দেশ-মাতৃকার তরে দীর্ঘ নয় মাসের জীবন-মরন সংগ্রাম, আত্মত্যাগের ফসল মহান বিজয় দিবস। আনন্দের এই দিনে আমরা সর্বাগ্রে স্মরণ করব তাঁদের যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে মুক্ত এ স্বদেশভূমি। দেশ হানাদার মুক্ত হয়েছে ৪৩ বছর আগে। এখন চলছে রাজাকার-মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নতুন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
যে পশুশক্তি মুক্তি-পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মানবতা বিরোধীদের বিচার কাজ কুযুক্তির বাতাবরণে আবদ্ধ করে বাঁধাগ্রস্থ করতে চায়, দেশে-বিদেশে অপ-তৎপরতা চালিয়ে বন্ধ করতে চায় তারা ৭১'এর পরাজিত পাকিদলের সেবাদাস ও দোসর। এরাই ৫২'এর ভাষা আন্দোলন হতে ৭১' এর মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত বাঙ্গালী জাতির সকল আন্দোলন সংগ্রারামের বিরোধিতা করে শেষ পর্যন্ত এয়াহিয়ার দোসর হয়ে 'পাকি-শাসকের ইসলাম' বাঁচাতে মুক্তি-সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' করেছে! বঙ্মুগবন্ক্তিধুর ডাকে মুক্তি-সংগ্রামীরা জয় বাংলার জয় ছিনিয়ে এনেছে আজকের এই দিনে।
আসুন আমরা শ্রদ্ধাভরে, বিনম্র চিত্তে স্মরণ করি মহান মুক্তি সংগ্রামী বীরদের যাঁদের রক্তে মুক্ত এ স্বদেশভূমি। স্মরণ করি সকল বীর মুক্তি-সংগ্রামীদের। আর ধিক্কার জানাই সেই সকল নরপশুদের যারা বাংলা মায়ের শ্যামল প্রান্তর রক্তরঞ্জিত করে ঘাতক-রাজাকারের দলে নাম লিখেছিল। এদের বিচার কাজ এগিয়ে চলছে। এই বিচারকে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বলে যারা প্রচারণা করে চলেছে তারা বিচার বিলম্বিত, বাঁধাগ্রস্থ, বন্ধ করে রাজাকারদের পুনর্বাসিত করতে চায়।মানবতাবিরোধীদের বিচারের দাবী সকল মুক্তিকামী, মুক্তিপিয়াসী বাঙ্গালী জাতির। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাঙ্গালী জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে দৃপ্ত পদে এগিয়ে এসে মানবতা বিরোধীদের বিচার কাজ সকল বাঁধা-বিপত্তি, জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামি লীগ সরকার জাতিকে দায়মুক্তির সিংহদ্বারে নিয়ে মহান মুক্তিসংগ্রামের সত্যিকার বিজয় একের পর এক উপহার দিয়ে চলেছে। বিজয়ের মাস ও মহান বিজয় দিবসে এই হউক জাতির সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। তরুণ-প্রজন্ম উদ্দবুদ্ধ হউক বিজয়ের চেতনা্য়। পরিপূর্ণ মুক্তির চেতনায়। প্রজন্ম পৌঁছে যাক মুক্তির মোহনায়।
সকলকে বিজয় দিবসের অযুত শুভেচ্ছা।
__._,_.___