Banner Advertiser

Tuesday, September 16, 2014

[mukto-mona] Re: Please read



সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রবিশেষতজননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার কাজ থেমে থাকবে না। কারণ সন্ত্রাসীরা জানে তিনি থাকতে তাদের সফল হবার সম্ভবনা কম।আমাদের ভয়যেকোন ষড়যন্ত্রের গুজব উঠলেও যেন সরকার তটস্থ হয় এবং ব্যবস্থা নেয়। অমঙ্গলকে হাসিয়া উড়াইয়া দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কথায় বলে, 'অমঙ্গলকে হাসিয়াউড়াইয়া দেয়ার চেষ্টা করলে মঙ্গলসমেত উড়িয়া যাইবে'
আপনার সতর্কবানীর জন্যে ধন্যবাদ । 
কিন্তু জননেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের কথা তিনিওকি তার পিতার মতো বিশ্বাস করেন ? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার আত্ম জীবনীতে লিখেছেন, আবঙ্গালি ও মুসলমান বড় বেশি "পরশ্রীকাতর " । তিনিই "পরশ্রীকাতর " খন্দকার মোস্তাককে কাছে নিলেন আর পরিক্ষিত ত্যাগী তাজউদ্দীনকে দূরে সরালেন কাঁদের কারনে ? আপনি তো স্বচখে কাছে থেকে দেখেছেন । আমরা আপনার থেকে অনেক ছোটো, মফস্বল শহর থেকে শুনেছি । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শুভাকাঙ্গিদের (ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি) একটি কথাও রাখতে পারেননি । যেমন ঃ (১) ছাত্র লিগের ২ সম্মেলনের কোনও সম্মেলনে যাবেন না । একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন । (২) ছাত্র লিগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানকে বানাবেন না । কারন সে গমিরুদ্দিন প্রধানের ছেলে । (৩) হত্যা্র খবর ভারত, রুশ সরকার পর্যন্ত দিয়েছে -মানেন নি । -----------------------------

2014-09-16 6:41 GMT+06:00 Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>:

Bhorer Kagoj, 16th Sept 2014:

http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/09/16/196689.php

''ওহে খন্দকার, আমি তো তোমার কাছে হেলিকপ্টার সাহায্য চেয়েছিলাম''

 

মৃত্যুর পর কথা বলার কোন সুযোগ থাকলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রশ্ন করতেন, 'ওহে খন্দকার, ১৫ই আগস্ট আমি তো তোমার কাছে হেলিকপ্টার সাহায্য চেয়েছিলাম, পাইনি। আমার মৃত্যুর পর থেকে তুমি তো সবসময় ক্ষমতার কাছে কাছেই ছিলে, আমার মেয়ে তোমাকে পরিকল্পনা মন্ত্রীও  বানিয়েছিল, এবার বাদ দিলো আর তুমি রেগে গেলে?' বঙ্গবন্ধু হয়তো আরো বলতেন, "আমার মেয়ে যখন এবার ৭২-এর সংবিধান পুন: চালু করতে পারলো না তখন তুমি এমন একটা ভাব দেখালে যে পদত্যাগ করবে! ওরা তোমাকে চিনেনা, আমার মেয়েও চিনেনিচিনলে তোমাকে মন্ত্রী থেকে বাদ দিত না। পঁচাত্তরের আগে আমিও তোমায় চিনিনি, এখন বুঝি, তুমি পদত্যাগে অভস্ত্য নও, ৭১-এও  তুমি যখন দেখেছো পাকিরা তোমায় মেরে ফেলবে, কেবলমাত্র তখনই পক্ষ ত্যাগ করেছো এবং সরাসরি ওসমানীর পরের জায়গাটি দখল করে নিয়েছো। একেই বলে কপাল, পেতে পেতে তোমার অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে যে, তুমি দিতে ভুলে গেছো।' আসলে তোমাদের রং বদল দেখতে দেখতে আমার (বঙ্গবন্ধু) ওই গানটি প্রায়শ: মনে আসে, 'তোমাদের কোনটি আসল, কোনটি নকল, কেউ তো জানেনা---'

 

খন্দকার, তুমি কাদায় পরেছো---- কথায় বলে, 'হাতি কাদায় পড়লে চামচিকাও--' তোমাকে বাগে পেয়ে এখন এক একজন লাফিয়ে উঠছে! কতজন কত কথা কইছে, অথচ পঁচাত্তরের পর অনেকের ভূমিকাই তোমার মত। অবশ্য কার কথা বলবো, 'সবই তো কম্বল চোর।' দু: একটাই আমার কন্যাকেও এদের নিয়ে চলতে হচ্ছে। ভয় হয়, কবে না এরা আমার মেয়ে দু'টাকেও মেরে ফেলেপাঠক, এতক্ষণ আমার জবানীতে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কথার পর খন্দকারকে নিয়ে তো আর কোন কথা সাজে না, তবু একথা বলবো যে, 'মানী লোকের মান নাকি ---' তবে বঙ্গবন্ধুর ভয়ের কথা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সদ্য পত্রিকায় সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্রের খবর দেখলাম। একই সাথে আল-কায়দা' দক্ষিন এশিয়ায় শাখা খোলার ঘোষণা, বিশেষত: বাংলাদেশে তাদের তৎপরতা এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে নুতন করে উত্পাতের সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। এসবই এন্টি বাংলাদেশ, এন্টি মহাজোট এবং এন্টি শেখ হাসিনা। এরমধ্যে গুজব শোনা যায়, শেখ হাসিনার ওপর আঘাত হানা হবে  এর দায় বর্তাবে শেখ রেহানার ওপর এবং এজন্যেই কৌশলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে যে, দুই বোনের  মধ্যে ভেতরে ভেতরে গন্ডগোল হচ্ছে। মৌলবাদীদের প্রচারনা 'গোয়েবলসীয়' মিথ্যাকেও হার মানে বটে!

 

যদিও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে উত্খাতের ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছে কি কোন খবর নাই? থাকলে জনগণ কোন পদক্ষেপ দেখেনা কেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ষড়যন্ত্রের কথা তাকে নাকি বারবার বলা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি গাও গাথেন নাই। শোনা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা হেসে উড়িয়ে দেন। কিন্তু আমরা তো জানি সর্ষের মধ্যেও ভুত থাকে। আসলে এমনতর একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের ত্বরিত সঠিক তদন্ত হচ্ছে কিনা জনগনের তা জানার অধিকার আছে। এরআগে 'সারদার' টাকা আসার অভিযোগ উঠেছিলো, তদন্ত হয়েছে কিনা জনগণ জানেনা। আইএসআই, আল-কায়দা বা আইএসআইএস- কে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নাই। এদের হাত অনেক লম্বা। বাংলাদেশে এদের সমর্থকেরও অভাব থাকার কথা নয়। আমরা একযুগ ধরে বলে আসছি যে, আইমান আল-জওহারি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন, তার অনুসারী দেশে আছে। কোথাও নাকি বাংলাদেশে আল-কায়দার শাখা গঠনের সংবাদও এসে গেছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে আর একটি 'খিলাফত' প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়নি তো? মনে রাখতে হবে, কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী অত্যন্ত শক্তিশালী, এদের দমনে আমেরিকাকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে; বাংলাদেশেও এরা দুর্বল তা মনে করার কোন কারণ নাই, তাই যদি হতো তবে তারা একই দিন একই সময়ে সারাদেশে ৫শ বোমা ফাটাতে পারতোনা। 

 

প্রায় একই সময়ে সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র, আল-কায়দার শাখা খোলা, সারদার টাকা -এসবের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল আছে। এরমধ্যে আইএসআই-এর নামও শোনা যাচ্ছে; বিএনপি-জামাত তো আছেই। আসলে দেশে হচ্ছেটা কি?  রয়টার জানাচ্ছে, বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে ইতিমধ্যে 'ইসলামিক স্টেট'-এর কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। ভারতের কাশ্মীরসহ 'টি অঞ্চলে আইএসআইএস- পতাকা নিয়ে মিছিল হয়েছে। পাকিস্তান তো এমনিতেই সন্ত্রাসীদের আস্তানা, তদুপরি 'ইসলামিক স্টেট' মৌলবাদীদের পালে হাওয়া লাগিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আইএসআইএস- যোগদানেচ্ছু যে ৪জনকে ধরা হয়েছে, তাদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। রয়টার জানাচ্ছে, বাংলাদেশেও 'ইসলামিক স্টেট'-এর জন্যে রিক্রুট চলছে। সবার মনে থাকার কথা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একছাত্রী বিন-লাদেনকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো! অর্থাৎ সন্ত্রাসীদেরও অন্যরকম ক্যারিশমা থাকতে পারে এবং কোমলমতি তরুণ-তরুণী তাতে আকৃষ্ট হতেও পারে। 'ইসলামিক স্টেট'-এর ক্ষেত্রে ধর্মও সংযুক্ত, অন্তত: সন্ত্রাসীরা ধর্মকে ব্যবহার করছে, সেক্ষেত্রে বিপথগামী হওয়া আরো সহজ।  সন্ত্রাস দমনে মহাজোট সরকারের সাফল্য বহির্বিশ্বে স্বীকৃত। কিন্তু এখন মৌলবাদী চক্রের যে অপ-তত্পরতার কথা বিশ্ব শুনছে সেটা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে ভয়াবহ। ইরাক-সিরিয়া অঞ্চলে আবার যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। আমরা চাই বাংলাদেশ এর বাইরে থাকুক। সরকার মৌলবাদী-সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করুন। মনে রাখতে হবে, অতীত সাফল্য ভবিষ্যত সাফল্যের গ্যারান্টি দেয়না। এই সন্ত্রাসী গ্রুপের লক্ষ্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখল, সাথে অন্যরা তো আছেই। সুতরাং, সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র, বিশেষত: জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার কাজ থেমে থাকবে না। কারণ সন্ত্রাসীরা জানে তিনি থাকতে তাদের সফল হবার সম্ভবনা কম। আমাদের ভয়, যেকোন ষড়যন্ত্রের গুজব উঠলেও যেন সরকার তটস্থ হয় এবং ব্যবস্থা নেয়। অমঙ্গলকে হাসিয়া উড়াইয়া দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কথায় বলে, 'অমঙ্গলকে হাসিয়া উড়াইয়া দেয়ার চেষ্টা করলে মঙ্গলসমেত উড়িয়া যাইবে'

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক। ১২সেপ্টম্বর ২০১৪

 


SitangshuGuha 646-696-5569




__._,_.___

Posted by: Ruhul Amin <rachowdhury2014@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___