Banner Advertiser

Monday, November 3, 2014

[mukto-mona] আট বছর আগে কি এই লেখাটি লিখতে পারতাম! - মাসুদা ভাট্টি



মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০১৪, ২০ কার্তিক ১৪২১
আট বছর আগে কি এই লেখাটি লিখতে পারতাম!
মাসুদা ভাট্টি
৩ নবেম্বর, ২০১৪। ধরুন, আমরা যদি আজ থেকে মাত্র দুই দশক আগেও ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাই যে, এইদিনে যে এদেশে ভয়ঙ্কর কোন ঘটনা ঘটেছিল তা জনে জনে বলেও বোঝানো যাচ্ছে না। অথবা বাঙালী জাতি ইতিহাসের কালো অংশটিকে '৭৫-এর পরবর্তীকালে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। মানুষ জন্মাচ্ছিল ঠিকই এদেশে, কিন্তু তাদের মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠাটা ব্যাহত হচ্ছিল ক্রমাগত এক চক্রের হাতে। প্রশ্ন তুলি আজ, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বরের হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসকে চাপা দেয়া হয়েছিল? উত্তরটি খুব সোজা, কারণ তাতে এদেশের বিরোধিতাকারীদের চরিত্র উন্মুক্ত হয়ে পড়ে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সেসব মানুষকে আইনের মুখোমুখি হতে হয়, যারা এদেশে থেকেও আমৃত্যু এদেশের বিরোধিতার রাজনীতি করেছেন, এদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং এখনও হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতিহাস বিকৃতি বা গোপনের সেই প্রবণতা এখনও অব্যাহত, এখনও দেশের বাইরে থেকে উড়ে আসে বঙ্গবন্ধু তথা মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র হননকারী কটুবাক্য এবং সেসব নিয়ে এদেশের রাজপথ ও মিডিয়াতে চলে হুক্কাহুয়া রব। কিন্তু তারপরও আজকে আনন্দের দিন, এ কারণে যে, আজকে আমরা ৩ নবেম্বরের এইদিনে গর্ব করে বলতে পারি যে, এদেশে হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, '৭৫-এর নগ্নতার সমুচিত জবাব দেয়া সম্ভব হয়েছে। এই সঙ্গে আজ যুক্ত হয়েছে ১৯৭১ সালে এদেশের অস্তিত্বের বিরোধিতাকারীদের বিচারের রায়, যে বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন এদেশেরই আদালত। ৩ নবেম্বরের হত্যাকারীদের যারা এখনও বেঁচে আছে তাদের জন্য আজকে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া এই রায় সত্যিকার অর্থেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির মতোই, কারণ, তারা অন্তত এটুকু বুঝতে পারবে যে, এদেশে আইন অমান্যকারীদের শাস্তি হবেই এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানোর শাস্তি তাদের পেতেই হবে। এমনিতেই দেশ-বিদেশে তাদের পলাতক জীবনযাপন করতে হচ্ছে, চূড়ান্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে এই শাস্তিও তাদের জন্য কম কিছু নয়।
একটু ভাবলেই আমরা দেখতে পাই যে, এদেশে খুনী ও দেশবিরোধীদের শাসনকাল গত হয়েছে মাত্র কিছুকাল আগেই। তাদের আস্ফালন, তাদের উল্লম্ফন এদেশেরই মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করেছে, কখনও কখনও মিডিয়াকে বাধ্য করা হয়েছে। কখনও কখনও কোন কোন মিডিয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বাঙালী জাতি-ইতিহাসকে রক্তাক্ত করেছে মিথ্যাচার করে। প্রচার করেছে খুনীদের সাক্ষাতকার, যাতে তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে। সাধারণ মানুষ তাতে বিভ্রান্ত হয়েছে, হবারই কথা, কারণ, দীর্ঘকাল এ জাতি জানতেই পারেনি যে, কারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, কেনইবা প্রয়োজন পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন জাতীয় চার নেতাকে জেলের ভেতর হত্যা করার। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এই চার নেতাই মুক্তিযুদ্ধকালে বাঙালীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নামে। দেখুন, দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে হত্যার পর বাংলাদেশ যখন নতুন করে দখলদারদের খপ্পরে তখন কেন কোন প্রতিবাদ আসেনি- সে প্রশ্ন এখনকার কোন কোন টকশোজীবীদের প্রিয় একটি প্রশ্ন এবং এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা চেষ্টা করেন বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রমাণ করার। যদিও অজনপ্রিয় হলেই কোন নেতা বা রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করার অধিকার জন্মায় কিনা সে প্রশ্ন এই জ্ঞানপাপীরা তোলেন না। তারা হয়ত এখনও মনে করছে যে, এদেশে তাদের পক্ষের অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধী শক্তিটি নতুন করে ক্ষমতায় এসে সব কিছুই বদলে দেবে বা এসব বিচারকাণ্ডের বদলা নেবে, যেমনটি '৭৫ থেকে '৯৬ পর্যন্ত ঘটেছিল। ১৯৮১ সালের আগ পর্যন্ত এদেশে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ইত্যাদি চেতনা উদ্দীপক শব্দগুলোকে পর্যন্ত নির্বাসনে দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃবৃন্দকে হত্যার পর সে সময়ের শাসককুল নেমেছিল সেনাবাহিনীর ভেতরে ও বাইরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাযজ্ঞে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যেখানে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কোন হত্যাকা-ের খবর পাওয়া যায় না, সেখানে তার পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমরা সেনাবাহিনীর ভেতর কেবলই মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকা-ের খবর পাই। এ প্রশ্ন আজকেও কেউ তোলেন না যে, মুক্তিযুদ্ধের ওপর এত কেন রাগ ছিল '৭৫-এর পরবর্তী শাসকদের? কেনইবা তারা মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত অর্জনকে বিফলতায় পর্যবসিত করার জন্য সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছেন? এমনকি যে রাজনৈতিক দল তারা রেখে গিয়েছেন এদেশে, আজকে তারাই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং প্রকাশ্যে তাদের পক্ষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতাÑ এসব শব্দেরও অপমান করে চলেছেন দেদারছে। এখন তরুণ প্রজন্ম প্রশ্ন তুলেছে যে, এদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোন পক্ষ রাজনীতি করতে পারবে না। মাত্র কয়েক বছর আগেও এরকম কোন কথা বলার শক্তি বা সাহস আমাদের কারোরই ছিল না। বরং যাঁরা রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার বিরোধিতা করেছিলেন তাঁদের কারাভোগ করতে হয়েছে, সইতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন আর নির্যাতনকারীরা এই অভিজ্ঞতা '৭১ ও '৭৫-এ অর্জন করেছেন বলেই প্রতীয়মান হয়। কারণ '৭১, '৭৫ ও ২০০১ সালে স্বাধীনতাপন্থীদের ওপর নেমে আসা নির্যাতনের চরিত্র প্রায় একই রকম।
আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বিদেশী মহলের নসিহত শুনে থাকি। তারা কারণে-অকারণে আমাদের জ্ঞান দিয়ে থাকেন বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে। কিন্তু দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যা, জেলের ভেতর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, অকাতরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা কোন্ মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে সে প্রশ্ন কারও মুখে উচ্চারিত হয় না। আমরা শুনি না যে, '৭৫-এর পরে এদেশে কোন্্ গণতন্ত্র ছিল এবং এদেশে যেসব রাজনৈতিক দলকে ক্যান্টনমেন্টে বসে জন্ম দেয়া হয়েছিল, যারা এখনও পর্যন্ত গণতন্ত্রের ভাষা বলতে বোঝে কেবল ষড়যন্ত্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ায় গণতন্ত্রের কোন্্ উপকারটি হচ্ছে। এখানেই আমরা বুঝতে পারি যে, বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশীদের মায়াকান্না আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মূলত বাংলাদেশকে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মতাদর্শে পরিচালনাই মুখ্য। এদেশে যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো তখন এদেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শিবিরে যেমন নতুন নতুন মুখ যুক্ত হতে দেখেছিলাম তেমনই আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেখেছিলাম এমন কিছু চেহারা যারা মূলত এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশেষ করে এদেশের কালো ক্ষত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। কিংবা জেনে-শুনেও তারা অন্ধ সেজেছেন, এমনটাও হতে পারে। কেউ কেউ বিক্রি হয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থের কাছে। কিন্তু এদেশে বসে যারা রাতের পর রাত টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে মিথ্যাচার করেছেন তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এখন হয়েছে, বলতেই হবে। সেই সঙ্গে, আজকের এই বিশেষ দিনে তাদের পরাজিত চেহারার কথা চিন্তা করে এক ধরনের আনন্দ পাচ্ছি, আমার ধারণা এ কলামের বেশিরভাগ পাঠকই সে আনন্দ উপভোগ করছেন। আর এর মাঝামাঝি যারা, অর্থাৎ নিজেদের সুশীল অবস্থায় রেখে বলতে চেয়েছেন যে, আমরাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই তবে কিন্তু ব্লা ব্লা, তারাও আজকে বুঝতে পারছেন যে, জাতি-ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করতে কোন, যদি, কিন্তু, তবে-র জায়গা থাকে না। সেখানে কেবলই ন্যায়বিচার ও সত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টি জাগ্রত থাকে। মজার ব্যাপার হলো, তরুণ প্রজন্ম এদের আদর (!) করে নাম দিয়েছে 'ছাগু', আশা করি, এবার তাদের 'ম্যাৎকার'ও বন্ধ হবে চিরতরে। 
ফিরে যাই গোড়ার কথাতেই, আজকে যে এই আনন্দময় লেখাটি লিখতে পারছি তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে চারটি দশক। এই চার দশকের পথ চলা কোনভাবেই নির্বিঘœ ছিল না। আমার বয়স্ক পাঠককে স্মরণ করতে বলি, ১৯৭৬ সালের কথা, কেউ কি তখন একবারও ভেবেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, বিচার হবে রাজাকার, আলবদর নেতাদের? মনে মনে নিশ্চয়ই শিউরে উঠছেন এ কথা ভেবে? উঠারই কথা। কিংবা ২০০১ সালে বা ২০০৬ সালেও কি ভেবেছিলাম আমরা যে, যারা সেদিন জাতীয় পতাকা লাগিয়ে দম্ভভরে স্বাধীনতার দিকে ছুড়ে দিয়েছিল বিষমাখানো তীর, মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় তাদেরই ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে? নাহ্্, কেউ ভাবা তো দূরের কথা, চিন্তাতেও স্থান দিতে পারেননি সম্ভবত। তার মানে হচ্ছে, এগুলো সম্ভব হওয়ার পক্ষে কাউকে না কাউকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। আমাদের এখন সেই মানুষ বা সেই রাজনৈতিক শক্তিটিকে নতুন করে খুঁজে বের করার সময় এসেছে, সময় এসেছে তাকে এবং তাদের জাতীয়ভাবে ধন্যবাদ প্রদানের। ভাসুরের নাম নাকি মুখে আনতে নেই- এতদিন এদেশে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের নাম নেয়া নিষেধ ছিল, কিন্তু এখন তারা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং জাতীয়ভাবে ঘৃণিত। সুতরাং, আজকে এই দুরূহ কাজটি সফল করলেন যিনি বা যে দলটি, তাদের নামও দ্ব্যর্থহীন ভাষাতেই উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন। আমার এই লেখা তাই আজ উৎসর্গ করছি বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগকে। আমার বিশ্বাস, এই লেখার পাঠককুলও আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন না এ ব্যাপারে। ৩ নবেম্বর ২০১৪, আজ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি- এদেশ, এ জাতি তাঁদেরই ত্যাগের ফসল এবং শেখ হাসিনা তাই, তাঁদেরই যোগ্য উত্তরসূরি। 
প্রকাশ ৩ নবেম্বর,২০১৪
masuda-bhatt
মাসুদা ভাট্টি
masuda.bhatti@gmail.com
জাতি হিসেবে কলঙ্কমুক্ত হচ্ছিআবেদ খান
মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বে হলেও হচ্ছে। আদালতে ধারাবাহিকভাবে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রায় হচ্ছে। এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুভ উদ্যোগ। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এদেশের ঘাতকচক্রের বিচার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। সেই ...
http://www.manobkantha.com/2014/11/04/197823.html



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___