Banner Advertiser

Monday, August 18, 2014

[mukto-mona] ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবনেই হামলার মূল পরিকল্পনা



নেপথ্যে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবনেই হামলার মূল পরিকল্পনা

সমকাল প্রতিবেদক
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে ছিল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশার অন্যতম প্রকাশ ছিল সেই ন্যক্কারজনক হামলা। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভয়ঙ্কর সে হামলায় নেতৃত্ব দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত 'হাওয়া ভবনে' বসে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল হামলার মূল উদ্দেশ্য। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় করা দুটি মামলার অধিকতর তদন্তে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। স্মরণকালের ভয়াবহ এ হামলার সপ্তম বার্ষিকী আজ।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০০। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও বেশ ক'টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। স্পিল্গন্টারের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অনেককে। হামলার পর তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জঙ্গিদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা
নেওয়া হয়। বেনামে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয় জড়িত শীর্ষ জঙ্গিদের।
এরপর মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মূল আসামিদের আড়াল করে 'জজ মিয়া নাটক'-এর অবতারণা হয়। জজ মিয়া আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য হন। নানা নাটকীয়তা শেষে রাঘববোয়ালদের নাম বেরোতে শুরু করে। এ বছর ৩ আগস্ট জমা দেওয়া দুটি মামলার সম্পূরক চার্জশিটে এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সাক্ষীদের জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সহায়তায় ২০০৩ সালে কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট ও তেহরিক-ই-জিহাদিল ইসলামী (টিজেআই) নেতা মুজ্জাফর শাহ বাংলাদেশে আসে এবং জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড ও গুলি আনে। এ গ্রেনেডের কিছু অংশ মুফতি হান্নান তার সহযোগীর মাধ্যমে ভারতে পাঠায়। কিছু মাওলানা তাজউদ্দিন ও নিজের কাছে রেখে দেয় মুফতি হান্নান। সে সময় আবদুস সালাম, মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নান, মাওলানা আবদুর রউফ ও আবদুল মাজেদ ভাট মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদে একত্র হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, জঙ্গি তৎপরতা চালানোর 'প্রধান বাধা' আওয়ামী লীগ বিশেষ করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের হত্যা করা গেলে তাদের কর্মকাণ্ড চালানোর পথ সুগম হবে। তখন বিএনপির নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকায় এ আক্রমণ চালানো সহজ হবে বলেও তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। এরপর তারা কুমিল্লার মুরাদনগরের এমপি মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদের সহযোগিতায় ২০০৪ সালের প্রথমদিকে ঢাকার বনানীতে 'হাওয়া ভবনে' গিয়ে তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যাসহ জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য তারা সহযোগিতা চায়। তারেক রহমান তাদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, মুফতি হান্নান তার বাড্ডার অফিস, মোহাম্মদপুর ও অন্যান্য জায়গায় সহযোগীদের নিয়ে সভা করে। ২০০৪ সালের আগস্টে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা জানতে পারে, সিলেটে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। সেই সমাবেশকেই 'মোক্ষম সুযোগ' হিসেবে বেছে নেয় জঙ্গিরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আবারও তারা তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর মুফতি হান্নান আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এক দিন মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা আবদুর রশিদসহ এনজিও আল-মারকাজুল ইসলামের অফিসে সমবেত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি মাইক্রোবাসে করে বনানীর হাওয়া ভবনে যায়। মাওলানা আবদুর রশিদকে ভবনের নিচতলায় রেখে তারা দোতলায় তারেক রহমানের অফিসে যায়। সেখানে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এনএসআইর তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিম, সিআইডির তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (পরে মেজর জেনারেল) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে সভা করে। তারেক রহমান উপস্থিত সবার সামনে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আশ্বাস অনুযায়ী মুফতি হান্নান ও তার অন্য সহযোগীরা মোহাম্মদপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় আবারও সভা করে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কর্মপন্থা নেয়। এ সময় তারা নিশ্চিত হয়, ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। ১৮ আগস্ট উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ধানম ির সরকারি বাসায় মাওলানা হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা তাজউদ্দিন ও মুফতি হান্নান সভা করে। সেখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হানিফ পরিবহনের মালিক মোঃ হানিফ ও ডিসিসির ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে আবদুস সালাম পিন্টু ও বাবর বলেন, হানিফ ও আরিফ তাদের সব সহায়তা দেবে এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা থাকবে। এরপর ২০ আগস্ট মুফতি হান্নানের সহযোগী আহসান উল্লাহ কাজল ও মুফতি মঈন আবু জান্দাল, আবদুস সালাম পিন্টুর ধানম ির বাসা থেকে মাওলানা তাজউদ্দিনের সরবরাহ করা ১৫টি গ্রেনেড পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় কাজলের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মুফতি হান্নান মুন্সীসহ হরকাতুল জিহাদের সদস্যরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণের কৌশল নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়। ২১ আগস্ট কাজলের বাসা থেকে সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে মুফতি হান্নান, আবদুল মান্নান ও ডা. জাফরের নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে জঙ্গিরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে যায় ও প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেনেড আক্রমণের সুবিধায় ও রক্ষার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবিস্ফোরিত তাজা গ্রেনেড আলামত হিসেবে জব্দ করার পরও তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেননি। এমনকি আদালতের অনুমতি না নিয়েই উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনীকে দিয়ে গ্রেনেড ধ্বংস করিয়েছেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংলগ্ন পশ্চিমপাশের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত (ডিসি-দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান ঘটনায় জড়িতদের সহজে গ্রেনেড আক্রমণের সুবিধার্থে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে আসামিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পেরেছে।
আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক, সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান পরস্পর যোগসাজশে মূল আসামিদের প্রশাসনিক সহায়তা দেন। তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আশরাফুল হুদা ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনার দিন তড়িঘড়ি বিদেশে চলে যান। তিনি বিদেশ থেকে ফিরেও দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর কোনো প্রতিবেদনও দেয়নি। সাবেক আইজিপি শহুদুল হক ঘটনার সময় আইজিপির দায়িত্ব পান। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিরোধীদলীয় নেতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেননি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
২০০০ সালের জুলাইয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে এবং ২০০১ সালে সিলেটে বোমা মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা সিআইডি তদন্ত করে। তখন থেকে সিআইডির এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশিদ ও বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানতেন, মুফতি হান্নান ও তার জঙ্গি গোষ্ঠী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বারবার হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের লোকজনও অবহিত ছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের প্রথম পর্যায় থেকে মুফতি হান্নানসহ অন্য অপরাধীদের বাঁচাতে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা ছিল। এ জন্য মুফতি হান্নান ও তার অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা না নিয়ে জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মিথ্যা, বানোয়াট স্বীকারোক্তি আদালতে লিপিবদ্ধ করানো হয়।

http://votebd.wordpress.com/2011/08/21/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B7%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/

'হাওয়া ভবন'



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___