Banner Advertiser

Friday, August 22, 2014

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ (২২ আগস্টের পর)



শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান
মুনতাসীর মামুন
(২২ আগস্টের পর)
গণহত্যা শুরুর আগে ডালিম ঢাকা এসেছিলেন। শেখ কামালের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে ডালিমের সম্পর্ক ছিল। শেখ কামালের সঙ্গে কথা বলার পর তার যা মনে হয়েছিল তা সংক্ষেপে উল্লেখ করছেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিএনপি গঠিত হওয়ার পর বিশেষ করে খালেদা জিয়ার শাসনামল থেকে বঙ্গবন্ধু, তার গ্রেফতার ও স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হয় তার সঙ্গে এর হুবহু মিল আছে। ডালিম লিখেছেন-
"তার এই বক্তব্য থেকেও পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, শেখ মুজিব কিংবা আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার কোন পরিকল্পনা ছিল না। তাদের চিন্তা-ভাবনায় এ ধরনের অসচ্ছতার কারণেই ২৫-২৬ মার্চ রাতের শ্বেতসন্ত্রাসের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছিল সমগ্র জাতি। আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার নেতৃত্বে। 'আমি অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না' বক্তব্য রেখে বন্দী হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন শেখ মুজিব। কোন অনুরোধ, কোন যুক্তিই মানতে রাজি হননি জনগণের 'নয়নের মণি' শেখ মুজিব!! সেই মুজিবই পরবর্তীকালে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং মূল নায়ক সাজাতে দ্বিধাবোধ করেননি, নির্লজ্জের মতো। আগরতলা ষড়যন্ত্রের আর্কিট্যাক্ট হিসেবে বাহবা কুড়াতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। মুজিব চরিত্রের এহেন সুবিধাবাদী বৈশিষ্ট্য তার পতনের জন্য অনেকাংশে দায়ী" [পৃ.৬০]।
পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে হলে কী করতে হবে তার মূল সূত্র ৭ মার্চের জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। ২৫ মার্চ রাত থেকেই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং যেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছিলেন তাদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী/পুলিশ/ইপিআর প্রতিরোধ শুরু করে।
আর্চার ব্লাড, রাও ফরমান আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করে ২৭ মার্চ প্রথম সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। রিপোর্টের চতুর্থ অনুচ্ছেদে তিনি লিখেছেন-বিশ্বস্তসূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন ২৫ মার্চ রাতে [সময়ের হেরফের হতে পারে] তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে সরে যেতে বলেন। বঙ্গবন্ধু উত্তরে বলেন, তারা যদি রক্ত চায় আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেলে প্রচুর মানুষকে হত্যা করা হবে। সে জন্য তিনি যাবেন না। পাকিস্তানী বাহিনী নিজেদের নাগরিকের ওপর এ ধরনের গণহত্যা চালাবে এটি কারো কল্পনায় ছিল না' [পৃ.১৯৮]।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার টেলিগ্রাম আমি নিজে দেখেছি। সেটি পাঠানো হয়েছিল ওয়্যারলেসে জনৈক ওসির কাছে ২৬ মার্চ। ঐ কপিটি সংরক্ষণ করেছিলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটে।
ডালিম মন্তব্য করেছেন, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠক হয়। ইয়াহিয়া শাসনতন্ত্রের খসড়া দেখতে চেয়েছিলেন। মুজিব বলেছেন, এই খসড়া দেখাবার কিছু নেই, তার কাজ সংসদের অধিবেশন ডাকা। "শেখ মুজিবের এ ধরনের মনোভাবের ফলে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভীষণভাবে মর্মাহত। এতে জান্তার ভেতরেও তার অবস্থান নাজুক হয়ে পড়ে।... ইয়াহিয়া খান মুজিবের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছিলেন" [পৃ. ৬৩]। এ ছাড়া করাচীর শিল্পপতি হারুন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি "অতি কৌশলে জনাব ভুট্টোকে শেখ মুজিবের কাছে সরকারের দালাল হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে বরাবরই শেখ মুজিব জনাব ভুট্টোকে সন্দেহের চোখে দেখে আসছিলেন। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস এবং সন্দেহের কারণেই সব আলোচনা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল" [পৃ.৬৫]।
এই দুই মন্তব্যের অর্থ পরিষ্কার নয়। এটুকু বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানী জেনারেলরা মোটামুটি যা বলতে চেয়েছেন তার সঙ্গে ডালিমের মন্তব্যের অন্তর্নিহিত মিল রয়েছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে আমরা দেখছি- ক্ষমতা হস্তান্তর করা নিয়ে পাকিস্তানী নীতিনির্ধারকরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং নানা টালবাহানা শুরু করছে। নির্বাচন হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে ক্ষমতা অর্পণ করা হবে-এই তো মূল বিষয়। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা-ই হয়। আলোচনার অবকাশ নেই। তারপরও বাঙালী নেতৃত্ব ২৫ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা করেছে। এটাই হচ্ছে বাস্তব সত্য। সেক্ষেত্রে ডালিমের মন্তব্য দেখে মনে হয়, আলোচনাটা চালিয়ে যাওয়াটাই বেহেতর ছিল। এবং আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি সমঝোতা হতো ক্ষমতা ভাগাভাগি করার তা হলে ভাল হতো। ইয়াহিয়া 'মর্মাহত' হয়েছেন এবং ভুট্টোর প্রতি 'অবিশ্বাস ও সন্দেহ' (পরস্পরের প্রতি) এ শব্দ তিনটিতেই তাদের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি পরিলক্ষিত হয়। আমাদের সে ধরনের কোন মর্মবেদনা বা সমবেদনা নেই ইয়াহিয়া বা ভুট্টোর প্রতি।
লিখেছেন তিনি, "৭ই মার্চ শেখ মুজিব ঐতিহাসিক জনসভায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি।" তাতে সমস্যা কী? আসলে ডালিমের সমস্যা হচ্ছে, বাস্তব ঘটনাগুলোকে তিনি অস্বীকার করতে পারছেন না এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাও পছন্দ করছেন না। ফলে, তার মন্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর। যেমন, লিখছেন তিনি ১৯৭১ সালে "বাঙালি জাতীয়তাবাদ তখন তুঙ্গে। সারা পূর্ব পাকিস্তানে তখন স্বাধীনতার দাবি জনগণের মাঝে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবকে সংঘাত বর্জন করার জন্য আকুল আবেদন জানান। বৈঠকে মুজিবকে সিদ্ধান্তহীন মনে হয়। ঘটনা প্রবাহের চরম পরিণতি কি হবে সে সম্পর্কে তিনিও ছিলেন শঙ্কিত। মুখে বিপ্লবী বাণী উচ্চারণ করলেও চারিত্রিকভাবে শেখ মুজিব ছিলেন সুবিধাবাদী, দুর্বল ও ভীরু চরিত্রের রাজনীতিবিদ।" [পৃ.৭০] একদিকে ইঙ্গিত করেছেন ইয়াহিয়ার 'আকুল আবেদনে' মুজিব সাড়া দিচ্ছে না। অন্যদিকে তাকে বিপ্লবী হতে বলছেন। ডালিমের দোষ নেই। পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণের মাজেজা থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেননি, ১৯৭৫ সাল তার প্রমাণ।
ভুট্টো ও শেখ মুজিবকে ডালিম একই নিক্তিতে মেপেছেন যা বাস্তবসম্মত নয়। লিখেছেন তিনি, "উচ্চাভিলাষী দুই নেতাই তখন ক্ষমতার লোভে অন্ধ। জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজেদের ক্ষমতাই তখন তাদের কাছে মুখ্য।" [পৃ. ৭২] যতটা পারা যায় শেখ মুজিবকে হেয় করাই তার উদ্দেশ্য। লিখেছেন ডালিম, বঙ্গবন্ধু ৬ দফার প্রশ্নে নমনীয়তা দেখিয়েছিলেন কারণ, "পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার সুস্পষ্ট প্রয়াসও ছিল।" [পৃ.৭৩]
এ কারণেই ডালিম কিছুক্ষণ পরপরই স্ববিরোধী বক্তব্য দেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি বলে যে আক্ষেপ করেছেন, কিছুক্ষণ পরই লিখছেন-৭ মার্চের "ভাষণেই তিনি সর্বপ্রথম স্বাধীনতার কথাটি উচ্চারণ করেন।"... অবশ্য ভাষণের সমাপ্তিতে একই সঙ্গে তিনি স্লোগান দেন, "জয়বাংলা, জয় পাঞ্জাব, জয় সীমান্ত প্রদেশ, জয় পাকিস্তান।"
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রথম বিকৃতায়ন শুরু করেন। কিন্তু, ডালিম তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। ৭ মার্চ ভাষণ, তৎকালীন রেসকোর্সে উপস্থিত থেকে আমিও শুনেছি। ডালিম যেসব শব্দ লিখেছেন আমি তার একটিও শুনিনি।
ব্যক্তিগত আক্রোশ একটি ব্যক্তিকে কত নিচে নামিয়ে দিতে পারে ডালিম তার উদাহরণ। না হলে তিনি কী ভাবে লেখেন একদিকে গণহত্যা চলছে অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস বেগম ফজিলাতুননেসা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা পাকিস্তান সরকারের ভাতায় ঢাকা শহরে নিরাপদ জীবন যাপন করেছেন। তাদের স্বাভাবিক জীবন ধারায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। পিজি হাসপাতালে শেখ মুজিবের বৃদ্ধা মা-বাবার চিকিৎসা হয়েছে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ও শেখ হাসিনা এবং তার মা তাদের দেখতেও গেছেন হাসপাতালে ভিআইপি দর্শনার্থীর মতো। কোন কোন দিন হাসপাতালে রাত্রিও কাটিয়েছেন নির্বিঘেœ।" [পৃ.৭৬]
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে যে রাস্তায় রাখা হয়েছিল সে রাস্তায় আমিও কিছুদিন ছিলাম। প্রথমদিকে ঐ বাড়ির সামনে দিয়ে প্রায় কাউকেও হাঁটতে দেয়া হতো না। পরে, তা শিথিল করা হয়। ফটকেই ছিল পাকিস্তানী প্রহরা। ঐ পরিবারের সদস্যদের বাইরেও বেরুতে দেয়া হতো না। জেলে রাখলে তো সরকারই খাবার দেবে। জেলের জীবন কি ভিআইপি জীবন?
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খালাত ভাই মমিনুল হক খোকার একটি স্মৃতিকথা আছে। [অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল, ঢাকা, ২০০০] সে বইয়ে ওই সময়ের মর্মান্তিক বিবরণ দেয়া আছে।
না, এই রুগ্ন মনের এখানেই শেষ নয়। ডালিম লিখছেন, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা পছন্দ হয়নি আইয়ুব খানের। তাই আমেরিকার তৎকালীন শত্রু চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা নেয়। আমেরিকা আইয়ুবকে 'বেয়াদবীর সমুচিত' সাজা দেয়ার চক্রান্ত করে। "তাদের এই প্রচেষ্টায় যোগ দেয় আমেরিকার পুরনো এবং বিশ্বস্ত আস্থাভাজন আলফা ইন্স্যুরেন্সের বেতনভুক্ত [শব্দটি লক্ষ্য করুন' এবং বিদগ্ধ [এ শব্দটিও লক্ষণীয়] হারুন পরিবার। আর ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুরের ঘোষিত ৬ দফা হচ্ছে তারই ফসল।" [পৃ. ৭৮]
তাহলে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাই পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য সচেষ্ট ছিল। তা হলে প্রশ্ন জাগে ১৯৭১ সালে আমেরিকা পাকিস্তান রক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ করল কেন?
এর ঠিক এক পৃষ্ঠা পর ডালিম শাহজাহান সিরাজের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানাচ্ছেন, শেখ মুজিব ৬ দফার সঙ্গে আপোস করে ক্ষমতা গ্রহণে উদগ্রীব ছিলেন এবং ১ মার্চ [১৯৭১] বঙ্গবন্ধুকে হুমকি প্রদান করে বলেন, যদি এখন তিনি স্বাধীনতার দিকে না যান তা হলে বিপদ আছে।
আওয়ামী লীগ ও নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
"তাদের এই নাজুক ও অসহায় অবস্থার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে অতি চতুরতার সঙ্গে সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতার মোক্ষম টোপটি ফেলছিল ভারত ও রাশিয়া। তাদের দেশীয় দালালরা মুমূর্ষু রোগীর মতো শেখ মুজিবকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচতে হলে এই টোপ গলধঃকরণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বরাবরই স্ববিরোধী ও দোদুল্যমান সুবিধাবাদী চরিত্রের অধিকারী শেখ মুজিব স্বীয় ও দলীয় স্বার্থের খাতিরে ২১ মার্চ বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।" [পৃ.৮০]
তার পরের অনুচ্ছেদে ডালিম উল্লেখ করেছেন মুজিব ইয়াহিয়ার বিশেষজ্ঞদের কাছে খসড়া গঠনতন্ত্র পেশ করেন যেখানে কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেয়া হয়। আর "এভাবেই প্রেসিডেন্টের কাছে তথা সমগ্র জাতির কাছে তার দেওয়া কথার বরখেলাপ করে তিনি পাকিস্তানকে অখ- রাখার সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন। প্রেসিডেন্ট মুজিবের প্রতারণায় হতাশ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তার এক সহকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উক্তি করেন, ওরা সৈনিক নয়। তারা চতুর রাজনীতিবিদ। তাদের কথার কোন দাম নেই। স্বার্থের জন্য তারা সবকিছুই করতে পারে।" [পৃ.৮১] ইয়াহিয়ার এই বানোয়াট উক্তিটি করেছেন একথা বোঝাতে যে সৈনিকরা মোমিন, সরল যারা কথা রাখে, বাকিরা ফালতু। উল্লেখ্য, কয়েক পৃষ্ঠা আগেই তিনি উল্লেখ করেছিলেন, মুজিব ইয়াহিয়াকে শাসনতন্ত্রের খসড়া দিতে অস্বীকার করেন।
এই যে উদ্ধৃতগুলো দিলাম তাতে কী কিছু বোঝার উপায় আছে? পরস্পর বিরোধী উক্তি সত্ত্বেও সৈনিক ডালিমের চিন্তার রূপরেখাটি বোঝা যায়। পাকিস্তানীদের মতো পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে দায়ী করতে চান। পাকিস্তান ভাঙ্গাটা তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। ইয়াহিয়ার প্রতি তার বিলক্ষণ সমবেদনা আছে এবং ইয়াহিয়াকে উদ্ধৃত করে তিনি বোঝাতে চান যে, রাজনীতিবিদরা খারাপ, সৈনিকরা সৎ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সৈনিকদের সম্পর্কে এমন মনোভাব সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে তা মেনে নেয়া কঠিন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সর্বনাশের জন্য সেনিকরা দায়ী-এটি বাস্তব সত্য।
(চলবে)
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-08-23&ni=182921
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১



জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন

প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                                                    
মুনতাসীর মামুন

প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___