Banner Advertiser

Friday, October 17, 2014

[mukto-mona] ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট ভ্রান্ত ওয়াহাবী মতবাদ



ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট ভ্রান্ত ওয়াহাবী মতবাপ্রিন্ট কর
মোহম্মদ জাহাংগীর আলম   
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৪
ওয়াহাবী মতবাদ বিগত ২৫০ বছরের অধিককাল ধরে ইসলামী সমাজ, সংস্কার, ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক যুগের স্থাপনা, নিদর্শন ও সভ্যতার জন্য প্রকট হুমকি হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে। ওয়াহাবীজমের নামকরণ হয়েছে  তার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২) এর নামানুসারে । এই মতবাদের অনুসারীদের 'ওয়াহাবী' বলা হয়। এই নাম তাদের পছন্দ নয়। তাই মতাদর্শের নয় শুধু নামের গ্লানি ঘুঁচাতে নতুন নামকরণ হয়েছে 'সালাফী'। ওয়াহাবী সম্প্রদায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা কখনও সালাফী, কখনও মুহাম্মদী, কখনও আহ্লে হাদীস নাহয় লা-মাযহাব, কখনও নসীবি, কখনও জামায়াতের ছদ্মাবরণে, তালেবান নাহয় আলকায়দা অথবা হরকাতুল জেহাদ বা অধুনা হেফাজতে ইসলাম। বিষাক্ত সাপের মত এরা শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য ভয়ানক হুমকি এবং সাপের ন্যায় খোলস বদলাতেও পারদর্শী। ব্রিটিশ কুটচালে সৃষ্ট বিভ্রান্ত ওয়াহাবীরা মুসলমানদের ঘরের শত্রু বিভীষণ। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এর শিক্ষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল অতি রক্ষণশীল ওয়াহাবী আন্দোলন। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব যথাক্রমে- ইমাম ইবনে তাইমিয়ার শিক্ষায় অনুপ্রানীত হয়ে মিস্টার হ্যাম্ফারের কু-বুদ্ধি যোগ ও নিজের মনগড়া অযৌক্তিক ভ্রান্ত ধারনার সংমিশ্রনে জন্ম দেয় ওয়াহাবীজম। পরবর্তীতে এই মতাদর্শ তথাকথিত সালাফিদের দ¦ারা সংশোধিত হয়ে সালাফীজম নাম ধারন করে। 
ওয়াহবীরা নব্য খারেজী। এই কুখ্যাত ওয়াহাবীরা খারেজীদের ভ্রান্ত মত ও পথ গুলোকে  পুনঃর্জীবিত করেছে। নিজেদেরকে গোঁড়া সুন্নিদের থেকে পার্থক্য করতে 'সালাফী' খোলস ধারণ করেছে। তারা দাবী করে যে, একমাত্র তারাই সাল্ফে-সালেহীনদের অনুসারী এবং মূল ইসলামের ধারব বাহক, যদিও সত্য থেকে তা বহুদূর। বৃহত্তর সুন্নি জনগোষ্ঠীর উপর তাদের অপরাধের দায় চাপাতে এরা চরমপন্থী ছদ্ম-সুন্নি আন্দোলন। শান্তির ধর্ম ইসলমে এরাই উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আমদানী করেছে। যখন অনেকের মনে হতে পারে যে, ওয়াহাবী সন্ত্রাসবাদ একটি সাম্প্রতিক সংগঠন, যারা কেবলমাত্র অমুসলিমদেরকেই লক্ষ্যবস্তু করছে। আবার এটা জেনে অনেকেই অবাক হবেন যে, শত শত বছর আগে ওয়াহাবী কর্তৃক গণহত্যায় আরবে প্রথম জীবন হারিয়েছিলেন হাজার হাজার ধার্মিক সুন্নি মুসলমান এবং শিয়া মুসলিম। সৌদী আরবের ঐতিহাসিক বিবর্তন পড়লে জানা যায় কিভাবে এই ওয়াহাবী জঙ্গিদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল মুসলমানরা এবং ভয়ানক বিয়োগান্ত নাটকের ভয়াবহতা। 
অষ্টাদশ শতাব্দীর পর ওয়াহাবীজম ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পরে চরমপন্থী চেতনা নিয়ে। এই মতাদর্শ ও তার ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করে পাওয়া যায় যে, প্রাথমিক ভাবে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের বীজ বপন করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ কলোনিয়ালিষ্টরা  এ মতবাদের প্রবর্তন করে। ঐতিহাসিক ঘটনাপুঞ্জ এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্রিটিশ স্পাই মিঃ হ্যাম্ফার এর স্মৃতিকথা এটাই প্রমান করে যে, ব্রিটেনের 'সাউদার্ন ডিপার্টমেন্ট' ই ওয়াহাবীজমের জন্ম দেয়। তারা ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যাকে উপেক্ষা করে বিতর্কিত উগ্রবাদী গোষ্টির অসহষ্ণিু অপব্যাখ্যাকে পুঁজি করেছিল। ঔপনিবেশিক দপ্তর প্রতিষ্ঠার পূর্বে 'সাউদার্ন ডিপার্টমেন্ট' ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত ছিল। যা পরবর্তিতে 'ফরেন এন্ড কমনওয়েল্থ' অফিসের সাথে একত্রীকরণ হয়ে যায়।
কোন্্ বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষিতে ওয়াহাবীজমের যাত্রা শুরূ এবং কি করে এই মতবাদ ইমলামের বিভিন্ন দল উপদল ও প্রতিষ্ঠিত মাযহাব গুলোর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছিল তাই এই নিবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইন্শা আল্লাহ। এর আলোকে আরো ফুটে উঠবে ওয়াহাবীদের অযৌক্তিক চিন্তা ধারা ও মতামতের ভিত্তিতে প্রপাগান্ডার রূপ এবং ইসলামী সভ্যতা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত তাদের অপরাধ চিত্র। 
বিখ্যাত ব্রিটিশ গুপ্তচর মিঃ হ্যাম্ফারের স্মৃতিকথায় প্রকাশিত হয় যে, তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবকে প্রশিক্ষণ দেন এবং ওয়াহাবী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। যা ছিল ব্রিটেনের 'সাউদার্ন ডিপার্টমেন্টের' ইচ্ছের প্রতিফলন। ১৭১০ সালে ব্রিটেনের সাউদার্ন ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারী অফ ষ্টেট অসংখ্য পেশাদার গুপ্তচর প্রেরণ করেন মিশর, ইরাক, ইরান, আরব উপদ্বীপ এবং ইস্তাম্বুলে। মিশনের উদ্দেশ্য ছিল, পরীক্ষা করে উপায় বের করা যার মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে অনৈক্যের বীজ বপন এবং ইসলামী দেশ গুলোর উপর ব্রিটিশ কর্তৃত্ব আরোপ করা যায়।  
তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মিঃ হ্যাম্ফার, যিনি উসমানীয় সা¤্রাজ্যের পতন সাধনের উপায় খোঁজার মিশন নিয়ে ইস্তাম্বুল শহরে ভ্রমণ করেন। তিনি মুসলমানদের পোষাক পরিধান করে নিজের নাম বদলে 'মুহাম্মাদ' হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে হানাফী আলেম দ্বারা পরিচালিত কোরআন ও শরিয়াহ্ কোর্সে অংশ গ্রহন করেন। যখন তিনি তুর্কি ও আরবী ভাষায় অনর্গল কথা বলতে দক্ষ হয়ে ওঠেন তখন লন্ডনে ফিরে যান। 
সেখানে তিনি সাউদার্ন ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারী অফ ষ্টেটের সাথে সাক্ষাৎ করলে তাকে নতুন মিশনের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। ইসলাম ধর্ম ও খিলাফত ধ্বংসের ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের এই মিশনে মিঃ হ্যাম্ফারকে নি¤েœাল্লেখিত  নির্দেশ গুলি দেয়া হয়। যেমন: তিনি যেন তরুণ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবকে প্রশিক্ষণ দিয়ে  সকল সত্যিকার ও ধর্মপ্রান মুসলমানদের  নিন্দা করতে শেখান। তার শিষ্যদের উৎসাহিত করে ঐ সকল মুসলমানদের হত্যা করা অথবা তাদের ক্রীতদাসে পরিণত করে বাজারে বিক্রয় করা হয় ও তাদের সম্পত্তি লুন্ঠন করা হয়। জনসমক্ষে ঐ সকল নিবেদিত মুসলমানদের অসম্মান করা এবং হজ্জ্ব পালন প্রতিরোধ করা। উসমানীয় সা¤্রাজ্যের বিরূদ্ধে মানুষকে বিদ্রোহী করে তোলা। মক্কা, মদিনা ও অন্যান্য ইসলামী শহর গুলোর অতীত ঐতিহ্য ও স্থাপনা সমূহ ধ্বংস করা। কোরআন ও হাদীসের জালকরণ, মূদ্রণ ও বিতরণ করা ইত্যাদি। 
ছয় মাস পর তাকে বস্রা পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। মিঃ হ্যাম্ফার সফলভাবে ইবনে আব্দুল ওয়াহাবকে কাজে লাগিয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন এবং পরিশেষে উপনিবেশবাদী ওয়াহাবী সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। হ্যাম্ফারের মতে, ইবনে আব্দুল ওয়াহাব মুসলিম আলেমগণ কর্তৃক কোরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যার ও তাদের কঠোর সামালোচনা করতেন এবং তার ইসলামের দিকে আহ্বানের পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ। 
উগ্রবাদী ওয়াহাবী মতাদর্শ পূর্বে শুধুমাত্র সৌদী আরবে স্বল্প পরিসরে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর থেকে এই ভ্রান্ত রাজনৈতিক উন্মাদনাময় মতবাদের দ্রুত উত্থান হচ্ছে ওয়াহাবী সৌদী রাজতন্ত্রের ধর্মীয় অধিদপ্তরের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সার্বিক সহযোগিতা ও পূর্ণাঙ্গ অভিভাবকত্বে। আ লিক পর্যায় থেকে তারা এখন বিশ্ব মুসলিম তথা বিশ্ব মানবতার জন্য চরম হুমকি স্বরূপ প্রতিয়মান হয়েছে।   
ওয়াহাবী-সালাফীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, যারাই তাদের মতাদর্শের সাথে দ্বিমত পোষণ করে তারাই কাফের এবং তাদের ধ্বংস বা হত্যা করা ন্যায় সঙ্গত। হোক তারা প্রতিষ্ঠিত চার মাযহাবের অনুসারী সুন্নি মুসলিম, শিয়া মুসলিম কিংবা খ্রীষ্টান বা ইহুদী। মূল ধারার সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি সম্প্রদায়ের মাঝে ঢুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কুমতলবেই তারা নিজেদেরকে সুন্নি দাবী করে। কিন্তু তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়ায় নানাবিধ অপকৌশল ও প্রলোভনের মাধ্যমে সুন্নিদের মগজ ধোলাইয়ের হীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 
ইসলামী যুগের প্রথম দিকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, আমার উম্মত ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে এবং একটি দল ছাড়া বাকী ৭২ টি দলই হবে মিথ্যা ও অগ্রহণযোগ্য। আজ ইসলামের বিভিন্ন দল - উপদল বা সম্প্রদায়ের অনুগামীদের বিশ্বাস যে, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাদের দেয়া ব্যাখ্যাই কেবল মাত্র সঠিক এবং তারাই একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং তারাই কেবল বেহেশতে যাবে বাকীরা জাহান্নামী।    
অবশ্য প্রতিষ্ঠিত চারটি মাযহাবই ইসলামের সাধারণ ও মৌলিক নীতির উপর একমত পোষণ করে কোন সমস্যা ছাড়াই পাশাপাশি বসবাস করে আসছে।  মাযহাব গুলো হলো: হানাফী, হাম্বলী, মালিকি ও শাফেঈ। বৃহত্তর সুন্নি জনগোষ্ঠী বলে খ্যাত এই মাযহাব গুলোর মধ্যে ধর্মীয় অনুশীলনে পদ্ধতি গত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের আনাচে কানাচে তাদের সহনশীল সহাবস্থান ছিল। কিন্তু ইসলাম ধ্বংসে মেতে ওঠা ইহুদী-নাসারা চক্রের কুটচালে সৃষ্ট উগ্রবাদী শিয়া গোষ্ঠী, চরমপন্থী ওয়াহাবী, বৈরাগ্যবাদী দেওবন্দী ও ভ্রান্ত তাসাউফ পন্থী (গ্রীক দর্শনে প্রভাবিত পীর-মুর্শীদি), আহমদীয়া ফিরকা এবং বাতেনী সহ অন্যান্য ফিত্না  সমূহ ইসলামী সংস্কৃতি ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মরণ ব্যধি ক্যান্সারের রুপ নিয়েছে। তাদের একরোখা ভ্রান্ত ধ্যান ধারনার প্রপাগান্ডা ও অস্তিত্ত্বের লড়াই একদা ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতিকে শতধা বিভক্ত করেছে।  
১৯১৪ সালে যখন প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শুরূ হয় তখন আব্দুল আযীয ইবনে সৌদ আরব উপদ্বীপ নাজ্দের স্থানীয় শাসক ছিলেন। এসময় ব্রিটিশ সরকার তার গুপ্তচর ক্যাপ্টেন উইলিয়াম শ্যাক্্রপিয়ারের মাধ্যমে ইবনে সৌদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাকে পক্ষে নিয়ে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরূদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহনের প্রস্তাব দেন। তিনি আনুষ্ঠানিক চুক্তি ব্যতিরেকে পক্ষ সমর্থনে অস্বীকৃতি জানালে ১৯১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর, ফরাসী উপসাগরীয় দ্বীপ ড্যারিন এ উভয় পক্ষের মধ্যে 'ড্যারিন চুক্তি' স¦াক্ষরিত হয়। অতঃপর ব্রিটেন তাকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও সার্বিক সহায়তা করে তাদের হবু রাজা ইবনে সৌদকে। যিনি কেন্দ্রীয় আরব উপদ্বীপ বিশেষ করে মক্কা ও মদীনা বশীভূত করে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত শাসন করে।  
১৯২৭ সালের ২০ মে, লন্ডন 'ড্যারিন চুক্তি' বাতিল করে 'জেদ্দা চুক্তি' সম্পাদন করে। যার মাধ্যমে সৌদি দখলকৃত অ লের স্বাধীনতার স্বীকৃতি পায়। এই পদক্ষেপের বদৌলতে ১৯৩২ সালের, ২৩ সেপ্টেম্বর, আব্দুল আযীয ইবনে সৌদ সুযোগ মতো সৌদি আরবে রাজত্ব কায়েম করে। ব্রিটিশদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েই রাজতন্ত্র কায়েম করেন, উদ্দেশ্য শরীয়তের বিধান খেলাফত ধ্বংস করে ওয়াহাবী মতবাদ প্রতিষ্ঠা এবং যাতে অযথা কেউ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। বলা বাহুল্য, ইবনে আব্দুল ওয়াহাবের ভ্রান্ত মতবাদের অনুসারী ও পৃষ্টপোষক ইবনে সৌদের ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্খাই নিজ নামে বর্তমান সৌদি আরব এবং উসমানীয় খেলাফত ভেঙ্গে আরব বিশ্ব গঠিত হয়েছে।  
ওয়াহাবীরা শিরক ও বেদ'আতের মূলৎপাটনের মিথ্যে অজুহাতে ইসলামের প্রাথমিক যুগের অসংখ্য স্থাপনা, নবী করীম (সা) এর পরিবারের সদস্য (রা) - সাহাবা কেরাম (রা) ও শহীদদের (রা) কবরের চিহ্ন, গম্বুজ, এমনকি অসংখ্য মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছ। জান্নাতুল বাকীতে বুলডোজার চালিয়ে যারা রাসূলুল্লাহ্্র (সা) সাহাবাগণের (রা) কবরের চিহ্ন মুছে দেয় তারা কোন ধরণের সালাফী? মক্কায় রাসূলুল্লাহ (সা) এর জন্ম স্থানের চিহ্ন, যেখানে পাঠাগার করে রাখা হয়েছে তা এবং মদিনার মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। পদে পদে নবীজির (সা) অবমাননা করে তারা কেমন তাওহিদ বা আল্লাহ্্র একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করলো যাতে তারা বনে গেল একমাত্র তৌহিদী জনতা আর বিশ্বের বাকী মুসলিম তাদের দৃষ্টিতে হয়ে গেল মুশরিক?  
সুন্নি ওলামাদের প্রতিবাদতো নেই বরং তাদের নির্লিপ্ততা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে হতাশা ও সন্দেহের দাবানল জ্বালিয়ে দিয়েছে। কোন কোন জ্ঞান পাপি আলেম পান্ডিত্বের সুরে বলেন - 'এসব তর্ক এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম, কারণ এতে শয়তান খুশি হয় যখন ফিতনা সৃষ্টি হয়, আর কিছুই না।' প্রশ্ন উঠেছে, এসব আলেম কি তাহলে তলে তলে ওয়াহাবীদের তাবেদার বনে গেল? 
প্রতি বছর কমপক্ষে বিশ লক্ষ ধর্মপ্রাণ হাজী সাহেবানরা দুনিয়াদারী থেকে মুক্ত হয়ে সাদা ইহ্্রামের কাপড় পড়ে হজ্জ্ব পালনে সৌদি আরব যান। সেখানে তারা ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। কিন্তু ইসলামের মহাপবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় নবী করীম (সা) এর উত্তরাধিকার বা ঐতিহ্য এবং তাঁর মিতব্যয়ী জীবনের চিহ্ন গুলো ক্রমশঃ ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। 
গতবছর হজ্জ্ব থেকে ফিরে এসে ইউকে ভিত্তিক 'ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন' এর পরিচালক জনাব ইরফান আল-আলাউই মন্তব্য করেছেন: "সৌদি কর্তৃপক্ষ মক্কাতে নবীর (সা) জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সকল স্মৃতিচিহ্নই ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা ইতিমধ্যে উনার স্ত্রী, নাতি এবং সাহাবাদের (রা) বাড়ী বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। নবী করীম (সা) যে ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন তা ধ্বংস করে সেখানে যে লাইব্রেরী নির্মীত হয়েছিল সেটাও এখন হুমকির মুখে। সেটা ধ্বংস করে ওখানে আকাশ চুম্বি সাত তারকা হোটেল নির্মাণ, ভূগর্ভস্থ গাড়ী পার্কিং লট এবং একটি মেট্রো লাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা চলছে। " 
ইতিমধ্যে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর স্ত্রী খাদিজা (রা) এর বাড়ী নিশ্চিহ্ন করে সেখানে তৈরী করা হয়েছে ১৪০০ গন শৌচাগার। রাসূল (সা) ও উনার পরিবার বর্গ  (রা) ও সাল্ফে সালেহীন অর্থাৎ সাহাবা কেরামদের (রা) প্রতি এত বড় অবমাননা করে ওয়াহাবীরা নিজেদেরকে কোন্্ ধরনের সালাফী মনে করেন? বিগত ৫০ বছরে তিন শতাধিক ইসলামিক ঐতিহ্য ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। মক্কাতে ৯৫% স্থাপনা বিধ্বস্ত করা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্্র (সা) সময়কার মাত্র ২০ টি কাঠামো এখনও আছে যা হুমকির মুখে। যে হারে ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে মনে হয় এমন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, বিশেষ করে কংগ্রেসম্যান টেনক্রিডোর জন্য, যিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন বোমা বর্ষণ করে মক্কাকে ধ্বংস করে দিতে। এই জঘন্য ধ্বংসের ব্যাপারে বিশ্ব মুসলিমের দীর্ঘ নীরতবা অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ। ইসরাইল কর্তৃক ঐতিহাসিক নিদর্শনের ধ্বংসের সমালোচনা করা হয়েছিল ২০০৫ সালে মক্কা সম্মেলনে এবং ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ করেছিল সৌদী  সরকার যা ভন্ডামি ছাড়া কিছু নয়।  
বর্তমানে মক্কা হারাম শরীফের বৃহৎ সম্প্রসারনের আওতায় অসংখ্য টানেল তৈরীতে প্রতি মূহুর্তে ডিনামাইটের বিস্ফোরন ঘটানো হয়েছে। এতে ভূতত্ত্ববিদগণ ধারনা করছেন যে, হয়তো যমযম কূপ তার প্রাকৃতিক প্রবাহ হারাবে। আবার বিশ্লেষকদের ধারনা যে, পরিকল্পিত ভাবেই যমযম কূপ ধ্বংস করা হচ্ছে।  
ওয়াহাবী সৌদী কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে বলেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে হজ্জ্ব যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে বছরে ১ কোটি ৭০ লক্ষে উপনিত হলে তার স্থান সংকুলান ও অন্তঃপ্রবাহের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন বর্তমানের এ বৃহৎ সম্প্রসারণ কার্যক্রম। বিশ্লেষকদের মতে, বস্তুতঃ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে,পবিত্র মক্কা নগরী তার আধ্যাত্ত্বিকতার আবেদন হারিয়ে পরিণত হবে "লাক্সারী পে-পার-প্রেয়ার রিসোর্টে"। হজ্জ্বের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আধ্যাতিœক এবাদতের সময় হাজীগণের জন্য সাত তারকা হোটেলে ব্যবস্থা থাকছে পাশ্চাত্যের নগ্নতা ও বেহায়াপনার গড্ডালিকা প্রবাহ "লাক্সারী স্পা"র মত অমীয় সুধা। শুধু ব্যবসায়ীক মুনাফা অর্জনই নয়, ব্রিটিশ কুটচালে পবিত্র হজ্জ্বব্রতকে পরিণত করা হচ্ছে পাশ্চাত্যের টুরিজমে। গঠনমূলক সমালোচকদের আশংকা, মক্কার রুপান্তর লাস ভেগাসকেও হার মানাবে। এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাপান্তরের দূরভিসন্ধিকে আজো বিশ্বব্যাপি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অজ্ঞতা বশে মহৎ উদ্যোগ ভেবে  সৌদী সরকারের প্রশংসা করছে। 
উসমানীয়রা তাদের দেশে রক্ষক হিসেবে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করেছেন। তারা ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো সুরক্ষিত ও নথিভুক্ত করেছিলেন। তাদের অতিসতর্ক ও যতেœ লালিত স্মৃতি গুলো দ্রুতই মুছে ফেলছে ওয়াহাবী সৌদি রাজপরিবার। ১৮ শতাব্দীর শেষ দিকে উসমানীয়দের নির্মিত আয্ইয়াদ দূর্গটি সৌদী সরকার বাণিজ্যিক উন্নয়নের অজুহাতে ২০০২ সালে ধ্বংস করেছে।  
সৌদী মদদ পুষ্ট প্রকাশনা, সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলি সালাফীদের উত্থানে বলিষ্ট ভূমিকা রাখছে। কোরআন ও সুন্নাহ্্ পরিস্কার ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করলেও ওয়াহাবীদের রক্তে মিশে আছে প্রতিপক্ষকে হত্যা এবং ধ্বংসাতœক রাজনৈতিক হীন তৎপরতা। সাম্প্রতিক কালে তাদের দোসরদের মানবতা বিরোধী ধ্বংস যজ্ঞের ফলে নিরপরাধ মুসলমানদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সন্ত্রাসী খেতাব। তাদের জন্যই শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতি আজ বড় গলায় ধিক্কার জানায় বিধর্মীরা।  
বিশ্লেষকদের অভিমত, ঘরের শত্রু বিভীষণ এই ওয়াহাবীরা কৌশলে মুসলমানদের মাঝে আভ্যন্তরীন কোন্দল ও বিরোধের সৃষ্টি করে ঐক্য ও সংহতি  বিনষ্ট করছে। ফলে বাহিরের শত্রু তথা ইহুদি-নাসারারা মুসলমানদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধু পর্যদস্তই করছে না বরং একেকটা মুসলিম দেশ পরিনত হচ্ছে ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যু উপত্যকায়। সমালোচকদের দৃষ্টিতে, ব্রিটিশ এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই যুদ্ধ বিগ্রহে ওয়াহাবীদের গোপন সহযোগিতা রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ফলশ্রুতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ জাগরণ প্রতিরোধ করে রাজতন্ত্র সুরক্ষা করা।  
ওয়াহাবীরা প্রায়শঃই বলে থাকে যে, মুসলমানরা শত শত বছর ধরে পথভ্রষ্ট হয়ে আছে এবং কেবল মাত্র তাদের বিশুদ্ধ মতাদর্শই গোমরাহী থেকে নাজাতের নিশ্চয়তা দেয়। তাদের রহস্যময় বিধ্বংসী কার্যক্রম দেখে মনে হয়, যেন ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিভ্রান্তিময় পদ্ধতির  উপর, আর তা সংশোধন করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পরেছে। তাদের এই কথিত সংস্কারের মানদন্ড কোরআন-সুন্ন্াহ্্ ও সাহাবা কেরামদের (রা) জীবনাদর্শের পরিপন্থ'ী। সত্যিকার অর্থে যে সব মুসলমান জেনে বুঝে বা অজ্ঞতা বশতঃ শিরক ও বেদ'আতে লিপ্ত তাদের ফিরানোর কোন ইচ্ছে বা পরিকল্পনা তাদের নেই। বরং যে সকল বিষয়ে আলেম সমাজের মতানৈক্য রয়েছে সেগুলোকে টার্গেট করে  সুন্নি মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সামাজকে অশান্ত করে তুলছে। এটা সবার জানা যে, এশিয়া মহাদেশেই ভন্ড পীর-দরবেশ ও মাযার পুঁজা তথা শিরকের রমরমা অবস্থা। সেখানে শিরকের মুলোৎপাটন করতে আজও ওয়াহাবীরা কোন জঘন্য পীরের আস্তানা বা মাযার ভাঙ্গার সাহস পায়নি।  অথচ, ভবিষ্যতে শিরকের দ¦ার উন্মোচিত হবার সম্ভাবনা আছে ভেবেই সৌদির ওয়াহাবী কট্টর রাজপরিবার পূণ্যভুমিতে রাসূল (সা), উনার পরিবার বর্গ ও সাহাবা কেরামদের (রা) শেষ স্মৃতিচিহ্ন গুলোও ধ্বংস করে চলেছে।  
পশ্চিমা বিশ্ব অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মিথ্যে অজুহাতে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মুসলমানদের হত্যা ও ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে তেল সম্পদ দখল ও তাবেদার সরকার গঠন করলেও সৌদি আরবের অগনতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার লংঘনের  ব্যাপারে কেন নিশ্চুপ তা সচেতন সমাজ জানে। পবিত্র ভূমিতে অমুসলিমের  প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাজতন্ত্র সুরক্ষার জন্য কাফের মুশরিকদের গোপন ঘাঁটি ও তৎপরতার অনুমোদন দিয়েছে ফতওয়াবাজ তথাকথিত নির্ভেজাল তাওহিদবাদের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহাবী রাজপরিবার।  
আল্লাহ্র প্রতি ভয় ও রাসূলের (সা) প্রতি ভালবাসা থাকলে ওয়াহাবীরা এক এক করে নবী করীম (সা)ও সাল্ফে সালেহীনদের অবমাননা ও তাদের স্মৃতি গুলো ধ্বংস করতে "সালাফী" নাম ধারন করতো না। রাসূল (সা) এর চেয়ে বড় সংস্কারক আর কে হতে পারেন? অথচ প্রতিবছর হজ্বের সময় অসংখ্য ভাষায় লক্ষ লক্ষ হাজ্বীদের বিনামূল্যে বই দেয়া হয় শ্রেষ্ট সংস্কারক ইবনে ওয়াহাবের জীবনীর উপর। কেন রাসূল (সা) এর জীবনীর গুরুত্ব দেয়া হয় না? ধীরে ধীরে ইসলামিক সভ্যতা ও মুসলিম সংস্কৃতি থেকে রাসূলের (সা) চিহ্ন মুছে ফেলার এ হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ঈমানী দায়িত্ব।   
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ দরকার নেই এটা বোধ করি কেউ বলবেন না। কিন্তু সৌদী কর্তৃপক্ষ যেভাবে ইসলামী সভ্যতার নিদর্শন গুলো ধ্বংস করছে তা সত্যিই উদ্বেগ জনক। এমন অনেক উপায় ছিল যাতে প্রাচীন স্থাপনা সংরক্ষণ করেও উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো যেত। কিন্তু তার পরিবর্তে  অতীত শেষ চিহ্ন টুকুও মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। মসজিদে নববীকে এত বড় করা হচ্ছে যে তাতে ১৬ লক্ষ লোকের সংকুলান হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে অপূরণীয় আব্বাসীয় ডিজাইন খঁচিত মিনার বিধ্বংসী তৎপরতার মাধ্যমে। ২০০৭ সালে সৌদীর ইসলামী বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এবং গ্র্যান্ড মুফ্তি আব্দুল আজিজ আল শেখ দ্বারা অনুমোদিত একটি পুস্তিকায় বলা হয়  -মসজিদে নববীর বিখ্যাত সবুজ গম্বুজ ধ্বংস করা হবে এবং নবী করীম (সা) এর রওযা মোবারক, পাশাপাশি অবস্থিত হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত উমর (রা) এর সমাধি মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ওয়াহাবী পন্ডিত শেখ ইবনে আল উছাইমীনও একই দাবী করেছেন। এমনকি রিয়াদ-আল-জান্নাহ্  (বেহেশতের বাগান) ধ্বংসের পায়তারাও চলছে।  
যে মতবাদের জন্ম ব্রিটিশ স্বার্থ রক্ষার শর্ত সাপেক্ষে এবং ইসলাম ধ্বংসের প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন কল্পে, তাদের দ্বারা সত্যিকার অর্থে ইসলামের কল্যাণ আশা করা যায় না। শুভ্র জুব্বা আর আল্খেল্লার আঁড়ালে লুকিয়ে থাকা নরপশুদের আসল চেহারা উন্মোচিত হলেও বিশ্বময় প্রতিবাদের ঝড় উঠে না। মুসলিম বিশ্বকে অশান্ত ও গোলযোগপূর্ণ করে ফায়দা লোটার ইহুদী - নাসারাদের নীল নক্শার বাস্তাবায়নে অফুরন্ত তেল সম্পদ দিয়ে পৃষ্টপোষকতা  করছে মানবতা বিরোধি ওয়াহাবী রাজতন্ত্র। সৌদি আরবের প্রতি বিশ্ব মুসলিমের অন্ধ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার কারনেই যেন থেমে আছে বিক্ষোভ।  নবী মুহাম্মাদ (সা) কে নিয়ে সাম্প্রতিক বিধর্মীদের তৈরী ব্যাঙ্গাতœক কার্টুন ফিল্ম বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভের ঝড় তুলেছিল । কিন্তু আফসোসের বিষয় হল মুসলিম বিশ্ব ওয়াহবীদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে একেবারেই নিশ্চুপ। যদি মুসলিম বিশ্ব সংঘবদ্ধ হয়ে জোড়ালো প্রতিবাদ করতো তাহলে প্রাচীন ইসলামী ঐতিহ্য সমূহ ধ্বংস প্রাপ্ত হত না।  
যখন পৃথিবীর অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায় তাদের অতীত ঐতিহ্যের অনুসন্ধান, লালন ও সংরক্ষন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, তখন শরীয়ত বিরোধী ও স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের সুবিধাভোগী ওয়াহাবী সম্প্রদায় কোন্ হীন স্বার্থে ইসলামী স্থাপনা ও ঐতিহ্য ধ্বংস করে চলেছে? পরিশেষে, তৌহিদী জনতা ও সুন্নি ওলামাদের প্রতি আবেদন, আসুন আমরা ইসলামের ঐতিহাসিক স্থাপনা, ঐতিহ্য ও মসজিদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং এগুলোর সংরক্ষনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখি। মহান আল্লাহ্্ আমাদের ঈমানী চেতনা জাগ্রত করুন এবং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি হেফাজত করুন। আমীন ॥
সর্বশেষ আপডেট ( বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৪ )
http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=13666&Itemid=26

Wahabism the cancer within Islam created by British spy Hempher.



[PDF]CONFESSIONS A BRITISH SPY - Hakikat Kitabevi

Hempher is a British missioner who was assigned the task of carrying on ..... act as a spy and to obtain information necessary and sufficient for the breaking up  


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___