প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০:০০ |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমানে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা আইএএনএসের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণে দুই জন নিহত হন। এতে আহত হন একজন। কলকাতা প্রতিনিধি জানান, ওই ঘটনার জেরে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। এরই মধ্যে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভারতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একজন বাংলাদেশ থেকে বর্ধমানে গিয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্ধমানে ওই বিস্ফোরণের পর গুরুতর আহত শামিম ওরফে শাকিল আহমেদ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। আর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় স্বপন ওরফে সুবহানের। গুরুতর আহত আবদুল হাকিম এখনও চিকিৎসাধীন। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির বরাত দিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বর্ধমান বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদ বাংলাদেশী নাগরিক। কয়েক বছর আগে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন। পত্রিকাটি জানায়, শাকিলের বাড়ি বাংলাদেশের ঠিক কোথায়, সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বাংলাদেশের পুলিশের হাতে নেই। এতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের সম্ভাব্য ঘাঁটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিল ভারতের পুলিশ। বুধবার প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গের দৈনিকটির খবরে বলা হয়, নিউইয়র্কে ভারত সরকারের হাতে কয়েক সপ্তাহ আগে এসব তথ্য তুলে দেয়া হয়েছিল।
জঙ্গিদের কোনো ছাড় নয় _স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : বর্ধমানের বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি তৎপরতার জন্য বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে খয়রাগড়ায় বোমা বানাতে গিয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয়। গণমাধ্যম ও লোকমুখে শুনেছি, এদের মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন। ভারতের একটি পত্রিকার সম্পাদক ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। নিহত ওই দুই জঙ্গি বাংলাদেশী কিনা, তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নিহত দুইজন নিষিদ্ধ সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের একজন (শাকিল আহমেদ) বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
সীমান্ত বন্ধের তথ্য ভিত্তিহীন _পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সিল বা বন্ধ করে দেয়ার যেসব তথ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার রাতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে_ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ৬ অক্টোবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের কোনো জঙ্গি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা_ জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব।
সন্দেহভাজন দুই নারীজঙ্গি গ্রেফতার : বর্ধমানের বিস্ফোরণের ঘটনায় আটককৃত রুমি ও আমিনা নামের দুই নারী বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত বলে দাবি করছেন ভারতের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কলকাতা প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওড়ানোর জন্য এই দুই মহিলাই বিস্ফোরক পেঁৗছে দিয়েছিল জামা'আতুল মুজাহিদিনের এক সদস্যের হাতে। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ সীমান্ত দিয়ে তা পেঁৗছে দেয়া হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এ দুই নারী জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য।
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর, ২০১৪ ১০:৩৫:২২ |
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ভারতের সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিশন এজেন্সি (এনআইএ) এ দাবি করেছে।
গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জন নিহত ও একজন আহত হয়। ভারতীয় পুলিশ ধারণা করছে, ইম্প্রভিসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরির সময় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কারণ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ এমোনিয়াম নাইট্রেট, ডিজিটাল হাতঘড়ি, বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক পদার্থ, তার ও ব্যাটারি এবং একটি আইইডি তৈরিতে যা লাগে সে সমস্ত বস্তু উদ্ধার করেছে।
ভারতীয় পুলিশ বলছে, 'সন্ত্রাসী'দের প্রস্তুতি দেখে মনে হয়, তারা ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে ওইসব বিস্ফোরক তৈরির কাজে হাত দিয়েছিল। দিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু এমনকি কলকাতাসহ ভারতজুড়ে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাদের পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার বিষয়টিও ছিল বলে দাবি করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। তবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে তারা কিছু বলতে পারেনি।
উল্লিখিত দুটি গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, লস্কর-ই-তৈয়্যেবা ও হরকাতুল-জিহাদের পাশাপাশি আল জিহাদ নামের একটি সংগঠন এ পরিকল্পনার পেছনে কাজ করছে। পুলিশ এ ব্যাপারে কয়েকজনকে আটক করেছে। সূত্র : দ্যা ডেক্কান হেরাল্ড।
http://www.alokitobangladesh.com/latest-news/2014/10/07/100348
- See more at:
http://www.alokitobangladesh.com/latest-news/2014/10/07/100342
Terrorists planned to kill Bangladesh PM
Amidst stalemate between the National Investigating Agency (NIA) and West Bengal Police CID over who should probe the October 2 Burdwan blast case, agencies may have stumbled on proof that the blasts were a precursor to a much bigger terror attack across India and Bangladesh.
More at:
http://www.deccanherald.com/content/434592/terrorists-planned-kill-bangladesh-pm.html
সময়ে সক্রিয় হয়নি রাজ্য, দাবি কেন্দ্রের
বর্ধমানে জঙ্গি ডেরার কথা জানিয়েছিল ঢাকা
পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের আশ্রয়ে মৌলবাদীদের ডেরার যে তালিকা বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ভারতকে দিয়েছিল, তাতে একেবারে গোড়ার দিকেই ছিল বর্ধমান শহরের নাম। বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্র এ খবর দিয়ে জানাচ্ছেন, রাজশাহিতে বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়া মৌলবাদীদের জেরা করেই বর্ধমান শহরের কোথাও বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্ভাব্য ঘাঁটির কথা জানা গিয়েছিল। সেখান থেকে বেশ কয়েক বার চোরা পথে রাজশাহিতে যে আইইডি (ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এসেছে, সে খবরও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে রয়েছে।
__._,_.___