার প্রতিযোগিতায় যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ আওয়ামী লীগের হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয়। রাষ্ট্র সুবিধার ছত্রছায়ায় এরশাদের জাতীয় পার্টিও ফুলে-ফেঁপে ওঠে। দুটো ভুঁইফোড় দলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলের জন্য কঠিন ছিল না। কিন্তু নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা দলের রাজনৈতিক ভিতকে ক্রমে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গ্রাম পর্যায়ে সাংগঠনিক তত্পরতা স্থবির হয়ে যেতে লাগলো। নির্বাসিত হতে লাগলো গণতন্ত্র চর্চা। নিয়মমাফিক গ্রাম, জেলা, আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় কমিটি গঠনের রেওয়াজ ভুলতে বসলো আওয়ামী লীগ। 

শ্রেণিচরিত্র এবং রাজনৈতিক আভিজাত্যের (!) কারণে রাজনীতিকে ক্ষমতার রাজনীতিতে পরিণত করল বিএনপি আর জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার মাপকাঠি হতে থাকলো অর্থ আর পেশিশক্তি। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মত ভুঁইফোড় দলগুলোর না হয় এ আচরণ মানায়, আওয়ামী লীগ কেন গড্ডালিকায় গা ভাসালো? এ পর্যায়ে রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে পারত আওয়ামী লীগ। তার বদলে দেখা গেল, দলটি তার নব্য প্রতিপক্ষদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামলো। এভাবে ওদের রাজনৈতিক সম্মান বাড়িয়ে দিল বা নিজেদেরটা কমাল। এ পর্যায়ে নেতৃত্ব আত্মবিশ্বাসের অভাবে দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যের গরিমাকে ম্ল¬ান করে দিয়ে বরণ করলো অসুস্থ রাজনীতিকেই। তথাকথিত গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিতে রাজনৈতিক পরম্পরা নয়—পেশিশক্তি আর অর্থ শক্তিকেই নাবিক হিসেবে মেনে নিল। তাই দেশজুড়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞায় প্রাজ্ঞ নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অনেকেই রাতারাতি পরিত্যাজ্য হলেন। সেখানে অর্থের জোরে মনোনয়ন কিনে নিতে লাগলেন নব্য ধনী বণিক আর আমলারা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার হলেন কেউ কেউ। যেসব অঞ্চলে পেশিশক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষকে বধ করা যাবে সেসব অঞ্চলে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর হাতেই চলে গেল দলীয় নেতৃত্ব। অর্থাত্ ভুঁইফোড় দলগুলোর সাথে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগও দেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ভেঙ্গে দিতে ভূমিকা রাখলো। স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপন্ন হতে লাগলো গণতন্ত্র।

আওয়ামী লীগের এসব দুর্বলতা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে যতই আনন্দের হোক না কেন দেশের জন্য তা কখনও কল্যাণের হতে পারে না। এদেশের ঐতিহ্যিক বাম দলগুলো যদি সবল হতো তবে এদের আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবা যেত। কিন্তু সে হবার নয়। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ধরনের ভুঁইফোড় দলগুলো আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই শক্তিমান হয়েছে। দলছুট পাঁচমিশেলি মানুষে সমন্বিত দল সুবিধাবাদকেই প্রশ্রয় দেয়। এদের সরাসরি প্রশ্রয়ে মৌলবাদী শক্তিগুলো ক্রমে তাদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করছে। যা দেশের জন্য অশনিসঙ্কেত। 

এসব কারণে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জাতি শেষ রক্ষা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচারের প্রত্যাশা করলে কি খুব দোষ দেয়া যাবে? এটিতো বিকল্প। না আমরা এমন বিকল্প চাই না। নিয়মের ভেতরেই হাঁটতে চাই। বাস্তব বিবেচনায় দেশের রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। দীর্ঘ যত্নের অভাবে কৃশকায় হয়ে পড়লেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল এখনও দেশজুড়ে প্রোথিত। এবার দরকার জল সিঞ্চন। ভুল স্বীকার করে আত্মশুদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এটি সুস্থ ধারার মানুষের প্রতিদিনের চাওয়া। এজন্য নিজেদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য থেকে শক্তি নিতে হবে। আবার জাগিয়ে তুলতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। শর্তহীনভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এ মুহূর্তে যৌক্তিক কারণেই আর অন্য কোনো বড় দলের পক্ষে কঠিন। বিএনপি'র দেশ জুড়ে সমর্থক থাকলেও একে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ব্যবহার করতে পারেনি। মৌলবাদী শক্তির সাথে নিজেকে একাকার করেছে। নানা প্রশ্রয়ে মৌলবাদী শক্তি অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে। এদেশের মানুষ মৌলবাদের পক্ষে নেই এ কথা ঐতিহাসিকভাবেই সত্য। কিন্তু প্রশ্রয় পেলে এরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করবেই। এই সত্য ও সূত্র পথ দেখাতে পারে আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচারের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেবে। বিএনপি সুস্থ ধারায় ফিরতে পারবে বলে মনে হয় না। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের পথে হাঁটেনি দলটি। জনগণকে সমপৃক্ত করতে পারেনি বলে নিকট অতীতের আন্দোলন জমাট বাঁধেনি। ঈদের পরের কথিত আন্দোলনের ইস্যুও তো সেই ক্ষমতা কেন্দ্রে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষাজাত। জনকল্যাণমূলক কোনো ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা নেই। কর্মী নির্ভরতায় কোনো আন্দোলন সফল হয় না। সাফল্যের জন্য চাই জনসম্পৃক্ততা। গণতান্ত্রিক আচরণ ছাড়া এ পথে হাঁটা কঠিন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস দমনে সরকারের ব্যর্থতার কথা যখন বিএনপি নেত্রী বলেন। এসব অপশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য আন্দোলনের কথা বলেন, অভিযোগের সত্যতা থাকলেও বিএনপি আমলের ছবি যখন ভেসে উঠে তখন আন্দোলনকারী নেতৃত্বের প্রশ্নে মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হবেই। তাই বিএনপি নেতৃত্বের আন্দোলন শক্ত ভিত্তি পায়নি—পাবেও না। 

এসবের পরও বিপন্ন দেশবাসী গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য উদ্বাহু। একারণেই মানুষের চাওয়া আমাদের ক্ষমতার মোহগ্রস্ত রাজনীতির মোহমুক্তি ঘটুক। গণতন্ত্রের পথ চলার জন্য আত্ম উপলব্ধিতে ফিরে আসুন রাজনীতিকগণ। 

লেখক, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

shahnawaz7b@gmail.com



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___