Banner Advertiser

Friday, August 15, 2014

[mukto-mona] আগস্ট এখনো তাড়া করে আওয়ামী লীগকে



আগস্ট এখনো তাড়া করে আওয়ামী লীগকে
হাবীব রহমান
পঁচাত্তরের কালরাতের ৩৯তম বার্ষিকী অতিবাহিত করছে বাঙালি জাতি। এ দীর্ঘ সময় পার করার পর এখনো আওয়ামী লীগে রয়েছে আগস্ট আতঙ্ক। দলটির বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের নেতারাও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জীবন নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা বলেছেন বিভিন্ন সময়ে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একাধিকবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। তাকে হত্যা করার ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পঁচাত্তরেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সে চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। 
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এদেশ থেকে চিরতরে স্বাধীনতার শক্তি মুছে দিতে চায়। যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেন, তাদের হত্যার পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। শেখ রেহানা রাজনীতিতে সরব না থাকায় তার বিষয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা ছিল না স্বাধীনতাবিরোধীদের। কিন্তু শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলায় এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজে হাত দিয়ে অনেক দূরে আসায় তিনিই টার্গেটে পরিণত হন। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনটিকে ভুলিয়ে দিতে জন্মদিন পালন, ২১ আগস্টের হামলা, ১৭ আগস্টের জঙ্গি হামলার মতো আরো কিছু ঘটাতে পারে স্বাধীনতাবিরোধীরা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনাকে অন্তত ১০ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
১৯৮১ সাল থেকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ১০ বার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য টার্গেট করা হয়েছিল। 
আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করাসহ বিভিন্ন কারণে ১৯৭৫ সালের ষড়যন্ত্রকারীদের হত্যার টার্গেটে পরিণত হন শেখ হাসিনা। তিনি অন্তত ১০ বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। হত্যার অপচেষ্টার একটি ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতা ও বঙ্গবন্ধুর খুনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রশিদ ও মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) বজলুল হুদা। এমনকি শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাকারীদের আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে ফ্রিডম পার্টি ও দলের দুই প্রধান নেতা সহায়তা করেছিল।
গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৯০-এর দশক পর্যন্ত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা হত্যার জন্য সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি সংগঠনগুলো তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এর পরবর্তীসময়ে রাজনৈতিক, জঙ্গি ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সবাই তাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট মধ্যরাতে ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারী বেবিট্যাক্সিযোগে ধানমণ্ডি এসে ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে গুলিবর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা হামলা করে। এ সময় ডিউটিরত হাবিলদার মো. জহিরুল হক, কনেস্টবল জাকির হোসেন পাল্টা গুলি করেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা 'কর্নেল ফারুক জিন্দাবাদ' সেøাগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। এভাবে একাধিকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির হামলার আগেও একাধিকবার শেখ হাসিনার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসার পর থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়। এ পরিকল্পনার অধিকাংশ সময় ফ্রিডম পার্টির নেতারা আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছিল। সর্বপ্রথম শেখ হাসিনাকে ১৯৮৭ সালে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই বছরের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী অবরোধ চলাকালে সচিবালয়ের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের জনসভায় যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে ধানমণ্ডির গ্রীন রোডে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ১৯৯৫ সালের মার্চে পান্থপথে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ষষ্ঠবারের মতো হামলা চালানো হয়।
১৯৯৬ সালের মার্চে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতু উদ্বোধন করার সময়ও তার ওপর হামলা চালানো হয়। সর্বশেষ শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট।

এসব হামলার মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের দুই মামলার বিচারে সামান্য গতি থাকলেও ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় দুই মামলা; ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার মামলা, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলার বিচার থমকে আছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলাই ঢাকার আদালতে বিচারাধীন। এসব মামলার বিচার কবে শেষ হবে- তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2014/08/15/186135.html#sthash.7jHZLafe.dpuf

Fri, 15 Aug, 2014 12:35:00 AM








বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে বেগম মুজিব


সেই রাতের ঘটনা -সুমন মাহবুব  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
কামানের গোলায় ১৩ হত্যার বিচার হয়নি ৩৯ বছরেও

প্রকাশ বিশ্বাস,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-08-14 11:40:05.0 BdST Updated: 2014-08-14 19:21:25.0 BdST

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনে মোহাম্মদপুরের শের-শাহ সুরী রোডে কামানের গোলায় ১৩ জনের নিহতের ঘটনার বিচার হয়নি ৩৯ বছরেও। ................

ওই ঘটনায় নিহত হন ১৩ জন। আহত ৩৪ জনের মধ্যে কয়েকজন পঙ্গু হয়ে যান সারা জীবনের জন্য।

Details at:

Related:
কি অপরাধ ছিল এই বালকের ? নির্মমতার চরম হাত 
সেদিন খুন করেছিল তাকেও। শেখ রাসেল ....


জাতীয় শোক দিবস আজ
ফারাজী আজমল হোসেন













__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___