সমাবেশে 'রহস্যময়' লিফলেট
19 Aug, 2014
সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে বিএনপিবিরোধী প্রচুর লিফলেট বিলি করা হয়েছে। তৃনমূল বিএনপি নেতৃবৃন্দ' এর নাম দিয়ে লিফলেটটি খামে করে সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিলি করা হয়। তবে লিফলেট বিলিকারীদের পরিচয় জানা যায়নি। লিফলেটটির এক কপি সংগ্রহ করেছে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম।
'আসুন বিএনপিকে রক্ষা করি' শিরোনামে এই লিফলেটে বলা হয়, 'ছাত্রদলের দুই গ্রপের গোলাগুলিতে তিন জন নিহত হলে এ ঘটনায় ১৯৮৬ সালে ছাত্রদল থেকে বহিস্কৃত হন হাবীব উন নবী খান সোহেল। এ ঘটনায় তিনি নিজেও গুরুতর আহত হয়েছিলেন যার ক্ষত বর্তমানেও তার তলপেটে বিদ্যমান।'
লিফলেটে আরো বলা হয়, '২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতিবাজ রফিকুল ইসলাম বকুল তারেক রহমানের পিএস হন। তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বকুল পিএসসি ও পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেন। আর এখন আবার বকুল তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে সোহেলকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করেছেন। যা ব্যাপকভাবে নেতাকর্মীদের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। ঢাকার কমিটিতে ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কাউকে না রেখে রংপুরে জাতীয় নির্বাচনে যার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তাকে বকুলের কথায় ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।'
এতে আরো বলা হয়, 'সোহেলের আপন ভাই বিপ্লব একজন কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে ইতিপূর্বে বহুবার অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটেছে।'
আমাদের তৃনমূল নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন সোহেলের যদি আন্দোলন সংগ্রাম করার এতোই যোগ্যতা থাকতো তাহলে রোড ফর ডেমোক্র্যাসির সময়ে সে রাজপথে কেনো নামলো না। সোহেল ও তার দুর্নীতিবাজ বন্ধু বকুলের কথায় আজিজুল বারী হেলালের মতো অথর্ব নেতাকে তারেক রহমান ছাত্রদলের সভাপতি বানিয়ে ছাত্রদলকে মূলত অগোচরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন।'
লিফলেটে আরো বলা হয়, 'যারা বেগম খালেদা জিয়াকে রোড ফর ডেমোক্র্যাসির কর্মসূচি দিতে বুদ্ধি দিয়েছিল তারা পরবর্তীতে রাজপথ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল আবার এখন তাদেরই বুদ্ধিতে সোহেলকে ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব করা হয়েছে। তাই আজ তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সময়ের দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারী, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বকুলের বন্ধু অদক্ষ নেতা সোহেলকে বাদ দিয়ে ঢাকার জনগণ ও নেতাকর্মীদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের দিয়ে ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি গঠন করা হোক।'
লিফলেটে সাবেক সচিব সাবিউদ্দিন আহমেদ ও মারুফ কামাল খান সোহেল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আবদুল কাইয়ুম এবং শিমুল বিশ্বাসের সমালোচনাও করা হয়। বলা হয়, 'তারা বেগম খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।'
এছাড়াও তৃনমূল বিএনপির এই লিফলেটে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আলমগীর, রিজভী আহমেদ, সাদেক হোসেন খোকা, খায়রুল কবীর খোকন, শফিউল বারী বাবু, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, শিরিন সুলতানার বিরোধীতাও করা হয়েছে।
লিফলেটের শেষে বলা হয়েছে, আসুন এদের অপকর্মকে প্রতিহত করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে রক্ষা করি।
এই বিষয়ে হাবীব উন নবী খান সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে কিছুই বলার নেই। কারণ বাজে লোকেরা এই ধরণের প্রচার করেছে।'
তিনি আরো বলেন, দলের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল এমন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিউজনেক্সটবিডি
'আসুন বিএনপিকে রক্ষা করি' শিরোনামে এই লিফলেটে বলা হয়, 'ছাত্রদলের দুই গ্রপের গোলাগুলিতে তিন জন নিহত হলে এ ঘটনায় ১৯৮৬ সালে ছাত্রদল থেকে বহিস্কৃত হন হাবীব উন নবী খান সোহেল। এ ঘটনায় তিনি নিজেও গুরুতর আহত হয়েছিলেন যার ক্ষত বর্তমানেও তার তলপেটে বিদ্যমান।'
লিফলেটে আরো বলা হয়, '২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতিবাজ রফিকুল ইসলাম বকুল তারেক রহমানের পিএস হন। তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বকুল পিএসসি ও পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেন। আর এখন আবার বকুল তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে সোহেলকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করেছেন। যা ব্যাপকভাবে নেতাকর্মীদের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। ঢাকার কমিটিতে ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কাউকে না রেখে রংপুরে জাতীয় নির্বাচনে যার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তাকে বকুলের কথায় ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।'
এতে আরো বলা হয়, 'সোহেলের আপন ভাই বিপ্লব একজন কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে ইতিপূর্বে বহুবার অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটেছে।'
আমাদের তৃনমূল নেতৃবৃন্দের প্রশ্ন সোহেলের যদি আন্দোলন সংগ্রাম করার এতোই যোগ্যতা থাকতো তাহলে রোড ফর ডেমোক্র্যাসির সময়ে সে রাজপথে কেনো নামলো না। সোহেল ও তার দুর্নীতিবাজ বন্ধু বকুলের কথায় আজিজুল বারী হেলালের মতো অথর্ব নেতাকে তারেক রহমান ছাত্রদলের সভাপতি বানিয়ে ছাত্রদলকে মূলত অগোচরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন।'
লিফলেটে আরো বলা হয়, 'যারা বেগম খালেদা জিয়াকে রোড ফর ডেমোক্র্যাসির কর্মসূচি দিতে বুদ্ধি দিয়েছিল তারা পরবর্তীতে রাজপথ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল আবার এখন তাদেরই বুদ্ধিতে সোহেলকে ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব করা হয়েছে। তাই আজ তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সময়ের দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারী, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বকুলের বন্ধু অদক্ষ নেতা সোহেলকে বাদ দিয়ে ঢাকার জনগণ ও নেতাকর্মীদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদের দিয়ে ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি গঠন করা হোক।'
লিফলেটে সাবেক সচিব সাবিউদ্দিন আহমেদ ও মারুফ কামাল খান সোহেল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আবদুল কাইয়ুম এবং শিমুল বিশ্বাসের সমালোচনাও করা হয়। বলা হয়, 'তারা বেগম খালেদা জিয়াকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।'
এছাড়াও তৃনমূল বিএনপির এই লিফলেটে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আলমগীর, রিজভী আহমেদ, সাদেক হোসেন খোকা, খায়রুল কবীর খোকন, শফিউল বারী বাবু, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, শিরিন সুলতানার বিরোধীতাও করা হয়েছে।
লিফলেটের শেষে বলা হয়েছে, আসুন এদের অপকর্মকে প্রতিহত করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে রক্ষা করি।
এই বিষয়ে হাবীব উন নবী খান সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে কিছুই বলার নেই। কারণ বাজে লোকেরা এই ধরণের প্রচার করেছে।'
তিনি আরো বলেন, দলের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল এমন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিউজনেক্সটবিডি
__._,_.___