Banner Advertiser

Tuesday, November 25, 2014

[mukto-mona] প্রকাশের জন্যে-Please read




http://www.bkagoj1.com/print-edition/2014/11/26/6346.php

পুলিশী নির্যাতন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ


জাস্টিন ভলপি-কে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশী নির্যাতনের প্রতীক। ১৯৯৭-এ নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ৭০ প্রিসেন্টের (থানার) এক বাথরুমে কৃষাঙ্গ এবনার লুইমা-কে নির্যাতনের দায়ে ভলপির ৩০ বছরের জেল হয়। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ভলপি অভিযুক্ত আসামী লুইমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করেন এবং তার পশ্চাতদেশে ঝাটার লাঠি (ব্রুমস্টিক) ঢুকিয়ে দেন। রক্তাক্ত লুইমার সেই কাহিনী পুরো আমেরিকায় ছড়িয়ে পরে, সাদা-কালো টেনশন বাড়ে, আপামর জনগণ লুইমার পক্ষ নেন, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে সর্বত্র, পুলিশ প্রশাসন ভলপি'র অপকর্মের দাযিত্ব নেয়না। ভলপি'র জেল হয়। লুইমা ৮৭লক্ষ (৮.৭মিলিয়ন) ডলার ক্ষতিপূরণ পান। ভলপি পরে অনুতপ্ত হন এবং কৃতকর্মের জন্যে বারংবার দু:খ প্রকাশ করেন।

এবার সিলেটের একটি কাহিনী দেখা যাক: সেবিকা অনিতার গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে খোঁচায় এসআই আঁখি। আর মুখে পাইপ লাগিয়ে মদ ঢেলে দেন ওসি মনিরুল। এরপর মাটিতে ফেলে গলায় বুট দিয়ে চেপে ধরেন। এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে সিলেটের কোতোয়ালি থানায়। রিমান্ডে নির্যাতনের ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেবিকা অনিতা আর নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর হইচই পড়ে গেছে সিলেটে। ইতিমধ্যে নির্যাতনের অভিযোগে সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম সাব-ইন্সপেক্টর হাসিনা আক্তার আঁখিকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

২০শে নভেম্বর এ নিউজ পত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশে কি এ ধরনের ঘটনা নুতন? কিন্তু কেউকি আজ পর্যন্ত ভলপির মত জেলে গেছেন? আমাদের এক্যাশন কি ওই 'কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার'-এর মধ্যেই সীমিত নয়? বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু পুলিশ ব্রুটালিটি তো সেই উনিশ শতকের মতই আছে! 'রিমান্ড' মানে পুলিশী নির্যাতন, এ আর কতকাল চলবে? একবিংশ শতাব্দীতেও কি আমাদের পুলিশ উনিশ শতকের আচরণ করবে? দোষ কি পুলিশের নাকি সিস্টেমের? 'পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা' -এ আপ্তবাক্য আর কতকাল? সাধারণ নাগরিক অপরাধ করলে শাস্তি হবে, পুলিশ করলে হবেনা কেন? পুলিশ কি আইনের উর্দ্ধে? ভলপির ঘটনার সময় দেখেছি মিডিয়া ভীষণ সোচ্চার ছিলো, আমাদের মিডিয়া সোচ্চার হলে পুলিশী নির্যাতন কমতে বাধ্য। তাছাড়া জনগণকে সোচ্চার হতে হয়, মিছিল-মিটিং-এর দেশ বাংলাদেশে পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন সমাবেশ তো চোখে পরেনা? পুলিশী নির্যাতন মনিটর করার জন্যে আমাদের দেশে কোন সংস্থা আছে কি? ধারণা করি, সংসদে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক একটি শক্তিশালী কমিটি আছে, তারা ৪৪ বছরে কি করেছেন আমরা জানিনা। এখনো কি তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকবেন?

এরই মধ্যে খবর এলো খুলনায় পুলিশের কাস্টডিতে তুষার নাম একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে (সোনাডাঙ্গা পুলিশ, মামলা ৩০, ১৫ই নভেম্বর ২০১৪) । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অপহরণ মামলায় ডুমুরিয়া পুলিশ ব্যবসায়ী তুষারকে গ্রেফতার করে, অথচ বাদী প্রদত্ত এফ়আইআর-এ তুষারের নাম পর্যন্ত নাই (মামলা ৩৪, ২০১৪, ডুমুরিয়া থানা)! অভিযোগ রয়েছে, ডুমুরিয়ার পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী কামাল হোসেনের নির্মম অত্যাচারে তুষারের মৃত্যু হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটা চাঁদাবাজির ঘটনা। পুলিশ তার কাছে ৫লক্ষ টাকা দাবী করেছে, তুষার কিছু টাকা দিয়েছেন, বাকিটা না দেয়ায় এই অত্যাচার! বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, 'সব মাছ ময়লা খায়, দোষ পরে ঘাউরা মাছের'। সবাই চাঁদা তোলেন, দোষ শুধু ছাত্রলীগের! স্থানীয় মিডিয়া বা ঢাকার দৈনিকে খবরটি এসেছে। কিন্তু তদন্ত করবে কে, সর্ষের মধ্যেই তো ভুত! 

তুষার বা অনিতা বা রাম-রহিম যেই হোক, এরা অত্যাচারিত এবং অত্যাচারী 'পুলিশ', মানুষ যাবে কোথায়? যেকোন সরকার এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়, কিন্তু কেন? অত্যাচারীকে রক্ষা করা তো সরকারের কাজ নয়। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, যিনি পুলিশের মন্ত্রী হন, তিনিও রাতারাতি পুলিশ হয়ে যান এবং পুলিশের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। মন্ত্রী তো পারেন, এসব ঘটনা সামনে এনে 'হিরো' হতে। একজন মনির, আঁখি বা কাজী কামালের জন্যে তো পুরো পুলিশ প্রশাসনের মুখে কালিমা পড়তে পারেনা? সব পুলিশ কি খারাপ? বাংলাদেশের পুলিশরা অন্য উপগ্রহের মানুষ নন, তারাও দেশেরই সন্তান, দেশের সব মানুষ ভালো হয়ে গেলে পুলিশও ভালো হয়ে যাবে, দেশের অর্ধেক মানুষ খারাপ হলে অর্ধেক পুলিশও খারাপ হবে। তবে পুলিশের যে মানসিকতা, তা পাল্টানো প্রয়োজন, রক্ষক কেন ভক্ষক হবে? পুলিশের উচ্চপদে যারা আছেন, বা সচিব-মন্ত্রীরা কেন সবাই 'যে যায় লঙ্কা সে হয় রাবন' অপবাদ মাথায় নেবেন? ভালো কাজ শুরু করতে কোন সময় লাগেনা। পুলিশে সংস্কার প্রয়োজন। তবে 'মাইনাস টু ফর্মুলায়'  সংস্কার নয়, আগাগোড়া সংস্কার দরকার। মনে রাখতে হবে যে, আঁখি একজন মহিলা হয়ে আর একজন মহিলার গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে খোঁচা দিয়ে পারেন, তিনিও পুলিশ হবার আগে এমন কাজটি করার কথা হয়তো চিন্তাও করতে পারতেন না, এখন পারছেন তার ট্রেনিং-এর কারণে, অথবা পুলিশে চলমান ধ্যান-ধারণা বা আচার-আচরণের কারণে, তাই আঘাত হানতে হবে মূল জায়গায়।  

আসল কথা হচ্ছে, ওপরের দু'টি ঘটনা অথবা এ ধরনের হাজারো ঘটনা সভ্য সমাজের জন্যে কলঙ্ক। এগুলো 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'। এসব ঘটনা ধামাচাপা দেয়া নয়, সুষ্ঠু বিচার করতে হয়। তাহলে বন্ধ হবে পুলিশ কাস্টডিতে মৃত্যু, বন্ধ হবে রিমান্ডে নেয়ার নামে পুলিশী নির্যাতন। পুলিশের ভেতর থেকেও কথা আসা উচিত। তাহলে পুলিশ জনগনের বন্ধু হবে। খুবই কি অসম্ভব? মোটেই না। প্রয়োজন শুধু শুভ উদ্যোগের, কে নেবে সেই মহৎ উদ্যোগ?      

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক, ২৪শে নভেম্বর ২০১৪।   







__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___