খুমেকে আগামী বছর এইডসের চিকিৎসা শুরু
খুলনা ব্যুরো : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে আগামী বছর থেকে এইডসের চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খুমেকের প্রিন্সিপ্যাল ডা. হামিদ আসগর জানিয়েছেন।
তিনি জানান, খুলনায় এইডসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে খুলনা জেলায়। এ জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৬৫ জন। এ বছর দুজন মারা গেছেন।
খুলনায় প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ২০০২ সালে। কিন্তু জেলায় এর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। তাই খুমেক হাসপাতালে আগামী বছর থেকে এইডসের চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এইডসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তবে এ রোগের চিকিৎসায় সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। অন্যান্য প্রস্তুতি চলছে।
খুলনায় এইডসের বিস্তার সম্পর্কে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসীন আলী জানান, ২০০১ সালে রূপসা নদীর ওপর পীর খানজাহান আলী (রহ.) সেতু নির্মাণের সময় প্রায় ১৫০ জন থাই শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জনের শরীরে এইচআইভির জীবাণু ছিল। ৩৯ জনের মধ্যে মধ্যে ২১ জনকে থাইল্যান্ড ফেরত পাঠানো হলেও বাকি ২৮ জন এখানে কর্মরত ছিলেন। তাদের মাধ্যমে এ এলাকায় এইচআইভির জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। ২০০২ সালে মহানগরীর খালিশপুরে এক গৃহবধূর দেহে প্রথম এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের বিভাগীয় সমন্বয়কারী রেহেনাু বেগম দ্য রিপোর্টকে জানান, খুলনায় ৬৫ জন, যশোরে ২৮ জন, সাতক্ষীরায় ১৮ জন, বাগেরহাটে ৯ জন, ঝিনাইদহে চারজন, মাগুরায় দুই জন ও গোপালগঞ্জে একজন এইডসের জীবাণু বহন করছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। ২০১৩ সালে নতুন করে ৩৩ জন এবং চলতি বছর ২২ জন আক্রান্ত হয়। এ বছর মহানগরীর খালিশপুর, খুলনার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলায় একজন করে এইডস আক্রান্ত রোগী মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, ভারত, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসা কয়েকজন শ্রমিক এইচআইভি জীবাণু নিয়ে ফিরেছেন।
ঝুঁকিতে যৌনকর্মীরা
এদিকে, এইডস আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন এই জেলার যৌনকর্মীরা। তাদের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এইডস সচেতনায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘের অনুষ্ঠান সংগঠক কাজল কুমার দাশ জানান, দৌলতপুর থেকে মংলা পর্যন্ত বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে এক হাজার ২০০ যৌনকর্মী এইডস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং তাদের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/টিকে/কেএন/নভেম্বর ২৬, ২০১৪)
বাংলাদেশের এইডস পরিস্থিতি - Deutsche Welle
Oct 16, 2014 - প্রথম রোগী. ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়৷ এইচআইভি-র কারণে সৃষ্ট এই রোগটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷ ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে-কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন – যা শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু ঘটাতে পারে৷. Krankenhaus in Bangladesch ...সিলেটে এইডস রোগীর সংখ্যা ৪০০ | Bangla | Banglamail24
Sep 19, 2014 - সভায় বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রামের পরই সিলেটে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাবেশি। বাংলাদেশের মধ্যে যে পরিমাণ এইডস রোগী আছে, তার মধ্যে ৬০ ভাগ মারা যায় যক্ষ্মাক্রান্ত হয়ে এবং ২০ ভাগ মারা যায় ডায়রিয়ায়। পরামর্শ সভায় আরো বলা হয়, সিলেট বিভাগে প্রায় ৯৩ ভাগ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। নাটাব, সিলেটের ...- এইডস আতঙ্কে সৌদি আরব
__._,_.___