মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্টিক্ট কোর্টের বিচারক ভিনসেন্ট এল ব্রিসেটির কাছে আসামি লাস্টিক দোষ স্বীকার করেন বলে অ্যাটর্নি প্রিত ভারারা জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "লাস্টিক আমাদের ব্যবস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি শুধু আইনই ভাঙেননি, শপথ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সহকর্মীদের বিশ্বাসও ভঙ্গ করেছেন।"
অ্যাটর্নি প্রিত ভ্যারারার মুখপাত্র জেনিফার কুয়েলিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
লাস্টিক ঘুষ লেনদেন রাজি হওয়া, প্রতারণা ও সরকারি তথ্য চুরির সব অভিযোগই স্বীকার করেছেন।
৫২ বছর বয়সী লাস্টিকের কী সাজা হবে, তা আগামী ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করবে আদালত। তার যে অপরাধ, আইন অনুযায়ী এর শাস্তি হতে পারে ১৭ বছর কারাদণ্ড।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রিজভী আহমেদ সিজার (৩৫) ও জোহানেস থেলার (৫১) একই আদালতে লাস্টিককে ঘুষ সাধার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশের কোন রাজনীতিকের তথ্য পেতে এই ঘুষ লেনদেনের প্রক্রিয়া চলছিল, তা প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
সিজার বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানেকটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে বসবাসরত মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে।
তার জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বিপরীত মতাদর্শের একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গোপন নথি এবং সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের একটি প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য তিনি ঘুষ সাধেন লাস্টিককে।
রিজভী ও থালেরকে গত অগাস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজের সুবাদে থেলারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর ২০১২ সালে অবসরে যাওয়া এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট লাস্টিক ছিলেন থেলারের ছেলেবেলার বন্ধু।
থেলার ও রিজভীর শাস্তি শাস্তির বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল আদালত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে কুয়েলিজ জানিয়েছেন।
ঘুষ লেনদেনের আরেকটি মামলায় লাস্টিককে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রিজভী ও থালেরের ঘুষ সাধার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
রিজভী স্বীকার করেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০১২ সালের মার্চের মধ্যে তারা লাস্টিককে ঘুষ সেধেছিলেন, যিনি ওই সময় এফবিআইয়ের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স স্কোয়াডে দায়িত্বরত ছিলেন।
রিজভী ও থালের দুজনেই স্বীকার করেন, বাংলাদেশি ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবস্থান জেনে তার এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের 'ক্ষতি করতেই' ওই গোপন তথ্য চাইছিলেন তারা। এ বিষয়ে লাস্টিকের সঙ্গে মেইল ও টেক্সট মেসেজ চালাচালি হয়। লাস্টিক প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার ডলার এবং পরে মাসিক ভিত্তিতে ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে 'সব তথ্য' দিতে রাজি হন।
স্কুলজীবনে ভালো ফুটবলার হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী লাস্টিক ২৪ বছর এফবিআইতে কাজ করে অবসরে যান।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article900693.bdnews
আদালতে দোষ স্বীকার এক বাংলাদেশি ও এক মার্কিনির
বাংলাদেশি রাজনীতিকের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইকে ঘুষ!
__._,_.___