তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা
শহরের সবচেয়ে ধর্মান্ধ পুরুষটাও একদিন প্রেমের মহাত্তত্ব বুঝে নিয়ে প্রেমিক পুরুষ হবে। প্রেম-মহার্ণবে স্নান সেরে নিজেই রাধার গলায় জড়িয়ে দিবে শতাব্দির অন্যতম প্রেমমাল্য। পরমাত্মার স্তুতি ছেড়ে কঙ্কাবতীর জন্য লিখে যাবে অবিস্মরনীয় মহাকাব্য।
এই ধর্মান্ধ পুরুষ একদিন শহরের প্রধান সড়কে রজনীগন্ধা-কৃষ্ণ চূড়া আর তোমার যতো প্রিয় ফুলের বরণ ডালা হাতে সকাল-সন্ধ্যা দাড়িয়ে থাকবে তুমি-আমি প্রেমিক যুগলের মত সহস্র যুগলকে উষ্ণ অভ্যর্তনায় বরণ করে নিবে বলে।
স্মিত হাস্যে তোমার আমার মুখে ছুঁড়ে দিবে ফুল-চন্দন!
তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা।
তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা,
একদিন আশ্বিণী শুক্লা নবমীতে
সমস্ত দেব-দেবীরে আমৃত্যু প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা মাইকে দিয়ে সেই সাজাবে অনিন্দ্য প্রেমমন্ডপ। একদিন দেব মন্দির ছেড়ে সেই হয়ে উঠবে প্রেমতীর্থস্থানের মহান্বয় মহান্ত।
তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা…
একদিন চড়ুই-দোয়েল-শালিক কুমড়োর ডগা আর দাঁড়কাক আর হেলেঞ্চার গাঢ় সবুজের সাথে নিশ্চিত হবে তার অপরিমেয় উদার বন্ধুত্ব।
তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা,
তুমি যে নিষিদ্ধ প্রেম কাব্য লিখো
সেই হবে তার একমাত্র প্রকাশক।
পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক যুগলের স্বপ্ননীড়ের
সেই হবে একমাত্র বাড়ুই।
তুমি ভয় পেয়ো না ;
একদিন সেই হবে পৃথিবীর একমাত্র সাম্যবাদী পুরুষ
পতিতালয়ের বিপরীতে সেই খুলে দিবে প্রাচ্যের প্রথম
পতিত আলয়।
তুমি ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা আমার
একদিন নিদ্রাহীন নিশিতে রাজ্যের সমস্ত প্রেমিক-প্রেমিকের
সেই ই হবে অনন্য গল্প-কথক।
তুমি স্বপ্ন রেখো প্রিয়তমা চোখের মণিতে, ভোর হবে নিশ্চিত।
আঁধারে আবৃত থাকে না সারা বছর পৃথিবীর কোনো অঞ্চল।
__._,_.___