Banner Advertiser

Sunday, September 21, 2014

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} How to Repay Our Debts to Our Motherland?



ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে দলীয় বিবেচনায় লোক নিয়োগ করা ঠিক হয়নি: অর্থমন্ত্রী

আমরা ব্যর্থ হয়েছি

ফখরুল ইসলাম | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতপাঁচ বছর পর অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রথম আলোর কাছে বললেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে দলীয় বিবেচনায় লোক নিয়োগ করা ঠিক হয়নি। তাঁর ভাষায়, 'উই আর টোটালি ফেইলড' (আমরা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছি)।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০০৯ সালে এক দফা ও পরে ২০১২ সালে আরেক দফায় ৭০ জনকে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। রূপালী ব্যাংক বাদে বাকি সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে গত পাঁচ বছরে নিয়োগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত 'নীল দল'-এর শিক্ষকদের।
চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে নিয়ে প্রতিটি পর্ষদ গঠিত।»ব্যতিক্রম বাদ দিলে চার ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), বেসিক ব্যাংক এবং আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকে অন্তত সাত থেকে আটজন করে রাজনৈতিক নিয়োগ দেয় সরকার। যাঁদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে থানা পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক নেতা। 
রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পর্ষদে দলীয় লোক নিয়োগের ফলাফল ও মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রথম আলোকে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যর্থতার কারণেই এ ধরনের নিয়োগ থেকে তিনি সরে আসছেন। অর্থমন্ত্রী জানান, 'ব্যাংকের পর্ষদে এখন সাবেক আমলা বা সাবেক ব্যাংকারদের নিয়োগ দেওয়া হবে।' 
বর্তমানে অগ্রণী, বিডিবিএল ও বিকেবির চেয়ারম্যানের পদ খালি রয়েছে। রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দুই চেয়ারম্যানের মেয়াদ ডিসেম্বরে শূন্য হওয়ার কথা। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদও শূন্য হওয়ার পর গত বুধবার সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিরাজ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরীকে (এস এ চৌধুরী) ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 
সোনালী ব্যাংকের এমডি থাকার সময় এস এ চৌধুরী গ্রাহকের অর্থায়নে হেলিকপ্টারে করে রাজশাহী-নাটোর অঞ্চলে প্রকল্প পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। তার পরও কেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হচ্ছে—প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'তখন তিনি ভুল করেছিলেন।'
এদিকে গতকাল রোববার এক আদেশে অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও ব্যাংকটির সরকার নিয়োজিত পরিচালক আরাস্তু খানকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। 
সোনালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক কোম্পানি হয়ে যাওয়ার পর ব্যাংকগুলোতে সরকার সরাসরি চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে পারে না। চেয়ারম্যান নিয়োগ হবে পর্ষদের মাধ্যমে। তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় কীভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা পারি। কারণ আমরা যে ব্যাংকের মালিক-এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে।'
জানা গেছে, নিয়ম না থাকলেও রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়। দীর্ঘবছর থেকে এটা রেওয়াজ হিসেবে চলে আসছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য হিসেবে গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক নাগিবুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা, কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা সাইমুম সরওয়ার, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খোন্দকার জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সুভাষ সিংহ রায়, শাহজাদা মহিউদ্দিন, জাকির আহমেদ, বুয়েট ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক ভিপি কে এম এন মঞ্জুরুল হককে নিয়োগ দেওয়া হয়। 
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এ কথা জানা গেছে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য বা পরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে এবার আর শুধুই রাজনৈতিক বিবেচনা করা হচ্ছে না। তারই অংশ হিসেবে এস এ চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়সচিব মিহিরকান্তি মজুমদারকে। তার আগে বহুল আলোচিত-সমালোচিত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চুর জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেসিক ব্যাংকেরই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বিকেবির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদকে।
এদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনজনের মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সরেজমিনে দেখা গেছে, অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রথমে মৌখিক পরীক্ষা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মজিদ খান। তার পর দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক মুজিব আহমেদ। সবশেষে মৌখিক পরীক্ষা দেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ আমিন উদ্দিন।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর বাকি চেয়ারম্যানদের নিয়োগ দেওয়া হবে। 
এ ছাড়া দুটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য বিদায়ী অর্থসচিব ফজলে কবির এবং সাবেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব (পরিবেশসচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া) শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর নাম রয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম প্রথম আলোকে বলেন, সুষ্ঠুভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যাংক পরিচালনার জন্য যাঁকে যোগ্য মনে করা হবে, তিনিই নিয়োগ পাবেন চেয়ারম্যান পদে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান সচিব হতে পারেন, শিক্ষকও হতে পারেন। তবে এই দুই পেশার চেয়েও সাবেক ব্যাংকারদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে পক্ষপাতী তিনি। ইব্রাহীম খালেদ বলেন, 'সচিব শুধু হলেই হবে না। যেমন মিহিরকান্তি মজুমদারকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। খুবই ভালো নির্বাচন। কারণ তাঁর হাতেই পুরো কাজটি হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একজন সচিব ছিলেন যার সময়ে ব্যাংকে নিয়োগ নিয়ে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। সরকারের উচিত হবে সতর্কতার সঙ্গে এ ধরনের সচিবদের নিয়োগ দেওয়া। 
আগের চেয়ারম্যানরা: বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাইয়ের সময়ে তাঁরই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংকটি থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে আবুল বারকাতের ভূমিকা ছিল। তিনি নিজেও এ কথা বলে থাকেন। দুই মেয়াদে পাঁচ বছর পর দায়িত্ব পালনের পর তাঁর মেয়াদও শেষ হয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর। শেষ সময়ে এসে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার-সিএসআর খাতে ব্যয় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেন তিনি। 
প্রায় একই সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। পরে তাঁকে আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নীল দল থেকে নির্বাচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি। দুই মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। 
অর্থমন্ত্রীর ভাগনিজামাই আহমদ আল কবির রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে প্রথমে তিন বছর ও পরে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করতেন। রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। তাঁর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন সোনালী ব্যাংকেরই সাবেক কর্মকর্তা কাজী বাহারুল ইসলাম। কাজী বাহারুল চেয়ারম্যান থাকাকালীনই দেশের ব্যাংক ইতিহাসে সর্ববৃহৎ 'হল-মার্ক কেলেঙ্কারি' হয়েছে। 
বিডিবিএলের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১২ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ। এর আগে একই ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন তিনি। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নীল দলের নেতা।


2014-09-21 23:57 GMT-04:00 rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com>:

দুরবস্থায় পাঁচ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক

শওকত হোসেন ও মনজুর আহমেদ | আপডেট: ০২:২৭, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

৪ ব্যাংকের মোট খেলাপি ১৯ হাজার কোটি টাকারাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়েছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে, অবলোপন করে দেওয়া হয়েছে বিপুল পরিমাণ ঋণ। আর রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনা।
ব্যাংকগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে গত ছয় বছরে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অর্থ আত্মসাতের জন্য বেছে নিয়েছেন জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে। আর বেসিক ব্যাংক তো পুরো সময়জুড়েই ছিল কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। বিশ্বব্যাংক ২০১৩ সালের শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে ব্যাংক খাত খারাপ হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে।
গত ছয় বছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার ব্যাংকের মধ্যে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮৫ শতাংশ, সোনালীর ৬৫ শতাংশ, অগ্রণীর ৪০ শতাংশ এবং রূপালীর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে এখন এই চার ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে এই চার ব্যাংক প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করে রেখেছে। আর গত প্রায় ছয় বছরে এই চারটি ও বেসিক ব্যাংকে ঋণের নামে আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
সরকারি ব্যাংকগুলোতে এখন নতুন ঋণও যেভাবে খেলাপি হচ্ছে, তা-ও উদ্বেগজনক বলেই মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি ব্যাংকের ওপর করা একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কেবল ২০১৩ সালেই সোনালী ব্যাংকের নতুন খেলাপির পরিমাণ চার হাজার ২৬৬ কোটি টাকা, জনতায় তিন হাজার ৩৯২ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে দুই হাজার ৬৯২ কোটি এবং রূপালী ব্যাংকে নতুন খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬৪৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই চার ব্যাংকে মাত্র এক বছরেই নতুন করে খেলাপি ঋণ তৈরি হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।
মূলত শুরু থেকেই ব্যাংকগুলোকে সরকার চালিয়েছে দলীয় স্বার্থে ও রাজনৈতিক বিবেচনায়। দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। একদিকে সরকারের নিয়োগ দেওয়া পর্ষদ, অন্যদিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ—সব মিলিয়ে দেশের সবচেয়ে খারাপ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচটি ব্যাংক। অসৎ ব্যবসায়ীরাও অর্থ আত্মসাতের জন্য বেছে নিয়েছেন সরকারি ব্যাংকগুলোকেই। 
অথচ ছয় বছর আগেও দেশের অন্যতম সেরা ভালো ব্যাংক ছিল বেসিক। সরকারও যে ভালোভাবে ব্যাংক চালাতে পারে, তার উদাহরণ ছিল বেসিক ব্যাংক। এই ব্যাংকটিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে এর মালিকই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে বলেন, 'যেহেতু সরকার ব্যাংকগুলোকে সামলাতে পারছে না, রক্তক্ষরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, তাই আমি মনে করি যে সোনালীকে হাতে রেখে অন্য ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে।'
জিয়া ও এরশাদের আমলে ঋণের নামে অর্থ লুটপাটের কারণে সরকার নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূলধন দিতে বাধ্য হয়েছিল। সে সময় এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল বন্ড আকারে। সেই মূলধন সরবরাহের ধারায় আবার ফিরে এসেছে সরকার। সম্প্রতি ব্যাংক চারটিকে মূলধন হিসেবে নগদ চার হাজার ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের আমানত নষ্ট করার পর আবার সেই সাধারণ মানুষের করের টাকাই দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান নিজের অভিজ্ঞতা থেকে প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এই ব্যাংকগুলোকে মূলধন জোগান দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু এর যেন কোনো শেষ নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব এত দিনে এসে বলছেন যে ব্যাংকগুলোর পর্ষদে কোনো রাজনৈতিক নিয়োগ হবে না। কিন্তু তিনি মাঝখানে কীভাবে সেই নিয়োগ দিয়েছিলেন? বিশ্বের কোনো দেশেই এ ধরনের নিয়োগ কোনো ইতিবাচক ফল দেয়নি। তাহলে তিনি কোন যুক্তিতে কী পরীক্ষা করতে গেলেন?' আকবর আলি খান দীর্ঘদিন অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর সমস্যা হচ্ছে শাসনকাঠামোতে। সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি পরিষ্কারভাবে ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে সরকারকে পরামর্শ দেন।
১০ বছর আগে অন্তত তিনটি ব্যাংক বেসরকারীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য ৩৯ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হয়, যা বর্তমান টাকার হিসাবে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আওতায় বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে কোম্পানি হিসেবে গঠন করা হয়। কিন্তু এরপর আর কিছু হয়নি।
বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাজ্য সরকারের সাহায্য সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডির অর্থায়নে 'শিল্প প্রবৃদ্ধি ও ব্যাংক আধুনিকীকরণ' নামের প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের জুনে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত তিনটি পন্থায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। দাতাদের পরামর্শ ছিল, সরকারের মালিকানায় কোনো ব্যাংক রাখারই প্রয়োজন নেই। তবে সরকারের ট্রেজারি ব্যাংক হিসেবে কাজ করে বলে সোনালী ব্যাংক সরকারের মালিকানায়ই থাকবে। রূপালী ব্যাংক বেসরকারীকরণ হবে সবার আগে। পাশাপাশি জনতা ও অগ্রণী ব্যাংককে তৈরি করা হবে বেসরকারীকরণের উপযুক্ত হিসেবে। তার পরই এই ব্যাংক দুটিকে বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। 
এ জন্য তিন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেমন, সোনালী ও জনতায় নিয়োগ দেওয়া হয় একদল পরামর্শক, অগ্রণী ব্যাংকে বসানো হয় নতুন ব্যবস্থাপনা টিম এবং রূপালী ব্যাংক বিক্রি করে দেওয়ার জন্য দায়-দেনার হিসাব প্রস্তুত করতে নিয়োগ করা হয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য তিন ব্যাংক থেকে কেবল পরামর্শকেরাই নিয়ে যান ১৩০ কোটি টাকা।
এত অর্থ খরচ করার পরও প্রকল্পের কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হয়নি। সরকার বদল হওয়ায় সিদ্ধান্তগুলোও বদলে যায়। বেসরকারি হাতে ছেড়ে না দিয়ে সরকার নতুন করে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। দলীয় কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো দেখভাল করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে গঠন করা হয় একসময়ে বাতিল করা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এর পরই ব্যাংকগুলোর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। যে খারাপ পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাংকগুলো এখন সেই পরিস্থিতিতেই ফিরে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, '৯০ সালের দিকে এই ব্যাংকগুলোর চেহারা সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তখন বিশ্বব্যাংক ঢাকায় এসে ব্যাংকগুলোতে বসে ব্যাপক সংস্কারের তদারক করে। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ আমলে এই ব্যাংকগুলোতে ভীতিকর, ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়েছিল। এখন সেদিকেই যাচ্ছে মনে হয়। এর কারণ সরকার ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে সঠিক লোক নিয়োগ দিতে পারেনি।
ব্যাংক খাতের এই বিশেষজ্ঞ ভারতের সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন। ঘুষ নিয়ে গ্রাহককে সীমার বেশি ঋণ দিয়েছিল ভারতের সিন্ডিকেট ব্যাংক। এই অভিযোগে গত আগস্ট মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই সিন্ডিকেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুধীর কুমার জৈন, তাঁর শ্যালকসহ সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশি তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। অভিযোগ হলো, সুধীর কুমার মনমোহন সিংয়ের আমলে ৫০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার) ঘুষ নিয়ে দুটি কোম্পানিকে ঋণসীমার চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছিলেন।
অথচ দেশে বেসিক ব্যাংকে সব ধরনের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে অন্তত সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে শুধু দুই বছরের জন্য অপসারণ করেছে আর অর্থ মন্ত্রণালয় কেলেঙ্কারির মূল ব্যক্তি বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চুকে 'সম্মানজনক' বিদায় দিয়েছে।

৪ ব্যাংকের মোট খেলাপি ১৯ হাজার কোটি টাকা
৬ বছরে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির হার
জনতা ব্যাংক ৮৫%
সোনালী ব্যাংক ৬৫%
অগ্রণী ব্যাংক ৪০%
রূপালী ব্যাংক ১৭%
সরকারের বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকে ঋণের নামে আত্মসাৎ ৪৫০০ কোটি টাকা


On Sun, Sep 21, 2014 at 11:28 AM, Nuran Nabi <nurannabi@gmail.com> wrote:

How to Repay Our Debts to Our Motherland?
Dr. Nuran Nabi, New Jersey, USA

We, the NRBs (Non Resident Bangladeshis), are a blessed community. We are lucky to be in the United States. All of us, except a very few, are enjoying enriched lives. Without a doubt, we can consider ourselves a very privileged community as we are able to provide opportunities to our children with excellent education and good health care. Most of us in the United States own homes, have healthy bank balances, and investments in stock markets. However, the question we ought to ask: are we indebted to our motherland for our success in this country? The answer is yes. We are indeed obligated to our motherland--Bangladesh. Most first generation NRBs were beneficiaries of the public education system of Bangladesh which is heavily subsidized by its tax payers. As a result, we paid nominal tuition fees. Moreover, many of us also received full scholarships. As a result, NRBs are immensely indebted to our motherland and her people. Since we feel more economically empowered in this country, it is high time for us to repay our debts to Bangladesh.  As we are always grateful to our biological mothers, we make every effort take good care of them. In the same way we should take care of our motherland.

We could reduce our debt by investing in Bangladesh to help to grow her economy and improve the quality of life. Suggested sectors for investment are banks, Industries, education, IT, agriculture, technology transfer and others.

Should we invest in Bottomless Basket? The answer is not at all.

Bangladesh is an immerging economy certified by world economy community. Investing in Bangladesh will allow us to repay our debts and also make money for ourselves.

World Bank reports that Bangladesh economy is better than neighboring countries India and Pakistan in terms of three indexes such as lower infant mortality rate, higher life expectancy of child at birth and higher percentage of population who have excess to improved sanitation facilities. 

South Asia's economic outlook for 2013 suggested that Bangladesh's GDP growth rate per year is comparable with Sri Lanka, Bhutan and India; and better than Pakistan, Afghanistan, Maldives and Nepal.

Economists at Standard Chartered Bank suggested Bangladesh could join the "7 percent club" of economies that expand 7% annually for an extended period allowing their economies to double every decade. Current members of the "club" include China, Cambodia, India, Mozambique and Uganda.

Economists at HSBC included Bangladesh in a group of 26 economies along with China, India and several Latin American and African countries where it expects particularly strong growth. Whereas USA and Europe, by contrast, are likely to remain merely stable, according to HSBC's projections.

The World Bank and CIA world fact book reported that Bangladesh ranked 19 among the ' 29 Hottest Economies In The World' with Iraq ranked 1 and Botswana ranked 29.

US Assistant Secretary of State Robert O Blake opined on February17, 2012 that Bangladesh might be South-East Asian economic hub. He further added that Bangladesh would be 'New Silk Road' in Asia. He commented that in near future, goods produced in Bangladesh would find their way to neighboring markets in India and beyond Afghanistan and central Asia. The 'New Silk Road', like the historic Grand Trunk Road of the Sher Shah dynasty, would open untapped potential for economic cooperation in the region. Sounding a high resonance about the country's economy, the US top official said Bangladesh has made substantial economic progress over the past two decades and is well positioned to accelerate its economic growth if it can address infrastructure constraints and other impediments to investment. Although the pace of change is slow and challenges are substantial, Blake said dynamism, resilience and entrepreneurship of Bangladeshi people will help weather such challenges

Non Resident Bangladeshis (NRBs) sent more than $11 billion remittances last year, and expected to send more than $12 Billion this year. Annual inflow is expected to rise to $20 billion in five years' time. 

Bangladesh currency is getting stronger. The value of Taka rose 5% whereas Rupee lost 15% against American dollars. Investment by NRBs is increasing every year. Last year, Bangladesh government issued license for three NRB banks, and a total of 185 million USA dollars were remitted to Bangladesh as the paid up capital for these three NRB banks.

NY Times published a report on April 23, 2012 with the title – 'In an Unlikely Corner of Asia, Strong Promise of Growth'. It reported that in Cox's Bazar - a Best Western hotel is in the making. Green Delta Housing, a Bangladeshi construction company, is working on several developments. Carlson Rezidor Hotel Group, which already operates a Radisson in Dhaka, is planning to open two hotels in Cox's Bazar in 2015. The report concluded that Bangladesh has a huge prospect of becoming one of the emerging economies. It is running with a strong promise of growth despite various challenges the nation of 160 million people is facing such as political unrest and often natural and manmade calamities.

People of Bangladesh are vibrant and resilience. They have shown these rare qualities during the liberation war in 1971 and achieved independence against insurmountable odds. The people of Bangladesh have shown same tough resistances against many post liberation challenges. With the help of NRBs, it will be easier for Bangladeshis to build their economy and improve the quality of their lives.

Predictions by world economic community and real development in the country certify that Bangladesh is an immerging economy.

Let's invest in Bangladesh and repay our debts to our motherland.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.




__._,_.___

Posted by: rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___