সন্ত্রাস রোধে গণআন্দোলন চান ইমরান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2015-01-16 22:19:43.0 BdST Updated: 2015-01-17 01:57:20.0 BdST
বিএনপিসহ বিরোধী জোটের অবরোধে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
একই সঙ্গে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারীদের 'মানবতাবিরোধী অপরাধী' আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সামনের 'রাজনীতির নামে দেশব্যাপী হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও রাজাকার কামারুজ্জামানের ফাঁসির দাবিতে' গণঅবস্থান কর্মসূচি শেষে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ইমরান বলেন, রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাস-তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদেরকে দমনে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
"সরকারের দায়িত্ব ছিল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার। তারা সেটা দিতে পারেনি।"
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবরোধের সময় গাড়িতে দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে শাহবাগ থেকে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল নিয়ে সেখানে যান।
ইমরান বলেন, "আজকে যারা রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করছে, তারাও মানবতাবিরোধী অপরাধী। আর এই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।
"রাজনীতির নামে যারা সাধারণ মানুষের শরীরে আগুন দিচ্ছে, মানুষকে জিম্মি করছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।"
বিদেশী কূটনীতিকদের বিএনপির 'প্রভু' আখ্যা দিয়ে ইমরান বলেন, তারা একদিকে দিনরাত মানুষ পুড়িয়ে মারছে, অন্যদিকে রাতে বিদেশি কূটনীতিকদের বাসায় নিয়ে বৈঠক করছে।
"তাদের আর আজকে সাধারণ মানুষের দরকার নাই, দরকার ওই বিদেশি প্রভুদের।"
তাই সুতরাং মানুষ হত্যাকারী এসব 'রাজনীতিবিদ নামধারী'দের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান তিনি।
দেশজুড়ে সন্ত্রাসের জন্য প্রধানত জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে ইমরান বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে এই সন্ত্রাস অনেকখানি কমে যাবে।
এসময় হাসপাতালে আগুনে দগ্ধদের যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে ইমরান বলেন, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়ে হত্যার মিশন শুরু করেছে।
"একজন নিরীহ রিকশা চালককে নির্মমভাবে পুড়িয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ যাত্রীর গা ঝলসে দেওয়া হয়েছে।
"তারা হাসপাতালে কাতারাচ্ছেন। কেউ কেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। তার হাত-পা ঝলসে গেলে সংসার চালাবে কে?
__._,_.___